Thread Rating:
  • 200 Vote(s) - 3.34 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )
আপডেট ২৭



নুসাইবার সারা রাত প্রচন্ড জ্বরে কাটল। এই জ্বরের মধ্যে ড্রয়িংরুমের বমি পরিষ্কার করল। ওর মনে হচ্ছে এই বমি যেন সাক্ষাত মুন্সীর চিহ্ন বহন করছে। যতক্ষণ না ধুয়ে মুছে বমির চিহ্ন শেষ করছে ততক্ষণ মুন্সীর চিহ্ন ঘর থেকে যাচ্ছে না। জ্বর আর পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে শেষরাতের দিকে প্যারাসিটিমল আর ঘুমের ঔষুধ খেয়ে ঘুম দিল। ঘুম ভাংগল বেরা বারটায়। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে অসংখ্য মিসকল। অফিস থেকে কিছু মিসকল, কয়েকটা ম্যানেজারের ফোন থেকে আর কয়েকটা ম্যানেজারের যে ছেলেটা সকালে ওর সাথে অফিসে যায় তার মোবাইল থেকে। আর একটকা ফোন নাম্বার অচেনা। দরজায় প্রচন্ড জোরে নকের শব্দ। শরীরটা কোন রকমে টানতে টানতে দরজার কাছে নিয়ে গেল। পিপহোল দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখতে পেল ম্যানেজারের ছেলেটা। দরজা খুলতেই ছেলেটা বলল ম্যাডাম সব ঠিক আছে? নুসাইবা একবার ভাবল মুন্সীর কথা বলবে কিনা। তবে পরক্ষণেই ভাবল মুন্সীর কথা কি বলবে আসলে? মুন্সী যা করেছে সেটা কি আসলে বলা যায় অন্য কাউকে? নুসাইবা বলল জ্বর আসছে তাই আজকে একটু বেলা করে উঠছি। অফিসে যাব না আজকে। ছেলেটা বলে ওকে ম্যাডাম, আমরা আবার ভয়ে ছিলাম। আপনার কিছু দরকার হলে বলবেন। যদি ডাক্তার লাগে বলবেন। ছেলেটার সাথে আর কিছু কথা বলে দরজা লাগিয়ে দিল।

দরজা লাগিয়ে ভিতরে আসতে না আসতেই আবার ফোন বেজে উঠল। অচেনা ফোন নাম্বারটা। রিসিভ করতেই ঐপাশ থেকে পরিচিত গলা কেমন আছেন ম্যাডাম? আজকে অফিসে যাবেন না? কালকে বেশি করে ফেললাম নাকি? এই বলেই খিক খিক করে একটা হাসি। নুসাইবার মনে হয় যেন আবার জ্বর এসে যাবে এই গলার স্বর শুনলে। নুসাইবা বলে আপনি? মুন্সি বলে কেন ম্যাডাম আর কে ফোন করার কথা ছিল? আরশাদ সাহেব? একটু তাড়াতাড়ি করেন তো, উনার সাথে আমার একটা কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। নুসাইবা বলে বিশ্বাস করেন আমার সাথে আরশাদের কোন কথা হয় না কিছুদিন। মুন্সী বলে আরে সেইটা বিশ্বাস করছি বলেই তো গতকাল অল্পতে চলে আসছি নাহলে এমন মজা কি সহজে ছাড়া যায় বলেন ম্যাডাম। আপনি ছাড়তে পারতেন এমন একটা সুযোগ। মুন্সীর কথা নুসাইবার শরীরে একটা ঘিন্না ছড়ায়। মুন্সী বলে ম্যানেজারের ছেলেটা আপনাকে কি বলল ম্যাডাম? নুসাইবা চমকে যায়, বলে আপনি কিভাবে জানলেন। মুন্সি বলে জানতে হয় ম্যাডাম। এটাই আমার বিজনেস। এইটা না জানলে কি কালকে রাতে আপনার বাসা পর্যন্ত আসতে পারতাম। আপনার বিল্ডিং এর গেট কেউ পার হলেই আমার কাছে খবর চলে আসে। এইটুকু যদি করতে না পারতাম তাহলে ম্যানেজারের মত রাঘব বোয়ালের হাতের তলা দিয়ে আপনার কাছে আসার সাহস পেতাম? বলেন? ম্যানেজারের ছেলেটা আমার কথা বলছেন ম্যাডাম। নুসাইবা মৃদু স্বরে বলে না। মুন্সী খিক খিক করে হেসে উঠে। বলে আপনি বুদ্ধিমান আমি জানতাম। আমাদের এইসব কথা কি সবাই কে বলা যায় বলেন। আর ম্যানেজার যে রাগী লোক দেখা গেল আপনার মাথায় একটা গুলি ঠুকে দিল। আর সব এমন ভাবে সাজাবে যে পরের দিন পত্রিকায় রিপোর্ট আসবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিডির আত্মহত্যা। আমি আবার সহজে এইসব খুন খারাপিতে যাই না। আর আপনার মত একটা সরেস মহিলা কে মেরে ফেললে আনন্দ কই বলেন। আপনি বেচে থাকলে তো আমার লাভ কি বলেন? গতকাল রাতের কথা চিন্তা করেন। আপনি কিছু না কইরাই যে আনন্দ দিছেন সেইটা তো অন্য কেউ কাপড় খুললেও দিতে পারত না। মুন্সীর কথার ইংগিতে নুসাইবার গা ঘিন ঘিন করে। মুন্সী বলে যাই হোক মনে রাইখেন কিন্তু। ম্যানেজাররে বললে পরে ম্যানেজার কি করবে কেউ জানে না। আপনি খালি আমারে আরশাদ সাহেবের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। নাইলে উনার ফাইলপত্র যোগাড় করে দেন। বাকিটা আমি দেখব। মনে রাখবেন আমারে বেশিদিন অপেক্ষায় রাখলে কিন্তু আমার আবার আপনার সাথে দেখা করতে হবে এই বলে হাসতে থাকে। অবশ্য সেটা খারাপ না। আপনার সাথে এক একটা অভিজ্ঞতা এক কোটি টাকার থেকে দামী। এই বলে আবার হাসতে থাকে। নুসাইবার গা গুলিয়ে উঠে। মুন্সী বলে যা করার তাড়াতাড়ি করেন ম্যাডাম। এই বলে ফোন রেখে দেয়।
নুসাইবা মনে মনে আয়াতুল কুরসী পড়তে থাকে। ভয় পেলে সব সময় এই দোয়া পড়ে ছোট কাল থেকে। এখন কিছু করতে হবে ওর মনে হয়। এইভাবে চুপচাপ থাকলে মুন্সী নাহলে ম্যানেজারের হাতে মরতে হবে। মুন্সীর হাত আরেকবার শরীরে পড়ার চাইতে অবশ্য ম্যানেজারের গুলি খাওয়া ভাল। নুসাইবার মনে হয় এই মূহুর্তে কার কাছে যাবার উপায় ওর নেই। যার কার কাছে যাবার উপায় নেই তার নিজের উপর ভরসা রাখতে হয়। এই কথাটা মাথায় আসতেই যেন একটা শক্তি পায় নিজের মধ্যে। যেভাবেই হোক এখান থেকে বের হতে হবে। আর এই মূহুর্তে ওর নিজের উপর ছাড়া আর কার উপর ভরসা করার মত উপায় নেই। তবে ওর সাহায্য লাগবে কার না কার। মাহফুজ ছাড়া আর কার নাম মাথায় আসছে না। ওর আত্মীয় স্বজন কাউকে এইসব জড়ানোর ইচ্ছা নেই আর জড়ালেও কেউ তেমন হেল্প করতে পারবে না। আরশাদের বন্ধু মিজান হেল্প করতে পারত হয়ত কিন্তু মিজান যেভাবে ম্যানেজারের কজ্বায় তাতে মন হয় না ওর কোন সাহায্যে আসবে। আর বাকি থাকে মাহফুজ। মাহফুজের কথা ভাবতেই ফ্লোরার দোকানের ঘটনা মনে পড়ে যায়। আবার মুন্সীর কুৎসিত হাসি ভাবে তখন মনে হয় মাহফুজের সাহায্য ওর দরকার। তবে সব কিছু এমনভাবে করতে হবে যাতে কেউ সন্দেহ না করে। ম্যানেজার বা মুন্সী কেউ না। আজকে মুন্সীর কথায় টের পেয়েছে ম্যানেজারের সাথে সাথে মুন্সীও ওর উপর নজর রাখছে। মুন্সী কতটা ডেঞ্জারাস সেটা টের পেয়েছে। মুন্সী যেভাবে বলল বিল্ডিং এর গেট পার হলেই তার কাছে খবর যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে গেটের সিকিউরিটি কে হাত করেছে নাকি। গতকাল রাতেই কথাটা মনে আসছিল ওর। কেন সিকিউরিটি একজন ফুড ডেলিভারি ম্যান এতক্ষণ উপরে আছে সেটা খবর নিতে আসে নি। এখন মুন্সীর কথায় মনে হচ্ছে সিকিউরিটি কম্প্রমাইজড। অফিসেও ওর উপর ম্যানেজার আর মুন্সী নজর রাখছে। কিন্তু কিভাবে সেটা সিওর না ও।


এইসব ভাবতে ভাবতে ওর চোয়াল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়। এইভাবে বাচতে পারে না। বের হতে হবে এর থেকে। গত কয়েক মাস সব যেন ওর হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে। আরশাদ, ম্যানেজার, মাহফুজ, মুন্সী সবাই যেন ওর জীবন নিয়ে খেলছে। এর থেকে ওর বের হতে হবে। দরকার হলে মাহফুজের সাহায্য নিতে হলে নিবে। কিন্তু ওর নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে নিজের জীবনের। প্রিয় একটা লাইন তাই নিজে নিজে বলে- মাস্টার অফ মাই ফেট, ক্যাপ্টেন অফ মাই সোল। আর কার হাতে জীবনের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। মাস্টার অফ মাই ফেট, ক্যাপ্টেন অফ মাই সোল।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৬) - by কাদের - 18-12-2023, 04:34 PM



Users browsing this thread: Jyoti_F, 31 Guest(s)