17-02-2023, 09:53 PM
ঘ্যাঁচ ! বিকট শব্দ করে বাস থেমে গেল ৷ সামনের বরের হোন্ডা গাড়িতে ২-৩ টে লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘিরে রেখেছে ৷ এরা কে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ৷ ধীরাজ ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করলো কি ব্যাপার ! ড্রাইভার চিৎকার করে সবাইকে সাবধান করলো "ডাকাত পড়েছে! সবাই সাবধান গাড়ি ছেড়ে কেউ বাইরে যাবেননা ৷ "
দুটো গাড়ির সামনে একটা লোক বড় দোনলা রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে আছে ৷ ধীরাজ সবাইকে পুলিশে ফোনে করতে মানা করলো ৷ কারণ বরের ঘাড়ে বন্দুক রাখা আছে ৷ এই রাস্তায় সন্ধ্যের পর বিশেষ গাড়ি চলাচল করে না ৷ জঙ্গলের একটা ব্যাকের মাটির রাস্তায় দুটো গাড়ি নিয়ে যেতে ইশারা করলো ৷ এই মাটির রাস্তা ধরে জঙ্গলের কিছু আদিবাসী গ্রামে যাওয়া যায় ৷ বরের গাড়িতে ঠেলে রিভলবার নিয়ে একজন উঠে গেল ৷ বাসের ভিতরে থম থমে ৷ সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে ভয়ে বসে আছে ৷ মহিলারা গয়না টাকা পয়সা লুকোতে ব্যস্ত ৷ কিন্তু বাসে লুকোবে বা কোথায় ! মিনিট ৪ বরের গাড়ি ফলো করতে একটা ফাঁকা নদীর বাকে এসে পৌঁছল সবাই ৷ চারিদিক ঘন বন আর টিলা দিয়ে ঘেরা জায়গা ৷ দুটো গাড়ি পৌছতেই আরও ৭-৮ জন সেখানে অপেক্ষা করছিল ৷ সবার হাতেই পিস্তল মুখে কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ৷ বড়রা মহিলারা বাচ্চাদের পিছনের দিকে বসে আগলে রইলো ৷ পুরুষরা বাসের সামনের দিকে। ধীরাজ সবাইকে পুলিশে ফোনে করতে মানা করলো ৷ কারণ বরের ঘাড়ে বন্দুক রাখা আছে ৷ ঠিক হল যাই কিছু হোক কেউ নিচে নামবে না বাস থেকে ৷ এরকম অভিজ্ঞতায় কি করা উচিত তা কারোরই জানা নেই ৷ ১০-১২ জনের মধ্যে একজন ডাকাত বাসের কাছে টোকা দিয়ে দরজা খুলতে বলল ৷ ধীরাজ জিজ্ঞাসা করলো কি করবে ড্রাইভারকে ! ড্রাইভার বলল "খুলে দিন নাহলে গুলিগল্লা চালাবে তাতে আরও ক্ষতি, প্রাণ বাঁচলে সব বাঁচবে ৷" ধীরাজ আস্তে দরজা খুলতেই একজন বোধ হয় সেইই নেতা বা সর্দার, বন্দুকের বাট দিয়ে ধীরাজের মাথায় মারতেই গল গল করে মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে লাগলো ৷ "সবাই চুপ চাপ থাক, সবার মোবাইল ফোন এই ব্যাগে দিয়ে দাও ! কথা শুনলে আমরা তোমাদের কোনও ক্ষতি করব না ৷" আরেকজন একটা ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে বাস থেকে মোবাইল ফোন গুলো নিয়ে নিচে নেমে গেল ৷ যারা দিতে চাইছিল না তাদের চড় থাপ্পড় মেরে ভোজালি বা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারার উপক্রম করছিল ৷ প্রাণ ভয়ে কেউ মোবাইল রাখার সাহস করলো না ৷ বাসে ৪ জন ৪ জায়গায় দাঁড়িয়ে ৷ বাসের ভিতর থেকে ঠিক বোঝা না গেলেও হোন্ডা গাড়ির সবাইকে লুটে নেওয়া হয়ে গেছে ৷ গাড়িতেই মোহিতকে আর মোহিতের মামাকে বেঁধে রেখেছে তারা ৷ প্রায় ল্যাংটা করে দিয়েছে সবাইকে লুটে ৷ আরও দুজন বাসে উঠে একজন অল্পবয়স্কা মহিলাকে থাটিয়ে গালে চড় মারতে ছেলেরা বলে উঠলো "ভাই মারবেন না আমরা সব দিয়ে দিচ্ছি !" দুজনের দ্বিতীয় জন যে সর্দার মনে হলও সে আরেকজন কে হুকুম করলো " সবার কাছে যা সোনা দানা, টাকা পয়সা আছে তা যেন এই কাপড়ের ব্যাগে ঢেলে দেয় ৷ " কিন্তু কারোর গায়েই বিশেষ সোনা দানা দেখা যাচ্ছিল না ৷" সাজগোজ বেশ হলেও অধিকাংশ মহিলাদের গলা কানেও দুল বা হার বা হাতে বালা চোখে পড়ছিল না ৷ এটা ডাকাত-দের কাছে নতুন নয় ৷ প্রভা দেবী তার গলার ৪ ভরির হার খুলতে পারেন নি ৷ গলা ঢাকা থাকলেও সর্দারের বেশি বুঝতে অসুবিধা হল না যে প্রভাদেবীর গলায় হার আছে ৷ গলায় হাত দিয়ে হার ছিঁড়ে নিতে যাবে প্রভাদেবী রাগের চটে সর্দারকে ঠাস করে কষে চড় বসিয়ে দিলেন ৷ এটা সর্দারের চরম অপমান তাও সঙ্গী সাথীদের সামনে ৷ সঙ্গীরা সর্দারের হুকুমের অপেক্ষা না করেই তিন চারজন বয়স্ক মানুষকে কিল চড় চাপড় মেরে আহত করে দিতেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ৷ এরকম মার সাধারণত খেয়ে মাটিতেই লুটিয়ে পড়তে হয়, উঠে দাঁড়াবার অবস্থা থাকে না ৷
দুটো গাড়ির সামনে একটা লোক বড় দোনলা রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে আছে ৷ ধীরাজ সবাইকে পুলিশে ফোনে করতে মানা করলো ৷ কারণ বরের ঘাড়ে বন্দুক রাখা আছে ৷ এই রাস্তায় সন্ধ্যের পর বিশেষ গাড়ি চলাচল করে না ৷ জঙ্গলের একটা ব্যাকের মাটির রাস্তায় দুটো গাড়ি নিয়ে যেতে ইশারা করলো ৷ এই মাটির রাস্তা ধরে জঙ্গলের কিছু আদিবাসী গ্রামে যাওয়া যায় ৷ বরের গাড়িতে ঠেলে রিভলবার নিয়ে একজন উঠে গেল ৷ বাসের ভিতরে থম থমে ৷ সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে ভয়ে বসে আছে ৷ মহিলারা গয়না টাকা পয়সা লুকোতে ব্যস্ত ৷ কিন্তু বাসে লুকোবে বা কোথায় ! মিনিট ৪ বরের গাড়ি ফলো করতে একটা ফাঁকা নদীর বাকে এসে পৌঁছল সবাই ৷ চারিদিক ঘন বন আর টিলা দিয়ে ঘেরা জায়গা ৷ দুটো গাড়ি পৌছতেই আরও ৭-৮ জন সেখানে অপেক্ষা করছিল ৷ সবার হাতেই পিস্তল মুখে কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ৷ বড়রা মহিলারা বাচ্চাদের পিছনের দিকে বসে আগলে রইলো ৷ পুরুষরা বাসের সামনের দিকে। ধীরাজ সবাইকে পুলিশে ফোনে করতে মানা করলো ৷ কারণ বরের ঘাড়ে বন্দুক রাখা আছে ৷ ঠিক হল যাই কিছু হোক কেউ নিচে নামবে না বাস থেকে ৷ এরকম অভিজ্ঞতায় কি করা উচিত তা কারোরই জানা নেই ৷ ১০-১২ জনের মধ্যে একজন ডাকাত বাসের কাছে টোকা দিয়ে দরজা খুলতে বলল ৷ ধীরাজ জিজ্ঞাসা করলো কি করবে ড্রাইভারকে ! ড্রাইভার বলল "খুলে দিন নাহলে গুলিগল্লা চালাবে তাতে আরও ক্ষতি, প্রাণ বাঁচলে সব বাঁচবে ৷" ধীরাজ আস্তে দরজা খুলতেই একজন বোধ হয় সেইই নেতা বা সর্দার, বন্দুকের বাট দিয়ে ধীরাজের মাথায় মারতেই গল গল করে মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে লাগলো ৷ "সবাই চুপ চাপ থাক, সবার মোবাইল ফোন এই ব্যাগে দিয়ে দাও ! কথা শুনলে আমরা তোমাদের কোনও ক্ষতি করব না ৷" আরেকজন একটা ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে বাস থেকে মোবাইল ফোন গুলো নিয়ে নিচে নেমে গেল ৷ যারা দিতে চাইছিল না তাদের চড় থাপ্পড় মেরে ভোজালি বা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারার উপক্রম করছিল ৷ প্রাণ ভয়ে কেউ মোবাইল রাখার সাহস করলো না ৷ বাসে ৪ জন ৪ জায়গায় দাঁড়িয়ে ৷ বাসের ভিতর থেকে ঠিক বোঝা না গেলেও হোন্ডা গাড়ির সবাইকে লুটে নেওয়া হয়ে গেছে ৷ গাড়িতেই মোহিতকে আর মোহিতের মামাকে বেঁধে রেখেছে তারা ৷ প্রায় ল্যাংটা করে দিয়েছে সবাইকে লুটে ৷ আরও দুজন বাসে উঠে একজন অল্পবয়স্কা মহিলাকে থাটিয়ে গালে চড় মারতে ছেলেরা বলে উঠলো "ভাই মারবেন না আমরা সব দিয়ে দিচ্ছি !" দুজনের দ্বিতীয় জন যে সর্দার মনে হলও সে আরেকজন কে হুকুম করলো " সবার কাছে যা সোনা দানা, টাকা পয়সা আছে তা যেন এই কাপড়ের ব্যাগে ঢেলে দেয় ৷ " কিন্তু কারোর গায়েই বিশেষ সোনা দানা দেখা যাচ্ছিল না ৷" সাজগোজ বেশ হলেও অধিকাংশ মহিলাদের গলা কানেও দুল বা হার বা হাতে বালা চোখে পড়ছিল না ৷ এটা ডাকাত-দের কাছে নতুন নয় ৷ প্রভা দেবী তার গলার ৪ ভরির হার খুলতে পারেন নি ৷ গলা ঢাকা থাকলেও সর্দারের বেশি বুঝতে অসুবিধা হল না যে প্রভাদেবীর গলায় হার আছে ৷ গলায় হাত দিয়ে হার ছিঁড়ে নিতে যাবে প্রভাদেবী রাগের চটে সর্দারকে ঠাস করে কষে চড় বসিয়ে দিলেন ৷ এটা সর্দারের চরম অপমান তাও সঙ্গী সাথীদের সামনে ৷ সঙ্গীরা সর্দারের হুকুমের অপেক্ষা না করেই তিন চারজন বয়স্ক মানুষকে কিল চড় চাপড় মেরে আহত করে দিতেই তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ল ৷ এরকম মার সাধারণত খেয়ে মাটিতেই লুটিয়ে পড়তে হয়, উঠে দাঁড়াবার অবস্থা থাকে না ৷