Thread Rating:
  • 97 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance ছাইচাপা আগুন ।।কামদেব
।।১১০।।


মনসিজ রেলিং-এ ভর দিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে।চেনা জানা কাউকে নজরে পড়ছে না।হারুমামা এল মনে হচ্ছে।সন্ধ্যে হয়ে এল বৌদি বলেছিল আসবে।আসবে যখন বলেছে আসবে।অফিস হতে ট্রাফিক পেরিয়ে আসতে হয়।
হারাধন বাবু ঢুকে বললেন,এখানে কবে এলি? 
--এইতো গতকাল।।দাদাকে দেখে হিমানীদেবী স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।হারাধনবাবু সোফায় বসে চারদিক দেখেন বিয়েবাড়ী বলে মনে হচ্ছে না।সুভদ্রা চা দিয়ে গেল।
হারাধনবাবু বললেন,এটি আবার কে?
--পবন আমাদের রান্না করে তার বউ।
--অ বাবুর্চি।
--বড়দা তুমি কিন্তু বরকর্তা।
--সব ঠীকঠাক করে এখন বরকর্তা।মেয়ে কোথাকার?
--চাকদা।
--চাকদা?এতো আমার বাড়ীর পাশে।তোদের আক্কেল দেখে অবাক লাগে।লাখ কথার পর বিয়ে।বংশ পরিচয় মেয়ের স্বভাবচরিত্র লেখা পড়া কতদূর করেছে না করলে কেণ করেনি সব জানতে হয়।
 হিমানীদেবীর নজরে পড়ল মনু একজন মহিলাকে নিজের ঘরে নিয়ে গেল।বেরিয়ে সুভদ্রাকে চা দিতে বলে এলেন।হিমানীদেবী ফিরে আসতে হারাধনবাবু জিজ্ঞেস করেন,দেনা পাওনার কথা কি হয়েছে?
--ওসব মনু জানে।
এলিনা বৌদির হাতে এক গুচ্ছ কার্ড দেখে মনসিজ অবাক।কার্ড হাতে নিয়ে দেখল কালকের মত প্রিণ্ট করা।সুন্দর লাগছে।জিজ্ঞেস করল,এগূলো কোথায় পেলে?কার্ড কিনে কম্পিউটারে প্রিন্ট করলাম।কেমন হয়েছে?
--দারুণ হয়েছে।কত খরচ পড়ল?
এলিনার ভ্রু কুচকে যায় জিজ্ঞেস করে,তুই কি টাকা দিবি?লোকের কার্ড করে দেওয়া কি আমার কাজ?
এলিনা বৌদির চোখ ছল ছল করে।মনসিজ দুহাতে ধরে বলল,স্যরি বৌদি ভুল হয়ে গেছে।
--নিজের মত ভেবে যেচে আমি দায়িত্ব নিয়েছি।
--বলছি তো ভুল হয়ে গেছে।
এলিনাবৌদি হেসে বলল,তোর উপর রাগ করতে পারিনা এই আমার দুর্বলতা।
মনু-মনু বলতে বলতে হারাধন বাবু ঢুকলেন।মনসিজ বলল,এসো মামা।বৌদি এই হচ্ছে আমার বড় মামা।
হারাধন বাবু এক নজর এলিনাকে দেখে নিয়ে ভাগ্নেকে জিজ্ঞেস করেন,দেনা-পাওনার কথা কি হয়েছে?
একটু ইতস্তত করে বলল,মামা এই মেয়ে বাপের খুব আদরের সেই মেয়েকে দিচ্ছে আর কি দেবে?
--আদরের বলেই তো দেবে।পাশে কার্ড দেখে একটা তুলে নিয়ে বললেন,কার্ড ছাপিয়েহিস?
কার্ড খুলে ইংরেজীতে লেখা দেখে বললেন,সব সাহেবসুবোর ব্যাপার।একদম শেষে লেখা  Sm HimanI Devi. হারাধনবাবু বললেন,হিমি?
পাশেই ছিলেন হিমানী দেবী বললেন,বলো।
--তুই হচ্ছিস নিমন্ত্রণ কর্তা।
--সব মনু জানে।
-- রাত হল অনেক দূর যেতে হবে।আসি রে।
--বড়দা কিছু মুখে দিলে না।
হারাধনবাবু দরজার দিকে যেতে যেতে বললেন,যা দিয়েছিস তাই যথেষ্ট।হিমানীদেবী ছেলেকে বললেন,কি দরকার ছিল এসবের।একন কি হবে?
--আণ্টি আপনি কিছু চিন্তা করবেন না।আমরা তো আছি।
সুভদ্রা চা নিয়ে ঢুকতে হাত বাড়ীয়ে কাপ নিয়ে এলিনা বলল,তুই তৈরী হয়ে নে।ওরা রকে বসে থাকবে।  
ছেলেটাকে নিয়ে হয়েছে যত জ্বালা।আজ  যদি ওর বাপ বেচে থাকতো কাউকে তোষামোদ করতে হত না।এখন হিমানীদেবীর চিন্তা ভালয় ভালয় বিয়েটা হয়ে গেলে বাচা যায়।বেলি এসে গেলে আর চিন্তা নেই।
রকে সব জমা হয়েছে।বৌদি কেন ডেকেছে তাই নিয়ে চলছে জল্পনা।ভেবে ভেবে কেউ হদিশ পায় না বৌদি তো আগে এরকম বলেনি।আশিস বলল,চাদুটা হয়েছে ক্যালানে,জিজ্ঞেস করবি তো কেন?
চাদু বলল,ঐতো বৌদি আসছে।
পাশে লম্বা মতো লোকটা কে?মনা মনে হচ্ছে।মনা কোথা থেকে আসবে।কাছে এসে মনসিজ বলল,নিমু তোর খবর পেয়েছি ভাল লেগেছে।
--তোর খবরও পেয়েছি।
এলিনা বলল,সর সর বসতে দে।মনা লাল পেনটা দে।শুভ লেখ।শুভর দিকে কার্ড গুলো এগিয়ে দিল।
শুভ কার্ড কলম নিয়ে তৈরী।এলিনা বলল,লেখ আশিস মুখোপাধ্যায়।
লেখা হলে কার্ডটা আশিসের দিকে এগিয়ে দিল।আশিস কার্ড খুলে বলল,একী মেয়ের ছবি?দারুণ হয়েছে কার্ডটা।
নির্মল কার্ড হাতে নিয়ে উলটে পালটে দেখে বলল,মনার বিয়ে নিশ্চয়ই যাব।
--যাব আর গিয়ে খাবো বললেই হবে?এলিনা বলল আমাদের সবাই মিলে মনার বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।অনেক কাজ আছে।আচ্ছা বাস ভাড়ার কি ব্যবস্থা করা যায়?
--কতজন যাবে?আশিস জিজ্ঞেস করে।
--কত আর সব মিলিয়ে জনা কুড়ি হবে।
--ঠিক আছে চাকদা খোজ নিয়ে আমি তোমাকে কাল বলব।কত ভাড়া নেবে সব।
--আচ্ছা বঙ্কা তুই দশকর্মার দায়িত্ব তোর।
--সেটা কি?মনসিজ জিজ্ঞেস করল।
--বৌভাতে লাগবে।তুই বুঝবি না।
--বৌদি তোমাকে বললাম না বিয়ে বৌভাত একদিনেই হবে।আমাকে কিছু করতে হবে না।
মনসিজকে ডেকে নির্মল এক্টূ দূরে গিয়ে কথা বলতে থাকে।কিভাবে মনার বিয়ের কথা শুনেছে বিস্তারিত বলে।মেয়ের বন্ধু মান্দাকিনি সব বলেছে।এক ভদ্রলোক নির্মলকে জিজ্ঞেস করল,বোসবাড়ীর রক কোনটা আছে?
নির্মল হাত দিয়ে দেখিয়ে দিল।লোকটি রকে এসে জিজ্ঞেস করে,ডিএম সাহেবকে কোথায় পাবো বলতে পারেন।
এলিনা জিজ্ঞেস করল,কেন কি দরকার?
--ছৌধারীবাবু উকিলসাব পাঠালেন কি গাড়ী কখুন লাগবে।
--বাস?
--উনি বললেন বেশী লোক নাই টাটা স্যুমো হলেই হবে।কটা লাগবে বলেন।
শুভ বলল,বাসে এক সঙ্গে যাওয়া যাবে।
--না না টাটা স্যুমো হলেই ভালো।মেয়েদের জন্য আলাদা গাড়ী।
--মেয়েদের মানে?শুভ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল।
--কেন শিউলি যাবে না?
শুভ লজ্জা পায় বলে,ওকে একা কি ছাড়বে?
--গিয়ে বলে তো দেখি।শুনুন ভাই বরের গাড়ী ফুল দিয়ে সাজিয়ে আনতে হবে।ঠীক পাঁচটায় পৌছালে হবে।আর টাটা স্যুমো তিনটে ছটার মধ্যে আসলেই হবে।
--ঠীক আছে যেখান গেছিলাম ঐখানে?
--কোথায় গেচিলেন?
--ডিএম সাহেবের বাড়ী।ওখান থেকেই তো বোসবাড়ীর রকের কথা বলল।একটা কণ্ট্যাক্ট নম্বর দিবেন?
এলিনা নিজের নম্বর দিল।
--যাক আশিস তাহলে বাসের চিন্তা গেল।সবাই কার্ড পেয়ে গেছো।আশিস কৃষ্ণাকে আলাদা কার্ড দিলাম না।
--বৌদি মেয়ে নিয়ে কৃষ্ণার যাওয়া--।
--মেয়ে নিয়ে যাবে আমরা এতগুলো লোক আছি।আমি তো মন্তুকে নিয়ে যাব।এবার চল নেমন্তন্ন করতে বেরোই।
মনসিজের ডিএম পরিচয় সবাই খুব খাতির করেছে।রুক্সানার মা একটু আপত্তি করলেও এলিনা বলল,আমি দায়িত্ত নিচ্ছি আপনার মেয়েকে নিরাপদে পৌছে দেব।শিউলির মা রাজী হচ্ছিলেন না।পরে তাকেও নেমন্তন্ন করা হলে সম্মত হলেন।রীমার বাড়ীতে নির্মলকে দেখে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে।জানিয়ে দেয় মেয়ে যাবে না।নির্মলের জন্য তাদের মেয়ে উচ্ছন্নে গেছে ইত্যাদি যা না তাই বলল।মনসিজ বলল,নিমু কিছু মনে করিস না অনেক যন্ত্রণা থেকে ভদ্রমহিলা ক্থাগুলো বলেছেন।নির্মল বলল,খারাপ লাগে মেয়েটার এই পরিণতি দেখে।
আমন্ত্রিতের সংখ্যা কুড়ির মধ্যেই থাকলো।বঙ্কা জিজ্ঞেস করল,বৌদি মনা তো ছিল তাহলে ওই লোকটাকে বললে না কেন?
--বললে লোকটা ভীড়মী খেতো।ডিএম রকে আড্ডা দিচ্ছে হজম করতে পারতো না। 
--কমপ্লিট।এবার চল।
--কিরে মনা চলে যাচ্ছিস?
--হ্যা অনেক কাজ আছে।বৌদি বলল।
এলিনা বৌদি যে এত করবে ভাবেনি।যেতে যেতে এলিনা বলল,মোটামুটি কুড়ি-বাইশ জন হবে।
--তুমি না থাকলে এত মহিলা হোতো না।
--তুই এদের চিনিস না?
--পাড়ার মেয়ে চিনবো না কেন।সবার সঙ্গে আলাপ ণেই।
--এদের অনেকেই তোকে পছন্দ করে।
--মানে--।
--সংকেত দিয়েছে তুই বুঝতে পারিস নি।
এলিনাবৌদি হয়তো ভুল বলছে না।কলেজে পড়তে বেলিও হয়তো সংকেত দিয়েছিল বুঝতে পারেনি।
গলির মুখে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে এলিনাবৌদি বলল,কি ভাবচিস?
--তিনটে গাড়ীতে আর জায়গা থাকবে না?
--যথেষ্ট থাকবে,আর কাউকে বলবি?
--ভাবছি ভজনের কথা--।
--ভজন মানে ভজুয়া?এলিনার কপালে ভাজ পড়ে,একটা শুভ কাজে এ্যান্টিসোশাল বলা ঠীক হবে?
--শুভ কাজ এ্যাণ্টিসোশাল বুঝি না।ভজন আমার হিতৈষী।বাবা অসুস্থ হলে খবর পেয়ে ছুটে এসেছে।চিকিৎসা করিয়েছে সৎকার ইত্যাদি শেষ পর্যন্ত আমার সঙ্গে ছিল।একী অসামাজিক কাজ?অথচ তুমি যাদের সামাজিক বলছো সেদিন কিন্তু কাউকে পাশে পাইনি।সাধ্যমত ওর ঋণ আস্তে আস্তে পরিশোধ করেছি।মনে পড়ে সেদিনের কথা টাকা যেদিন পরিশোধ হয়ে গেল ভজন বলেছিল,ঋণ শোধ করে দিলে?
আমি বলেছিলাম,টাকা শোধ করেছি ঋণ কি পরিশোধ হল কিনা জানিনা।রুমাল দিয়ে চোখ মুছলো মনসিজ।
এলিনা বৌদি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে শুনছিল।ছেলেটাকে যত চিনছে বিস্ময়ের মাত্রা তত বাড়ছে।মনসিজ চোখ মুছে বলল,কি দেখছো বৌদি?
--আমি যদি বিবাহিত না হতাম তোকে সংকেত নয় সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিতাম।
মনসিজ লাজুক হাসে।এলিনা বলল,হাসছিস?
--ভরসা কম তাই বেধে ফেলতে চাইছো?
--মানে?
--শোনো কাউকে বলিনি তোমাকে বলছি।যখন তাল্পুকুরে ছিলাম তখন একটি দুরন্ত মেয়েকে আমার খুব ভাল লাগতো বুঝতাম না।তার  কষ্ট হলে আমার কষ্ট হোতো সে আনন্দ পেলে আনন্দ হোতো আমারও সারাক্ষন নজরে নজরে রাখতাম কেউ যেন ওর ক্ষতি করতে না পারে-- এমন শাসন করতো আমার রাগ হোতো তবু বেলির মুখের উপর কিছু বলতে পারতাম না।
--তাহলে তাকে বিয়ে করলি না কেন?
--তার সঙ্গেই তো বিয়ে--ও তোমাকে বলিনি ওর ভাল নাম প্রজ্ঞা।যেকথা বলছিলাম বেলির সঙ্গে যদি আমার বিয়ে নাও হতো তাহলেও ওকে ভুলতে পারতাম না ।সত্যি কথা কি বিয়ের কথা আমি ভাবিই নি।বেলির জন্যেই বিয়েটা হচ্ছে।মেয়েদের মনে হয় ভরসা কম তাই হয়তো বেধে ফেলতে চাইছে। বিয়ে না হলেও ওর কোনো কথা অগ্রাহ্য করার সাধ্য বিধাতা আমাকে দেয় নি।
--চল এক কাপ চা খেয়ে যাবি।
দরজা খুললো সাহানা।এলিনা জিজ্ঞেস করে,বাবু ফেরেনি?
--ফিরে ছেলেকে নিয়ে বাইর হয়েছে।
--তুমি দু কাপ চা করো।
মনসিজকে বসিয়ে এলিনা চেঞ্জ করতে অন্য ঘরে গেল।উচ্চ পদস্থ আমলা আজও মনে রেখেছে ভজুয়াকে।লোকে অতীতের গ্লানিময় দিনগুলো  ছেটে ফেলতে চায়।প্রথম মিলনের কথা চোখের সামনে ভেসে উঠল।ওর কি মনে আছে সেসব?আয়নায় প্রতিফলনের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে আবার যদি আহবান করে সাড়া দেবে?
--বৌদি চা দিয়েছি।
বাইরে সাহানার গলা পেয়ে নাইটি গায়ে বেরিয়ে এল।সোফায় বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে আড় চোখে মনাকে দেখে।নির্বিকার চায়ে চুমুক দিচ্ছে।মনসিজ এক সময় বলে,ভজনের আরেকটা কথা তোমাকে বলছি।উদ্গ্র কামনায় মানুষ সম্পর্ক কেন অনেক কিছুই বিস্মৃত হয়।
দিলুর দিদি মীনাক্ষীকে তুমি চেনো।ভজনের দলের একটি ছেলের নজর পড়েছিল ওর দিকে।সারাক্ষন সন্ত্রস্ত থাকতো মীনাক্ষী।একদিন রিক্সায় আমার সঙ্গে মীনাক্ষীকে দেখার পর থেকে আর কোনোদিন ওর দিকে চোখ তুলে তাকায় নি।
--আচ্ছা মনা আজ যদি কেউ তোকে নিরিবিলিতে পেয়ে কিছু করতে চায়--।
--আমার উপায় ণেই।
--কিসের উপায় ণেই?
--এক সময় নরম মাটীতে টানাটানিতে পিছলে গেলেও এখন পায়ের নীচে শক্ত মাটি।বেলি বলেছিল,গরু খুটোয় বাধা না থাকলে অনেক সময় অন্যের জমিতে মুখ দেয়।সারাক্ষন আমাকে ঘিরে আছে বেলি।
ডোর বেল বাজতে এলিনা উঠে দরজা খুলে দিল।ছেলেকে নিয়ে পূর্ণেন্দু ঢুকলো।মনসিজ উঠে দাঁড়িয়ে বলল,তাতাইদা শুনেছো তো?
--তোর বৌদি তো যাচ্ছে।
--কেন তোমার অসুবিধে কোথায়?শোনো তুমি আমি সাহানা মন্তু সবাই যাব।
--আচ্ছা ঠিক আছে।রাতে থাকতে পারব না ব্যাঙ্কে জ্রুরী কাজ আছে।
--সকালে খাবে কি?
--সে আমি ম্যানেজ করে নেবো।
সাহানা বলল,আমি দাদাবাবুর সঙ্গে চলে আসবো।
এলিনা কট্মটিয়ে তাকালো রাতে একা একা দাদাবাবুর সঙ্গে থাকবে শখ কত বলল,তুমি আমার সঙ্গে থাকবে। 
--বৌদি আমি আসি?
--হ্যা শোন ঐদিন তোর মামা না এলে আমি তোর সঙ্গে যাবো।তাতাই তুমি ওদের সঙ্গে আসবে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: ছাইচাপা আগুন ।।কামদেব - by kumdev - 17-03-2022, 04:33 PM



Users browsing this thread: 42 Guest(s)