16-01-2022, 11:41 AM
বরেন বাঁড়ুজ্জে পৃথিবী দেখেছেন । শ্রদ্ধা হলো তার জোএল সদ্দার-এর উপর । কিপ্টে হোক , কুচুটে হোক , কিন্তু মাটির প্রতি তার শ্রদ্ধার সামনে তাকে ঘাড় নামিয়ে নিতে হলো ।
"নাঃ সদ্দার মশাই এই বোঝাপড়াটা মধুর নিজেই করুক !"
জোএল: বেশ ,চৈতি মা এদিকে আয় তো !
বাবার ডাক শুনে মৃতপ্রায় শরীরে যেন প্রাণ আসলো । শরীর শুকিয়ে গেছে তার । মুখের লালিত্য চলে গেছে মধুর কে না পাওয়ার অভিমানে । শুধু একবার মধুরের দিকে তাকালো চৈতি । নিজে ঠিকই করে রেখেছে বাবা না বললেই বিষ খাবে ।
জোএল: আসছে ফাল্গুনের আমি তোমার বিয়ে দেব আর মধুরের সাথে , তার আগে আমার কিছু শর্ত আছে সে শর্ত গুলো দুজনেরই শুনে নেওয়া দরকার ।
আমার বাড়ির পশ্চিমের দিকে যে ঘর খালি পড়ে থাকে সেখানেই মধুর থাকবে যত দিন না বিয়ে হয় ! তুমি মধুরের সাথে মেলামেশা করতে পারবে না
২ বিঘে চাষের জমি ওকে দেব , ওই জমি ওহ নিজে চাষ করবে , যদিও চাষ বাবদ আর খাওয়া সব খরচ আমার , পড়ার জন্য জামাকাপড় আমি দেব । বোরো ধানের চাষ , এখন সময় , যদি ওহ দু বিঘে জমিতে চাষ করে ৩০ মন ধান আমার গোলায় তুলে দিতে পারে ! তাহলে তুমি ওকে বিয়ে করে শহরে চলে যেও ।
আর না পারলে ওকে বিয়ে করে এখানেই থেকে যাবে । আর তুমি আমার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবে না । বর পন বাবদ আমি ২০ বিঘে জমি দেব , সে তুমি যা ইচ্ছা করো । আমার মায়ের সব গয়নাই পাবে মেয়ে হিসাবে আর ৫ লক্ষ টাকা তোমার নাম করে দেব , যাতে ভাত কাপড়ের অভাব না হয় ।
বলুন বাঁড়ুজ্জে মশাই আপনার কি অভিমত । এখনই হ্যা বা না বলার প্রয়োজন নেই আগামী ১০ দিনে ধান রোযা শুরু হবে , তার মধ্যে জানালেই হবে ।
আর হ্যাঁ এই ৬ টা মাস মধুর এর শহরে যাওয়া চলবে না । ফোন-এ সে যোগাযোগ রাখবে না । অসুস্থ হলেও না ।
তাহলে এটাই আমার পাকা কথা । আমি উঠি । চৈতি মা এনাদের চা জল খাবারের ব্যবস্থা করো । "
গুমরে কেঁদে উঠলো চৈতি । এ যে অসম্ভব ! যে কোনো দিন চাষ করে নি , সে ৩০ মন ধান তুলবে গোলাতে ! মধুর এর দিকে তাকিয়ে মুখে হাত দিয়ে ডুকরে ওঠে চৈতি । মধুর মাথা নিচু করে চিন্তা করতে থাকে । এ তার পুরুস্বত্বের অপমান । না হার সে কিছুতেই মানবে না । তার বাবার সামনে এ তার সারা জীবনের পরাজয় ।
চৈতি চলে গেলো অন্য ঘরে ।
বাঁড়ুজ্জে মশাই একবার বাজিয়ে দেখলেন তার ছেলে কে । "সামান্য একটা মেয়ের জন্য এতো সব ঝক্কি , চল মধুর বাড়ি যাই , এরা পাগল ! বরেন বাঁড়ুজ্জের ঘরে ছেলের বৌয়ের কি অভাব আছে রে । ওরা চাষা, ওদের কি মান সন্মান বোধ আছে রে । চল ওঠ ২টার গাড়ি না ধরলে, সেই ৬টার সন্ধ্যে বেলা গাড়ি , চল চল । "
মধুর বাবার কাঁধে হাত দিলো।
" বাবা আমি বললাম ভালোবাসি , আর সেই কোথায় তুমি এতো দূর এসে নিজের সম্মান ওনার পায়ে লুটিয়ে দিয়েছো , তাছাড়া এতো বড়ো চ্যালেঞ্জ আমাকে এর আগে কেউ কখনো করে নি বাবা । এ হার আমার হবে না, হবে তোমার । তাছাড়া উনি খুব একটা অন্যায্য কিছু তো বলেন নি । আমি গ্রাম দেখি নি , দেখো এখানকার মানুষ কত সহজ কত সরল । আমি চৈতি কে তো ভালোই বাসতে পারিনি বাবা , আমি তো গ্রামের কিছুই এটা একটা মেয়ের বাবার অধিকারর , সে অধিকারে আমার হাত দেয়া সাজে না । আমি ঠিক পারবো । হারতেই যদি হয় তাহলে মাটির কাছে হারবো ! "
মনটা ভরে উঠলো বরেন বাঁড়ুজ্জের । না তারই রক্ত আছে মধুরের গায়ে । বাঁড়ুজ্জে যাবার আগে সবার অলক্ষ্যে জোএল সর্দার কে বলে গেলেন । " ছেলে দিয়ে গেলাম , কিন্তু মনে রাখবেন , ছেলে কিন্তু আপনার ও !"
"নাঃ সদ্দার মশাই এই বোঝাপড়াটা মধুর নিজেই করুক !"
জোএল: বেশ ,চৈতি মা এদিকে আয় তো !
বাবার ডাক শুনে মৃতপ্রায় শরীরে যেন প্রাণ আসলো । শরীর শুকিয়ে গেছে তার । মুখের লালিত্য চলে গেছে মধুর কে না পাওয়ার অভিমানে । শুধু একবার মধুরের দিকে তাকালো চৈতি । নিজে ঠিকই করে রেখেছে বাবা না বললেই বিষ খাবে ।
জোএল: আসছে ফাল্গুনের আমি তোমার বিয়ে দেব আর মধুরের সাথে , তার আগে আমার কিছু শর্ত আছে সে শর্ত গুলো দুজনেরই শুনে নেওয়া দরকার ।
আমার বাড়ির পশ্চিমের দিকে যে ঘর খালি পড়ে থাকে সেখানেই মধুর থাকবে যত দিন না বিয়ে হয় ! তুমি মধুরের সাথে মেলামেশা করতে পারবে না
২ বিঘে চাষের জমি ওকে দেব , ওই জমি ওহ নিজে চাষ করবে , যদিও চাষ বাবদ আর খাওয়া সব খরচ আমার , পড়ার জন্য জামাকাপড় আমি দেব । বোরো ধানের চাষ , এখন সময় , যদি ওহ দু বিঘে জমিতে চাষ করে ৩০ মন ধান আমার গোলায় তুলে দিতে পারে ! তাহলে তুমি ওকে বিয়ে করে শহরে চলে যেও ।
আর না পারলে ওকে বিয়ে করে এখানেই থেকে যাবে । আর তুমি আমার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবে না । বর পন বাবদ আমি ২০ বিঘে জমি দেব , সে তুমি যা ইচ্ছা করো । আমার মায়ের সব গয়নাই পাবে মেয়ে হিসাবে আর ৫ লক্ষ টাকা তোমার নাম করে দেব , যাতে ভাত কাপড়ের অভাব না হয় ।
বলুন বাঁড়ুজ্জে মশাই আপনার কি অভিমত । এখনই হ্যা বা না বলার প্রয়োজন নেই আগামী ১০ দিনে ধান রোযা শুরু হবে , তার মধ্যে জানালেই হবে ।
আর হ্যাঁ এই ৬ টা মাস মধুর এর শহরে যাওয়া চলবে না । ফোন-এ সে যোগাযোগ রাখবে না । অসুস্থ হলেও না ।
তাহলে এটাই আমার পাকা কথা । আমি উঠি । চৈতি মা এনাদের চা জল খাবারের ব্যবস্থা করো । "
গুমরে কেঁদে উঠলো চৈতি । এ যে অসম্ভব ! যে কোনো দিন চাষ করে নি , সে ৩০ মন ধান তুলবে গোলাতে ! মধুর এর দিকে তাকিয়ে মুখে হাত দিয়ে ডুকরে ওঠে চৈতি । মধুর মাথা নিচু করে চিন্তা করতে থাকে । এ তার পুরুস্বত্বের অপমান । না হার সে কিছুতেই মানবে না । তার বাবার সামনে এ তার সারা জীবনের পরাজয় ।
চৈতি চলে গেলো অন্য ঘরে ।
বাঁড়ুজ্জে মশাই একবার বাজিয়ে দেখলেন তার ছেলে কে । "সামান্য একটা মেয়ের জন্য এতো সব ঝক্কি , চল মধুর বাড়ি যাই , এরা পাগল ! বরেন বাঁড়ুজ্জের ঘরে ছেলের বৌয়ের কি অভাব আছে রে । ওরা চাষা, ওদের কি মান সন্মান বোধ আছে রে । চল ওঠ ২টার গাড়ি না ধরলে, সেই ৬টার সন্ধ্যে বেলা গাড়ি , চল চল । "
মধুর বাবার কাঁধে হাত দিলো।
" বাবা আমি বললাম ভালোবাসি , আর সেই কোথায় তুমি এতো দূর এসে নিজের সম্মান ওনার পায়ে লুটিয়ে দিয়েছো , তাছাড়া এতো বড়ো চ্যালেঞ্জ আমাকে এর আগে কেউ কখনো করে নি বাবা । এ হার আমার হবে না, হবে তোমার । তাছাড়া উনি খুব একটা অন্যায্য কিছু তো বলেন নি । আমি গ্রাম দেখি নি , দেখো এখানকার মানুষ কত সহজ কত সরল । আমি চৈতি কে তো ভালোই বাসতে পারিনি বাবা , আমি তো গ্রামের কিছুই এটা একটা মেয়ের বাবার অধিকারর , সে অধিকারে আমার হাত দেয়া সাজে না । আমি ঠিক পারবো । হারতেই যদি হয় তাহলে মাটির কাছে হারবো ! "
মনটা ভরে উঠলো বরেন বাঁড়ুজ্জের । না তারই রক্ত আছে মধুরের গায়ে । বাঁড়ুজ্জে যাবার আগে সবার অলক্ষ্যে জোএল সর্দার কে বলে গেলেন । " ছেলে দিয়ে গেলাম , কিন্তু মনে রাখবেন , ছেলে কিন্তু আপনার ও !"