18-01-2022, 04:20 PM
সাগর সেবার এস, এস, সি, পাশ করেছে মাত্র। শহরের ভালো কলেজে পড়ার জন্যেই আমাদের বাড়ীতে এসেছিলো সেবার। নাদুস নুদুস হ্যাণ্ডসাম লাজুক একটা ছেলে। পোষাকের ব্যাপারে এখনো আমাকে যেমন দেখো, যৌবনের শুরু থেকেই আমি তেমনি খেয়ালীই ছিলাম। প্রথম যেদিন সাগর আমাদের বাসায় এসেছিলো, তখন আমার পরনে সাধারন নিমার মতোই পোষাক ছিলো। বুঝোই তো! আঠারো বছরের ভরা যৌবন আমার! নিমার উপর দিয়েও আমার বক্ষের ছাপ স্পষ্ট চোখে পরার মতোই। আর সেই আমাকে দেখে, তোমাদের সাগর মামার কি লজ্জা! মাথাটা নীচু করে, চোখ দুইটা যে ফ্লোরের দিকে করে রেখেছিলো, আর তুললো না। আমিও খুব মজা পেলাম। আর তাই, তার সাথে মজাই করতে থাকলাম একের পর এক! মহুয়া আরেকটু থেমে বললো, আরেকটা মজার ব্যাপার হলো কি জানো? আমাদের বাসাটা ছিলো খুবই ছোট! দুইটা মাত্র ঘর, আর কিচেন বাথরুম। একটা ঘরে তো বাবা মাই থাকতো। আর অন্য ঘরটা ছিলো আমার। সেই ঘরেই একটা খাট আর পড়ার টেবিলের ব্যাবস্থা হয়েছিলো সাগরের জন্যে। সাগর আসলে খুবই মেধাবী ছিলো, এবং বইয়ের একটা পোকাই বলতে পারো। ঘরে যতক্ষণ থাকতো, সারক্ষন পড়ার টেবিলে বই নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো। ঘুমুতেও যেতো অনেক দেরী করে। কক্ষনো আমার চোখে চোখে তো তাঁকাতোই না, এমন কি আমার দিকেও ভালো করে তাঁকাতো না। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্যে অনেক কিছুই করতাম। যেমন ঘরের ভেতর কাপর বদলানো। কাপর বদলাতে বদলাতে কথাবার্তা বলা! কিন্তু, বইয়ের পোকাটা মাথা নীচু রেখেই কথা চালাতো। সেদিন কলেজে যাবার একটু তাড়াই ছিলো। আমি তাড় হুড়া করেই পোষাক বদলাচ্ছিলাম। তাড়াহুড়ার মাঝেই ব্রা এর হুকটা ঠিকমতো লাগাতে পারছিলাম না। তাই সাগরের কাছেই এগিয়ে গেলাম। বললাম, হুকটা একটু লাগিয়ে দেবে? সাগর বিনয়ী ছেলের মতোই হুকটা লাগিয়ে দিয়েছিলো। তখনই আমার দেহে সাগরের হাতটা লেগে গিয়েছিলো। জীবনের প্রথম ছেলেদের হাতের স্পর্শ! উফ, তোমরা ভাবতেই পারবেনা। কি এক প্রচণ্ড শিহরণ জেগে উঠেছিলো আমার দেহে! আমি অনেক কষ্টেই নিজেকে সংযত করেছিলাম ঠিকই। কলেজেও গেলাম। কিন্তু ক্লাশেও মন বসলো না। কলেজ ছুটির পর, বাসায় ফিরে এসেও মনটা কেমন যেনো শূন্যতায় ভরে উঠতে থাকলো। আসলে, যৌনতা এমনি একটি ব্যাপার যে, অনেকেই দমন করে রাখতে পারে না। সাগর কিভাবে পারতো জানতাম না। আমি পারিনি। মহুয়া আবারও একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেললো। মলি বললো, মা, চমৎকার! অনেকটা অভিযানমূলক! মহুয়া বললো, নাহ, আসলে তখন আমার ধারনা হয়েছিলো, সাগরের মতো ছেলেকে কাছে পেতে হলে, কিছু কৌশলই করা দরকার। সেদিন রাতের খাবারের পর, সাগর যখন পড়তে বসলো, তখন আমি বিছানায় শুয়ে পরলাম। ইচ্ছাকৃতভাবেই বিছানায় ছটফট করতে থাকলাম। আমার কাতরতা গলার শব্দ শুনেই সাগর কাছে এসে বললো, আপা, আপনার শরীর কি খারাপ? আমি বললাম, হুম, বুঝতে পারছিনা! নিম্নাংগে প্রচণ্ড ব্যাথা! বোকা সাগর তখন বলে কি জানো? বললো, হাসপাতালে যাবেন? আমার মেজাজটাই তখন খারাপ হলো। রাগ করেই বললাম, হাসপাতালের ডাক্তার যখন তোমার আপার নিম্নাংগটা দেখবে, তখন কি তোমার ভালো লাগবে? সাগর আসলেই তখন থতমত খেয়ে গেলো। সে বোকার মতোই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। আমি বুঝতাম না, আমার চেয়ে মাত্র এক বছরের ছোট সাগর!