28-11-2023, 01:21 AM
(This post was last modified: 28-11-2023, 01:24 AM by Patrick bateman_69. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(27-11-2023, 09:31 PM)nusrattashnim Wrote:হ্যা, ঐবারও খায়রুল সাহেব এর কথা আরশাদকে বললেও।প্যাট্রিক, কেমন আছো?
তোমার মত করে আমিও চিন্তা করেছিলাম। তখন আরো কিছু জিনিস মাথায় আসলো।
প্রথমত দেখো, নুসাইবা জীবনে এই প্রথমবার হয়তো বন্দুকের নলের সামনে পড়েছে। এরকম অবস্থায় পড়লে শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষই প্রাণের ভয়ে হিতাহিত সাধারণ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।কারণ ট্রিগার দাবালেই সব শেষ। দুনিয়ার সব কিছুই তখন তুচ্ছ হয়ে যায় লাইক, স্বামী কি করেছে ঘুষ না পরকীয়া; সোসাইটির মানুষ জানলে কি ভাববে এগুলোর কিছুই তখন মাথায় থাকেনা। মাথায় তখন একটা জিনিসই ঘুরপাক খায় শুধু যে বাঁচতে হবে, যেভাবেই হোক। নুসাইবার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
দুই, সারাজীবন অনেক ইন্সিডেন্ট এর সম্মুখীন হলেও এরকম গেরাকলে হয়তো নুসাইবা পড়েনি। তাই শকড হয়ে সে ম্যানেজার কেও কিছু বলতে পারছেনা কারণ আরশাদের জীবন মরণের প্রশ্ন এখানে। মানুষ ডুবে যেতে নিলে যেমন খড়কুটো চোখে পড়লে সেটাকে আকড়ে ধরে বাঁচতে চায়, তেমনি চিরায়ত বাঙ্গালী নারীরা যাই হোক স্বামীকে আঁকড়ে ধরেই থাকতে চায়। হয়তো অনেক ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু চিরন্তন সত্য এটাই। এতদিন অব্দি প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে হোক, নুসাইবাকে সেরকমই একটা নারীর ভূমিকায় চিত্রায়িত করা হয়েছে।
তবে হ্যা, যেহেতু মুন্সীর কাছে ভালো পরিমাণের মলেস্ট হয়েছে নুসাইবা, সেহেতু আগামী পর্বে আসলে বুঝা যাবে যে এই ঘটনার কিরকম প্রভাব নুসাইবার উপর পড়েছে আর এর ইম্প্যাক্ট টা কতদূর গড়ায়। কারণ, একজন নারীর সম্ভ্রম তার কাছে সর্বাপেক্ষা মুল্যবান জিনিস। অন্যের জন্য (তাও সেটা যখন নিজেরই স্বামী) যখন সেটা ধূলোয় গড়াগড়ি খায়, তখন আসলেই এটার কন্সিকুয়েন্স খারাপই হবার কথা।
তিন, প্যাট্রিক, তোমার মনে আছে সেই খায়রুল সাহেব এর কথা। তদন্ত কমিটির প্রধান বলে আরশাদের অফিস থেকে এসেছিলো। সেও কিন্তু অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলো নুসাইবাকে। কিন্তু নুসাইবার সেই বজ্র কঠোর প্রত্যাখ্যান কিন্তু এটাই বলে যে সে একদম একটা পিউর হার্টেড ওম্যান। মুন্সীর ক্ষেত্রেও হয়তো তাই হতো যদি ঘটনাটা সেভাবে ঘটতো। কিন্তু ডিরেক্ট বন্দুক আর মুন্সীর নারী বশের অভিজ্ঞতার সামনে পড়ে নুসাইবা সাময়িকভাবে হেরে গেছে। সাময়িক কেন বললাম?? কারণ পিকচার তো আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত!!! হিরো এন্ট্রি নিয়ে নুসাইবার কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পর তো মহানগর দুই এর রজব আলী যেভাবে বলেছিলো,"খেলা হবে হারুন, খেলা হবে" সেভাবে "খেলা হবে মুন্সী, খেলা হবে" বলে তো এক মরণখেলা শুরু করবে।আরশাদ কিংবা নুসাইবা ভাবছিলো যে, একদিকে ওশ্যান গ্রুপ আরেকদিকে সানরাইজ গ্রুপের সামনে মাহফুজ এক শিশু। কিন্তু আমার মন বলে মাহফুজের আরো পাওয়ারফুল পিলে চমকানোর মতো কোনো এক পরিচয় আছে যেটা এতদিনে লেখক আনভেইল করেননি। কিন্তু খুব শীঘ্রই সেটা সামনে আসছে এবং সবাইকে চমকে দিতে যাচ্ছে। হয়তো আমার এই প্রেডিকশন রঙ ও হতে পারে। কিন্তু নেক্সট পর্বে আসলে ই অনেক ধুন্দুমার থ্রিলিং কাহিনী ঘটতে যাচ্ছে। অপেক্ষা !!!
আরশাদ জবাব এ কি বলেছিল মনে আছে ভালো করেই।
আরশাদ এর কারণে অমন খারাপ প্রস্তাব শুনতে হয়েছিল,
আরশাদকে তা জানানোর পরও আরশাদ কিছুই করে নি ।
নসাইবা খুব বেশি কিছু বললো না । কিন্তু নুসাইবা নাকি অনেক বুদ্ধিমান মেয়ে?
তাহলে তাও বার বার আরশাদ এর কারণে নিজের সম্মানহানি করার মানে কি?
আবার গল্পতে দেখানো হচ্ছে, আরশাদ এর জন্যে প্রেম উৎলে পড়তেছে নুসাইবার।
মানে টা কি ভাই? একটা মেয়ে কাছে মান সম্মান অনেক বড় কিছু ।
আর গত পর্বে যা যা হয়েছে, এ সব কিছুর জন্যে দাই আরশাদ কিন্তু নাসাইবা এতই বোকা যে
আরশাদকে দোষারোপ না করে উল্টো মাহফুজকে দোষী বানিয়ে দেই।
সোজা কথায় নসাইবার সম্মান হানি করা হয়েছে জোর করে ।
একটা মেয়ে সুইসাইড পর্যন্তও চলে যায় যখন তার সাথে এমন হলে ।
আর নাসাইবা কতোটা বোকা যে এরপরও প্রেম জাগে আরশাদ এর জন্যে?
My pain is constant and sharp, and I do not hope for a better world for anyone.