05-10-2024, 02:15 AM
(This post was last modified: 05-10-2024, 02:33 AM by কাদের. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
এতটা নার্ভাস আর জীবনে কখনো লাগে নি সাবরিনার। দুই মিনিট পুরো বসে রইল চেয়ারে। সামিরা ওর ডেস্কের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাত করে থেমে বলল কিরে এমন ফ্যাকাশে মুখে বসে আছিস কেন। যেন মনে হচ্ছে ভ্যাম্পায়ার রক্ত শুষে নিয়েছে সব। সাবরিনা বলল না তেমন কিছু না। সামিরা বলল শরীর ঠিক আছে তো। সাবরিনা বলল এই তেমন কিছু না, একটু হালকা মাথা ব্যাথা আর কি। সামিরা বলল ছুটি নিয়ে নে আজকে। সিক লিভ। চেহারা খুব ফ্যাকাশে লাগছে তোর। সাবরিনা বলল না, না অনেক দিন এমনিতে বাইরে ছিলাম। অনেক কাজ জমে আছে। একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিব। আর অল্প কিছু কথা বলে সামিরা সামনে থেকে চলে যায়। অল্প দুই এক পা গিয়ে আবার ফিরে আসে, বলে- হিরো আবার অনেক দিন পর অফিসে আসছে। সাবরিনা জিজ্ঞেস করে হিরো? কার কথা বলতেছিস? সামিরা বলে আরে বিদেশে গিয়ে দেশের সব ভুলে গেলি নাকি। মাহফুজ। তোরে এত হেল্প করল। ওর হেল্পের কারণে তুই বড় দুইটা প্রজেক্ট কম সময়ে করে দিতে পারলি সেই কারণে না বিদেশে এই ট্রেনিংটা পাইলি। সাবরিনার আবার মনে হয় শরীর কাপছে। সামিরা বলে মাঝখানে অনেক দিন দেখি নাই অফিসে আজকে আবার দেখি অফিসে। ইফতেখার ভাইয়ের সাথে লিফটের সামনে গল্প করছে। যাই বলিস না কেন হিরো তোরে অন্য নজরে দেখে। তুই পাত্তা দেস না। আমি হলে ঠিক দুই পায়ের মাঝে বসায়ে নিতাম। সামিরা সব সময়ের মত স্ল্যাং জোক্স করে। সাবরিনার কাশি উঠে যায় কথা শুনে। সামিরা এইবার আবার সাবরিনার চেহারা খেয়াল করে। সামিরা বলে কিরে তুই তো মনে হচ্ছে ভাল অসুস্থ। হাত কাপছে তোর। সাবরিনার মাথার ভিতর ঝড়। বুক ভার হয়ে আসছে। মাহফুজের মুখোমুখি এখন হবার জন্য প্রস্তুত না ও। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় সাবরিনা। সামিরা কে বলে শোন আজকে আসলেই ভাল লাগছে না। তুই আসিফ ভাই কে বলিস আমি একটু বাসায় যাচ্ছি। আমি একটা মেইল পাঠিয়ে দিব। মাথাটা প্রচন্ড ব্যাথা করছে। অফিসে থাকলেও কাজ করতে পারব বলে মনে হয় না বরং আর মাথা ব্যাথা বাড়বে। সামিরা বলে ওকে, আমি আসিফ ভাই কে বলে দিব। আমি আসব তোর সাথে নিচে? সাবরিনা বলে নাহ লাগবে না। এখনো মাথা ব্যাথা ম্যানেজেবল আছে। আমি নামতে নামতে একটা উবার ডাকছি।
সাবরিনা দ্রুত মোবাইল হাতে নিয়ে হাতের ব্যাগটা তুলে নেয়। সামিরা বলেছে লিফটের সামনে মাহফুজ গল্প করছে তাই লিফট এড়িয়ে যায়। আরেকটা সিড়ি আছে অন্য সাইড দিয়ে। ধীরে ধীরে সেই সিড়ি দিয়ে নামতে থাকে। বুক টা ধক ধক করছে। হাত পা কাপছে। অল্পের জন্য মাহফুজ কে এড়ানো গেল। ওর মনে হচ্ছে অল্পের জন্য বুঝি আজরাইল কে এড়াতে পারল। মানুষ যখন বড় কোন বিপদ এড়াতে পারে তখন সারা শরীরে এক আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। সাবরিনা সেটা টের পায়। নামতে নামতে হিসাব করে ওর নিজের বাসায় যাবে না। মাহফুজ ওর বাসা চিনে, যদি এসে হাজির হয় তাহলে কি হবে। বাবার বাড়িতে যাবে এখন। ওর মা কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে মাথা ব্যাথা করছিল তাই এসেছে। মা বরং খুশি হবে। সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে ধীরে ধীরে। দ্রুত পায়ে লবিটা পার হয়। মোবাইল চেক করে উবার আসতে আর আট মিনিট দেখাচ্ছে। বড় অফিস বিল্ডিং ওদের টা। উচু বিল্ডিং। প্রচুর লোক আসছে যাচ্ছে। সাবরিনা একটা থামের আড়ালে গিয়ে দাঁড়ায়। যাতে পরিচিত কার চোখে না পড়ে ও। কার চোখে পড়তে চায় না ও। মনে মনে আশা করছে মাহফুজ ওর ডেস্কের সামনে পৌছাতে আর সময় নিবে। নিজে মনে ভাবে কতটা শয়তান মাহফুজ। দুই বোন কে নিয়ে খেলছে একসাথে। দুই বোনের একজনও জানে না অন্য জনের সাথে আসলে কি হচ্ছে। ছি ছি ছি। আজকে আসতে চাইলে ওর ফোনে কল দিতে পারত। ওর ফোন নাম্বার আছে মাহফুজের কাছে, চাইলেই ফোন দিতে পারত। তবে ইচ্ছা করেই দেয় নি। যাতে ও সতর্ক না হতে পারে। বড় বেশি চালাক মাহফুজ। সিনথিয়া কে দিয়ে শেষ মূহুর্তে ফোন দেওয়াইছে। সিনথিয়া ভাবছে সব হচ্ছে ওর প্ল্যান মত কিন্তু ওর বোনটা বুঝতেও পারছে না আসলে সব হচ্ছে মাহফুজের চালে। ছি ছি ছি। কিভাবে এই ফাদে পড়ল ও। সাদমানের মত ভাল ছেলে থাকতে কেন ওর বিয়ের বাইরে যেতে হল সুখের খোজে। আর যদি যেতেই হবে তাহলে কেন মাহফুজের খপ্পড়ে পড়তে হবে ওকে। ছি ছি ছি। নিজেকে বলছে না মাহফুজ কে সেটা বুঝতে পারে না সাবরিনা। মোবাইল চেক করে। আর তিন মিনিট। সময় কি আটকে গেছে নাকি? এইসব কি হচ্ছে ওর পাপের ফলের কারণে। সারাজীবন ভাল মেয়ে হয়ে ছিল। কাউকে টাচ পর্যন্ত করতে দেয় নি ঠিকভাবে সাদমান ছাড়া। ওর মনে সামান্য ফ্যান্টাসি টা কিভাবে ম্যানিপুলেট করল মাহফুজ। এই ছেলে কি মনের কথা পড়তে পারে? সিনথিয়ার অনেক ব্যাপার ওর মা বা বাবা জানে না। সিনথিয়া কাপড় চেঞ্জ করার মত বয়ফ্রেন্ড বদলাত এক সময়। এক বান্ধবী ওকে বলেছিল সিনথিয়া নাকি ছেলেদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। সেই সিনথিয়া কিভাবে এই ছেলের প্রেমে পড়ে আছে এতদিন? ইংল্যান্ডে গিয়েও প্রেম ভুলছে না। এত প্রেম যে দেশে দৌড়ে আসছে এক মাসের জন্য বিয়ে করতে। অন্য কেউ সিনথিয়ার মনে জায়গা করতে পারছে না। সাবরিনা স্বীকার করে ম্মাহফুজের মধ্যে একটা রাফ সৌন্দর্য আছে। পুরাতন সিনেমার রহস্যময় কম কথা বলা রাফ নায়কদের মত। তাই বলে এত প্রেম? সাবরিনা এপ চেক করে আর দুই মিনিট। আর ওর নিজের কি হল? সিনথিয়া নাহয় একটু পাগলাটে তাই একটু রাফ রহস্যময় ছেলের প্রেমে পড়তে পারে ভবিষ্যত না ভেবে। সাবরিনা সব সময় স্টেবল ছেলেদের পছন্দ করে এসেছে। ওর যত ক্রাশ সবাই সফল। ওর মনের ভিতর আবার চিন্তা চলে, এক অর্থে মাহফুজ স্টেবল। ওর নিজস্ব ব্যবসা আছে। যথেষ্ট সফল। নিজ চেষ্টাতে পলিটিক্সে উপরে এসেছে। প্রজেক্টের কাজ করতে গিয়ে টের পেয়েছে মাহফুজের ক্যালিবার ওর অনেক করপোরেট সহকর্মী থেকে অনেক গুণ বেশি। এক সাথে দুইজন ভিন্ন মানুষ যাদের পছন্দ ভিন্ন তাদের কে পটালো কি করে? দুইজন বোন কে এক সাথে বিছানায় নিতে মনে বাধল না মাহফুজের? বিছানায় নেওয়া শব্দটা মাথায় আসতে গা গুলিয়ে উঠল ওর। ছি ছি। উবারে মেসেজ আসে এক মিনিট। থামের আড়াল থেক বের হয়ে আসে সাবরিনা। সামনে হাটতে থাকে। রোদের তেজের কারণে ওড়নাটা মাথায় দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাটছে। হঠাত করে সামনে কে যেন এসে দাঁড়ায়। সাবরিনা সরে সামনে আগাতে চায়, অচেনা পাজোড়া আবার সামনে এসে রাস্তা আটকায়। সাবরিনা মাথা তুলে তাকায়। পিছনে সূর্যের আলোর কারণে দীর্ঘাকায় শরীরটা আর দীর্ঘ মনে হচ্ছে। গালে বেশ কিছুদিনের না কামানো দাড়ি। তবে সেই দাড়ি অগোছালো নয়। বরং মনে হচ্ছে চেহারায় বেশ সুন্দর মানিয়ে গেছে। সেই পরিচিত মুখ। । যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। পরিচিত মুখটা হালকা হাসি দিয়ে বলে, হাই সাবরিনা। আমাকে কিছু না বলে চলে যাচ্ছ? সাবরিনার হাটুতে বল পায় না, মনে হয় পড়ে যাবে। মাহফুজ সাবরিনার মুখের হতবিহবল ভাবটা দেখে কৌতুক করার লোভ সামলাতে পারে না, জিজ্ঞেস করে, মিস মি?
সাবরিনা দ্রুত মোবাইল হাতে নিয়ে হাতের ব্যাগটা তুলে নেয়। সামিরা বলেছে লিফটের সামনে মাহফুজ গল্প করছে তাই লিফট এড়িয়ে যায়। আরেকটা সিড়ি আছে অন্য সাইড দিয়ে। ধীরে ধীরে সেই সিড়ি দিয়ে নামতে থাকে। বুক টা ধক ধক করছে। হাত পা কাপছে। অল্পের জন্য মাহফুজ কে এড়ানো গেল। ওর মনে হচ্ছে অল্পের জন্য বুঝি আজরাইল কে এড়াতে পারল। মানুষ যখন বড় কোন বিপদ এড়াতে পারে তখন সারা শরীরে এক আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। সাবরিনা সেটা টের পায়। নামতে নামতে হিসাব করে ওর নিজের বাসায় যাবে না। মাহফুজ ওর বাসা চিনে, যদি এসে হাজির হয় তাহলে কি হবে। বাবার বাড়িতে যাবে এখন। ওর মা কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে মাথা ব্যাথা করছিল তাই এসেছে। মা বরং খুশি হবে। সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসে ধীরে ধীরে। দ্রুত পায়ে লবিটা পার হয়। মোবাইল চেক করে উবার আসতে আর আট মিনিট দেখাচ্ছে। বড় অফিস বিল্ডিং ওদের টা। উচু বিল্ডিং। প্রচুর লোক আসছে যাচ্ছে। সাবরিনা একটা থামের আড়ালে গিয়ে দাঁড়ায়। যাতে পরিচিত কার চোখে না পড়ে ও। কার চোখে পড়তে চায় না ও। মনে মনে আশা করছে মাহফুজ ওর ডেস্কের সামনে পৌছাতে আর সময় নিবে। নিজে মনে ভাবে কতটা শয়তান মাহফুজ। দুই বোন কে নিয়ে খেলছে একসাথে। দুই বোনের একজনও জানে না অন্য জনের সাথে আসলে কি হচ্ছে। ছি ছি ছি। আজকে আসতে চাইলে ওর ফোনে কল দিতে পারত। ওর ফোন নাম্বার আছে মাহফুজের কাছে, চাইলেই ফোন দিতে পারত। তবে ইচ্ছা করেই দেয় নি। যাতে ও সতর্ক না হতে পারে। বড় বেশি চালাক মাহফুজ। সিনথিয়া কে দিয়ে শেষ মূহুর্তে ফোন দেওয়াইছে। সিনথিয়া ভাবছে সব হচ্ছে ওর প্ল্যান মত কিন্তু ওর বোনটা বুঝতেও পারছে না আসলে সব হচ্ছে মাহফুজের চালে। ছি ছি ছি। কিভাবে এই ফাদে পড়ল ও। সাদমানের মত ভাল ছেলে থাকতে কেন ওর বিয়ের বাইরে যেতে হল সুখের খোজে। আর যদি যেতেই হবে তাহলে কেন মাহফুজের খপ্পড়ে পড়তে হবে ওকে। ছি ছি ছি। নিজেকে বলছে না মাহফুজ কে সেটা বুঝতে পারে না সাবরিনা। মোবাইল চেক করে। আর তিন মিনিট। সময় কি আটকে গেছে নাকি? এইসব কি হচ্ছে ওর পাপের ফলের কারণে। সারাজীবন ভাল মেয়ে হয়ে ছিল। কাউকে টাচ পর্যন্ত করতে দেয় নি ঠিকভাবে সাদমান ছাড়া। ওর মনে সামান্য ফ্যান্টাসি টা কিভাবে ম্যানিপুলেট করল মাহফুজ। এই ছেলে কি মনের কথা পড়তে পারে? সিনথিয়ার অনেক ব্যাপার ওর মা বা বাবা জানে না। সিনথিয়া কাপড় চেঞ্জ করার মত বয়ফ্রেন্ড বদলাত এক সময়। এক বান্ধবী ওকে বলেছিল সিনথিয়া নাকি ছেলেদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। সেই সিনথিয়া কিভাবে এই ছেলের প্রেমে পড়ে আছে এতদিন? ইংল্যান্ডে গিয়েও প্রেম ভুলছে না। এত প্রেম যে দেশে দৌড়ে আসছে এক মাসের জন্য বিয়ে করতে। অন্য কেউ সিনথিয়ার মনে জায়গা করতে পারছে না। সাবরিনা স্বীকার করে ম্মাহফুজের মধ্যে একটা রাফ সৌন্দর্য আছে। পুরাতন সিনেমার রহস্যময় কম কথা বলা রাফ নায়কদের মত। তাই বলে এত প্রেম? সাবরিনা এপ চেক করে আর দুই মিনিট। আর ওর নিজের কি হল? সিনথিয়া নাহয় একটু পাগলাটে তাই একটু রাফ রহস্যময় ছেলের প্রেমে পড়তে পারে ভবিষ্যত না ভেবে। সাবরিনা সব সময় স্টেবল ছেলেদের পছন্দ করে এসেছে। ওর যত ক্রাশ সবাই সফল। ওর মনের ভিতর আবার চিন্তা চলে, এক অর্থে মাহফুজ স্টেবল। ওর নিজস্ব ব্যবসা আছে। যথেষ্ট সফল। নিজ চেষ্টাতে পলিটিক্সে উপরে এসেছে। প্রজেক্টের কাজ করতে গিয়ে টের পেয়েছে মাহফুজের ক্যালিবার ওর অনেক করপোরেট সহকর্মী থেকে অনেক গুণ বেশি। এক সাথে দুইজন ভিন্ন মানুষ যাদের পছন্দ ভিন্ন তাদের কে পটালো কি করে? দুইজন বোন কে এক সাথে বিছানায় নিতে মনে বাধল না মাহফুজের? বিছানায় নেওয়া শব্দটা মাথায় আসতে গা গুলিয়ে উঠল ওর। ছি ছি। উবারে মেসেজ আসে এক মিনিট। থামের আড়াল থেক বের হয়ে আসে সাবরিনা। সামনে হাটতে থাকে। রোদের তেজের কারণে ওড়নাটা মাথায় দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে হাটছে। হঠাত করে সামনে কে যেন এসে দাঁড়ায়। সাবরিনা সরে সামনে আগাতে চায়, অচেনা পাজোড়া আবার সামনে এসে রাস্তা আটকায়। সাবরিনা মাথা তুলে তাকায়। পিছনে সূর্যের আলোর কারণে দীর্ঘাকায় শরীরটা আর দীর্ঘ মনে হচ্ছে। গালে বেশ কিছুদিনের না কামানো দাড়ি। তবে সেই দাড়ি অগোছালো নয়। বরং মনে হচ্ছে চেহারায় বেশ সুন্দর মানিয়ে গেছে। সেই পরিচিত মুখ। । যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। পরিচিত মুখটা হালকা হাসি দিয়ে বলে, হাই সাবরিনা। আমাকে কিছু না বলে চলে যাচ্ছ? সাবরিনার হাটুতে বল পায় না, মনে হয় পড়ে যাবে। মাহফুজ সাবরিনার মুখের হতবিহবল ভাবটা দেখে কৌতুক করার লোভ সামলাতে পারে না, জিজ্ঞেস করে, মিস মি?