10-03-2022, 10:15 PM
(This post was last modified: 27-03-2022, 03:40 PM by kumdev. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
।।১০৫।।
চারুলতার মন ভাল নেই।বেলির আজ শেষ পরীক্ষা,এখনো ফেরেনি।ঘড়ির দিকে দেখলেন,ফেরার সময় হয়ে এল।মেয়েটা মাতিয়ে রাখতো বাড়ী।ছেলেটা নেই বাড়ীতে মনেই হয়নি কটা বছর।ভাবছেন রেজাল্ট বেরনো অবধি এখানে থেকে যাওয়ার কথা বলবেন।মাঝে মাঝে যাবে তাল্পুকুরে যেমন যেতো।বড়দিভাই হয়তো রাজী হবে না।সরমা এসে খবর দিল,আপনের দিদি এইচে।
কে এসেছে বড়দিভাই?কার সঙ্গে এল?খাট থেকে নেমে ঘর থেকে বেরোতে যাবেন,আশালতা ঢুকলেন।সঙ্গে কেউ ণেই।
--বড়দিভাই তুমি কার সঙ্গে এলে?অবাক গলায় প্রশ্ন করে।
--বেলি ফেরেনি?
--ফেরার সময় হয়ে এল।
--তুই জামাইবাবুকে ফোন করে বল আমি এখানে আছি।
--হ্যা বলছি।সরমা চা করো।
হঠাৎ বড়দিভাই কেন এল কার সঙ্গে এল।চারুলতা বাটন টিপে মোবাইল কানে লাগায়,জামাইবাবু আমি পুটি....বড়দিভাই এখানে এসেছে...জানি না...আপনাকে বলতে বলল...আচ্ছা রাখছি।
বড়দিভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতে ভরসা হয়না।
সরমা চায়ের ট্রে নিয়ে ঢুকলো।চারুলতা চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বললেন,নাও চা খাও।গলা তুলে বললেন,সরমা ভাল টিফিন করো।
চায়ে চুমুক দিয়ে আশালতা নিজেই বলেন,সকালে খোকনের ওখানে গেছিলাম।ভেবেছিলাম দিনকয়েক থাকবো।
--তা চলে এলে।
--আর বলিস না যত্ন আত্তির ঠেলায় অস্থির।চা খেয়ে বেসিনে কাপটা ধুতে গেছি বউমা ছুটে এসেছে,দুদিনের জন্য এসছেন আপনি কেন করছেন? আমার হাত থেকে কাপটা কেড়ে নিল।আমি যেন ওদের অতিথি।
--খোকন কিছু বলল না।
--ওর কথা আর বলিস না।বউয়ের কথায় তাল দিল,হ্যা মা দুদিনের জন্য বেড়াতে এসে তুমি কেন এসব করবে?বৌমাই গাড়ী করে পৌছে দিয়ে গেল।
--রমি এসেছিল?উপরে এলনা?
--বলেছিলাম বলল,খোকনের ফেরার সময় হয়ে গেছে--।
চারুলতার মনে পড়ল তাকেও একই কথা বলেছিল।স্বামীর প্রতি দরদ।
--বিয়ের পর খোকন চলে গেল।মেয়েটা একা একা থাকে,মায়া পড়ে গেছিল।গাড়ী নিয়ে সারা পাড়া চক্কর দিয়ে ফেরে কিছু বলতাম না।
খোকন আসার পর একেবারে আসল রূপ বেরিয়ে গেছে।বাদ দে ওসব ওরা ভাল থাকলেই ভাল।আচ্ছা পুটি তোর ছেলেটাকে কেমন লাগল?
--কার কথা বলছো?
--এর মধ্যে ভুলে গেলি?খোকনের পার্টিতে এসেছিল--।
--ও সেই ডিএমের কথা বলছো।তুমি মুহূর্তে কোথা থেকে কোথায় চলে যাও।আমার তো বেশ ভালই লেগেছে।
--বেশ মায়ালু চেহারা।পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম আজকালকার দিনে উঠেই গেছে।
খোকনের ব্যবহারে হতাশ বড়দির এর প্রতি মায়া পড়ে গেছে চারুলতা ভাবেন।
--তোর জামাইবাবু বলছিল বেলিকে নাকি লক্ষ্য করছিল।
--বেলি কি বলে?
--আমার মেয়েটা বাপের আদরে আদরে ধরাকে সরা জ্ঞান করে।বলে কিনা চিনি না জানি না ডিএম বলে কি মাথায় তুলে নাচতে হবে।
ডিএম বলে বলছিনা দেখতে শুনতে ছেলেটাকে তোর ভাল লাগেনি পুটি?
--দেখো বড়দিভাই সামনে পরীক্ষা তাই হয়তো মাথার ঠিক ণেই।
--অশোকের সঙ্গে তোর কি আগে আলাপ ছিল?বড়দা ঠিক করল তারপর বিয়ে হয়ে গেল।অশোক কি খারাপ হয়েছে?
--আচ্ছা বড়দি খোকনের পার্টিতে বড়দাকে বলা হয়নি?
আশালতার খেয়াল হয় বড়দা পার্টিতে আসেনি।ওকে জিজ্ঞেস করতে হবে তো দাদাকে বলেছিল কিনা?আশালতা বললেন,তোর জামাইবাবু আসুক জিজ্ঞেস করব।বড়দা তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই রাখে না।আমরা কি সম্পত্তির ভাগ চাইতে যাচ্ছি।
ছোটোভাই বিদেশে থাকে,পৈতৃক সম্পত্তি দিবাকরবাবু একাই দখল করে আছেন।
আশালতা বললেন,শোন পুটি তোকে যে কথা বলতে এসেছি।
আবার কি কথা,চারুলতা বড়দিভাইয়ের দিকে তাকায়।
--বেলি তকে খুব ভালবাসে।
--এ তুমি কি বলছো,বেলি তোমাকে ভালবাসে না?
--তোকে যা বলছি শোন।তুই ওকে একটু বুঝিয়ে বল--।
মনে হল বেলি ফিরল,চারুলতা বললেন,বড়দিভাই আমি একটু আসছি।
নীচে নেমে দেখিলেন যা ভেবেছেন তাই জিজ্ঞেস করলেন,কিরে কেমন হল পরীক্ষা?
--ঐ হল একরকম।ফেল করবো না।
--শোন বেলি বড়দিভাই আমার মায়ের মতো।বড়দিভাই এসেছে আমাকে দিয়ে আর কত মিথ্যে বলাবি?
--তাহলে মাম্মীকে বলে দাও আমাদের রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।
--কি বললি তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস?
প্রজ্ঞা দ্রুত মাসীমণিকে জড়িয়ে ধরে বলল,স্যরি মাসিমণি মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে।তুমি রেগে গেলে কোথায় যাই বলতো?
--আচ্ছা আচ্ছা তুই রেজাল্ট বেরনো অবধি আমার কাছে থাক।কিরে থাকবি তো?
--আচ্ছা চলো মাম্মীর সঙ্গে দেখা করে আসি।
দুজনে উপরে উঠে এল।চারুলতা বললেন,কি রে সরমা টিফিন হয়েছে?বেলি এসেছে।ওকে চা দাও।
প্রজ্ঞা ঘরে ঢুকে আশালতাকে দেখে বলল,মাম্মী তুমি কার সঙ্গে এলে?
চারুলতা বললেন,সে অনেক কাণ্ড।জামাইবাবু কলকাতায় এসেছে ফেরার সময় নিয়ে যাবে।
আশালতা বললেন,শোন বেলি--।
--মাম্মি পরীক্ষা দিয়ে এসেছি এখন ঐসব ডীএম টিমএর কথা শুনতে ভাল লাগছে না।
--শুনলি পুটি তুই বলছিলি না মাকে ভালবাসে?
--আচ্ছা মাম্মী তুমি এক পলক দেখেই বুঝে গেলে।ভদ্রলোককে কতটুকূ চেনো।ওর অতীত কি করতো আগে এসব জানো?
--শোন আমাদের এমনি এমনি বয়স হয় নি।অতীত জানার দরকার নেই।যার ভিতরে পদার্থ না থাকে তার পক্ষে আই এ এস পাস করা কখনোই সম্ভব নয়।ভিতরে আগুন না থাকলে কেবল ইন্ধনে কাজ হয় না।
প্রজ্ঞা কিছুক্ষন গুম হয়ে থেকে বলল,ঠিক আছে তোমরা যা ভাল বোঝো করো।কিন্তু শোনো পরে বলবে এটা ভুল হয়ে গেছে অন্য একটা তাহলে আমি শুনবো না বলে রাখছি।
আশালতা বোনের সঙ্গে চোখাচুখি করে বিজয়ীর হাসি হাসলেন।প্রজ্ঞা বলল,কই গো সরমাপিসি চা হল?তারপর বলল,মাসিমণি আজ মাম্মীর সঙ্গে যাই কাল-পরশু ফিরে আসবো।অনেকদিন তাল্পুকুরে যাইনি।
সরমা টিফিন নিয়ে ঢুকলো।মনে হচ্ছে নীচে কেউ এল।চারুলতা নীচে নেমে গেল।দরজা খুলে জামাইবাবুকে দেখে বলল,ওমা আপনি আসুন।
--না না অনেক দূর যেতে হবে তোমার দিদিকে পাঠিয়ে দাও।
--টিফিন হয়ে গেছে টিফিনটা তো খেয়ে যান।
--গাড়ীতে মুকুন্দবাবু আছেন।
--আমি দেখছি আপনি উপরে যান।
উপরে এসে বিজন বাবু মেয়েকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,কেমন হল মা?
--মোটামুটি। পাস করে যাব।
--এই শোনো তুমি ওদিকে চেষ্টা করো।
বিজন চৌধুরী মেয়ের দিকে তাকালেন।প্রজ্ঞা বলল,কি করবো মাম্মী বলছে ছেলেটা ভালো।
চারুলতার মন ভাল নেই।বেলির আজ শেষ পরীক্ষা,এখনো ফেরেনি।ঘড়ির দিকে দেখলেন,ফেরার সময় হয়ে এল।মেয়েটা মাতিয়ে রাখতো বাড়ী।ছেলেটা নেই বাড়ীতে মনেই হয়নি কটা বছর।ভাবছেন রেজাল্ট বেরনো অবধি এখানে থেকে যাওয়ার কথা বলবেন।মাঝে মাঝে যাবে তাল্পুকুরে যেমন যেতো।বড়দিভাই হয়তো রাজী হবে না।সরমা এসে খবর দিল,আপনের দিদি এইচে।
কে এসেছে বড়দিভাই?কার সঙ্গে এল?খাট থেকে নেমে ঘর থেকে বেরোতে যাবেন,আশালতা ঢুকলেন।সঙ্গে কেউ ণেই।
--বড়দিভাই তুমি কার সঙ্গে এলে?অবাক গলায় প্রশ্ন করে।
--বেলি ফেরেনি?
--ফেরার সময় হয়ে এল।
--তুই জামাইবাবুকে ফোন করে বল আমি এখানে আছি।
--হ্যা বলছি।সরমা চা করো।
হঠাৎ বড়দিভাই কেন এল কার সঙ্গে এল।চারুলতা বাটন টিপে মোবাইল কানে লাগায়,জামাইবাবু আমি পুটি....বড়দিভাই এখানে এসেছে...জানি না...আপনাকে বলতে বলল...আচ্ছা রাখছি।
বড়দিভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতে ভরসা হয়না।
সরমা চায়ের ট্রে নিয়ে ঢুকলো।চারুলতা চায়ের কাপ এগিয়ে দিয়ে বললেন,নাও চা খাও।গলা তুলে বললেন,সরমা ভাল টিফিন করো।
চায়ে চুমুক দিয়ে আশালতা নিজেই বলেন,সকালে খোকনের ওখানে গেছিলাম।ভেবেছিলাম দিনকয়েক থাকবো।
--তা চলে এলে।
--আর বলিস না যত্ন আত্তির ঠেলায় অস্থির।চা খেয়ে বেসিনে কাপটা ধুতে গেছি বউমা ছুটে এসেছে,দুদিনের জন্য এসছেন আপনি কেন করছেন? আমার হাত থেকে কাপটা কেড়ে নিল।আমি যেন ওদের অতিথি।
--খোকন কিছু বলল না।
--ওর কথা আর বলিস না।বউয়ের কথায় তাল দিল,হ্যা মা দুদিনের জন্য বেড়াতে এসে তুমি কেন এসব করবে?বৌমাই গাড়ী করে পৌছে দিয়ে গেল।
--রমি এসেছিল?উপরে এলনা?
--বলেছিলাম বলল,খোকনের ফেরার সময় হয়ে গেছে--।
চারুলতার মনে পড়ল তাকেও একই কথা বলেছিল।স্বামীর প্রতি দরদ।
--বিয়ের পর খোকন চলে গেল।মেয়েটা একা একা থাকে,মায়া পড়ে গেছিল।গাড়ী নিয়ে সারা পাড়া চক্কর দিয়ে ফেরে কিছু বলতাম না।
খোকন আসার পর একেবারে আসল রূপ বেরিয়ে গেছে।বাদ দে ওসব ওরা ভাল থাকলেই ভাল।আচ্ছা পুটি তোর ছেলেটাকে কেমন লাগল?
--কার কথা বলছো?
--এর মধ্যে ভুলে গেলি?খোকনের পার্টিতে এসেছিল--।
--ও সেই ডিএমের কথা বলছো।তুমি মুহূর্তে কোথা থেকে কোথায় চলে যাও।আমার তো বেশ ভালই লেগেছে।
--বেশ মায়ালু চেহারা।পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম আজকালকার দিনে উঠেই গেছে।
খোকনের ব্যবহারে হতাশ বড়দির এর প্রতি মায়া পড়ে গেছে চারুলতা ভাবেন।
--তোর জামাইবাবু বলছিল বেলিকে নাকি লক্ষ্য করছিল।
--বেলি কি বলে?
--আমার মেয়েটা বাপের আদরে আদরে ধরাকে সরা জ্ঞান করে।বলে কিনা চিনি না জানি না ডিএম বলে কি মাথায় তুলে নাচতে হবে।
ডিএম বলে বলছিনা দেখতে শুনতে ছেলেটাকে তোর ভাল লাগেনি পুটি?
--দেখো বড়দিভাই সামনে পরীক্ষা তাই হয়তো মাথার ঠিক ণেই।
--অশোকের সঙ্গে তোর কি আগে আলাপ ছিল?বড়দা ঠিক করল তারপর বিয়ে হয়ে গেল।অশোক কি খারাপ হয়েছে?
--আচ্ছা বড়দি খোকনের পার্টিতে বড়দাকে বলা হয়নি?
আশালতার খেয়াল হয় বড়দা পার্টিতে আসেনি।ওকে জিজ্ঞেস করতে হবে তো দাদাকে বলেছিল কিনা?আশালতা বললেন,তোর জামাইবাবু আসুক জিজ্ঞেস করব।বড়দা তো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগই রাখে না।আমরা কি সম্পত্তির ভাগ চাইতে যাচ্ছি।
ছোটোভাই বিদেশে থাকে,পৈতৃক সম্পত্তি দিবাকরবাবু একাই দখল করে আছেন।
আশালতা বললেন,শোন পুটি তোকে যে কথা বলতে এসেছি।
আবার কি কথা,চারুলতা বড়দিভাইয়ের দিকে তাকায়।
--বেলি তকে খুব ভালবাসে।
--এ তুমি কি বলছো,বেলি তোমাকে ভালবাসে না?
--তোকে যা বলছি শোন।তুই ওকে একটু বুঝিয়ে বল--।
মনে হল বেলি ফিরল,চারুলতা বললেন,বড়দিভাই আমি একটু আসছি।
নীচে নেমে দেখিলেন যা ভেবেছেন তাই জিজ্ঞেস করলেন,কিরে কেমন হল পরীক্ষা?
--ঐ হল একরকম।ফেল করবো না।
--শোন বেলি বড়দিভাই আমার মায়ের মতো।বড়দিভাই এসেছে আমাকে দিয়ে আর কত মিথ্যে বলাবি?
--তাহলে মাম্মীকে বলে দাও আমাদের রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে।
--কি বললি তুই আমাকে ভয় দেখাচ্ছিস?
প্রজ্ঞা দ্রুত মাসীমণিকে জড়িয়ে ধরে বলল,স্যরি মাসিমণি মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে।তুমি রেগে গেলে কোথায় যাই বলতো?
--আচ্ছা আচ্ছা তুই রেজাল্ট বেরনো অবধি আমার কাছে থাক।কিরে থাকবি তো?
--আচ্ছা চলো মাম্মীর সঙ্গে দেখা করে আসি।
দুজনে উপরে উঠে এল।চারুলতা বললেন,কি রে সরমা টিফিন হয়েছে?বেলি এসেছে।ওকে চা দাও।
প্রজ্ঞা ঘরে ঢুকে আশালতাকে দেখে বলল,মাম্মী তুমি কার সঙ্গে এলে?
চারুলতা বললেন,সে অনেক কাণ্ড।জামাইবাবু কলকাতায় এসেছে ফেরার সময় নিয়ে যাবে।
আশালতা বললেন,শোন বেলি--।
--মাম্মি পরীক্ষা দিয়ে এসেছি এখন ঐসব ডীএম টিমএর কথা শুনতে ভাল লাগছে না।
--শুনলি পুটি তুই বলছিলি না মাকে ভালবাসে?
--আচ্ছা মাম্মী তুমি এক পলক দেখেই বুঝে গেলে।ভদ্রলোককে কতটুকূ চেনো।ওর অতীত কি করতো আগে এসব জানো?
--শোন আমাদের এমনি এমনি বয়স হয় নি।অতীত জানার দরকার নেই।যার ভিতরে পদার্থ না থাকে তার পক্ষে আই এ এস পাস করা কখনোই সম্ভব নয়।ভিতরে আগুন না থাকলে কেবল ইন্ধনে কাজ হয় না।
প্রজ্ঞা কিছুক্ষন গুম হয়ে থেকে বলল,ঠিক আছে তোমরা যা ভাল বোঝো করো।কিন্তু শোনো পরে বলবে এটা ভুল হয়ে গেছে অন্য একটা তাহলে আমি শুনবো না বলে রাখছি।
আশালতা বোনের সঙ্গে চোখাচুখি করে বিজয়ীর হাসি হাসলেন।প্রজ্ঞা বলল,কই গো সরমাপিসি চা হল?তারপর বলল,মাসিমণি আজ মাম্মীর সঙ্গে যাই কাল-পরশু ফিরে আসবো।অনেকদিন তাল্পুকুরে যাইনি।
সরমা টিফিন নিয়ে ঢুকলো।মনে হচ্ছে নীচে কেউ এল।চারুলতা নীচে নেমে গেল।দরজা খুলে জামাইবাবুকে দেখে বলল,ওমা আপনি আসুন।
--না না অনেক দূর যেতে হবে তোমার দিদিকে পাঠিয়ে দাও।
--টিফিন হয়ে গেছে টিফিনটা তো খেয়ে যান।
--গাড়ীতে মুকুন্দবাবু আছেন।
--আমি দেখছি আপনি উপরে যান।
উপরে এসে বিজন বাবু মেয়েকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,কেমন হল মা?
--মোটামুটি। পাস করে যাব।
--এই শোনো তুমি ওদিকে চেষ্টা করো।
বিজন চৌধুরী মেয়ের দিকে তাকালেন।প্রজ্ঞা বলল,কি করবো মাম্মী বলছে ছেলেটা ভালো।