08-05-2025, 10:55 AM
(This post was last modified: 08-05-2025, 10:59 AM by কাদের. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সাফিনা মুখে প্রকাশ করেন না কিন্তু মাহফুজের চিন্তার গভীরতা তাকে মুগ্ধ করেছে। সিনথিয়ার কাছে যখন এই ছেলের কথা শুনেছিলেন তখন ছাত্র রাজনীতি করা তথাকথিত পাংক গুন্ডা বদমাশ ছেলে ভেবেছিলেন। সাবরিনা আর নুসাইবার কান পড়ায় সেই বিশ্বাস আর দৃঢ় হয়েছিল। তবে আজকে মনে হচ্ছে তার প্রাথমিক ভাবনাটা ভুল ছিল। সাফিনা তাই কথা আর সামনে এগিয়ে নিতে চান। এইবার জিজ্ঞেস করেন আচ্ছা বুঝলাম সিনথিয়া তোমার জীবনে পজিটিভ পরিবর্তন এনেছে কিন্তু তুমি কিভাবে ওর জীবনে গুড ইনফ্লুয়েন্স হিসেবে কাজ করতে পার? মাহফুজ মনে মনে একটা হাফ ছেড়ে বাচে। সাফিনা তার এতক্ষণের কথা গুলো মেনে নিয়েছে কিছুটা হলেও তাই এই প্রশ্ন করেছে। মাহফুজ কিভাবে সিনথিয়ার জীবনে পজিটিভ চেঞ্জ এনেছে। মাহফুজ কে এই প্রশ্ন করতে পারে এইটা সিনথিয়া আর সাবরিনা দুইজনেই বলেছিল। মাহফুজ তাই কমন প্রশ্নের উত্তর দেয় গুছানো ভাবে। আন্টি, এইটার উত্তর আমার থেকে সিনথিয়া ভাল দিতে পারবে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনি নিজেই সিনথিয়ার পরিবর্তন গুলো দেখছেন। সিনথিয়ি কখনো পড়াশুনা নিয়ে সিরিয়াস ছিল না। ওর মত মেয়ে বাইরের ভাল একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে চলে গেছে আপনাদের কার কোন তাড়া ছাড়া। সেখানে এখন ভাল রেজাল্ট করছে। বাইরে এপ্লাই করা বা এই যে প্রতি সেমিস্টারে ভাল রেজাল্ট করছে এইটা সব গুলো ওর পরিশ্রমের ফসল তবে আমি এইটুকু ক্রেডিট নিব যে আমি ওকে বুঝিয়েছি ওর প্রতিভা আছে। শুধু যদি লক্ষ্যটা ঠিক করে তাহলে অসম্ভব কিছু নেই। সাফিনা মাথা নাড়ানে। সিনিথিয়া নিজেই একবার তার সাথে তর্কের সময় বলেছে যে ওর এই বাইরে পড়তে আসার পিছনে ওকে সবচেয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে মাহফুজ। সাফিনা মনে মনে ক্যালকুলেশন করেন। সিনথিয়া মাহফুজ দুইজন দুইজনেক ভালবাসে এটাতে তার সন্দেহ নেই। আজকে মাহফুজ তার মনে একটা পজিটিভ ইম্প্রেশন ফেলেছে। সাবরিনা যেখানে অনেক শান্ত ধীর স্থির সেখানে সিনথিয়া ঠিক ততটা চঞ্চল অস্থির। মাহফুজের ব্যক্তিত্ব স্ট্রং সেটা ওর সাথে ইন্টারেকশনে বুঝা যাচ্ছে। সিনথিয়া কে অনুপ্রেরণা দিয়ে ঠিক রাস্তায় নিয়ে যাবার কাজটা মাহফুজের মত স্ট্রং পার্সনালিটির কার পক্ষে সম্ভব। আর বাংলাদেশে সিনথিয়িয়ার মত স্ট্রং মেয়েদের ছেলেরা থ্রেট মনে করে, ভাবে তাদের সাথে সম্পর্কে গেলে নিজেরা ছোট হয়ে যাবে। মাহফুজের কথায় কোন খানে সেই চিহ্ন নেই। বরং সিনথিয়া আর উপরে দেখতে পেলে খুশি হবে। সাফিনার নিজের সংসারের শুরুর দিকের কথা মনে পড়ে। তার স্বামী তাকে অনুপ্রেরণা না দিলে ভার্সিটির ডিগ্রি শেষ করে আজকে সরকারী কলেজের টিচার হওয়া হত না। পিএইচডিটা শেষ হত না। যখন অনেকেই বউ কে এত পড়িয়ে কি হবে, চাকরি করতে দেওয়া ঠিক না বলেছে তখন মিজবাহ সেই সব বিরুদ্ধ মত কে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে। সেই দিক দিয়ে মাহফুজের সাথে স্বামী মিজবাহের মিল খুজে পান। স্ট্রং নারী কে দুইজনে জানে কিভাবে এপ্রিশিয়েট করতে হয়। আবার পলিটিক্স করে এবং দেশ কে ঠিক করার স্বপ্ন দেখে ঠিক কাজল দা এর মত। তার জীবনের দুইজন গূরুত্বপূর্ণ পুরুষের গুরুত্বপূর্ণ দুইটা ক্যারেক্টারিস্টিকস মাহফুজের ভিতর আছে টের পান। আর এর বাইরে মাহফুজ সুদর্শন সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। লম্বা। রাফ এন্ড বিউটিফুল লুক আছে চেহারায়। যে কোন বিচারে হ্যান্ডসাম ছেলে। এখন খালি একটাই প্রশ্ন মাহফুজের ফ্যামিলির সাথে ওদের কতটা মিলবে।
সাফিনা এইবার জিজ্ঞেস করেন, তোমার ফ্যামিলিতে কে কে আছে। যদিও এন্সারটা সিনথিয়ার কাছ থেকে আগেই শুনে এসেছেন তাও প্রশ্নটা মাহফুজ কে করে সাফিনা। মাহফুজ বলে আমরা দুই ভাই। বড় ভাই কাপড়ের বিজনেস করেন পুরান ঢাকায়। উনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করেছিলেন। বাবা আছেন। উনি রাজনীতি করেন আগেই বলেছি তবে সেই সাথে আমাদের একটা স্টেশনারি দোকান আছে যেটার ইনকামে আমাদের ফ্যামিলি চলে। সাথে কিছু ভাড়ার দোকান আছে। সাফিনা বলেন তোমার মা? মাহফুজ বলে উনি আমার বার বছর বয়সে মারা গেছেন। সাফিনা একটু চমকে উঠেন। সিনথিয়া একবারো মাহফুজের মা নিয়ে কিছু বলে নি আর সাফিনা নিজেও জিজ্ঞেস করেন নি। ধরে নিয়েছিলেন হয়ত হাউজওয়াইফ তাই নতুন করে বলার কিছু নেই বলে সিনথিয়া বলে নি কিছু। সাফিনা বলেন স্যরি, আমি জানতাম না, জানলে প্রশ্নটা করতাম না। মাহফুজ বলে ইটস ওকে আন্টি। সাফিনা এইবার বলেন তোমার কি মনে হয় তোমাদের আর আমাদের ফ্যামিলির যে ব্যবধান এইটা কি কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে ভবিষ্যতে? মাহফুজের মনে পড়ে সাফিনার মা আসমা বেগম একটা কথা বলেছিলেন ওকে বিয়েতে দুই পরিবারের গ্যাপ নিয়ে। সেইটাই উত্তর হিসেবে দেয় মাহফুজ। মাহফুজ বলে বিয়ে একটা জটিল ব্যাপার। দুই ফ্যামিলি যত কাছাকাছি হয় তত সুবিধা সেটা আমি জানি। আমাদের সমাজে বিয়ের সময় এটাই খেয়াল করা হয় যে দুই ফ্যামিলি কতটুকু কাছাকাছি স্ট্যাটাসের দিক দিয়ে। তবে আমার মনে হয় আসল যে জিনিস খেয়াল রাখা দরকার সেটা হল বর কনের মনের মিল কতটুকু। আর আমার ফ্যামিলি হয়ত আপনাদের মত অত শিক্ষিত না তবে আশা করি আমার বাবা, ভাই বা নানার সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন তারা ভাল মানুষ। তার কখনো আমার বা সিনথিয়ার মাঝে ঝামেলা হয় এমন কিছু করবে না। আমাদের ফ্যামিলিতে কোন মেয়ে নেই। তাই আমার বড় ভাইয়ের বউ কে তারা মেয়ের মত দেখে। সিনথিয়া কে ভবিষ্যতে সেইরকম দেখবে এটা আশা করতে পারেন।
সাফিনা এইবার বলেন তোমার কথা গুলো আমার ভাল লেগেছে। তবে খালি আমার মতামত নিলে তো হবে না। সিনথিয়ার বাবার মতামত নিতে হবে। বাকি আত্মীয়স্বজনদের মতামত নিতে হবে। উনারা সবাই হ্যা বললে তাহলে সামনে কোন একদিন দুই ফ্যামিলির মুরব্বীরা একসাথে বসতে পারে। মাহফুজের মনে হয় সে যেন সাত আসমানের উপর দিয়ে উড়ছে।
সাফিনা এইবার জিজ্ঞেস করেন, তোমার ফ্যামিলিতে কে কে আছে। যদিও এন্সারটা সিনথিয়ার কাছ থেকে আগেই শুনে এসেছেন তাও প্রশ্নটা মাহফুজ কে করে সাফিনা। মাহফুজ বলে আমরা দুই ভাই। বড় ভাই কাপড়ের বিজনেস করেন পুরান ঢাকায়। উনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করেছিলেন। বাবা আছেন। উনি রাজনীতি করেন আগেই বলেছি তবে সেই সাথে আমাদের একটা স্টেশনারি দোকান আছে যেটার ইনকামে আমাদের ফ্যামিলি চলে। সাথে কিছু ভাড়ার দোকান আছে। সাফিনা বলেন তোমার মা? মাহফুজ বলে উনি আমার বার বছর বয়সে মারা গেছেন। সাফিনা একটু চমকে উঠেন। সিনথিয়া একবারো মাহফুজের মা নিয়ে কিছু বলে নি আর সাফিনা নিজেও জিজ্ঞেস করেন নি। ধরে নিয়েছিলেন হয়ত হাউজওয়াইফ তাই নতুন করে বলার কিছু নেই বলে সিনথিয়া বলে নি কিছু। সাফিনা বলেন স্যরি, আমি জানতাম না, জানলে প্রশ্নটা করতাম না। মাহফুজ বলে ইটস ওকে আন্টি। সাফিনা এইবার বলেন তোমার কি মনে হয় তোমাদের আর আমাদের ফ্যামিলির যে ব্যবধান এইটা কি কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে ভবিষ্যতে? মাহফুজের মনে পড়ে সাফিনার মা আসমা বেগম একটা কথা বলেছিলেন ওকে বিয়েতে দুই পরিবারের গ্যাপ নিয়ে। সেইটাই উত্তর হিসেবে দেয় মাহফুজ। মাহফুজ বলে বিয়ে একটা জটিল ব্যাপার। দুই ফ্যামিলি যত কাছাকাছি হয় তত সুবিধা সেটা আমি জানি। আমাদের সমাজে বিয়ের সময় এটাই খেয়াল করা হয় যে দুই ফ্যামিলি কতটুকু কাছাকাছি স্ট্যাটাসের দিক দিয়ে। তবে আমার মনে হয় আসল যে জিনিস খেয়াল রাখা দরকার সেটা হল বর কনের মনের মিল কতটুকু। আর আমার ফ্যামিলি হয়ত আপনাদের মত অত শিক্ষিত না তবে আশা করি আমার বাবা, ভাই বা নানার সাথে কথা বললে বুঝতে পারবেন তারা ভাল মানুষ। তার কখনো আমার বা সিনথিয়ার মাঝে ঝামেলা হয় এমন কিছু করবে না। আমাদের ফ্যামিলিতে কোন মেয়ে নেই। তাই আমার বড় ভাইয়ের বউ কে তারা মেয়ের মত দেখে। সিনথিয়া কে ভবিষ্যতে সেইরকম দেখবে এটা আশা করতে পারেন।
সাফিনা এইবার বলেন তোমার কথা গুলো আমার ভাল লেগেছে। তবে খালি আমার মতামত নিলে তো হবে না। সিনথিয়ার বাবার মতামত নিতে হবে। বাকি আত্মীয়স্বজনদের মতামত নিতে হবে। উনারা সবাই হ্যা বললে তাহলে সামনে কোন একদিন দুই ফ্যামিলির মুরব্বীরা একসাথে বসতে পারে। মাহফুজের মনে হয় সে যেন সাত আসমানের উপর দিয়ে উড়ছে।