14-08-2023, 10:59 AM
(This post was last modified: 14-08-2023, 11:09 AM by কাদের. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
ছ
আরশাদের পুরো মাথা খারাপ অবস্থা। একদিনে পত্রিকার রিপোর্টের পর সবাই যেন কেমন কেমন করে তাকায় মনে হয় যেন আরশাদ ঘুষের পাহাড়ের উপর বসে আছে। আরশাদ একটু আকটু সুবিধা নিয়েছে কাজের বিনিময়ে লোকের কাছ থেকে। তাও খুব কম লোকের কাছ থেকে। যাদের কাছ থেকে নিয়েছে এরা বেশির ভাগ বিগ শট। তাই একবার তারা সাহায্য করলে সেটার পরিমাণ কম হয় না। আর আরশাদ সত্যি সত্যি তার টাকা বেশ ভালভাবে শেয়ার মার্কেটে খাটিয়েছে। এই বিগশটেরা অনেক সময় সরাসরি টাকা দেয় না, দেয় ইনফরমেশন। কোন শেয়ারের দাম পড়বে কারটা বাড়বে। ইনসাইডার ট্রেডিং। কিন্তু নুসাইবা কে কোন ভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে এই বদলির আদেশ। অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারে নি। গত সাপ্তাহে দ্বায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে রাজশাহীতে এসে নতুন দ্বায়িত্ব নিতে হয়েছে। একটাই ভাল খবর যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট থেকে সেটায় তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পায় নি। তবে পত্রিকার রিপোর্টের কারণে ডিপার্টমেন্ট ওকে এখন ঢাকা থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। রাজশাহীতেও সমস্যা। আরশাদ আসলে ঢাকায় বড় হওয়া ছেলে। চাকরির শুরুর এক বছর ঢাকার বাইরে কিছুদিন ছিল। এছাড়া কলেজ, কলেজ ভার্সিটি চাকরি সব মিলিয়ে ঢাকা বা ঢাকার পাশের এক দুইটা জেলাতেই থেকেছে। রাজশাহীতে তাই মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ডিপার্টমেন্টের এক রেস্টহাউজ আছে। আপাতত সেখানে উঠেছে। খাওয়াদাওয়াতে সমস্যা। সারাজীবন বাসায় খেয়ে এসেছে। এমন কি ভার্সিটিতে থাকার সময় হলেও থাকে নি। তাই বাইরের এইসব খাবার নিয়মিত খাওয়া ঠিক শরীরে সয় না। নতুন জায়গায় এসে দেখে তার আগে যে ছিল সেই লোক কোন কাজ গুছিয়ে যায় নি। আরশাদ যত ফেভার আদান প্রদান করুক, অফিসের সব কাজ তার সব সময় গুছানো। সেখানে এরকম অগোছালো অফিসে এসে সব ঠিকঠাক করতে কষ্ট হচ্ছে। আবার খেয়াল রাখতে হচ্ছে আগের অফিসারের কোন ভুল যেন ওর ঘাড়ে না চাপে, জানে অনেকে এখনো বসে আছে ওর আর ভুল বের করতে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন এই ইমেইলের উতপাত। কি ভাবে ওর এই ইমেইল এড্রেস জানল এটা একটা রহস্য। সাধারণত ওর ল্যাপটপ দিয়ে লগিন করে। সাবধানতার জন্য মোবাইল দিয়েও লগিন করে না। মাঝে মধ্যে অফিসের কম্পিউটারে কয়েক দিন লগিন করেছিল এই ইমেইল এড্রেসে। পরে অফিসের কেউ ব্রাউজার থেকে এই ইমেইল এড্রেস বের করেছে কিনা কে জানে। কাউ কে বিশ্বাস নেই। যেভাবে সেই পত্রিকার সাংবাদিক তার খোজ বের করেছে অবিশ্বাস্য। যদিও সেকেন্ড পার্ট ঠিক করে লিখে নাই বাট আলোচনার সময় ওকে যে যে তথ্য দিয়েছে সেগুলা শুনে হা হয়ে গেছে। কিভাবে জানল এই রিপোর্টার। কে এই সোর্স। আরশাদ বিশ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল সোর্সের জন্য। সেই সাংবাদিক না করে দিয়েছে। বলেছে, টাকা খেয়ে রিপোর্ট না করতে পারি বা কমিয়ে লিখতে পারি কিন্তু সোর্স কে ধরিয়ে দিব এত খারাপ সাংবাদিক এখনো হই নি। আরশাদের বিশ্বাস যে গ্রুপ বা লোক সেই সাংবাদিকের সোর্স তারাই নিশ্চয় ওর ইমেইল বের করেছে। এই গ্রুপটাই এখন মনে হয় ওর পিছনে লেগেছে। প্রতিদিন এক লাইন বা দুই লাইনের একটা করে মেইল করে। আর কোন কথা না। একদিন আরশাদ মেইলের রিপ্লাই দিয়েছিল, হু আর ইউ। কোন উত্তর আসে নি। ওর শত্রুদের সবাই কে সন্দেহ হচ্ছে আবার মনে হচ্ছে অফিসের ভিতর ওর কাছের কেউ ওর সাথে বিট্রে করছে না তো। এক ধরনের প্যারানয়ার মধ্যে পড়ে গেছে আজকাল। আসলে লাস্ট কয়েক সাপ্তাহের পর আর কাউকে সেভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না।
এইসব এক লাইনের প্রতিটা মেইলের সাবজেক্ট লাইন এক। এবাউট ইউর ওয়াইফ। কোন দিন থাকে আজকে তোমার ওয়াইফ দারুণ হলুদ রঙের শাড়ি পড়েছিল। কোন দিন বলা থাকে আজকে তোমার ওয়াইফের সাথে গল্প করে খুব ভাল লাগল। কোন দিন থাকে তোমার ওয়াইফ কিন্তু আজকে তোমার উপর ক্ষেপে আছে। প্রতিদিন এই মেইল গুলো আসে একলাইনে। আর প্রতিটা মেইল শুদ্ধ ইংরেজিতে লেখা। আরকেটা ব্যাপার হল প্রতিটা মেইল আসলে সত্য। মানে যেদিন বলেছে হলুদ শাড়ির কথা নুসাইবা আসলেই হলুদ শাড়ি পড়েছে। যেদিন বলছে ওয়াইফ তোমার উপর ক্ষেপে আছে সেদিন নুসাইবা এর আগের রাতে ওর সাথে ঝগড় করেছে। তাই এইটা আর কনফিজ করে দিচ্ছে ওকে। আবার নুসাইবার আচরণ খুব ভাল ভাবে খেয়াল করছে আরশাদ। কোন অস্বাভাবিক কিছু নেই একটা জিনিস ছাড়া। সেটা হল নুসাইবা কেন এখনো ওর উপর রেগে ফেটে পড়ছে না। সব সময় যেভাবে রেগে গেলে উলটা পালটা বলে বা উলটা পালটা কিছু করে সেরকম কিছু করছে না কেন। একবার মনে হচ্ছে নুসাইবা কি আসলেই এই দোষে দোষী তাই ওকে কিছু বলছে না গিল্ট ফিলিংস থেকে। নাকি আসলেই নুসাইবা ওকে বিপদে সংগ দিচ্ছে। হয়ত সব কিছু শান্ত হলে তখন ওকে ধরবে। এখন এত ঝামেলার মাঝে আর ঝামেলা বাড়াতে চায় না। আরশাদ জানে না সঠিক উত্তর কি। আরশাদ খালি জানে যে ও কনফিউজড। ফ্লোরার সাথে এই ব্যাপারে কথা হয়েছে একদিন। ফ্লোরা বলেছে তুমি তোমার বউকে কেমন ভালবাস? আরশাদ বলেছে এটা তুমি জান। ফ্লোরা বলেছে তাহলে প্রথম ব্যাপার হল যে তোমাকে ইমেইল দিচ্ছে তার উদ্দ্যেশ কি সেটা বের করা। তোমার অফিসের কলিগ বা অন্য কোন শত্রু হলে তাদের উদ্দ্যেশ তোমাকে রাগিয়ে দেওয়া। নুসাইবা আর তোমার মাঝে ভাংগন ধরানো। আর যদি নুসাইবার একটা রিলেশন থাকে তাহলে সেই ছেলে কেন তোমাকে এমন মেইল দিবে? কি লাভ হবে ওর? আরশাদ বলে তাহলে এইসব খবর কিভাবে জানে। ফ্লোরা বলে এগুলা খুব কঠিন কিছু না মাই লাভ। কি শাড়ি পড়ে বেরিয়েছে সেটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা যায়। তোমরা ঝগড়া করেছ সেটা হয়ত তোমার বউ কাউকে বলেছে বা লিফটে উঠার সময় ফোনে কার সাথে কথা বলার সময় বলেছে। কেউ যদি তোমার বউ কে ফলো করে তাহলে সহজে সেখান থেকে শুনতে পারে। অথবা একটা চাপা মারছে আন্দাজ করে আর লেগে গেছে। অনেক কিছুই হতে পারে। তাই এইটাতে এত মনযোগ দিও না। আরশাদ বলে আমি এটা না জানতে পারলে শান্ত হতে পারছি না। নুসাইবা কে চার্জ করতে পারছি না কারণ যদি মিথ্যা হয় তাহলে নুসাইবা অবিশ্বাসের জন্য ভয়ংকর ক্ষেপে যাবে। আর যদি সত্যি হয় তাহলে আমি কি করব আমি জানি না। আমি যাই করি না কেন নুসাইবা কে আমি পাগলের মত ভালবাসি। ফ্লোরা তুমি সব জান। ফ্লোরা বলে তা তো জানি। ফ্লোরা বলে তুমি এক কাজ করত পার। আরশাদ বলে কি? ফ্লোরা বলে যে তোমাকে মেইল করছে সে তোমাকে তার সব কার্ড দেখাচ্ছে না। এক লাইনের মেইল করছে। এমন সব র্যান্ডম তথ্য দিচ্ছে যেগুলো সহজে যোগা করা যায়। তুমি তাই প্রেস কর। বল যদি সত্যি সত্যি তোমার ওয়াইফের সম্পর্কে এত কথা জানে তাহলে তোমার ওয়াইফের কথিত প্রেমিকের সাথে ওর ছবি দিতে। অথবা যদি নিজেই সেই প্রেমিক হয় তাহলে তোমার ওয়াইফের কিছু ইন্টিমেট ছবি দিতে। আরশাদ আতকে উঠে। বলে ইন্টিমেট ছবি? ফ্লোরা বলে চমকানোর কিছু নেই। আমার বিশ্বাস এ ফালতু লোক। এর কাছে কিছু নেই। ইন্টিমেট ছবি দিতে বলা তার সব কার্ড শো করার জন্য। যদি সত্যি সত্যি প্রেমিক হয় তাহলে দুই একটা ছবি থাকবেই। এইটা অস্বীকার করতে পারবে না যে আজকাল কেউ প্রেমের সময় প্রেমিক কে দুই একটা ইন্টিমেট ছবি দেয় নি। তাই যদি ছবি দিতে না পারে তাহলে ধরে নিতে হবে এটা ভুয়া কোন ব্লাকমেইলার। আরশাদ ভাবে বুদ্ধিটা খারাপ দেয় নি ফ্লোরা। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি বের হয়ে যাবে এবার।
আরশাদের পুরো মাথা খারাপ অবস্থা। একদিনে পত্রিকার রিপোর্টের পর সবাই যেন কেমন কেমন করে তাকায় মনে হয় যেন আরশাদ ঘুষের পাহাড়ের উপর বসে আছে। আরশাদ একটু আকটু সুবিধা নিয়েছে কাজের বিনিময়ে লোকের কাছ থেকে। তাও খুব কম লোকের কাছ থেকে। যাদের কাছ থেকে নিয়েছে এরা বেশির ভাগ বিগ শট। তাই একবার তারা সাহায্য করলে সেটার পরিমাণ কম হয় না। আর আরশাদ সত্যি সত্যি তার টাকা বেশ ভালভাবে শেয়ার মার্কেটে খাটিয়েছে। এই বিগশটেরা অনেক সময় সরাসরি টাকা দেয় না, দেয় ইনফরমেশন। কোন শেয়ারের দাম পড়বে কারটা বাড়বে। ইনসাইডার ট্রেডিং। কিন্তু নুসাইবা কে কোন ভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে এই বদলির আদেশ। অনেক চেষ্টা করেও আটকাতে পারে নি। গত সাপ্তাহে দ্বায়িত্ব হ্যান্ডওভার করে রাজশাহীতে এসে নতুন দ্বায়িত্ব নিতে হয়েছে। একটাই ভাল খবর যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট থেকে সেটায় তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পায় নি। তবে পত্রিকার রিপোর্টের কারণে ডিপার্টমেন্ট ওকে এখন ঢাকা থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। রাজশাহীতেও সমস্যা। আরশাদ আসলে ঢাকায় বড় হওয়া ছেলে। চাকরির শুরুর এক বছর ঢাকার বাইরে কিছুদিন ছিল। এছাড়া কলেজ, কলেজ ভার্সিটি চাকরি সব মিলিয়ে ঢাকা বা ঢাকার পাশের এক দুইটা জেলাতেই থেকেছে। রাজশাহীতে তাই মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ডিপার্টমেন্টের এক রেস্টহাউজ আছে। আপাতত সেখানে উঠেছে। খাওয়াদাওয়াতে সমস্যা। সারাজীবন বাসায় খেয়ে এসেছে। এমন কি ভার্সিটিতে থাকার সময় হলেও থাকে নি। তাই বাইরের এইসব খাবার নিয়মিত খাওয়া ঠিক শরীরে সয় না। নতুন জায়গায় এসে দেখে তার আগে যে ছিল সেই লোক কোন কাজ গুছিয়ে যায় নি। আরশাদ যত ফেভার আদান প্রদান করুক, অফিসের সব কাজ তার সব সময় গুছানো। সেখানে এরকম অগোছালো অফিসে এসে সব ঠিকঠাক করতে কষ্ট হচ্ছে। আবার খেয়াল রাখতে হচ্ছে আগের অফিসারের কোন ভুল যেন ওর ঘাড়ে না চাপে, জানে অনেকে এখনো বসে আছে ওর আর ভুল বের করতে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে নতুন এই ইমেইলের উতপাত। কি ভাবে ওর এই ইমেইল এড্রেস জানল এটা একটা রহস্য। সাধারণত ওর ল্যাপটপ দিয়ে লগিন করে। সাবধানতার জন্য মোবাইল দিয়েও লগিন করে না। মাঝে মধ্যে অফিসের কম্পিউটারে কয়েক দিন লগিন করেছিল এই ইমেইল এড্রেসে। পরে অফিসের কেউ ব্রাউজার থেকে এই ইমেইল এড্রেস বের করেছে কিনা কে জানে। কাউ কে বিশ্বাস নেই। যেভাবে সেই পত্রিকার সাংবাদিক তার খোজ বের করেছে অবিশ্বাস্য। যদিও সেকেন্ড পার্ট ঠিক করে লিখে নাই বাট আলোচনার সময় ওকে যে যে তথ্য দিয়েছে সেগুলা শুনে হা হয়ে গেছে। কিভাবে জানল এই রিপোর্টার। কে এই সোর্স। আরশাদ বিশ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিল সোর্সের জন্য। সেই সাংবাদিক না করে দিয়েছে। বলেছে, টাকা খেয়ে রিপোর্ট না করতে পারি বা কমিয়ে লিখতে পারি কিন্তু সোর্স কে ধরিয়ে দিব এত খারাপ সাংবাদিক এখনো হই নি। আরশাদের বিশ্বাস যে গ্রুপ বা লোক সেই সাংবাদিকের সোর্স তারাই নিশ্চয় ওর ইমেইল বের করেছে। এই গ্রুপটাই এখন মনে হয় ওর পিছনে লেগেছে। প্রতিদিন এক লাইন বা দুই লাইনের একটা করে মেইল করে। আর কোন কথা না। একদিন আরশাদ মেইলের রিপ্লাই দিয়েছিল, হু আর ইউ। কোন উত্তর আসে নি। ওর শত্রুদের সবাই কে সন্দেহ হচ্ছে আবার মনে হচ্ছে অফিসের ভিতর ওর কাছের কেউ ওর সাথে বিট্রে করছে না তো। এক ধরনের প্যারানয়ার মধ্যে পড়ে গেছে আজকাল। আসলে লাস্ট কয়েক সাপ্তাহের পর আর কাউকে সেভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না।
এইসব এক লাইনের প্রতিটা মেইলের সাবজেক্ট লাইন এক। এবাউট ইউর ওয়াইফ। কোন দিন থাকে আজকে তোমার ওয়াইফ দারুণ হলুদ রঙের শাড়ি পড়েছিল। কোন দিন বলা থাকে আজকে তোমার ওয়াইফের সাথে গল্প করে খুব ভাল লাগল। কোন দিন থাকে তোমার ওয়াইফ কিন্তু আজকে তোমার উপর ক্ষেপে আছে। প্রতিদিন এই মেইল গুলো আসে একলাইনে। আর প্রতিটা মেইল শুদ্ধ ইংরেজিতে লেখা। আরকেটা ব্যাপার হল প্রতিটা মেইল আসলে সত্য। মানে যেদিন বলেছে হলুদ শাড়ির কথা নুসাইবা আসলেই হলুদ শাড়ি পড়েছে। যেদিন বলছে ওয়াইফ তোমার উপর ক্ষেপে আছে সেদিন নুসাইবা এর আগের রাতে ওর সাথে ঝগড় করেছে। তাই এইটা আর কনফিজ করে দিচ্ছে ওকে। আবার নুসাইবার আচরণ খুব ভাল ভাবে খেয়াল করছে আরশাদ। কোন অস্বাভাবিক কিছু নেই একটা জিনিস ছাড়া। সেটা হল নুসাইবা কেন এখনো ওর উপর রেগে ফেটে পড়ছে না। সব সময় যেভাবে রেগে গেলে উলটা পালটা বলে বা উলটা পালটা কিছু করে সেরকম কিছু করছে না কেন। একবার মনে হচ্ছে নুসাইবা কি আসলেই এই দোষে দোষী তাই ওকে কিছু বলছে না গিল্ট ফিলিংস থেকে। নাকি আসলেই নুসাইবা ওকে বিপদে সংগ দিচ্ছে। হয়ত সব কিছু শান্ত হলে তখন ওকে ধরবে। এখন এত ঝামেলার মাঝে আর ঝামেলা বাড়াতে চায় না। আরশাদ জানে না সঠিক উত্তর কি। আরশাদ খালি জানে যে ও কনফিউজড। ফ্লোরার সাথে এই ব্যাপারে কথা হয়েছে একদিন। ফ্লোরা বলেছে তুমি তোমার বউকে কেমন ভালবাস? আরশাদ বলেছে এটা তুমি জান। ফ্লোরা বলেছে তাহলে প্রথম ব্যাপার হল যে তোমাকে ইমেইল দিচ্ছে তার উদ্দ্যেশ কি সেটা বের করা। তোমার অফিসের কলিগ বা অন্য কোন শত্রু হলে তাদের উদ্দ্যেশ তোমাকে রাগিয়ে দেওয়া। নুসাইবা আর তোমার মাঝে ভাংগন ধরানো। আর যদি নুসাইবার একটা রিলেশন থাকে তাহলে সেই ছেলে কেন তোমাকে এমন মেইল দিবে? কি লাভ হবে ওর? আরশাদ বলে তাহলে এইসব খবর কিভাবে জানে। ফ্লোরা বলে এগুলা খুব কঠিন কিছু না মাই লাভ। কি শাড়ি পড়ে বেরিয়েছে সেটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা যায়। তোমরা ঝগড়া করেছ সেটা হয়ত তোমার বউ কাউকে বলেছে বা লিফটে উঠার সময় ফোনে কার সাথে কথা বলার সময় বলেছে। কেউ যদি তোমার বউ কে ফলো করে তাহলে সহজে সেখান থেকে শুনতে পারে। অথবা একটা চাপা মারছে আন্দাজ করে আর লেগে গেছে। অনেক কিছুই হতে পারে। তাই এইটাতে এত মনযোগ দিও না। আরশাদ বলে আমি এটা না জানতে পারলে শান্ত হতে পারছি না। নুসাইবা কে চার্জ করতে পারছি না কারণ যদি মিথ্যা হয় তাহলে নুসাইবা অবিশ্বাসের জন্য ভয়ংকর ক্ষেপে যাবে। আর যদি সত্যি হয় তাহলে আমি কি করব আমি জানি না। আমি যাই করি না কেন নুসাইবা কে আমি পাগলের মত ভালবাসি। ফ্লোরা তুমি সব জান। ফ্লোরা বলে তা তো জানি। ফ্লোরা বলে তুমি এক কাজ করত পার। আরশাদ বলে কি? ফ্লোরা বলে যে তোমাকে মেইল করছে সে তোমাকে তার সব কার্ড দেখাচ্ছে না। এক লাইনের মেইল করছে। এমন সব র্যান্ডম তথ্য দিচ্ছে যেগুলো সহজে যোগা করা যায়। তুমি তাই প্রেস কর। বল যদি সত্যি সত্যি তোমার ওয়াইফের সম্পর্কে এত কথা জানে তাহলে তোমার ওয়াইফের কথিত প্রেমিকের সাথে ওর ছবি দিতে। অথবা যদি নিজেই সেই প্রেমিক হয় তাহলে তোমার ওয়াইফের কিছু ইন্টিমেট ছবি দিতে। আরশাদ আতকে উঠে। বলে ইন্টিমেট ছবি? ফ্লোরা বলে চমকানোর কিছু নেই। আমার বিশ্বাস এ ফালতু লোক। এর কাছে কিছু নেই। ইন্টিমেট ছবি দিতে বলা তার সব কার্ড শো করার জন্য। যদি সত্যি সত্যি প্রেমিক হয় তাহলে দুই একটা ছবি থাকবেই। এইটা অস্বীকার করতে পারবে না যে আজকাল কেউ প্রেমের সময় প্রেমিক কে দুই একটা ইন্টিমেট ছবি দেয় নি। তাই যদি ছবি দিতে না পারে তাহলে ধরে নিতে হবে এটা ভুয়া কোন ব্লাকমেইলার। আরশাদ ভাবে বুদ্ধিটা খারাপ দেয় নি ফ্লোরা। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি বের হয়ে যাবে এবার।