17-05-2024, 05:25 PM
(17-05-2024, 04:43 PM)Kallol Wrote: আপনার লেখা এই প্রথম বার পড়লাম। অনেক সাধারণ বিষয় ও পাঠকদের কাছে, অসাধারণ করে পরিবেশন করার ক্ষমতা, আপনার লেখনী তে রয়েছে। তবে হ্যাঁ, যারা গল্পের শুরু থেকেই ঘপা ঘপ চায়, তাদের কাছে খুব একটা ভালো না লাগারই কথা। বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় এর লেখা আমার মনে খুব গভীর ভাবে দাগ কাটে। তার কারণ প্রাকিতিক দৃশ্য কে ওনি অনন্য রূপে ফুটিয়ে তুলতেন। আপনার লেখা তে ও সেই পুরনো দিনের গাঁয়ের বর্ননা,গ্ৰামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী, সন্ধ্যা বেলায় তূলসি তলায় প্রদীপ দেখানো, ওনার লেখনী মনে করিয়ে দেয়। শাস্ত্রে আছে যে,নারীর চরিত্র, দেবতারাও বুঝতে পারেন না। কিন্তু নয়নতারা চরিত্র টা আমার কাছে বেশ রহস্যময়ী মনে হয়েছে। তার অন্তরে সর্বদা কি চলছে, তার আশেপাশের মানুষদের কিছুই বুঝতে দিতে চায় না। আর হেম কি গল্পের শেষ পর্যন্ত সঞ্জয়ের সামনে ওমনি ভীরু হরিণীর মতো জড়োসড়ো হয়েই থাকবে, না কি অন্য কোন চমক অপেক্ষা করছে? !!!!
(বিস্মৃতপ্রায় অতীতের যে নাঢ়া ও লবটুলিয়ার আরণ্য-প্রান্তর আমার হাতেই নষ্ট হইয়াছিল,
সরস্বতী হ্রদের যে অপূর্ব বনানী, তাহাদের স্মৃতি স্বপ্নের মনিযো আসিয়া মাঝে মাঝে মনকে উদাস করে। সঙ্গে সঙ্গে মনে হয়, কেমন আছে কুন্তা, কত বড় হইয়া উঠিয়াছে সুরতিয়া, মটুকনাথের থিযোল আজও আছে কি না, ভানুমতী তাহাদের সেই শৈলবেষ্টিত আরণ্যভূমিতে কি করিতেছে, রাখালবাবুর স্ত্রী, ধ্রুবা, গিরধারীলাল, কে জানে এতকাল পরে কে কেমন অবস্থায় আছে। …
ফিরিয়াছে, না আসামের চা-বাগানে চায়ের পাতা তুলিতেছে আজও।
আর মনে হয় মাঝে মাঝে মঞ্চীর কথা। অনুতপ্তা মঞ্চী কি আবার স্বামীর কাছে কতকাল তাহাদের আর খবর রাখি না।)
ওনার এই অসাধারণ সৃষ্টি আরণ্যক আমার পক্ষে ভুলে যাওয়া অসম্ভব। তবে বলি কি এত বিশাল বিশাল হস্তীর নাম না নিলেই ভালো। কেমন নার্ভাস নার্ভাস লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ❤️