Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )


মাহফুজ ফোন করবে কি করবে না এইটা ভাবতে ভাবতে চারপাচ দিন লাগিয়ে দিল। তবে মনের ভিতর নুসাইবার প্রতি আকর্ষণটা যেন জয়ী হল। মাহফুজের ফোন আসতেই অবাক হল নুসাইবা। ধরবে কি ধরবে না। সেই দিন ফ্লোরার দোকানে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর দোকান থেকে বের হয়ে মাহফুজ কে যে শয়তানের অবতার বলেছিল সেটা মনে আছে। ফ্লোরা, আরশাদ আর মাহফুজ এই তিনটা লোক মিলে ওর ঘুম হারাম করে দিচ্ছে আজকাল। গত কয়েকদিনে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। আরশাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। ম্যানেজার খালি একদিন ফোন দিয়ে বলেছে আরশাদ সেফ আছে যেখানে আছে। পরে সুযোগ করে কথা বলিয়ে দেবার চেষ্টা করবে। এদিকে যাবার আগে আরশাদ মাহফুজের হেল্প নিতে বলেছে। এমন একটা ভজঘট অবস্থায় জীবনে নিজে কে কল্পনা করে নি। যাকে এতদিন ভালবেসে এসেছে তাকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। আবার যাকে বিশ্বাস করবে না বলে ঠিক করে ফেলেছে তার কাছেই দরকার হলে সাহায্য নিতে বলেছে। ফোনটা বাজতে বাজতে থেমে যায়। নুসাইবা কি বলবে বুঝতে পারছে না। আসলেই যদি কোন সাহায্যের দরকার হয়। আরশাদের কথাটাতে যুক্তি আছে। ওর ফ্যামিলির লোকজন ওয়েল স্টাবলিশড হলেও সবাই ছাপোষা লোকজন। হঠাত করে কোন বিপদ হলে এরা কেউ সেখানে খুব একটা কাজের মানুষ হবে না। নুসাইবা যতই মাহফুজের উপর রেগে থাকুক অন্তত আরশাদের গোপন খবর বের করার সময় টের পেয়েছে ছেলেটা কাজের। আর যোগাযোগ আছে অনেক জায়গায়। কিছুটা হলেও হেল্প করতে পারবে। তাই মনের ভিতর যুক্তিবাদী অংশটা বলে মাহফুজের ফোনটা ধর এর পরের বার। লাইফ ইজ এ গেম। এখানে চুপ চাপ বসে থাকলে হেরে যেতে হবে। অনেক সময় দরকার হলে যাকে পছন্দ কর না তারও সাহায্য নিতে হয়। তাই পরের বার ফোন বাজতে নুসাইবা অনিচ্ছা স্বত্তেও রিসিভ করে।


মাহফুজ ফোনের ঐপাশ থেকে শীতল কন্ঠের হ্যালো শুনতে পায়। মাহফুজ এই কয়দিন কি বলবে নুসাইবার সাথে কথা হলে সেটা অনেক ভেবেছে। তবে এখন হ্যালো শুনতেই সব কিছু যেন হাস্যকর মনে হয়। মাহফুজ তাই বলে আসলে আরশাদ আংকেল আপনার খোজ রাখতে বলেছিল। নুসাইবা মনে মনে ভাবে আরশাদ যদি জানত মাহফুজ কেমন খোজ রাখছে ওর। তবে মুখে বলে হুম। মাহফুজ বুঝে ওর উপর ক্ষেপে আছে নুসাইবা। এই মূহুর্তে সবচেয়ে ভাল টেকনিক হল নুসাইবার মন কে অন্যদিকে ডাইভার্ট করা। তাই জিজ্ঞেস করে আংকেল আসলে কই গেছে। আমাকে হঠাত করে ঐদিন ফোন দিয়ে বলল মাঝে মাঝে আপনার খবর নিতে আর দরকার হলে কোন প্রয়োজনে হেল্প করতে। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না আংকেল কি হেলেপের কথা বলেছে। নুসাইবা নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর জানে না। তাই কি উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারছে না। মাহফুজ তাই আবার জিজ্ঞেস করে আংকেল কই গেছে। নুসাইবা বলে আসলে অফিসের একটা কাজে বাইরে গেছে। মাহফুজ বুঝে নুসাইবা বুঝি ঠিক উত্তর দিতে চাচ্ছে না। মাহফুজ তাই আবার জিজ্ঞেস করে আপনার কোন হেল্প দরকার? নুসাইবা নিজেই জানে না কি হেল্প দরকার ওর। আরশাদ আপাতত নেই তাই ফ্লোরার কোন খোজ দরকার নেই ওর। আর অজানে যে বিপদের কথা বলে গেছে আরশাদ সেটা কেমন সেটাই বুঝতে পারছে না। তাই বলে আপাতত কোন প্রবলেম নেই তবে দরকার হলে জানাবে। মাহফুজ বুঝে খুব কম কথায় কাজ সারতে চাইছে নুসাইবা। মাহফুজের মনে রাগ হয়। দরকার হলে ঠিক কাছে টেনে আনে আবার পরে এমন ভাব করে যেন চিনছে না। আর যে দুইবার কিছু হয়েছে সেখানে তো জোর করে কিছু করে নি ও। নুসাইবার শরীর যে সম্মতি দিচ্ছিল সেটা টের পেয়েছে। এখন এমন ভাব ধরছে যেন জোর করে ধরে কিছু করেছে। তবে মুখে কিছু বলে না। মাহফুজ তাই বলে কিছু দরকার হলে ফোন দিবেন ফুফু। শুনে নুসাইবার যেন গা জ্বলে যায়। রাগ এইবার আর সামলাতে পারে না। বলে, আমাকে ফুফু ডাকতে তোমার লজ্জা করছে না। নুসাইবা কে এইভাবে ক্ষেপে যেতে দেখে মাহফুজ যেন একটু খুশি হয়। বলে হাজার হলেও আপনি তো সিনথিয়ার ফুফু। তাই যাই হোক আপনাকে ফুফু না বলে কি আর থাকা যায়। মাহফুজের কথার ইংগিত ধরতে পেরে আর জ্বলে উঠে নুসাইবা। বলে, তুমি আসলেই শয়তানের অবতার একটা। মাহফুজ এইবার আর রাগ করে না। মানুষ যখন কথায় রেগে যায় তখন বুঝতে হয় উইক পয়েন্টে আঘাত এসেছে। তাই মাহফুজ বলে এরপরের বার দরকার হলে এই শয়তানের অবতার কে স্মরণ করবেন কিন্তু। নুসাইবা হতবাক হয়ে যায়। মাহফুজের সাথে এতদিনের কথায় এই প্রথম মাহফুজ এমন ঠেস দিয়ে কথা বলল। তবে উত্তর দেবার আগেই মাহফুজ ফোন কেটে দেয়। গা জ্বলতে থাকে নুসাইবার। মরে গেলেও এই ছেলে কে ফোন দিব না আর ঠিক করে নুসাইবা। তবে তখন ওর জানা ছিল না নিজের কথা নিজেকেই গিলতে হবে ওর।


নুসাইবা যখন মাহফুজ কে আর কখনো ফোন দিবে না বলে ঠিক করল তখনো মুন্সীর সাথে নুসাইবার দেখা হয় নি। আর ম্যানেজার আর আরশাদের সতর্কবাণী স্বত্ত্বেও কোন কিছু না ঘটায় তখন পর্যন্ত নুসাইবা পুরো ব্যাপারটা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। ওর মনে হচ্ছে নিজেকে বাচানোর জন্য আরশাদ কোন বড় ধরনের খেলা খেলছে না তো। যেখানে কয়েকদিন এইভাবে গায়েব হয়ে থেকে পরে নিজে ফিরে এসে বলবে ঘটনা শেষ, এখন মাফ করে দাও। রিয়াদের আচরণে যদিও মনে হচ্ছে হয়ত আরশার আর ম্যানেজারের সতর্কবাণী সত্যি তবে রিয়াদ তো আসলে আরশাদের বন্ধু। তাই রিয়াদ নিজেও এর সাথে জড়িত থাকতে পারে বন্ধু কে বাচানোর জন্য। তাই মুন্সীর সাথে প্রথম সাক্ষাতটা এক প্রকার চমক হয়ে এল।


নুসাইবার সাথে মুন্সীর প্রথম দেখা হল নুসাইবার অফিসে। মুন্সী ইচ্ছা করেই এখানে দেখা করল। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতর নুসাইবা নিজেকে সব সময় সেফ ভাববে, আর মানুষ যখন নিজেকে সেফ ভাবে তখন সে তার শক্তি দেখাতে চায়। মানুষের স্ট্রং পয়েন্ট জানতে হলে তাই আগে তার হোম গ্রাউন্ডে একবার খেলে নিতে হয়।  নুসাইবা এদিকে প্রথম যখন মুন্সী কে দেখে তখন কিছু ভাবে নি। প্রতিদিন অফিসে অনেক লোক আসে। তেমন কেউ হবে হয়ত ভেবেছিল। এই সময় তার রুমের সামনে এই লোকটা এসে হাজির হয়েছে। একটা সাফারি সুট পড়া। ক্লিন শেভেড। নুসাইবা বসতে বললে বসে পড়ল। নুসাইবা বলে জ্বি বলুন কেন এসেছেন? নুসাইবা সাধারণত প্রাইভেট ব্যাংকের সেকশনটা দেখে। তাই প্রাইভেট ব্যাংক রিলেটেড অনেক তদবির নিয়ে লোকেরা আসে। লোকটা বলে আমার নাম মুন্সী। আপনি আমাকে চিনবেন না। নুসাইবা বলে আপনি কোন ব্যাংকের তরফ থেকে এসেছেন। মুন্সী বলে জ্বি আমি কোন ব্যাংকের তরফ থেকে আসি নি। নুসাইবা জিজ্ঞেস করে তাহলে? মুন্সী এইবার সরাসরি প্রসংগে আসে, অনেক সময় এটা প্রতিপক্ষ কে হকচকিয়ে দেয়। মুন্সী বলে আমি আসলে আপনার হাজব্যান্ড আরশাদ সাহেবের খোজে এসেছি। মুন্সীর কথা শুনে অবাক হয়ে যায় নুসাইবা, বলে কি জন্য এসেছেন? মুন্সী মিষ্টি করে হেসে বলে আপনার  হাজব্যান্ড আরশাদ সাহেবের খোজে। প্রশ্ন করে নুসাইবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে মুন্সী। মানুষ যখন চমকে যায় তখন তার মুখ থেকে সহজে কোন অনুভূতি লুকাতে পারে না। মুন্সী নুসাইবার আচরণে টের পায় নুসাইবা এমন কিছু হতে পারে জানত। চমকে গেলেও দ্রুত সামলে উঠছে। ভাল করে খেয়াল করে নুসাইবা কে। ছবিতে যতটা সুন্দর মনে হয়েছিল তার থেকে বেশি সুন্দর নুসাইবা। খেলাটা জমবে বলে মনে হয় মুন্সীর। মুন্সীর কাছে এইটা খালি পেশা না নেশাও। মানুষ কে ব্লাকমেইল করতে একটা অমানুষিক আনন্দ হয় ওর। বিশেষ করে ক্ষমতাবান, মর্যাদাবান মানুষদের। ওর সামনে যখন নুয়ে পড়ে সেই ক্ষমতাটা খুব উপভোগ করে মুন্সী। আর যদি প্রথমে প্রতিরোধ করে তারপর নুইয়ে পড়ে তাহলে মজা আর বেশি। এমন সুন্দরী কে বশ মানানোর মত মজা খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না।

নুসাইবা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকে। বুঝে যে ভয়ের কথা আরশাদ আরা ম্যানেজার ওকে বলে গেছে সেই আতংক সরাসরি ওর সামনে। একদম ভদ্র মানুষের বেশে। নুসাইবা দ্রুত মাথার ভিতর হিসাব কষতে থাকে কি বলা যায়। কিছুই হয় নি এমনভাবে নুসাইবা বলে তাহলে উনার অফিসে যান, উনাকে ফোন দিন। মুন্সী আবার হেসে বলে ম্যাডাম আপনি মনে হয় জানেন না আপনার হাজব্যান্ড ওএসডি হয়েছে। কোন অফিস নাই উনার এখন। তার উপর গত একসাপ্তাহে ঢাকা শহরে উনাকে কোন কাকপক্ষী দেখে নায়। এমনকি উনি বাংলাদেশে আছে কিনা সেটাও ধরতে পারতেছি না। ফোন বন্ধ। তবে উনি প্লেন বা অন্য কোন উপায়ে বাংলাদেশ ক্রস করছে কিনা সেটাও বলা যাচ্ছে না কারণ কোনখানে উনার পাসপোর্টের এন্ট্রি হয় নায় এই কয়দিন। আমার মতে উনি দেশের বাইরে গেলেও অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার হয়ে গেছে। নুসাইবা আতংকিত হয়ে চুপচাপ শুনে। মুন্সী আবার নুসাইবার মুখের এক্সপ্রেসন চেক করে। হালকা ভয়ের রেখা তবে খবরটা শুনে খুবে অবাক হয় নি। তার মানে এই মহিলা জানে তার হাজব্যান্ডের খবর। মুন্সী বলে আপনি খালি একটা কথা বলেন তো উনি দেশের ভিতরে আছে না বাইরে গেছে? নুসাইবা এইবার একটু সাহস করে বলে আপনি কি আজেবাজে কথা বলছেন, আমি এখনি লোক ডেকে আপনাকে বের করে দিচ্ছি। আপনি আমার অফিস পর্যন্ত আসলেন কিভাবে? নুসাইবার উত্তর দেখে মুন্সী খুশি হয়। প্রেডিক্টেবল। আতংকিত মানুষ পালটা আক্রমণ করার চেষ্টা করে কোন উপায় না দেখলে। শিকার কোণাঠাসা করার প্রথম স্টেপ হয়ে গেছে। মুন্সী তাই হেসে বলে আরে ম্যাডাম আমি এমনিতেও যাচ্ছি আজকের মত। আমি এসেছিলাম আপনাকে দেখতে, দেখা হয়ে গেছে। তবে লোকজন ডাকবেন না কারণ তাতে আপনার লস। আপনারা যে ঘুষের টাকায় এত কিছু করেছেন এটা অফিসের লোকজন জানে? নুসাইবা একদম চুপ হয়ে যায়। মুন্সী বলে আমি ঠিক সন্দেহ করছিলাম, আপনিও জানেন ঘুষের কথা। দেখছেন ঘুষ শব্দটা শুনতেই আপনি কেমন চুপ হয়ে গেছেন। তবে আজকে আমি বেশি বসব না। আপনি ঠিক করেন এর পরের বার দেখা হলে আপনি আমার কথার উত্তর কিভাবে দিবেন কারণ এর পরের বার আমি কিন্তু আর বেশি দর কষাকষি করতে পারব না। আর আপনার হাতে অত বেশি সময় নেই কিন্তু, আমি আগামী দুই তিন দিনের ভিতর আসব দেখা করতে আবার।  আজকের মত আসি তাহলে। নুসাইবা স্তব্ধ হয়ে দেখে একটা অপরিচিত লোক কিভাবে বাংলাদেশে ব্যাংকের মত সিকিউরড জায়গায় ঢুকে তাকে ঠান্ডা মাথায় হুমকি দিয়ে গেল। আরশাদ ওকে নতুন কি এক বিপদে ফেলল?
Like Reply


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ২৫) - by কাদের - 17-11-2023, 03:24 PM



Users browsing this thread: 13 Guest(s)