Thread Rating:
  • 278 Vote(s) - 3.19 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩৩ )
সিনথিয়া ফোন ধরেই খানিকটা অভিমানের সুরে বলল, আমাকে তো ভুলে গেলে। মাহফুজ বলে তোমাকে ভুলব, ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে আমার। বাড়ি থেকে কম  বের হই, আর গঞ্জে না আসলে নেটের লাইন নেই। তাই তোমাকে কল দিতে পারি নি। তা কি কর সারাদিন, প্রশ্ন করে সিনথিয়া। মাহফুজ উত্তর দেয়- তেমন কিছু না। বসে থাকি। মাঝে মাঝে ফুফুর সাথে গল্প করি। যাদের বাড়িতে থাকি তাদের ছোট একটা বাচ্চা আছে। তার সাথে খেলি। সিনথিয়া প্রশ্ন করে- কি গল্প কর ফুফুর সাথে? মাহফুজের মাথায় কলতলার ঘটনা ঝিলিক দিয়ে উঠে। তবে বল, এই তেমন কিছু না। কিভাবে এখান থেকে বের হওয়া যায়। বের হলে কি কি করব এইসব। সিনথিয়া বলে কি অবাক ব্যাপার, ফুফু এরকম একটা গ্রামীণ পরিবেশে থাকবে আর তোমার সাথে গল্প করবে এটা আমাকে এক মাস আগেও কেউ বললে বিশ্বাস করতাম না। মাহফুজ নিজেও ভাবে পরিস্থিতির কারণে কত কিছু যে হচ্ছে। সিনথিয়া বলে তুমি শালা লাকি ডগ। এই সুযোগে মজায় আছ। সিনথিয়ার কথায় চমকে উঠে মাহফুজ, প্রশ্ন করে কেন? সিনথিয়া বলে আমার ফুফুর কথা শুনলে তো তোমারটা খাড়া হয়ে যায়। এখন নিয়মিত দেখতে পাচ্ছ, আবার বসে গল্প করতেছ। মাহফুজ একটু কেপে উঠে, বলে আরে না তেমন কিছু না। সিনথিয়া বলে মিস্টার মাহফুজ তুমি আর যার কাছে লুকাও আমার কাছে লুকাতে পারবে না। ফুফুর কথা উঠলে তুমি কেমন উত্তেজিত হয়ে যেতে আমার মনে আছে। তুমি না বলেছিলে এমন পাছা তোমার ফুফুর দেখলে মনে হয় শাস্তি দেই। এই বলে অট্টহাসি দিতে থাকে সিনথিয়া। মাহফুজ জানে এই পর্যন্ত ওর দেখা মেয়েদের মাঝে একমাত্র সিনথিয়া ওকে সবচেয়ে ভাল রিড করতে পারে, তাই মাহফুজের অস্বস্তি হয় সামনা সামনি দেখা হলে কি সিনথিয়া ওর সিক্রেট জেনে ফেলবে? সিনথিয়া বলে মনে আছে একদিন তুমি রাগ করে আপু আর ফুফু কে নিয়ে কি কি বলছিলে ফোনে? মাহফুজের মনে পড়ে তবে অস্বীকার করে। সিনথিয়া বলে তুমি ভুলে গেলে কি হবে মিস্টার আমি ঠিক মনে রেখেছি, হাহাহা। আর তোমার মত ডগ এত কাছে পেয়ে ফুফু কে কি করছ?
মাহফুজ বলে কিছু না, কি করব হবু বউয়ের ফুফুর সাথে। সিনথিয়া বলে কাম অন মাহফুজ, তুমি আমাকে চিন। অন্য মেয়েরা তোমার দিকে তাকালে, তোমার সাথে ফ্লার্ট করলে আমি হর্নি ফিল করি, আমার মনে হয় যে পুরুষটা আমার দখলে তার জন্য আর সব মেয়ে পাগল। তুমি আমাকে বলতে পার, আই উইল নট জাজ ইউ মিস্টার। এইবলে আবার অট্টহাসি দেয়। মাহফুজ কথা ঘুরানোর চেষ্টা করে। বলে আজকাল তোমার সাথে কেউ ফ্লার্ট করার চেষ্টা করে না? সিনথিয়া আবার হাসি দেয়। বলে ক্লেভার মাহফুজ, কথা ঘুরাচ্ছ। তবে উত্তর দেয়, বলে করবে না কেন। তোমার কি মনে হয়?  আমাকে দেখলে ছেলেদের মাথা ঘুরায় না? মাহফুজ কথা বলে না খালি একটা হাসি দেয়। সিনথিয়া বলে এটা তো জান, আমি কম প্রেম করি নি, তবে কোন প্রেমের সময় আমি ডাবল টাইমিং করি নি। ইফ আই এম উইথ ইউ, দ্যান অনলি উইথ ইউ। আর তোমার মত হ্যান্ডসাম পাওয়া যায়, সাকসেসফুল ছেলে পাওয়া যায় কিন্তু তোমার মত হ্যান্ডসাম এন্ড সাকসেসফুল এন্ড ইকুয়ালি ডেঞ্জারাস ছেলে পাওয়া যায় না। সো বাকি ছেলেদের আসলে একটা অসম প্রতিযোগীতায় লড়তে হচ্ছে। আর মিস্টার তোমার আমার হাত থেকে রেহাই নেই। আমাকে তোমার বিয়ে করতেই হবে। মাহফুজ বলে এই জন্য তো এতসব। সিনথিয়া বলে সেটা তো জানি। এই জন্য তোমার প্রতি আমার এত দরদ। একটু আগে বললাম না আই লাইক হ্যান্ডসাম ডেঞ্জারাস ব্যাড বয়। তোমার আগেও আমি ব্যাড বয়দের সাথে প্রেম করেছি কিন্তু তোমার মত কেউ না। তুমি যেভাবে আমার প্রতি অনুরক্ত সেটা আর কেউ ছিল না। ব্যাড বয়দের একটা সমস্যা হল তারা ভাবে সব মেয়ে তাদের দিওয়ানা হবে তাই সত্যি সত্যি কেউ তার দেওয়ানা হলে সেটার দাম দিতে জানে না। তুমি ব্যতিক্রম। তুমি যার দিকে তাকাও যেখানেই যাও, আমি জানি তোমার শেষ গন্তব্য আমার কাছে। মাহফুজ বলে অন্য মেয়েরা আমার সাথে ফ্লার্ট করলে বা আমি অন্য মেয়েদের দিকে নজর দিলে তোমার জেলাস ফিল হয় না। সিনথিয়া বলে উলটা হয় মিস্টার। আমার তখন মনে হয় আই গেট দ্যা বেস্ট অফ দ্যা মেল ওয়ার্ল্ড। মাহফুজ বলে ওকে।


সিনথিয়া বলে আগে বল ফুফু বিয়ের ব্যাপারে কতটুকু রাজি। মাহফুজ ভাবে গত কিছুদিনের কথা, নুসাইবার সাথে সেই রাতে সিনথিয়া কে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তাই মাহফুজ বলে উনি রাজি, আর জীবনের ঝুকি নিয়ে উনাকে আর কে বা উদ্ধার করত। সিনথিয়া বলে গুড। আর আপু কে রাজি করাতে পেরেছ। মাহফুজ একটু আমতা আমতা করে। সাবরিনার কাছে কখনো সিনথিয়া প্রসংগে কথা হয় নি, ইন ফ্যাক্ট সাবরিনা জানেই না সিনথিয়া কে মাহফুজ চিনে। তাই মাহফুজ বলে না আসলে বলা হয় নি। সিনথিয়ার বলে নো প্রবলেম। আপু একটু কোল্ড আর ডমিনেটিং, সবাই একটু ভয় পায়। অবশ্য তুমিও ভয় পাবে এটা আশা করি নি। মাহফুজ উত্তর দেয় না। সিনথিয়া বলে তুই যতটুকু বলেছ তাতে বুঝেছি আপু তোমার উপর ভরসা করে। ফলে এখন তোমার কথা উঠলে আশা করি আগের থেকে কম বাধা দিবে। মাহফুজ বলে অবশ্যই। তবে ওর মনের ভিতর সাবরিনার সাথে ওর কাটানো সব সময় ভেসে উঠে। কপালে আস্তে করে ঘাম জমতে থাকে মাহফুজের। সিনথিয়া বলে আপু কে এখন রাজি করাতে হবে। তুমি ঢাকায় আসলেই কথা বলবে। তা ঢাকা যাচ্ছ কবে? একটু আগেও মাহফুজের মনে হচ্ছিল ঢাকা যেতে পারাটা একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস কিন্তু সিনথিয়া যেই মাত্র বলল সাবরিনা কে গিয়ে ওদের সম্পর্কের কথা বলতে হবে ঠিক তখন যেন ওর মনে হচ্ছে এই গ্রামে  হাওড়ের মাঝে লুকিয়ে থাকে আর কিছুদিন। মাহফুজ তাও সত্যটা বলে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা যাচ্ছে ও। সিনথিয়া বলে ওকে তাহলে তো হয়েই গেল। আমি জানি তুমি সব সামলে নিবে। তবে তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে একটা। মাহফুজ জিজ্ঞেস কর কি সারপ্রাইজ? সিনথিয়া বলে আমি দেশে আসছি। এক সাথে খুশি এবং দুশ্চিন্তার দুইটা স্রোত ধাক্কা দেয় মাহফুজ কে। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে কব? সিনথিয়া বলে আর কিছুদিন। তোমাদের নির্বাচন কবে জিজ্ঞেস করে সিনথিয়া। মাহফুজ বলে ডিসেম্বরের ২০ তারিখ। সিনথিয়া বলে আমি আসব তার দুই দিন পর। আমার সেমিস্টার শেষ হবে। এক মাসের ছুটি। জানুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত থাকতে পারব। আমি আম্মু কে ইংগিত দিয়েছি আমাদের কথা। আম্মু কে প্রথম যেইবার বলেছিলাম সেইবার বেশ রাগারাগি করেছিল এইবার ভালমন্দ কিছু বলে নি। মাহফুজ বলে আন্টিকে কি বলেছ। সিনথিয়া  বলে যা বলার। বললাম, আমি তোমাকে পছন্দ করি। বিয়ে করতে চাই। আর তুমি সেই ছেলে যে নুসাইবা ফুফু কে উদ্ধার করেছ। আম্মু হয়ত কিছু বলত কিন্তু তুমি নুসাইবা ফুফু কে উদ্ধার করেছ এটা শুনে চুপ করে গেছে। আমার মনে হয় এটাই বেস্ট সময় আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারটা তোলার। কারণ নুসাইবা ফুফু রাজি, সাবরিনা আপু তোমার উপর একটা ভাল ধারণা পোষণ করে। এখন খালি সাবরিনা আপু কে বুঝাতে হবে যে এই ভাল ছেলেটা তার বোনের জন্য উপযুক্ত ছেলে। আর বাকি থাকে আব্বু আর আম্মু। আব্বু যখন শুনবে তুমি তার বোন কে উদ্ধার করেছ তখন আব্বুর মতামত তোমার দিকে ঝুকে যাবে আর বাকি থাকে আম্মু। আম্মু যদি শেষ পর্যন্ত বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে অবশ্য সমস্যা কারণ ফুফু, আপু বা আব্বু কার পক্ষে আম্মুর না কে ডিংগানো সম্ভব না। তবে আম্মু আব্বু, আপু, ফুফু সবার কথার ভ্যালু দেয়। ফলে আশা করা যায় আম্মু শেষ পর্যন্ত রাজি হবে। আর যদি এর পরেও রাজি না হয় তাহলে লাস্ট অস্ত্র ইউজ করতে হবে। মাহফুজ বলে লাস্ট অস্ত্র আবার কি? সিনথিয়া বলে কি না বল কে? মাহফুজ বলে কার কথা বলছ। সিনথিয়া বলে আমার নানু। আসমা বেগম। মাহফুজ  বলে উহ, এটা তো চিন্তাই করি নি। সিনথিয়া বলে বুদ্ধি কি খালি তোমার মাথায় খেলে মাহফুজ সাহেব। মাহফুজ হেসে দেয়। বলে এই জন্য তোমাকে এত লাইক করি। তুমি জান কোথায় কি চাল চালতে হয়। সিনথিয়া বলে আমার ধারণা আম্মুর ভিতরে তোমার প্রতি যে ধারণা ছিল সেটা অনেকটাই ভাল হয়েছে কিন্তু তার পরেও যদি মনের ভিতরে কোন বাধা থাকে সেটা দূর করতে পারবে একমাত্র নানু। আম্মু যদি কার কথা মনযোগ দিয়ে শুনে সেটা উনার কথাই। তবে যাই হোক আমাদের তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমি জানুয়ারীর ২৫ তারিখ ফেরত যাব। আমি চাই এর মধ্যে অন্তত আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের প্রাথমিক কথাটা হয়ে যাক, এনগেজমেন্ট হোক, পারলে আকদ করে রাখতে চাই আর এরপর মাস্টার্স শেষ হলে ধুমধাম করে ফুল বিয়ে। মাহফুজের সাথে বিয়ের প্ল্যান নিয়ে সিনথিয়া অনেকবার কথা বলেছে তাই সিনথিয়ার কোন কথাই নতুন কিছু না। তবে মাহফুজ একটা প্রেসার অনুভব করে। এখন নভেম্বরের মাঝামাঝি। এরপর সিনথিয়া দেশে আসবে ডিসেম্বরের ২২ তারিখ আর চলে যাবে জানুয়ারীর ২৫ তারিখ। এর মধ্যে দুই পরিবার কে রাজি করিয়ে এনগেজমেন্ট আর আকদ করাতে হবে। মাহফুজ জানে ওর ফ্যামিলি রাজি হবে ইজিলি। মাহফুজ সিনথিয়া কে বলে ওকে, তাহলে আমি আমার কাজ করছি। তুমি তোমার আম্মু কে রাজি করানোর কাজ কর। সিনথিয়া বলে আম্মু কে এখন রাজি করানো অত কঠিন হবে না অন্তত আমার মনে হয়, আর না হলে তো নানুর সাহায্য নিতে হবে। আর তুমি তোমার ফ্যামিলির দিকটা দেখ। মাহফুজ বলে, ওকে। এর পর আর নানা কথা পর ফোন রেখে দেয় সিনথিয়া।


মাহফুজের মাথায় নানা চিন্তার প্রেসার বাড়ে। সাবরিনার সাথে ওর ইন্টার‍্যাকশন কি হবে? সাবরিনা দেশের বাইরে আপাতত, তবে ফেরত আসার সময় হয়ে গেছে। ওর থেকে গ্যাপ নিতে চেয়েছিল সাবরিনা, এখন যদি গিয়ে বলে সিনথিয়া কে বিয়ে করতে চায় তাহলে কেমন রিএকশন দিবে সাবরিনা? মাহফুজ দোকানে ফোনটা ফেরেত দিয়ে, টাকা মিটিয়ে দেয়। মাহফুজ জানে সিনথিয়া যখন ঠিক করেছে ওর আম্মু কে ম্যানেজ করবে তাহলে ওর মাথায় কিছু না কিছু একটা বুদ্ধি আছে। আর সিনথিয়া সাবরিনার নানীর সাথে একবার দেখা হয়েছিল মাহফুজের। ৭০ এর উপর বয়স হবে। এক কালে কলেজ টিচার। সাফিনা, সাবরিনা আর সিনথিয়ার সৌন্দর্যের ধারা কোথা থেকে এসেছে সেটা আসমা বেগম কে দেখলেই বুঝা যায়। তবে সিনথিয়ার মতে ওর নানু ওর আম্মুর মত অত স্ট্রিক্ট না, বরং ওর নানা ছিল স্ট্রিক্ট। সাফিনা ওর বাবার ব্যক্তিত্বের এই দিকটা পেয়েছে বলে সিনথিয়ার মত। ওর নানু বরং অনেক বেশি জলি, হাসিখুশি। সিনথিয়ার বাসায় যখন কেউ ওদের সম্পর্ক মেনে নিচ্ছে না তখন সিনথিয়া একবার মাহফুজ কে ওর নানুর সাথে দেখা করিয়ে দিয়েছিল। মাহফুজ প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হয়েছিল আসমা বেগমের ব্যক্তিত্বে। হাসিখুশি একজন মহিলা। মাহফুজের সাথে পরিচয়ের পাচ মিনিটের মাথায় আসমা বেগম হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কিভাবে পটালে আমার নাতনি কে? প্রশ্ন করবার সময় হাসি আর চোখের কোণায় লুকিয়ে থাকা দুষ্টমির চিহ্ন অনেকটাই ইজি করে দিয়েছিল মাহফুজ কে। সেই সময়টা বেশ কঠিন ছিল মাহফুজ আর সিনথিয়ার রিলেশনশিপের জন্য। সিনথিয়া ওর ফ্যামিলির পারমিশন ছাড়া কিছু করতে চায় না আবার মাহফুজ সিনথিয়ার ফ্যামিলির ব্লেসিং ছাড়া নিজেও সামনে এগুতে চায় না। কারণ মাহফুজ ওর বন্ধুদের মধ্যে অলরেডি দেখেছে ছেলে বা মেয়ের দুই পক্ষের বা এক পক্ষের পরিবারের ব্লেসিং ছাড়া যে বিয়ে গুলো হয়েছে সেগুলোতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে বড় একটা ইমপ্যাক্ট এসেছে পরিবার থেকে দূরে থাকার কারণে। মাহফুজ নিজের সম্পর্কে সেটা চায় নি। তাই সিনথিয়া আর মাহফুজ দুইজন তখন কেউ কাউকে না বললেও নিজেরা নিজেরা ভাবছিল এই সম্পর্কটা কি এখানেই ইতি টানা উচিত কিনা। মাহফুজ আর সিনথিয়ার সেই ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রিলেশনশিপে আর কমিটেড হতে ভরসা দিয়েছিল সিনথিয়ার নানী। দুইজনকে সামনে বসিয়ে আসমা বেগম স্পষ্ট করে বলেছিলেন আমাদের সমাজে প্রেমকে এখনো কিভাবে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হয় আর প্রেমিক প্রেমিকার সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ডে যদি পার্থক্য থাকে তাহলে সেটা আর কত কষ্টকর হয়। আর এইক্ষেত্রে প্রেমিক প্রেমিকা দুইজনকেই একসাথে লড়তে হয়। সবাইকে সাথে পাওয়া হয়ত যাবে না দিনশেষে কিন্তু যতটা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়বে দুইজন ততটা সম্ভাবনা আছে অন্যদের ধীরে ধীরে নিজেদের পক্ষে আনার। আর সিনথিয়া যখন বলেছিল নানু তুমি আমাদের হয়ে রাজি করাও না। আসমা বেগম হাসতে হাসতে বলছিল এখন না পাগলী। সময় হলে আমি ঠিক বলব। এখন সবাই যে পরিমাণ বিরোধিতা করছে তাতে আমি বললে হয়ত রাজি হবে তোর মা কিন্তু বাকিদের কি হবে। আর তোর মা রাজি হলেও আমার কারণে রাজি হবে মন থেকে মেনে নিবে না। তোরা আর সময় দে, বাসার সবাই দেখুক এই ছেলেটা তোর জন্য কতটা ডেডিকেটেড। সেই সময় আমি বললে কাজ হবে বেশি। মাহফুজ টের পেয়েছিল বয়সের সাথে সাথে অভিজ্ঞতার ঝুড়ি ভাল ভারী হয়েছে আসমা বেগমের কারণ নিরপেক্ষ দৃষ্টি থেকে দেখলে এটাই সবচেয়ে ভাল স্ট্রাটেজি। আজকে সিনথিয়া যখন তাই বলল ওর আম্মু কে রাজি করানোর জন্য নানুর সাহায্য নিবে তখন মাহফুজের মনে হয় ওদের রিলেশনশিপ সফল হবার সবচেয়ে কাছাকাছি আছে এখন। নুসাইবা যদিও বলেছে ও বাধা দিবে না তবে ঢাকায় গেলে বেকে বসবে কিনা সেটা ভাবছে ও। আবার অন্যদিকে আছে সাবরিনা। কপালে ঘামের পরিমাণ বাড়ে মাহফুজের।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩১ ) - by কাদের - 29-05-2024, 10:36 PM



Users browsing this thread: 36 Guest(s)