25-07-2025, 04:18 PM
(This post was last modified: 25-07-2025, 04:53 PM by কাদের. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
দুইজনের মাঝে এইভাবে ননদ ভাবীর হাসিঠাট্টা চলতে থাকে। তার মাঝে নুসাইবা বলল, ভাবী তবে তোমার ডিপ্রেশনের ব্যাপারটা ভাইয়া আর সাবরিনা সিনথিয়ার সাথে শেয়ার করা উচিত। সাবরিনা সিনথিয়ার বাড়ি ছেড়ে যাওয়া আর ভাইয়ার ব্যস্ত হয়ে পড়া সব কিছুর প্রভাব আছে এখানে। ওদের উচিত তোমার উপর আর বেশি মনযোগ দেওয়া। সাফিনা মিষ্টি হাসেন। সব সময় নিজের প্রয়োজন লুকিয়ে রাখতে রাখতে এখন আর সেটা প্রকাশ করার নিয়ম জানেন না। সাফিনা বলেন আচ্ছা পরে দেখা যাবে এইসব। আগে এই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতে দে। নুসাইবা বলে আমি জানতাম তুমি এড়াতে চাইবে। তাই আমি সিনথিয়া কে বলেছি। সাফিনা বলল সিনথিয়া কে কেন? নুসাইবা বলল তোমার কথা কে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা এই বাসায় কার থাকলে সেটা হল সিনথিয়া। তোমাকে কেউ যদি কোন কথা মানাতে পারে জেদ করে সেটা সিনথিয়া। তাই ওকে বলেছি। আমি সিওর ও কিছু একটা ব্যবস্থা করবে। ভাইয়া আর সাবরিনা কে বলার দ্বায়িত্ব তাই ওর। সাফিনা একটা কপট রাগ দেখান। আচ্ছা পরে দেখা যাবে এইসব।
সেই রাতে হলুদের অনুষ্ঠানের পর সিনথিয়া তার মায়ের সাথে শোয়ার আবদার করে। রাত তখন প্রায় দুইটা। হলুদের পর, খাওয়া দাওয়া তারপর নাচানাচি। এর মাঝে একটা বেজে গিয়েছিল। তারপর সব কিছু গুছিয়ে ক্লান্ত সবাই। বাড়ি ভর্তি মেহমান। সবার এখানে জায়গা হবে না। তাই কাছাকাছি অন্য আত্মীয় বাসা গুলোতেও লোক গেছে। একটা এয়ারবিএনবি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেও গেছে কেউ কেউ। সিনথিয়ার দুই চাচী আর সাফিনার এক সাথে শোয়ার কথা ছিল। সিনথিয়া আবদার ধরল চাচী আমি আম্মুর সাথে শুব। সবাই হাসল। এত বড় মেয়ে। সিনথিয়া ঠোট উল্টে বলল কতদিন দেশের বাইরে আছি। আবার কয়েকদিন পর চলে যাব। চাচীরা হেসে বলল, ঠিকাছে থাক থাক। মায়ের কাছে থাক। আজকে তাই সিনথিয়া সাফিনা করিমের সাথে শুয়েছে। সাফিনা মেয়ের মাথায় বিলি কেটে দিতে দিতে গল্প করছেন। সিনথিয়ার ইংল্যান্ডের গল্প শুনছেন। আবার বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হচ্ছে। এক প্রসংগে থেকে অন্য প্রসংগে ছুটে যাচ্ছে সিনথিয়া স্বভাবসুলভ ভাবে। কথা বলতে বলতে হঠাত করে সাফিনার দিকে ঘুরে বসল সিনথিয়া, জিজ্ঞেস করল মা তুমি কি ঠিক আছ? সাফিনা জানেন মেয়ে তাকে কি জিজ্ঞেস করবে এরপর, নুসাইবা জানিয়েছে সাফিনার ডিপ্রেশনের কথা যে সিনথিয়া কে জানিয়েছে সে। সাফিনা মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললেন হ্যা মা। ঠিক আছি। তোর বিয়ে সামনে। খুশি লাগছে আবার কেমন জানি ফাকা ফাকা লাগছে। এই বাসায় সবচেয়ে হইচই করা মেয়ে তুই। তোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এরপর কি এই বাসা আর আগের মত থাকবে? সিনথিয়া তার মা কে জড়িয়ে ধরে। আমার লক্ষী আম্মু এইসব ভেবে ভেবে বুঝি তোমার মন খারাপ থাকে। সাফিনা বলল আমার মন খারাপ থাকে কে বলল তোকে? সিনথিয়া এইবার সিরিয়াস ভংগীতে বলে। আম্মু আমি আর ছোট নেই। সাফিনা ওর থুতনিটা টিপে দিয়ে বলে সেতো জানি, সামনে বিয়ে। সিনথিয়া বলে আম্মু কথা ঘুরাবা না। আমি তোমার মেয়ে। ছোটবেলা থেকে তুমি আমাদের ভালমন্দ দেখে এসেছ। এখন আমাদের সময় তোমার ভালমন্দ দেখা। আমি আসার পর থেকে দেখি তুমি মনমরা হয়ে থাক। আমার সাথে নুসাইবা ফুফুর কথা হয়েছে। ফুফু আমাকে তোমার ডিপ্রেশনের কথা বলেছে। তুমি আমাকে বা আপু কেন বল নি আগে? সাফিনা বলল কি বলব বল? সিনথিয়া বলল আম্মু আমি জানি এই সংসার, আব্বু, আপু, আমার পিছনে তুমি তোমার পুরো জীবনটা দিয়ে দিয়েছ। এখন যখন আমরা সবাই বড় হয়েছি সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছি। আব্বু আর বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছে। তার যে কোন মূল্য সিইও হতে হবে। আমি সব বুঝি আম্মু। সবার জন্য সব করে তুমি একা হয়ে গেছ। আমি স্যরি আম্মু। আমি আসলে বুঝতে পারি নি। আমাদের ব্যস্ততা তোমার জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলবে। আমি চাই তুমি ভাল থাক। আর একটা বছর আম্মু। এরপর আমার মাস্টার্স শেষ। আমি ফেরত চলে আসব। দেখবে সব তখন কেমন রঙ্গিন করে দেই। সাফিনা বলল কেন শ্বশুড় বাড়ি থাকবি না। সিনথিয়া বলে সব খানেই থাকব। তবে আমার কাছে প্রায়োরিটি আমার আম্মু। আমার আম্মুর মন ভাল করে দিতে হবে। আমি জানি আব্বু আমাদের একটা ভাই নেই দেখে মন খারাপ করে। যদিও তোমাকে কিছু কখনো বলে না কিন্তু তুমি যে এই ব্যাপারটা তে হার্ট হও আমি টের পাই, আপু টের পায়। আমি আব্বুর সাথে কথা বলব। আব্বু আমার কথা ফেলতে পারবে না। তোমাকে আর সময় দিবে। হাসতে থাকে সাফিনা। কি বড় হয়ে গেছিসরে। কত পাকা পাকা কথা বলছিস। যেন আমি তোর মেয়ে আর তুই আমার মা। সিনথিয়া বলল হ্যা। কেন তুমি নানী কে মাঝে মাঝে শাসন কর না। আমিও তোমাকে করব এখন থেকে। সাইকোলজিস্ট কি কি বলেছে তোমাকে। সাফিনা যতটুকু বলা যায় বলেন সিনিথিয়া কে। সব শুনে সিনথিয়া। তারপর বলে আম্মু তুমি চিন্তা করো না। আমি আব্বু, আপু, ফুফু কে দ্বায়িত্ব দিয়ে যাব তোমাকে সংগ দেবার। সাফিনা বলে ওরা সবাই তো ব্যস্ত। চাকরি করে। সিনথিয়া বলে তুমিও তো চাকরি কর। তুমি কি চাকরীর দোহাই দিয়ে পরিবারের কোন দ্বায়িত্ব অবহেলা করেছ? কর নি। আমি ওদের বলব করতে হবে ওদের। আর মাহফুজ তো আছে। আমার ভাগের সময়টুকু ও দিবে। দরকার হলে বাকিরা ব্যস্ত থাকলে ও সময় দিবে তোমাকে। সাফিনা হেসে বললেন, পাগল মেয়ে। নতুন জামাই কে এত কাজ দিলে ও ভাববে কাজের লোক পায় নি তাই আমাকে বিয়ে করে ধরে এনেছে। সিনথিয়া হেসে দিল সাফিনার কথায়। বলল মাহফুজ মোটেই অমন নয়। সাদমান ভাই যেমন অনেক ফরম্যাল। মাহফুজ তেমন না। দেখ নি নুসাইবা ফুফুর জন্য কি করল? তোমাকে সেদিন উদ্ধার করার জন্য কেমন করে ছুটে গেল? সাফিনা মাথা নাড়েন। তার মনে পড়ল কিভাবে ভীড়ে ধোয়ার মাঝে মাহফুজ কে কাজল দা ভেবেছিলেন। কেমন জানি একটা অস্বস্তি হল সাফিনার। তবে কিছু না ভেবে নিজেই এড়িয়ে গেলেন ভিতরের সেই অস্বস্তি কে। সিনথিয়া বলল আমার আদেশ ওর শিরধার্য। আমাকে খুশি রাখতে হলে আমার আম্মু কে হাসিখুশি রাখতে হবে। তুমি জান আম্মু মাহফুজের কিন্তু সাহিত্যে অনেক পড়াশুনা। প্রচুর গান শুনে। ভাল ছবি তুলে। সবাই ওকে দেখলে ভাবে খালি টল ডার্ক হ্যান্ডসাম। কিন্তু ও মাকাল ফল না। ভিতরে অনেক বিদ্যা আছে। সাফিনা এইবার মেয়ে কে একটু টিজ করলেন। বাবা, বিয়ের আগে একদম জামাই এর ভক্ত হয়ে বসে আছিস। সিনথিয়া একটু লাল হল। সাফিনা বললেন লজ্জা পাচ্ছিস কেন। বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তোর। এখন থেকে তুই আর আমি বান্ধবী। সিনথিয়া হ্যান্ডশেকের ভংগী করে বলল ওকে বান্ধবী। হেসে দিলেন সাফিনা। সিনথিয়া বলল, এখন থেকে নো মোর মন খারাপ। আমি বলে যাব সবাই কে খেয়াল রাখতে। আর মাহফুজ কে বলে যাব আমার বান্ধবী, আমার লক্ষী আম্মুকে যে কোন মূল্যে হাসিখুশি রাখতে।
সেই রাতে হলুদের অনুষ্ঠানের পর সিনথিয়া তার মায়ের সাথে শোয়ার আবদার করে। রাত তখন প্রায় দুইটা। হলুদের পর, খাওয়া দাওয়া তারপর নাচানাচি। এর মাঝে একটা বেজে গিয়েছিল। তারপর সব কিছু গুছিয়ে ক্লান্ত সবাই। বাড়ি ভর্তি মেহমান। সবার এখানে জায়গা হবে না। তাই কাছাকাছি অন্য আত্মীয় বাসা গুলোতেও লোক গেছে। একটা এয়ারবিএনবি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেও গেছে কেউ কেউ। সিনথিয়ার দুই চাচী আর সাফিনার এক সাথে শোয়ার কথা ছিল। সিনথিয়া আবদার ধরল চাচী আমি আম্মুর সাথে শুব। সবাই হাসল। এত বড় মেয়ে। সিনথিয়া ঠোট উল্টে বলল কতদিন দেশের বাইরে আছি। আবার কয়েকদিন পর চলে যাব। চাচীরা হেসে বলল, ঠিকাছে থাক থাক। মায়ের কাছে থাক। আজকে তাই সিনথিয়া সাফিনা করিমের সাথে শুয়েছে। সাফিনা মেয়ের মাথায় বিলি কেটে দিতে দিতে গল্প করছেন। সিনথিয়ার ইংল্যান্ডের গল্প শুনছেন। আবার বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হচ্ছে। এক প্রসংগে থেকে অন্য প্রসংগে ছুটে যাচ্ছে সিনথিয়া স্বভাবসুলভ ভাবে। কথা বলতে বলতে হঠাত করে সাফিনার দিকে ঘুরে বসল সিনথিয়া, জিজ্ঞেস করল মা তুমি কি ঠিক আছ? সাফিনা জানেন মেয়ে তাকে কি জিজ্ঞেস করবে এরপর, নুসাইবা জানিয়েছে সাফিনার ডিপ্রেশনের কথা যে সিনথিয়া কে জানিয়েছে সে। সাফিনা মেয়ের কপালে চুমু খেয়ে বললেন হ্যা মা। ঠিক আছি। তোর বিয়ে সামনে। খুশি লাগছে আবার কেমন জানি ফাকা ফাকা লাগছে। এই বাসায় সবচেয়ে হইচই করা মেয়ে তুই। তোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এরপর কি এই বাসা আর আগের মত থাকবে? সিনথিয়া তার মা কে জড়িয়ে ধরে। আমার লক্ষী আম্মু এইসব ভেবে ভেবে বুঝি তোমার মন খারাপ থাকে। সাফিনা বলল আমার মন খারাপ থাকে কে বলল তোকে? সিনথিয়া এইবার সিরিয়াস ভংগীতে বলে। আম্মু আমি আর ছোট নেই। সাফিনা ওর থুতনিটা টিপে দিয়ে বলে সেতো জানি, সামনে বিয়ে। সিনথিয়া বলে আম্মু কথা ঘুরাবা না। আমি তোমার মেয়ে। ছোটবেলা থেকে তুমি আমাদের ভালমন্দ দেখে এসেছ। এখন আমাদের সময় তোমার ভালমন্দ দেখা। আমি আসার পর থেকে দেখি তুমি মনমরা হয়ে থাক। আমার সাথে নুসাইবা ফুফুর কথা হয়েছে। ফুফু আমাকে তোমার ডিপ্রেশনের কথা বলেছে। তুমি আমাকে বা আপু কেন বল নি আগে? সাফিনা বলল কি বলব বল? সিনথিয়া বলল আম্মু আমি জানি এই সংসার, আব্বু, আপু, আমার পিছনে তুমি তোমার পুরো জীবনটা দিয়ে দিয়েছ। এখন যখন আমরা সবাই বড় হয়েছি সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছি। আব্বু আর বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছে। তার যে কোন মূল্য সিইও হতে হবে। আমি সব বুঝি আম্মু। সবার জন্য সব করে তুমি একা হয়ে গেছ। আমি স্যরি আম্মু। আমি আসলে বুঝতে পারি নি। আমাদের ব্যস্ততা তোমার জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলবে। আমি চাই তুমি ভাল থাক। আর একটা বছর আম্মু। এরপর আমার মাস্টার্স শেষ। আমি ফেরত চলে আসব। দেখবে সব তখন কেমন রঙ্গিন করে দেই। সাফিনা বলল কেন শ্বশুড় বাড়ি থাকবি না। সিনথিয়া বলে সব খানেই থাকব। তবে আমার কাছে প্রায়োরিটি আমার আম্মু। আমার আম্মুর মন ভাল করে দিতে হবে। আমি জানি আব্বু আমাদের একটা ভাই নেই দেখে মন খারাপ করে। যদিও তোমাকে কিছু কখনো বলে না কিন্তু তুমি যে এই ব্যাপারটা তে হার্ট হও আমি টের পাই, আপু টের পায়। আমি আব্বুর সাথে কথা বলব। আব্বু আমার কথা ফেলতে পারবে না। তোমাকে আর সময় দিবে। হাসতে থাকে সাফিনা। কি বড় হয়ে গেছিসরে। কত পাকা পাকা কথা বলছিস। যেন আমি তোর মেয়ে আর তুই আমার মা। সিনথিয়া বলল হ্যা। কেন তুমি নানী কে মাঝে মাঝে শাসন কর না। আমিও তোমাকে করব এখন থেকে। সাইকোলজিস্ট কি কি বলেছে তোমাকে। সাফিনা যতটুকু বলা যায় বলেন সিনিথিয়া কে। সব শুনে সিনথিয়া। তারপর বলে আম্মু তুমি চিন্তা করো না। আমি আব্বু, আপু, ফুফু কে দ্বায়িত্ব দিয়ে যাব তোমাকে সংগ দেবার। সাফিনা বলে ওরা সবাই তো ব্যস্ত। চাকরি করে। সিনথিয়া বলে তুমিও তো চাকরি কর। তুমি কি চাকরীর দোহাই দিয়ে পরিবারের কোন দ্বায়িত্ব অবহেলা করেছ? কর নি। আমি ওদের বলব করতে হবে ওদের। আর মাহফুজ তো আছে। আমার ভাগের সময়টুকু ও দিবে। দরকার হলে বাকিরা ব্যস্ত থাকলে ও সময় দিবে তোমাকে। সাফিনা হেসে বললেন, পাগল মেয়ে। নতুন জামাই কে এত কাজ দিলে ও ভাববে কাজের লোক পায় নি তাই আমাকে বিয়ে করে ধরে এনেছে। সিনথিয়া হেসে দিল সাফিনার কথায়। বলল মাহফুজ মোটেই অমন নয়। সাদমান ভাই যেমন অনেক ফরম্যাল। মাহফুজ তেমন না। দেখ নি নুসাইবা ফুফুর জন্য কি করল? তোমাকে সেদিন উদ্ধার করার জন্য কেমন করে ছুটে গেল? সাফিনা মাথা নাড়েন। তার মনে পড়ল কিভাবে ভীড়ে ধোয়ার মাঝে মাহফুজ কে কাজল দা ভেবেছিলেন। কেমন জানি একটা অস্বস্তি হল সাফিনার। তবে কিছু না ভেবে নিজেই এড়িয়ে গেলেন ভিতরের সেই অস্বস্তি কে। সিনথিয়া বলল আমার আদেশ ওর শিরধার্য। আমাকে খুশি রাখতে হলে আমার আম্মু কে হাসিখুশি রাখতে হবে। তুমি জান আম্মু মাহফুজের কিন্তু সাহিত্যে অনেক পড়াশুনা। প্রচুর গান শুনে। ভাল ছবি তুলে। সবাই ওকে দেখলে ভাবে খালি টল ডার্ক হ্যান্ডসাম। কিন্তু ও মাকাল ফল না। ভিতরে অনেক বিদ্যা আছে। সাফিনা এইবার মেয়ে কে একটু টিজ করলেন। বাবা, বিয়ের আগে একদম জামাই এর ভক্ত হয়ে বসে আছিস। সিনথিয়া একটু লাল হল। সাফিনা বললেন লজ্জা পাচ্ছিস কেন। বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তোর। এখন থেকে তুই আর আমি বান্ধবী। সিনথিয়া হ্যান্ডশেকের ভংগী করে বলল ওকে বান্ধবী। হেসে দিলেন সাফিনা। সিনথিয়া বলল, এখন থেকে নো মোর মন খারাপ। আমি বলে যাব সবাই কে খেয়াল রাখতে। আর মাহফুজ কে বলে যাব আমার বান্ধবী, আমার লক্ষী আম্মুকে যে কোন মূল্যে হাসিখুশি রাখতে।