23-05-2025, 10:29 PM
/////////
সকাল সকালে জলখাবারের পর্ব সেরে, সমীর বেড়িয়ে গেল গ্রামের মন্দিরে ঠাকুর মশাইয়ের সাথে দেখা করতে। গ্রামের বাতাসে বর্ষার আগমন বার্তার সাথে যেন রোগব্যাধি খানিক বেরে গিয়েছে। ইদানিং সমীরের হাত পা যেরে এক দন্ড স্বস্তিতে বসার সময় নেই। তার ওপরে যখন তখন মেঘ বৃষ্টির জ্বালাতন ত আছেই। তবে আজ সকালের আকাশে মাঝে মাঝে মেঘের ছায়া খেলে গেলেও, এখন রোদ উঠে আঁচড়ে পরেছে ভেজা পাতার গায়ে। ছাদে উঠলেই দেখা যায় বাগানের সীমানা ছাড়িয়ে চারপাশে ধানক্ষেতের সবুজে ধোয়া ধোয়া এক আলো ছড়ানো। বাতাসে ভেসে আসে শেওলা আর কাদা মিশ্রিত গন্ধ। সকাল বিকেল মুখার্জি বাড়ি ঘিরে পাখিদের আড্ডার কিচিরমিচির নন্দিনীর কাছে এখন খানিক পরিচিত। দোয়েল, শালিক সহ আর নাম না জানা কত পাখি—সবারই যেন কিছু বলার আছে এই সকালে। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে দোতলায় সুপ্রিয়া ময়নাটাও মাঝে মাঝে ডেকে উঠছে। এদিকে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে নন্দিনী আজ বড় বৌয়ের কথায় উঠোন পেরিয়ে বারান্দায় উঠে ঢুকলো স্বামীর ঘরে। সুপ্রিয়া তাকে বলেছিল,
— আজ ত আমার সময় হবে না। ওদিকে ওর ওষুধের ঘরটা কদিন হলো গোছানো সুযোগ হচ্ছে না। তাই বলছি,ওর ডাক্তারী ঘরটা তুই একবার ঝাঁট মেরে, একটু গুছিয়ে দে তো....।
এই বাড়ির সব ঘরের দরজা ভারী কাঠের,তাতে লাগালো লোহার ছিটকিনি। দরজা খুলে স্বামীর ঘরের ভেতর দিয়ে ঢুকে পর্দা ঠেলতেই একটা সেঁকা গন্ধ নাকে এল—পুরোনো বই, ওষুধ, আর কাঠের ধুলোর গন্ধ মিশে যেন একরকম নীরব ইতিহাস বয়ে নিয়ে আসে। সত্যই বেশ কদিন যাবত সুপ্রিয়ার এদিকে আসা হচ্ছে না। তা খানিক বাড়ির কাজের জন্যেও বটে, আবার তার মেয়েটার হঠাৎ অসুখ হয়েছে বলেও বটে। তবে ধুলাবালি বড় কথা নয়,ঘরটাও বেশ গোছানো, কিন্তু কোন জায়গায় ওষুধের শিশি ভেঙে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এদিকে এই ঘরের দরজা- জানালা সব বন্ধ।
নন্দিনী এগিয়ে গিয়ে বাঁ দিকের জানালাটা খুলতেই জানালা দিয়ে এই দৃশ্য চোখে পড়ে! মৃদু মৃদু হাওয়াতে ফুলগুলো কেমন দুলছে– যেন বাতাস ফিসফিস শব্দে কিছু বলে চলেছে তাদের সাথে। কি বলছে নন্দিনী তা জানে না,তবে তার চোখে পর– ঘর খানিক এলোমেলো হলেও বাগানের যত্ন সমীর ঠিকই নিয়েছে।
নন্দিনী নিঃশব্দে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাতাসের সাথে ফুলেদের কানাকানি দেখলো। তার মধ্যেই এক ঝোপের আড়াল থেকে একটি কাঠবিড়ালী দৌড়ে উঠলো অদূরে আম গাছটায়। সেই গাছেরই একটি নিচু ডালে একটা শালিক বসে ঠোঁট ঘষেছিল। কাঠবিড়ালীর বোধ করি নন্দিনীর সংবাদ পৌঁছে দিল শালিকের কাছে। পরক্ষণেই পাখিটি উড়ে এসে বসলো অদূরে চন্দ্রপ্রভার ডালে।
খানিক পরে, নন্দিনী তখন ধীরে ধীরে ঘর গুছাতে শুরু করেছে। জানালার বাঁ দিকে পাশাপাশি রাখা পুরোনো দুটো কাঠের আলমারিতে বই আর ওষুধপত্র রাখা, তার মধ্যে একটির কাচ ভেঙে গেছে এক কোণ। বইয়ের তাকের ধারে কয়েকটা খালি কাঁচের শিশি, সেখানে মেঝেতে এক টা ওষুধের শিশি ভেঙে ছড়িয়ে আছে। দরজাটার ডান পাশে আর একটা জানালা। সেখানেই টেবিলের উপর ছড়ানো একগাদা সাদা কাগজ—মাঝখানে কয়েকটা হলদে হয়ে যাওয়া।
টেবিলের এক কোণে ছিল একটা গোল টিনের কৌটো। সেটাকে সরাতেই নিচে পড়ে থাকা এক খাম চোখে পড়ল। ধুলোমলিন খাম নয়, নতুন। ধীরে ধীরে সেটা তুলে নিল নন্দিনী। খামের ওপরে নামটা স্পষ্ট— সূপ্রিয়া, প্রেরকের নাম লেখা “সিন্দু”। চিঠির ঠিকানা বেশ দূরের। নন্দিনী এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকে। সিন্দু কে, তা সে জানে। তবুও চিঠিটা পড়ার ইচ্ছা হয়, কিন্তু সে হাত গুটিয়ে নেয়। চিঠিটা সুপ্রিয়ার জন্যে, কিন্তু এখনো সমীর তাকে দেয়নি কেন সে বুঝে উঠতে পারে না। তবে সমীর নিজেও পড়ে নি। তা সহজেই বোঝা যায় কারণ খাম বন্ধ। চিঠিটা সরিয়ে রেখে নন্দিনী আবার কাজে মন দেয়।
ঘর গোছানো শেষ করতে করতে হাওয়াটা যেন একটু বদলায়, রৌদ্রের তীব্রতা শীতল হাওয়াকে উত্তপ্ত করতে শুরু করেছে তা বোঝা যায়। নন্দিনী চিঠি হাতে টেবিলের সামনে চেয়ারে বসে পরে।
((( শ্রীচরণে, প্রণাম নিবেদন করি।
আশা করি, তুমি ও সকলে সদয় কুশলে আছো। এখানে আমরা সকলে ঈশ্বরের কৃপায় স্থির আছি।
বৌদি, সংবাদ পাইয়াছি, দাদা দ্বিতীয়বার বিবাহ করিয়াছেন। সংবাদ পাইয়া বিস্ময়ে ও বিষাদে স্তব্ধ হইয়া পড়িয়াছিলাম। শুনিলাম, তুমি নিজ হস্তে তাহার উদ্যোগ করিয়াছ। জানি না, কীভাবে হৃদয় ধরিয়া এই মহৎ কার্য তুমি করিতে পারিলে। তোমার ত্যাগ ও সহনশীলতায় বিস্মিত হই, কিন্তু একই সঙ্গে হৃদয়ে একরাশ অভিমানও জমিয়া উঠিয়াছে। দাদার বিবাহে সম্মতি দিয়া তুমি কি কেবল এক গৃহিণী, না কি এক পত্নী হিসাবে নিজের স্থানকে অল্প মূল্য দিলে?
বৌদি, আমি তো তোমার ননদ, ছোট্ট বয়সে তোমার কোলে ঘুমাইয়াছি, তুমিই ছিলে আমাদের দ্বিতীয় মা। আজ তুমি এমন এক সিদ্ধান্ত লইলে, যাহা আমাদের সকলকেই এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বে ফেলিয়া দিল।
তবে আমি জানি, তুমি স্বভাবতই সহিষ্ণু, ধৈর্যশীলা। দাদার ভালোর জন্যই হয়তো এই ত্যাগ। তাহা হউক, আমি আসিতে চাহি, একবার সামনাসামনি কথা বলিতে। স্বামী ছুটি পাইলে দেখা হইবে নিশ্চয়, ততদিনে হৃদয় হইতে অভিমান কিছু কমিলে আবার পত্র লিখিব।
ইতি –
তোমার স্নেহের ননদ,
সিন্দু)))))
চিঠি পড়া সময় কুন্দনন্দিনীর নজরে পরেনি। তবে এখন চিঠি পড়া শেষে চেয়ার ছেড়ে উঠতে গিয়ে সে মুখোমুখি হলো অতীতের সাথে! বোধকরি নন্দিনীর চিঠি পড়া দেখেই কিরণ এতোক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল দরজার পাল্লায় হেলান দিয়ে। এখন নন্দিনীকে উঠতে দেখে সে বললে,
– প্রেমপত্র পড়া হচ্ছে বুঝি?
নন্দিনী স্তব্ধ,জানালার বাইরে বাতাসে ফুলগাছ গুলো কাঁপছে স্নিগ্ধ শব্দে। দূর থেকে ভেসে আসছে হাঁসের ডাক। আকাশ পরিষ্কার কার, আবহাওয়া রৌদ্রের তীব্রতায় ঝলমলে, তবে হটাৎ যেন কুন্দনন্দিনীর মুখখানি কালো মেঘে ছেয়ে গেল।
আজকের পর্ব মেঘের অন্ধকারেই সমাপ্ত। এখন খানিক মেঘের আড়ালে খেলাধুলা চলুক, বর্ষণের সংবাদ পরবর্তী পর্বে জানবো আমরা। আর হ্যাঁ,সিন্দুর পত্রটি উটকো ভাষা লিখেছি বলে দুঃখিত,আসলে খুব ইচ্ছে করছিল। ধন্যবাদ ❤️
সকাল সকালে জলখাবারের পর্ব সেরে, সমীর বেড়িয়ে গেল গ্রামের মন্দিরে ঠাকুর মশাইয়ের সাথে দেখা করতে। গ্রামের বাতাসে বর্ষার আগমন বার্তার সাথে যেন রোগব্যাধি খানিক বেরে গিয়েছে। ইদানিং সমীরের হাত পা যেরে এক দন্ড স্বস্তিতে বসার সময় নেই। তার ওপরে যখন তখন মেঘ বৃষ্টির জ্বালাতন ত আছেই। তবে আজ সকালের আকাশে মাঝে মাঝে মেঘের ছায়া খেলে গেলেও, এখন রোদ উঠে আঁচড়ে পরেছে ভেজা পাতার গায়ে। ছাদে উঠলেই দেখা যায় বাগানের সীমানা ছাড়িয়ে চারপাশে ধানক্ষেতের সবুজে ধোয়া ধোয়া এক আলো ছড়ানো। বাতাসে ভেসে আসে শেওলা আর কাদা মিশ্রিত গন্ধ। সকাল বিকেল মুখার্জি বাড়ি ঘিরে পাখিদের আড্ডার কিচিরমিচির নন্দিনীর কাছে এখন খানিক পরিচিত। দোয়েল, শালিক সহ আর নাম না জানা কত পাখি—সবারই যেন কিছু বলার আছে এই সকালে। তাদের সাথে তাল মিলিয়ে দোতলায় সুপ্রিয়া ময়নাটাও মাঝে মাঝে ডেকে উঠছে। এদিকে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে নন্দিনী আজ বড় বৌয়ের কথায় উঠোন পেরিয়ে বারান্দায় উঠে ঢুকলো স্বামীর ঘরে। সুপ্রিয়া তাকে বলেছিল,
— আজ ত আমার সময় হবে না। ওদিকে ওর ওষুধের ঘরটা কদিন হলো গোছানো সুযোগ হচ্ছে না। তাই বলছি,ওর ডাক্তারী ঘরটা তুই একবার ঝাঁট মেরে, একটু গুছিয়ে দে তো....।
এই বাড়ির সব ঘরের দরজা ভারী কাঠের,তাতে লাগালো লোহার ছিটকিনি। দরজা খুলে স্বামীর ঘরের ভেতর দিয়ে ঢুকে পর্দা ঠেলতেই একটা সেঁকা গন্ধ নাকে এল—পুরোনো বই, ওষুধ, আর কাঠের ধুলোর গন্ধ মিশে যেন একরকম নীরব ইতিহাস বয়ে নিয়ে আসে। সত্যই বেশ কদিন যাবত সুপ্রিয়ার এদিকে আসা হচ্ছে না। তা খানিক বাড়ির কাজের জন্যেও বটে, আবার তার মেয়েটার হঠাৎ অসুখ হয়েছে বলেও বটে। তবে ধুলাবালি বড় কথা নয়,ঘরটাও বেশ গোছানো, কিন্তু কোন জায়গায় ওষুধের শিশি ভেঙে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এদিকে এই ঘরের দরজা- জানালা সব বন্ধ।
নন্দিনী এগিয়ে গিয়ে বাঁ দিকের জানালাটা খুলতেই জানালা দিয়ে এই দৃশ্য চোখে পড়ে! মৃদু মৃদু হাওয়াতে ফুলগুলো কেমন দুলছে– যেন বাতাস ফিসফিস শব্দে কিছু বলে চলেছে তাদের সাথে। কি বলছে নন্দিনী তা জানে না,তবে তার চোখে পর– ঘর খানিক এলোমেলো হলেও বাগানের যত্ন সমীর ঠিকই নিয়েছে।
নন্দিনী নিঃশব্দে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাতাসের সাথে ফুলেদের কানাকানি দেখলো। তার মধ্যেই এক ঝোপের আড়াল থেকে একটি কাঠবিড়ালী দৌড়ে উঠলো অদূরে আম গাছটায়। সেই গাছেরই একটি নিচু ডালে একটা শালিক বসে ঠোঁট ঘষেছিল। কাঠবিড়ালীর বোধ করি নন্দিনীর সংবাদ পৌঁছে দিল শালিকের কাছে। পরক্ষণেই পাখিটি উড়ে এসে বসলো অদূরে চন্দ্রপ্রভার ডালে।
খানিক পরে, নন্দিনী তখন ধীরে ধীরে ঘর গুছাতে শুরু করেছে। জানালার বাঁ দিকে পাশাপাশি রাখা পুরোনো দুটো কাঠের আলমারিতে বই আর ওষুধপত্র রাখা, তার মধ্যে একটির কাচ ভেঙে গেছে এক কোণ। বইয়ের তাকের ধারে কয়েকটা খালি কাঁচের শিশি, সেখানে মেঝেতে এক টা ওষুধের শিশি ভেঙে ছড়িয়ে আছে। দরজাটার ডান পাশে আর একটা জানালা। সেখানেই টেবিলের উপর ছড়ানো একগাদা সাদা কাগজ—মাঝখানে কয়েকটা হলদে হয়ে যাওয়া।
টেবিলের এক কোণে ছিল একটা গোল টিনের কৌটো। সেটাকে সরাতেই নিচে পড়ে থাকা এক খাম চোখে পড়ল। ধুলোমলিন খাম নয়, নতুন। ধীরে ধীরে সেটা তুলে নিল নন্দিনী। খামের ওপরে নামটা স্পষ্ট— সূপ্রিয়া, প্রেরকের নাম লেখা “সিন্দু”। চিঠির ঠিকানা বেশ দূরের। নন্দিনী এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকে। সিন্দু কে, তা সে জানে। তবুও চিঠিটা পড়ার ইচ্ছা হয়, কিন্তু সে হাত গুটিয়ে নেয়। চিঠিটা সুপ্রিয়ার জন্যে, কিন্তু এখনো সমীর তাকে দেয়নি কেন সে বুঝে উঠতে পারে না। তবে সমীর নিজেও পড়ে নি। তা সহজেই বোঝা যায় কারণ খাম বন্ধ। চিঠিটা সরিয়ে রেখে নন্দিনী আবার কাজে মন দেয়।
ঘর গোছানো শেষ করতে করতে হাওয়াটা যেন একটু বদলায়, রৌদ্রের তীব্রতা শীতল হাওয়াকে উত্তপ্ত করতে শুরু করেছে তা বোঝা যায়। নন্দিনী চিঠি হাতে টেবিলের সামনে চেয়ারে বসে পরে।
((( শ্রীচরণে, প্রণাম নিবেদন করি।
আশা করি, তুমি ও সকলে সদয় কুশলে আছো। এখানে আমরা সকলে ঈশ্বরের কৃপায় স্থির আছি।
বৌদি, সংবাদ পাইয়াছি, দাদা দ্বিতীয়বার বিবাহ করিয়াছেন। সংবাদ পাইয়া বিস্ময়ে ও বিষাদে স্তব্ধ হইয়া পড়িয়াছিলাম। শুনিলাম, তুমি নিজ হস্তে তাহার উদ্যোগ করিয়াছ। জানি না, কীভাবে হৃদয় ধরিয়া এই মহৎ কার্য তুমি করিতে পারিলে। তোমার ত্যাগ ও সহনশীলতায় বিস্মিত হই, কিন্তু একই সঙ্গে হৃদয়ে একরাশ অভিমানও জমিয়া উঠিয়াছে। দাদার বিবাহে সম্মতি দিয়া তুমি কি কেবল এক গৃহিণী, না কি এক পত্নী হিসাবে নিজের স্থানকে অল্প মূল্য দিলে?
বৌদি, আমি তো তোমার ননদ, ছোট্ট বয়সে তোমার কোলে ঘুমাইয়াছি, তুমিই ছিলে আমাদের দ্বিতীয় মা। আজ তুমি এমন এক সিদ্ধান্ত লইলে, যাহা আমাদের সকলকেই এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বে ফেলিয়া দিল।
তবে আমি জানি, তুমি স্বভাবতই সহিষ্ণু, ধৈর্যশীলা। দাদার ভালোর জন্যই হয়তো এই ত্যাগ। তাহা হউক, আমি আসিতে চাহি, একবার সামনাসামনি কথা বলিতে। স্বামী ছুটি পাইলে দেখা হইবে নিশ্চয়, ততদিনে হৃদয় হইতে অভিমান কিছু কমিলে আবার পত্র লিখিব।
ইতি –
তোমার স্নেহের ননদ,
সিন্দু)))))
চিঠি পড়া সময় কুন্দনন্দিনীর নজরে পরেনি। তবে এখন চিঠি পড়া শেষে চেয়ার ছেড়ে উঠতে গিয়ে সে মুখোমুখি হলো অতীতের সাথে! বোধকরি নন্দিনীর চিঠি পড়া দেখেই কিরণ এতোক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল দরজার পাল্লায় হেলান দিয়ে। এখন নন্দিনীকে উঠতে দেখে সে বললে,
– প্রেমপত্র পড়া হচ্ছে বুঝি?
নন্দিনী স্তব্ধ,জানালার বাইরে বাতাসে ফুলগাছ গুলো কাঁপছে স্নিগ্ধ শব্দে। দূর থেকে ভেসে আসছে হাঁসের ডাক। আকাশ পরিষ্কার কার, আবহাওয়া রৌদ্রের তীব্রতায় ঝলমলে, তবে হটাৎ যেন কুন্দনন্দিনীর মুখখানি কালো মেঘে ছেয়ে গেল।
আজকের পর্ব মেঘের অন্ধকারেই সমাপ্ত। এখন খানিক মেঘের আড়ালে খেলাধুলা চলুক, বর্ষণের সংবাদ পরবর্তী পর্বে জানবো আমরা। আর হ্যাঁ,সিন্দুর পত্রটি উটকো ভাষা লিখেছি বলে দুঃখিত,আসলে খুব ইচ্ছে করছিল। ধন্যবাদ ❤️