20-01-2022, 10:21 PM
সাপ্তাহিক নগ্ন দিবস ১
(খুব সম্ভব এই গলপো সিকদার অনির লেখা)
সাপ্তাহিক নগ্ন দিবস।
সরকারী ঘোষিত দিন, অমান্য করার কোন উপায় নেই।
আমি তখন অনেক ছোট। আমাদের মাতৃহীন পরিবার। বাবা, আমি আর আমার বড় বোন মনি। মনি আমার চাইতে এক বছরের বড়।
আমাদের দেখাশুনা সহ রান্না বান্না ঘর গোছালীর যাবতীয় কাজ করে কেয়া নামের একটি মেয়ে। তার বয়সও খুব বেশী হয়নি। তেরোতে পা দিয়েছে বুঝি।
খুব ছোটকাল থেকেই কেয়া আমাদের বাড়ীতে। কখনো তাকে কাজের মেয়ে বলে মনে হয়না। মনে হয় আমাদের পরিবার এরই একজন। খুবই মিষ্টি চেহারা। আর খুবই মায়াবী।
সকাল থেকে বাবা নগ্ন দেহেই ঘরের ভেতর চলাফেরা করছিলো। আমাদেরকেও নির্দেশ দিলো পোশাক আশাক খুলে ফেলতে।
আমার বয়স আট, আর মনির বয়স নয়। আমাদের লজ্জাই বা কত হয়েছে। আমি আর মনিও পোশাক আশাক সব খুলে বাড়ীর ভেতর ছুটা ছুটি করতে থাকলাম, অন্য রকম এক আনন্দ অনুভূতি নিয়ে।
কেয়া খানিক দ্বিধা দ্বন্দই করছিলো। গায়ে গতরে বেশ বেড়ে গেছে কেয়া। বুকটাও বেশ উঁচু হয়ে উঠেছে। বাবার নির্দেশে সেও শেষ পর্য্যন্ত পোশাক খুললো। তবে কেমন যেনো এক ধরনের লজ্জাই তাকে চেপে ধরে থাকলো। আমাদের কারো সামনেই আসতে চাইলো না। আঁড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকলো বেশ কিছুক্ষণ।
সকালের নাস্তার আয়োজন করতে হবে, অথচ টেবিলে কোন নাস্তার আয়োজন দেখলাম না। বাবা ডাকতে থাকলো, কেয়া, কেয়া, নাস্তার কি হলো?
অথচ, কেয়ার কোন পাত্তাই খোঁজে পাওয়া গেলো না।
বেলা বাড়ছে। আমার পেটটাও ক্ষুধায় খুব চোঁ চোঁ করছিলো। অবশেষে আমি পা বাড়ালাম কেয়ার ঘরের দিকে।
কেয়া টেবিলটার উপর দু হাত রেখে, তার উপরই থুতনীটা চেপে বুকটা লুকিয়ে রাখতে চাইলো। আমি বললাম, কি হলো কেয়া আপা, নাস্তার আয়োজন তো নেই।
কেয়া লাজুক গলায় বললো, নাস্তার সব আয়োজনই হয়েছে। আমার ও ঘরে যেতে খুব লজ্জা করছে। তুমি নাস্তাগুলো নিয়ে যাও না, লক্ষ্মী ভাই।
কেয়া আমার চাইতে বয়সে অনেক বড়। বাড়ীর কাজের মেয়েরা বয়সে বড় হলেও অনেকে নাম ধরেই ডাকে। আমি কখনো তাকে নাম ধরে ডাকি না। কেয়া আপা বলেই ডাকি। তা ছাড়া মায়ের মৃত্যুর পর, শৈশব থেকে কেয়া আপাই আমাদের দু ভাই বোনকে বুকে পিঠে করে রেখেছে। তার অনুরোধ আমি ফেলতেও পারি না। অগত্যা, আমিই রান্না ঘর থেকে নাস্তার প্লেটগুলো খাবার টেবিলে নিয়ে সাজাতে থাকলাম। আমার সহযোগীতা পেয়ে কেয়া আপা আনন্দিতই হলো।
নাস্তা শেষে হঠাৎই কেয়া আপার ঘরে ঢুকেছিলাম। কেয়া আপা বোধ হয় এর জন্যে প্রস্ত ছিলো না। পা দুটি বেঞ্চিটার উপর ছড়িয়ে একা একাই সম কাটাচ্ছিলো। আমাকে ঘরে ঢুকে দেখেই দেহটা ঘুরিয়ে ফেলতে চাইলো।
(খুব সম্ভব এই গলপো সিকদার অনির লেখা)
সাপ্তাহিক নগ্ন দিবস।
সরকারী ঘোষিত দিন, অমান্য করার কোন উপায় নেই।
আমি তখন অনেক ছোট। আমাদের মাতৃহীন পরিবার। বাবা, আমি আর আমার বড় বোন মনি। মনি আমার চাইতে এক বছরের বড়।
আমাদের দেখাশুনা সহ রান্না বান্না ঘর গোছালীর যাবতীয় কাজ করে কেয়া নামের একটি মেয়ে। তার বয়সও খুব বেশী হয়নি। তেরোতে পা দিয়েছে বুঝি।
খুব ছোটকাল থেকেই কেয়া আমাদের বাড়ীতে। কখনো তাকে কাজের মেয়ে বলে মনে হয়না। মনে হয় আমাদের পরিবার এরই একজন। খুবই মিষ্টি চেহারা। আর খুবই মায়াবী।
সকাল থেকে বাবা নগ্ন দেহেই ঘরের ভেতর চলাফেরা করছিলো। আমাদেরকেও নির্দেশ দিলো পোশাক আশাক খুলে ফেলতে।
আমার বয়স আট, আর মনির বয়স নয়। আমাদের লজ্জাই বা কত হয়েছে। আমি আর মনিও পোশাক আশাক সব খুলে বাড়ীর ভেতর ছুটা ছুটি করতে থাকলাম, অন্য রকম এক আনন্দ অনুভূতি নিয়ে।
কেয়া খানিক দ্বিধা দ্বন্দই করছিলো। গায়ে গতরে বেশ বেড়ে গেছে কেয়া। বুকটাও বেশ উঁচু হয়ে উঠেছে। বাবার নির্দেশে সেও শেষ পর্য্যন্ত পোশাক খুললো। তবে কেমন যেনো এক ধরনের লজ্জাই তাকে চেপে ধরে থাকলো। আমাদের কারো সামনেই আসতে চাইলো না। আঁড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে থাকলো বেশ কিছুক্ষণ।
সকালের নাস্তার আয়োজন করতে হবে, অথচ টেবিলে কোন নাস্তার আয়োজন দেখলাম না। বাবা ডাকতে থাকলো, কেয়া, কেয়া, নাস্তার কি হলো?
অথচ, কেয়ার কোন পাত্তাই খোঁজে পাওয়া গেলো না।
বেলা বাড়ছে। আমার পেটটাও ক্ষুধায় খুব চোঁ চোঁ করছিলো। অবশেষে আমি পা বাড়ালাম কেয়ার ঘরের দিকে।
কেয়া টেবিলটার উপর দু হাত রেখে, তার উপরই থুতনীটা চেপে বুকটা লুকিয়ে রাখতে চাইলো। আমি বললাম, কি হলো কেয়া আপা, নাস্তার আয়োজন তো নেই।
কেয়া লাজুক গলায় বললো, নাস্তার সব আয়োজনই হয়েছে। আমার ও ঘরে যেতে খুব লজ্জা করছে। তুমি নাস্তাগুলো নিয়ে যাও না, লক্ষ্মী ভাই।
কেয়া আমার চাইতে বয়সে অনেক বড়। বাড়ীর কাজের মেয়েরা বয়সে বড় হলেও অনেকে নাম ধরেই ডাকে। আমি কখনো তাকে নাম ধরে ডাকি না। কেয়া আপা বলেই ডাকি। তা ছাড়া মায়ের মৃত্যুর পর, শৈশব থেকে কেয়া আপাই আমাদের দু ভাই বোনকে বুকে পিঠে করে রেখেছে। তার অনুরোধ আমি ফেলতেও পারি না। অগত্যা, আমিই রান্না ঘর থেকে নাস্তার প্লেটগুলো খাবার টেবিলে নিয়ে সাজাতে থাকলাম। আমার সহযোগীতা পেয়ে কেয়া আপা আনন্দিতই হলো।
নাস্তা শেষে হঠাৎই কেয়া আপার ঘরে ঢুকেছিলাম। কেয়া আপা বোধ হয় এর জন্যে প্রস্ত ছিলো না। পা দুটি বেঞ্চিটার উপর ছড়িয়ে একা একাই সম কাটাচ্ছিলো। আমাকে ঘরে ঢুকে দেখেই দেহটা ঘুরিয়ে ফেলতে চাইলো।