09-12-2021, 09:04 PM
(This post was last modified: 24-02-2022, 02:08 PM by kumdev. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
।।৭৮।।
ভাত হয়ে গেছে মনুটা গেছে তো গেছে।ছেলেটার কবে যে আক্কেল হবে, হিমানীদেবী বিরক্ত হন।পোশাক বদলে মনসিজের ডায়েরী নিয়ে বসেছে প্রজ্ঞা।চোখ বোলাতে বোলাতে মীনাক্ষী নামটা দেখে ভ্রু কুচকে যায়।মীনাক্ষীর বিয়েতে নেমন্তন্ন মস্তানের খুব উৎসাহ প্রজ্ঞার মুখে হাসি ফোটে।বিয়েতে বিষন্ন নয় উল্লসিত। বুঝতে পারে তার সন্দেহ অমূলক,মস্তানের মনে বেলি ছাড়া কেউ নেই।
হিমানীদেবী দরজা খুলে বললেন,বেরোলে আর বাড়ীর কথা মনে থাকেনা।
--বেলির জন্য দেরী হয়ে গেল।
--বেলি কি করল?
--বেলি কি মাছ পছন্দ করে জানি না তাই ভাবছিলাম--।
--তুমি খালি ভাবো আর কোনো কাজ নেই।
মনে হয় মস্তান ফিরেছে প্রজ্ঞা তাড়াতাড়ি ডায়েরী সরিয়ে রাখে।কাল রাতের কথা মনে পড়তে শরীরে কেমন এক শিরশিরানি অনুভুত হয়।
একটু ভয় ভয় করছিল কি হয় কি হয়।এখন মনে হয় যেমন ইচ্ছে যা খুসী করুক।এত সময় নেয় হাপিয়ে গেছিল।আজ চলে যাবে ভেবে খারাপ লাগে। ইচ্ছে করলে আজও মিলন সম্ভব,মাস্তান তার কথার অবাধ্য হবে না।পরে মনে হল না নিজের জন্য ওর দেরী করিয়ে দেওয়া ঠীক হবে না।ফিরে আসলে তো একান্তই তার হবে।প্রজ্ঞাকে ঘরে থেকে বেরোতে দেখে মনসিজ বলল,আমার ঘরে কি করছিলে?
--তোর ঘর কিরে?এখন আমি যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি।চল মামণির ঘরে চল।
--কেন?
--দরকার আছে চল।
শুরু হল হুকুমজারী।মনসিজ পিছন পিছন গেল।প্রজ্ঞা ট্রলি ব্যাগ খুলে একটা জামা আর একটা প্যাণ্ট বের করে দিয়ে বলল,পরে দেখতো ঠিক হয়েছে কিনা?
মনসিজ অবাক তার জন্য নতুন জামা প্যাণ্ট কিনেছে।ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করবে,বেলি থাকলে তার কোনো চিন্তা নেই। জামা প্যাণ্ট পরে দেখল মোটামুটি ঠিকই আছে।
--এই ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাবি এর মধ্যে দু-সেট জামা প্যাণ্ট আছে ব্রাশ পেস্ট চিরুনী সব দিয়ে দিয়েছি।
--এতো অনেক টাকার জিনিস পত্র।
--খরচ হয়েছে এবার টাকা আসবে।শোন টাকা পেলে আমার এ্যাকাউণ্টে জমা করে দিবি।
--তোমার এ্যাকাউণ্ট আমি কি করে জানবো?
--সব দিয়ে দেবো।আমার নাম কি বলতো?
--কি আবার বেলি না মানে প্রজ্ঞা চৌধুরী।
--তোকে কেন গাধা বলি বুঝেছিস?প্রজ্ঞা চৌধুরী নয় প্রজ্ঞা মজুমদার।
ঠোটে ঠোট চেপে মনসিজ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।প্রজ্ঞা বলল,গাধা বললাম বলে রাগ করলি?
--বেলি তোমার যা ইচ্ছে বলতে পারো আমি তোমার উপর রাগ করব না।
--ঠীক আছে এবার জামা প্যাণ্ট খুলে ফেল।ঘর থেকে বেরিয়ে গেল প্রজ্ঞা।
নিজেকে খুব সুখী মনে হয়।যতটা আশা করেছিল তার চেয়ে যেন বেশি পেয়েছে ভেবে চোখে জল চলে আসে।আচলে চোখ মোছে।
হিমানীদেবী ডাকলেন,তোর মস্তানকে বল মা স্নান করে নিতে আমার রান্না হয়ে এসেছে।
স্নান করে প্রজ্ঞা ব্যাগ থেকে চিরুণী বের করে মাথা চুল বিন্যস্ত করে।স্বামীর কল্যাণের জন্য মেয়েরা সিথিতে সিদুর দেয়।এসব বিশ্বাস করে না প্রজ্ঞা তবু সংস্কার বশত ব্যাগ থেকে সিদুরের কৌটো বের করে চিরুণীর মাথায় লাগিয়ে সিথিতে বোলায়।
মাটিতে খেতে বসেছে।হিমানীদেবী পরিবেশন করতে করতে জিজ্ঞেস করেন,মনু কি আজই চলে যাবে?
মামণির মুখ দেখে খারাপ লাগে প্রজ্ঞা বলে,মামণি আমি তো আছি।দেখতে দেখতে ছটা মাস চলে যাবে।
--আজ যদি মনুর বাবা থাকতো--।দীর্ঘশ্বাস ফেলেন হিমানী দেবী।
প্রসংগ বদলাতে প্রজ্ঞা বলল,মামণি মাছটা দারুণ হয়েছে।
--কইমাছ এনেছে দেখে তেলকই রান্না করলাম।
--আমাকে সব রান্না শিখিয়ে দিতে হবে কিন্তু।
খাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়ায় মনসিজ।প্রজ্ঞা বলল,এখন একটু বিশ্রাম করে নে বিকেল পাঁচটায় বেরোতে হবে।
মনসিজ চলে গেল হিমানীদেবী বললেন,পাঁচটায় চলে যাবে?
--হ্যা আমি তুলে দিয়ে আসবো।
মনু বাড়ীতে থাকবে না ভেবে হিমানীদেবীর মন খারাপ নিজেকে বোঝান মোটে তো ছটা মাস দেখতে দেখতে কেটে যাবে।
খাটে আধশোয়া হয়ে মনসিজ বাড়ী ছেড়ে চলে যাবার কথা ভাবছে না।তার চিন্তা ট্রেনিং নিয়ে কি শেখাবে কেমনভাবে শেখাবে এত কি শেখার আছে যে ছমাস লাগবে।প্রজ্ঞা ঢুকে খাটে উঠতে গেলে মনসিজ বলল,তুমি এখানে শোবে?
--তাহলে কোথায় শোবো?
মনসিজ কোনো কথা না বলে একটু সরে জায়গা করে দিল।প্রজ্ঞা কাত হয়ে শুয়ে বা-হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল।মনসিজের অস্বাস্তি হয় আবার ভালও লাগে।বেলির মাথায় হাত বোলাতে বোলতে চুলের ফাকে সিদুর দেখে চমকে উঠে বলল,বেলি তোমা সিথিতে সিদুর লেগে আছে দেখেছো?
--তাতে কি হয়েছে?
--সবাই বুঝে যাবে না?
--তুই কি বলছিস সবাইকে বলব আমার বিয়ে হয়নি?
--না তা বলছি না মানে তোমার বাবা যদি জেনে যায়--।
--বাড়ী গিয়ে আমি বাবাকে আমাদের বিয়ের কথা বলব।
মনসিজ ভাবার চেষ্টা করে বললে কি হতে পারে,বললে বলুক সেতো আর এখানে থাকছে না, সে তখন লখনৌতে থাকবে।
প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করল,তুই বলতো বাজারে এত দেরী হল কেন,কি করছিলি?
--কি করব?ভাবছিলাম কি মাছ কিনব তুমি কি মাছ খাও রুক্সানা বলল,কই মাছ নিতে--।
--রুক্সানা?সে আবার কোথা থেকে জুটলো?
--রুক্সানা দিলীপের গার্ল ফ্রেণ্ড।জানো বেলি দিলীপ পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিল বলে রুক্সানা ওকে ছেড়ে চলে গেছিল আবার এসেছে।
--আবার দিলীপকে ছেড়ে তোর কাছে আসবে--।
--বোকার মত কথা বোলোনাত?
--বোকার কি হল?
--আমার আছে না?
--কি আছে না?
--আমার বউ আছে না?
--তোর বউ আছে?তাহলে কাল রাতে ওরকম করছিলি কেন?
মনসিজ ইতস্তত করে।প্রজ্ঞা বলল,কিরে বল।
--জানো বেলি তোমার কষ্ট হলে আমারও কেমন কষ্ট হয়।
মাস্তানের মাথাটা বুকে চেপে ধরল।আরে বোকা আমার কষ্ট হয়না আমার ভাল লাগে।কষ্ট হলে তো তোকে বলব।প্রজ্ঞার গলা ধরে আসে।কানায় কানায় ভরে যায় প্রজ্ঞার মন।এখন আর সময় নেই,অতি কষ্টে নিজেকে সংযত করে।
হিমানীদেবী চা নিয়ে ঢূকলেন।
--মামণি তুমি আবার চা নিয়ে এলে?
--তোরা পাঁচটায় বেরোবি বললি।
ট্রলি ব্যাগে সব গুছিয়ে দিল প্রজ্ঞা।বেরোবার আগে বলল,মামনি আজ ভাবছি বাড়ি যাব নাও ফিরতে পারি।
শিয়ালদা পৌছে সোজা স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়ে টিকিট নিয়ে এল।মনসিজ বলল,তোমার চেনা?
--বাপির ক্লায়েণ্ট আগে বলে রেখেছিলাম,চল।
ট্রেনে তুলে দেবার আগে বলল,দিল্লী পৌছে ফোন করবি।তারপর লক্ষনৌ পৌছেও ফোন করবি।এবালা ওবেলা দুবেলা ফোন করবি।আর এই টাকাটা রাখ।
ট্রেন প্লাটফরম ছেড়ে চলে যাচ্ছে মনসিজ জানলা দিয়ে গলা বাড়িয়ে দেখল বেলি রুমাল দিয়ে চোখ মুছছে।
ভাত হয়ে গেছে মনুটা গেছে তো গেছে।ছেলেটার কবে যে আক্কেল হবে, হিমানীদেবী বিরক্ত হন।পোশাক বদলে মনসিজের ডায়েরী নিয়ে বসেছে প্রজ্ঞা।চোখ বোলাতে বোলাতে মীনাক্ষী নামটা দেখে ভ্রু কুচকে যায়।মীনাক্ষীর বিয়েতে নেমন্তন্ন মস্তানের খুব উৎসাহ প্রজ্ঞার মুখে হাসি ফোটে।বিয়েতে বিষন্ন নয় উল্লসিত। বুঝতে পারে তার সন্দেহ অমূলক,মস্তানের মনে বেলি ছাড়া কেউ নেই।
হিমানীদেবী দরজা খুলে বললেন,বেরোলে আর বাড়ীর কথা মনে থাকেনা।
--বেলির জন্য দেরী হয়ে গেল।
--বেলি কি করল?
--বেলি কি মাছ পছন্দ করে জানি না তাই ভাবছিলাম--।
--তুমি খালি ভাবো আর কোনো কাজ নেই।
মনে হয় মস্তান ফিরেছে প্রজ্ঞা তাড়াতাড়ি ডায়েরী সরিয়ে রাখে।কাল রাতের কথা মনে পড়তে শরীরে কেমন এক শিরশিরানি অনুভুত হয়।
একটু ভয় ভয় করছিল কি হয় কি হয়।এখন মনে হয় যেমন ইচ্ছে যা খুসী করুক।এত সময় নেয় হাপিয়ে গেছিল।আজ চলে যাবে ভেবে খারাপ লাগে। ইচ্ছে করলে আজও মিলন সম্ভব,মাস্তান তার কথার অবাধ্য হবে না।পরে মনে হল না নিজের জন্য ওর দেরী করিয়ে দেওয়া ঠীক হবে না।ফিরে আসলে তো একান্তই তার হবে।প্রজ্ঞাকে ঘরে থেকে বেরোতে দেখে মনসিজ বলল,আমার ঘরে কি করছিলে?
--তোর ঘর কিরে?এখন আমি যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি।চল মামণির ঘরে চল।
--কেন?
--দরকার আছে চল।
শুরু হল হুকুমজারী।মনসিজ পিছন পিছন গেল।প্রজ্ঞা ট্রলি ব্যাগ খুলে একটা জামা আর একটা প্যাণ্ট বের করে দিয়ে বলল,পরে দেখতো ঠিক হয়েছে কিনা?
মনসিজ অবাক তার জন্য নতুন জামা প্যাণ্ট কিনেছে।ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করবে,বেলি থাকলে তার কোনো চিন্তা নেই। জামা প্যাণ্ট পরে দেখল মোটামুটি ঠিকই আছে।
--এই ট্রলি ব্যাগ নিয়ে যাবি এর মধ্যে দু-সেট জামা প্যাণ্ট আছে ব্রাশ পেস্ট চিরুনী সব দিয়ে দিয়েছি।
--এতো অনেক টাকার জিনিস পত্র।
--খরচ হয়েছে এবার টাকা আসবে।শোন টাকা পেলে আমার এ্যাকাউণ্টে জমা করে দিবি।
--তোমার এ্যাকাউণ্ট আমি কি করে জানবো?
--সব দিয়ে দেবো।আমার নাম কি বলতো?
--কি আবার বেলি না মানে প্রজ্ঞা চৌধুরী।
--তোকে কেন গাধা বলি বুঝেছিস?প্রজ্ঞা চৌধুরী নয় প্রজ্ঞা মজুমদার।
ঠোটে ঠোট চেপে মনসিজ মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।প্রজ্ঞা বলল,গাধা বললাম বলে রাগ করলি?
--বেলি তোমার যা ইচ্ছে বলতে পারো আমি তোমার উপর রাগ করব না।
--ঠীক আছে এবার জামা প্যাণ্ট খুলে ফেল।ঘর থেকে বেরিয়ে গেল প্রজ্ঞা।
নিজেকে খুব সুখী মনে হয়।যতটা আশা করেছিল তার চেয়ে যেন বেশি পেয়েছে ভেবে চোখে জল চলে আসে।আচলে চোখ মোছে।
হিমানীদেবী ডাকলেন,তোর মস্তানকে বল মা স্নান করে নিতে আমার রান্না হয়ে এসেছে।
স্নান করে প্রজ্ঞা ব্যাগ থেকে চিরুণী বের করে মাথা চুল বিন্যস্ত করে।স্বামীর কল্যাণের জন্য মেয়েরা সিথিতে সিদুর দেয়।এসব বিশ্বাস করে না প্রজ্ঞা তবু সংস্কার বশত ব্যাগ থেকে সিদুরের কৌটো বের করে চিরুণীর মাথায় লাগিয়ে সিথিতে বোলায়।
মাটিতে খেতে বসেছে।হিমানীদেবী পরিবেশন করতে করতে জিজ্ঞেস করেন,মনু কি আজই চলে যাবে?
মামণির মুখ দেখে খারাপ লাগে প্রজ্ঞা বলে,মামণি আমি তো আছি।দেখতে দেখতে ছটা মাস চলে যাবে।
--আজ যদি মনুর বাবা থাকতো--।দীর্ঘশ্বাস ফেলেন হিমানী দেবী।
প্রসংগ বদলাতে প্রজ্ঞা বলল,মামণি মাছটা দারুণ হয়েছে।
--কইমাছ এনেছে দেখে তেলকই রান্না করলাম।
--আমাকে সব রান্না শিখিয়ে দিতে হবে কিন্তু।
খাওয়া শেষ করে উঠে দাঁড়ায় মনসিজ।প্রজ্ঞা বলল,এখন একটু বিশ্রাম করে নে বিকেল পাঁচটায় বেরোতে হবে।
মনসিজ চলে গেল হিমানীদেবী বললেন,পাঁচটায় চলে যাবে?
--হ্যা আমি তুলে দিয়ে আসবো।
মনু বাড়ীতে থাকবে না ভেবে হিমানীদেবীর মন খারাপ নিজেকে বোঝান মোটে তো ছটা মাস দেখতে দেখতে কেটে যাবে।
খাটে আধশোয়া হয়ে মনসিজ বাড়ী ছেড়ে চলে যাবার কথা ভাবছে না।তার চিন্তা ট্রেনিং নিয়ে কি শেখাবে কেমনভাবে শেখাবে এত কি শেখার আছে যে ছমাস লাগবে।প্রজ্ঞা ঢুকে খাটে উঠতে গেলে মনসিজ বলল,তুমি এখানে শোবে?
--তাহলে কোথায় শোবো?
মনসিজ কোনো কথা না বলে একটু সরে জায়গা করে দিল।প্রজ্ঞা কাত হয়ে শুয়ে বা-হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল।মনসিজের অস্বাস্তি হয় আবার ভালও লাগে।বেলির মাথায় হাত বোলাতে বোলতে চুলের ফাকে সিদুর দেখে চমকে উঠে বলল,বেলি তোমা সিথিতে সিদুর লেগে আছে দেখেছো?
--তাতে কি হয়েছে?
--সবাই বুঝে যাবে না?
--তুই কি বলছিস সবাইকে বলব আমার বিয়ে হয়নি?
--না তা বলছি না মানে তোমার বাবা যদি জেনে যায়--।
--বাড়ী গিয়ে আমি বাবাকে আমাদের বিয়ের কথা বলব।
মনসিজ ভাবার চেষ্টা করে বললে কি হতে পারে,বললে বলুক সেতো আর এখানে থাকছে না, সে তখন লখনৌতে থাকবে।
প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করল,তুই বলতো বাজারে এত দেরী হল কেন,কি করছিলি?
--কি করব?ভাবছিলাম কি মাছ কিনব তুমি কি মাছ খাও রুক্সানা বলল,কই মাছ নিতে--।
--রুক্সানা?সে আবার কোথা থেকে জুটলো?
--রুক্সানা দিলীপের গার্ল ফ্রেণ্ড।জানো বেলি দিলীপ পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিল বলে রুক্সানা ওকে ছেড়ে চলে গেছিল আবার এসেছে।
--আবার দিলীপকে ছেড়ে তোর কাছে আসবে--।
--বোকার মত কথা বোলোনাত?
--বোকার কি হল?
--আমার আছে না?
--কি আছে না?
--আমার বউ আছে না?
--তোর বউ আছে?তাহলে কাল রাতে ওরকম করছিলি কেন?
মনসিজ ইতস্তত করে।প্রজ্ঞা বলল,কিরে বল।
--জানো বেলি তোমার কষ্ট হলে আমারও কেমন কষ্ট হয়।
মাস্তানের মাথাটা বুকে চেপে ধরল।আরে বোকা আমার কষ্ট হয়না আমার ভাল লাগে।কষ্ট হলে তো তোকে বলব।প্রজ্ঞার গলা ধরে আসে।কানায় কানায় ভরে যায় প্রজ্ঞার মন।এখন আর সময় নেই,অতি কষ্টে নিজেকে সংযত করে।
হিমানীদেবী চা নিয়ে ঢূকলেন।
--মামণি তুমি আবার চা নিয়ে এলে?
--তোরা পাঁচটায় বেরোবি বললি।
ট্রলি ব্যাগে সব গুছিয়ে দিল প্রজ্ঞা।বেরোবার আগে বলল,মামনি আজ ভাবছি বাড়ি যাব নাও ফিরতে পারি।
শিয়ালদা পৌছে সোজা স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়ে টিকিট নিয়ে এল।মনসিজ বলল,তোমার চেনা?
--বাপির ক্লায়েণ্ট আগে বলে রেখেছিলাম,চল।
ট্রেনে তুলে দেবার আগে বলল,দিল্লী পৌছে ফোন করবি।তারপর লক্ষনৌ পৌছেও ফোন করবি।এবালা ওবেলা দুবেলা ফোন করবি।আর এই টাকাটা রাখ।
ট্রেন প্লাটফরম ছেড়ে চলে যাচ্ছে মনসিজ জানলা দিয়ে গলা বাড়িয়ে দেখল বেলি রুমাল দিয়ে চোখ মুছছে।