Thread Rating:
  • 185 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ৩২ )
আপডেট ১৯



মাহফুজ গত কিছুক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে সোলায়মান শেখের জন্য। ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে একটু সামনে এগুলেই কয়েকটা চায়ের দোকান আছে রাস্তার উপর। এরকম এক চায়ের দোকানে মাহফুজ অপেক্ষা করছে। সোলায়মান শেখ বলেছে দশ মিনিট লাগবে। মাহফুজ ঘড়ি চেক করছে দশ মিনিট চলে গেছে আর পাচ মিনিট আগে। হাতের চায়ের কাপের চা প্রায় তলানিতে। কাপে শেষ চুমুক দিয়ে একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতেই সোলায়মান শেখ এসে হাজির। এসেই জিজ্ঞেস করল কি খবর মাহফুজ ভাই। মাহফুজ উত্তর দিল ভাল। আপনার খবর কি। সোলায়মান শেখ উত্তর দিল ভাল। মাহফুজ জানতে চাইল, ভাই আমার কাজের কতদূর কি করলেন। সোলায়মান শেখ বলল, দাড়ান আগে একটু বসে নেই। এই বলে দোকানে দুই কাপ চায়ের অর্ডার দিল। দোকানে থেকে একটা বেনসন নিয়ে আগুন ধরাতে ধরাতে বলল, আপনার জন্য ভাল খবর আছে। উৎসুক দৃষ্টিতে মাহফুজ তাকাল। সিগারেটে একটা লম্বা টান দিয়ে কয়েক সেকেন্ড বিরতি নিল সোলায়মান শেখ, এরপর মুখের ভিতর থেকে একরাশ ধোয়া ছেড়ে বলল অবশেষে কিছু খবর পাওয়া গেছে। আপনাকে আগে বলছিলাম না কোন খবর জোগাড় করতে পারি নাই সেরকম। মাহফুজ মাথা নাড়ে হ্যা। সোলায়মান বলে এরপর আর জোর চেষ্টা করছি খবর জোগাড়ের। এরপর কিছু খবর বের হইছে। আপনার এই আরশাদ সাহেব দেখতে যত সহজ সরল মনে হয় অত সহজ সরল না। ভিতরে প্যাচ আছে। মাহফুজ কান খাড়া করে শুনছে ওর দুই লক্ষ টাকা কি কাজে লাগল সেটা জানার জন্য। সোলায়মান শেখ বলল, আপনাকে বলছিলাম দুই তিন সাপ্তাহে খবর জোগাড় করে দিতে পারব তবে আরশাদ সাহেব ভাল চালাক লোক। তাই কিছুদিন দেরি হয়ে গেল। মাহফুজ বলল, কি খবর জোগাড় করতে পারলেন শেষ পর্যন্ত?



সোলায়মান শেখ তার আরশাদ কাহিনী শুরু করে। আরশাদ সাহেব সম্পর্কে খোজ জোগাড় করা যে কঠিন সেইটা তো আমি আপনারে আগেই বলছিলাম। সরকারি ফার্স্টক্লাস অফিসার তার উপর ট্যাক্সের কমিশনার। এইসব খবর জোগাড় করতে গেলে সাবধানে করতে হয়। একটু এদিক ঐদিক হলে আমার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে। তাই সব জায়গায় সরাসরি প্রশ্ন করা যায় না। ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে প্রশ্ন করে তার থেকে ইনফরমেশন বের করতে হয়। আর আরশাদ সাহেব অফিসে যে ভাবমূর্তি তৈরি করে রেখেছে তাতে তার সম্পর্কে খোজ যোগাড় করা আর কঠিন। তার অফিসের পিয়ন, টাইপিস্ট থেকে শুরু করে গাড়ির ড্রাইভার সবগুলা আরশাদ সাহেবের একদম খাস লোক। তাই আর কষ্ট হইছে খবর যোগাড় করতে। মাহফুজ সোলায়মান শেখের ভূমিকা শুনতে শুনতে অপেক্ষা করে কবে মূল কাহিনীতে ঢুকবে গল্প। সোলায়মান শেখ তার গল্প চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতকিছুর পরেও আমার নাম সোলায়মান শেখ। এই ঢাকা ডিবি অফিসে যখন কেউ কোন খোজ বের কতে পারে না তখন এই সোলায়মান শেখের ডাক পড়ে। পুলিশের বড় বড় অফিসাররা এমনি এমনি এই সোলায়মান শেখের উপর ভরসা রাখে? না, তারা ভরসা রাখে কারণ সোলায়মান শেখ কে দিয়ে কাজ হবে তারা জানে। আপনিও ভয় পাইয়েন না। আপনার কাজও করছি। তবে বহু শ্রম দিতে হইছে। টানা এক সাপ্তাহ আমারে বিকাল বেলা ফলো করার পর বের করতে পারছি প্রথম কেসের প্রথম সূত্র। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে কি সূত্র বের করলেন? সোলায়মান শেখ উত্তর দেয়, আরশাদ সাহেবের যতটা সৎ হিসেবে সুনাম উনি তত সৎ না। বরং উনি বাকিদের থেকে চালাক বেশি তাই উনার কোন টাকা পয়সার খবর কার কানে যায় না। মাহফুজ জিজ্ঞেস করে কিভাবে বুঝলেন? সোলায়মান শেখ বলে, তার আগে বলেন উত্তরা রেস্টহাউজের নাম শুনেছেন? মাহফুজ উত্তর দেয়, না। সোলায়মান শেখ বলে শোনার কথা না। এই ঢাকা শহরের অল্প কিছু মানুষ আসলে এর অস্তিত্বের কথা জানে। এটা ঢাকা শহরের সুপার রিচ আর পাওয়ারফুলদের জন্য একটা ক্যাসিনো। এখানে সহজে কার এক্সেস নাই। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে সাধারণ কোন একটা দুইতালা পুরাতন বিল্ডিং। কিন্তু ভিতরে সব অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ দারুণ একটা বিল্ডিং। এখানে ঢুকতে হলে ক্লাবের মেম্বারদের কার ইনভাইটেশন লাগে। সাধরণত প্রচন্ড বড়লোকেরা এখানে জুয়া খেলে। এরা নিজেদের মেম্বারদের নিরাপত্তা নিয়ে খুব সচেতন। আমি ঢাকায় ডিবিতে দশ বছর চাকরি করার পর এক কেসের তদন্ত করতে গিয়ে প্রথম এর কথা জানতে পারি। পুলিশে এই ঢাকা শহরে বিশ বছর চাকরি করেও বেশির ভাগ লোক এটার অস্বিত্বের কথা জানে না। তাই এই ক্লাবে আরশাদ সাহেব কে ঢুকতে দেখে আমি প্রথমে অবাক হইছিলাম। প্রতিদিন এখানে যারা আসে তাদের শুরুতেই পঞ্চাশ হাজার টাকা ডিপজিট দিতে হয় প্রতি রাতের জন্য। এটা খালি এন্ট্রি ফি। এরপর জুয়ার টেবিলে তুমি যা খেলবে সেটার পরিমাণ আলাদা। এই ক্লাবের ভিতরে আমার ঢুকার কোন সুযোগ নাই। তবে এই ক্লাবে আমার একজন সোর্স আছে। সেই সোর্স আমাকে নিশ্চিত করছে আরশাদ সাহেব সাধারণত সাপ্তাহে একদিন আসেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে। আসলে প্রায় তিন চার ঘন্টা থাকেন। প্রতিবার আসলে প্রায় এক লক্ষ টাকার মত নিয়ে জুয়ার টেবিলে বসেন। উনার খেলার হাত খুব একটা ভাল না। প্রায় প্রতিবার সব টাকা হারান। খেলার সময় খুব হালকা ড্রিংক করেন। মাহফুজ প্রশ্ন করল, তার মানে আরশাদ সাহেবের জুয়া খেলার এবং ড্রিংক করার অভ্যাস আছে। সোলায়মান শেখ বলে, আপনি তো মূল পয়েন্টটা এড়িয়ে গেলেন। মাহফুজ আবার জিজ্ঞেস করে, সেটা কী? সোলায়মান শেখ বলে, চিন্তা করে দেখেন। উনি প্রতি মাসে গড়ে চার থেকে পাচ বার এই ক্লাবে যান। প্রতিবার গেলে শুরুর ডিপজিট আর জুয়ার টাকা বাবদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত খরচ হয়। তার মানে প্রতি মাসে সাত আট লাখ টাকা খালি উনি এই ক্লাবে খরচ করেন। আরশাদ সাহেব ট্যাক্সের কমিশনার হতে পারেন কিন্তু সরকার এমন কোন বেতন দেয় না যে উনি মাসে এত টাকা খরচ করতে পারবেন এই ক্লাবে। ইনফ্যাক্ট যে  সরকারী  বেতন উনি পুরো বছর জুড়ে পান সেই টাকায় উনার এক মাসের জুয়ার খরচ উঠবে না ঠিক করে। তার মানে তার বেতনের বাইরে ইনকাম সোর্স আছে। আর সেটা যে ঘুষ সেটা তো আর বলে দিতে হবে না। মাহফুজ মাথা নাড়ায়। বেশ গূরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য পাওয়া গেছে।



সোলায়মান শেখ জিজ্ঞেস করে, এই তথ্য দিয়ে কি করবেন ঠিক করছেন। মাহফুজ বলে এখনো ঠিক করি নাই। তবে কোন না কোন জায়গায় কাজে লাগবে এটা তো বুঝতে পারছি। মাহফুজ এবার জিজ্ঞেস করে, উনি যে ঘুষ খান এর সরাসরি কোন প্রমাণ যোগাড় করে দিতে পারবেন? নিদেনপক্ষে ঘুষ খেয়েছেন এমন কিছু কেস? সোলায়মান শেখ বলে, এটা করতে গেলে অফিসের ফাইল ঘাটতে হবে বা সরাসরি অফিসের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কোন অফিসিয়াল পারমিশন ছাড়া এতবড় একজন সরকারী অফিসারে পিছনে এইসব খোজ খোবর করতে গেলে আমার চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। মাহফুজ বলে বুঝেছি। মাহফুজ এবার সোলায়মান শেখ কে তার বাকি টাকা বুঝিয়ে দেয়। কথা হয় এরপর যদি এমন কোন দরকার হয় তাহলে সোলায়মান শেখ আবার হেল্প করতে পারবে। বিশেষ করে যদি কার সন্দেহ না জাগিয়ে কোন খবর জোগাড় করে দিতে হয় তাহলে সেটা সোলায়মান শেখ করে দিবে উপযুক্ত মূল্যের বিনিময়ে।



সোলায়মান শেখের সাথে কথোপকথনের পর মাহফুজ ওর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে থাকে। নুসাইবা আর আরশাদ সাহেব ওর পিছনে ওর খোজ খবর করছে এটা এখন ও নিশ্চিত। আবার ওকে ডেকে একটা অনুষ্ঠান আয়োজনের দ্বায়িত্ব দিয়ে দিয়েছে। সেটা এক সাথে ভাল খারাপ দুইটাই হতে পারে। খারাপ হল, এই কাজে ঝামেলা হলে সব দোষ ওর উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। আর মাত্র দশ বার দিনে এই কাজ ভাল করে করা বেশ কঠিন। আর ভাল দিক হল, কাজের সূত্রে আরশাদ আর নুসাইবার সাথে ভাল করে মিশা যাবে। তাদের চরিত্র, মেন্টালিটি সব বুঝা সহজ হবে। হয়ত কাজের সূত্রে মন জয় করার সুযোগও পেয়ে যেতে পারে। আর সোলায়মান শেখ কে দিয়ে যোগাড় করা খবর কিভাবে কাজে লাগাবে সেটার একটা হালকা প্ল্যানও মাথার ভিতর ঘুরছে। তবে সেই প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে গেলে আর কিছু ইনফরমেশন দরকার। সেই তথ্য গুলো কিভাবে যোগাড় করা যায় সেটাই ভাবতে থাকে মাহফুজ।
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.


Messages In This Thread
RE: অঘটনঘটন পটিয়সী (নতুন আপডেট ১৮) - by কাদের - 28-06-2023, 11:05 AM



Users browsing this thread: 8 Guest(s)