26-11-2021, 09:20 PM
(This post was last modified: 15-02-2022, 12:25 PM by kumdev. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
।।৭১।।
সকাল হতেই বস্তিতে শুরু হয় কর্মব্যবস্ততা।বুচির মা আর শেফালী গল্প করতে করতে নমিতাকে আসতে দেখে কমলার বাড়ীর কাছে দাঁড়িয়ে পড়ে।নমিতা ওদের দিকে ফিরেও দেখল না সোজা বাজারের পথ ধরল।শেফালী নাক বেকিয়ে বলল,নাগরের কাছে চলল।
--কার কথা বলতিছিস?
--পাচু।শিবুদা মারা যাবার পর ঐ জায়গায় পাচু বসে।এখন তার মালকিন নমিতা।
বুচির মা নাক কুচকে বলল,একটা পচা গন্ধ পাচ্ছিস না?
শেফালীও ওয়াক করে বলল,হুউম মনে হয় ইদুর মরা পচেছে।এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন,চলো ওদিকি চলো।
ওরা একটু দূরে সরে গিয়ে বুচির মা জিজ্ঞেস করে,পাচুর কথাটা সত্যি?
--চার দিয়ালের মধ্যি একটা মেয়ে মানুষ আর সোমত্ত পুরুষ মানুষ কতক্ষন ঠিক থাকতি পারে তুমি কও?
--সব ভাগ্য নাহলি অমন যোয়ান বউ ফেলায় স্বামীটা মারা যাবে কেন?ভাতার খুইয়ে মাগীর দেমাগ যেন বেড়ি গেছে।
--তাইতো বলতিছি সোয়ামী খুইয়ে ওর কপাল ফিরে গেছে।পাচুই সব করে ও খালি ক্যাশ সামলায়।যদ্দিন গতর আছে করি নে।রস শুকোয় গিলি ওই পাচুই ছুড়ে ফ্যালাবে।
--ছাড়ান দে পরের কথা।বুচির মা বলল।
--একদিন বাজারে কমলাদির সঙ্গে দেখা।মেয়েটার ভালই বিয়ে হয়েছে কিন্তু কমলাদি এখন বড় একা।
--কমলারে ইদানীং বেশি দেখা যায় না।
--বেরোয় কম,খুব দরকার না পড়লি বেরোয় না।
প্রজ্ঞার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে।মাসীর বাসা থেকে কলেজে যায় বাসে।বেথুনে পড়ার সময় হেটেই কলেজ যেতো কিন্তু সায়েন্স কলেজ অনেকটা পথ।পুরানো সহপাঠী এখানে কেউ নেই।এখানে ছেলে মেয়ে সবাই আছে। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হল।তার মধ্যে একজন শুভেন্দু কথায় কথায় তার তারিফ করে।মনস্তত্ত্ব না পড়লেও বুঝতে অসুবিধে হয়না শুভেন্দুর মাথায় কোন চিন্তা খেলা করছে।মনে মনে হাসে প্রজ্ঞা।ভালয় মন্দয় মিশিয়ে খারাপ লাগে না।কলকাতায় এসেছে মাস্তান মনে হয় জানে না।
--ক্লাস হবে না স্যার আসেন নি।শুভেন্দু এসে বলল।
কি করবে ভাবে প্রজ্ঞা,শুভেন্দু বলল,চলুন ক্যাণ্টিনে গিয়ে বসি।
দুজনে ক্যাণ্টিনে গিয়ে বসল।শুভেন্দু এত বক বক করতে পারে।ওকে এড়াবার জন্য ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করে খুলে বসল।
শুভেন্দু স্ক্রিনে উকি দিয়ে জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার ইউপিএসসিতে বসার ইচ্ছে আছে নাকি?
উফস কথা ঠিক খুজে বের করবে প্রজ্ঞা হেসে বলল,বসলে হয়।হঠাৎ কি দেখে ভ্রু কুচকে যায় নীচু হয়ে দেখতে থাকে।মনের মধ্যে একটা ঢেউ খেলে যায়।ল্যাপটপ বন্ধ করে ব্যাগে ভরে ঘড়ি দেখল,পরের ক্লাসের সময় হয়ে গেছে।
শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিল মনসিজ।হিমানীদেবী চা দিয়ে বলল,একটু ঘুরে আয় ভাল লাগবে।
চায়ে চুমুক দিয়ে হেসে বলল,তোমার কাছে থাকি ভাল লাগে না?
--ভাল লাগবে না কেন?বাইরে ঘুরলে মন হালকা হয়।
বেলা হয়েছে মনসিজ চা খেয়ে বাথরুমে গিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে জামা গায়ে দেয়।এতক্ষনে সবাই হয়তো জড়ো হচ্ছে রকে।মনসিজ বলল,আমি বেরোচ্ছি।
রাস্তায় বেরিয়ে দূর থেকে নজরে পড়ে আড্ডা জমে গেছে।মনসিজ গিয়ে নির্মলের পাশে বসল।রকের আড্ডা ক্ষনে ক্ষনে প্রসঙ্গ বদলায়।
খেলার কথা থেকে সাহিত্য সাহিত্য থেকে সিনেমা তারপর পরচর্চায় এসে থামে।আশিসদা জমিয়ে সংসার করছে।দিলীপের একটা আফশোস তার লেখা পড়ে শোনাবে এমন সমজদার পাঠক পাওয়া যায় না।একসময় নির্মল নীচু গলায় মনসিজকে বলল,তুই বৌদির ওখানে যাস না?তোর কথা বলছিল।
--তুমি গেছিলে?
--রীমাকে বলছিল।
--কেন খোজ করছিল কিছু বলেছে?
নির্মল কি বলবে এক মুহূর্ত ভেবে বলল,সেরকম কিছু না।কাকে কোন কাজে লেগে যায় কে বলতে পারে।
বঙ্কিম বলল,মনা তোকে ডাকছে।ইশারায় রাস্তার দিকে দেখালো।
মনসিজ তাকিয়ে চমকে উঠল, রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে বেলি।
রক থেকে নামতেই বেলি হাটতে শুরু করে।শুভ বলল,মনা মালটা দারুণ বাগিয়েছে।
কথাটা কানে ঝা-ঝা করে উঠল ইচ্ছে করছিল ঘুরে গিয়ে গালে এক চড় কষিয়ে দেয়।ইচ্ছে দমন করে বেলির পিছন পিছন চলতে শুরু করে।
--কি ব্যাপার তুমি?
--পরীক্ষা দিলি কি হল একবার খোজ নিয়েছিস?
--ভাবছিলাম একবার খোজ নেবো।যাইহোক স্বচক্ষে দেখতে দোষ কি।
--তুই কি সারা জীবন ভেবে ভেবে কাটাবি?
এসেই শুরু করেছে গার্ডিয়ানগিরি।মনসিজ কথার জবাব দেয়না।বেলি এর আগে কোনোদিন একেবারে রকে আসেনি।লোকে ভাল চোখে দেখে না ওকি বোঝেনা।রকে এর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে অনুমান করতে পারে।
কলিং বেলের শব্দ শুনে হিমানীদেবী অবাক হন।এর মধ্যে ফিরে এল?ছেলেটাকে নিয়ে চিন্তা হয়।দরজা খুলে চোখ কপালে তুলে বললেন,ওমা বেলি! আয় মা ভিতরে আয়।
প্রজ্ঞা ভিতরে ঢুকে নীচু হয়ে হিমানীদেবীর পা ছুয়ে প্রণাম করে মনসিজকে বলল,দাড়িয়ে আছিস কেন মামণিকে প্রণাম কর।
মনসিজ অবাক হলেও বেলির কথামত প্রণাম করল।
--কি ব্যাপার?হিমানীদেবী জিজ্ঞেস করলেন।
--তোমার ছেলে পাস করেছে।
ব্যাগ থেকে একটা বড় কাগজ বের করে মনসিজের দিকে এগিয়ে দিল প্রজ্ঞা।মনসিজ খুশিতে আত্মহারা কাগজটা নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে থাকে।একশো একুশে র্যাঙ্ক করেছে।প্রজ্ঞা ঢুকে বলল,সামনের সপ্তাহে ভাইবা।
--তুমি এটা কোথায় পেলে?
--ওয়েভসাইটে দিয়েছে,কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট আউট বের করেছি।
হিমানীদেবী চা নিয়ে ঢুকলেন।প্রজ্ঞা বলল,মামণি আর একটা ছোট ধাপ বাকী।
--তোরা চা খা।আমি টিফিন করে আনছি।হিমানী দেবী চলে গেলেন।
--ভাইভা কি খুব কঠিণ?
প্রজ্ঞা টেবিলের সামনে টুল রেখে উলটো দিকে চেয়ারে বসে বলল,আয় একবার ট্রায়াল দিয়ে নে।তুই ঘরের বাইরে যা।
মনসিজ বাইরে যেতে বলল,এবার আয়।
মনসিজ বাইরে থেকে ঘরে ঢুকতে প্রজ্ঞা বলল,--কিরে গটগট করে ঢুকে পড়লি?অনুমতি নিয়ে ঢূকবি,যা বাইরে যা।
মনসিজ দরজার বাইরে গিয়ে বলল,may I come in sir?
প্রজ্ঞা হতাশ হয়ে কপালে চাপড় মারে।মমসিজ বলল,কি হল?
--আমাকে তোর স্যার মনে হচ্ছে?
--ওখানে তো স্যার থাকবে।
--ওখানে নয় এখন এখানের কথা ভাব।যা বাইরে যা।
মনসিজ বাইরে গিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে বলল, may I come in madam?
--yes come in.
মনসিজ ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসল।প্রজ্ঞা বলল,ওঠ ওঠ দাড়া।তোকে বসতে বলেছি?যা বাইরে যা।
মনসিজ বাইরে থেকে অনুমতি নিয়ে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকে।প্রজ্ঞা বলল,Be sitted please
মনসিজ বসতে প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করে,
--Whats your name?
--Manosij Mazumdar,
--Mr Mazumder to whome do you credit your success?
--First my father who is not among us today whose honesty and devotion are my role models.Secondly my mother being a triumphant woman both in the professional and personal front despite the tremendous destitution she faced.Lastly It is unfair to talk about another person who has taught me anew.She is my inspiration.I can't think me without her.
--Is she your Girl friend.
--I am one of the unfortunates who has no girl friend.
--দাড়া বাদর তোকে বলেছি না সব সময় সত্যি কথা বলবি।
হিমানী দেবী দুটো প্লেটে লুচি তরকারী নিয়ে প্রবেশ করলেন।
লুচি চিবোতে চিবোতে ভাবে মনসিজ,ঐ রকম বলা যায় কিন্তু সব সময় সত্যি বলা সোজা নয়।
সকাল হতেই বস্তিতে শুরু হয় কর্মব্যবস্ততা।বুচির মা আর শেফালী গল্প করতে করতে নমিতাকে আসতে দেখে কমলার বাড়ীর কাছে দাঁড়িয়ে পড়ে।নমিতা ওদের দিকে ফিরেও দেখল না সোজা বাজারের পথ ধরল।শেফালী নাক বেকিয়ে বলল,নাগরের কাছে চলল।
--কার কথা বলতিছিস?
--পাচু।শিবুদা মারা যাবার পর ঐ জায়গায় পাচু বসে।এখন তার মালকিন নমিতা।
বুচির মা নাক কুচকে বলল,একটা পচা গন্ধ পাচ্ছিস না?
শেফালীও ওয়াক করে বলল,হুউম মনে হয় ইদুর মরা পচেছে।এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন,চলো ওদিকি চলো।
ওরা একটু দূরে সরে গিয়ে বুচির মা জিজ্ঞেস করে,পাচুর কথাটা সত্যি?
--চার দিয়ালের মধ্যি একটা মেয়ে মানুষ আর সোমত্ত পুরুষ মানুষ কতক্ষন ঠিক থাকতি পারে তুমি কও?
--সব ভাগ্য নাহলি অমন যোয়ান বউ ফেলায় স্বামীটা মারা যাবে কেন?ভাতার খুইয়ে মাগীর দেমাগ যেন বেড়ি গেছে।
--তাইতো বলতিছি সোয়ামী খুইয়ে ওর কপাল ফিরে গেছে।পাচুই সব করে ও খালি ক্যাশ সামলায়।যদ্দিন গতর আছে করি নে।রস শুকোয় গিলি ওই পাচুই ছুড়ে ফ্যালাবে।
--ছাড়ান দে পরের কথা।বুচির মা বলল।
--একদিন বাজারে কমলাদির সঙ্গে দেখা।মেয়েটার ভালই বিয়ে হয়েছে কিন্তু কমলাদি এখন বড় একা।
--কমলারে ইদানীং বেশি দেখা যায় না।
--বেরোয় কম,খুব দরকার না পড়লি বেরোয় না।
প্রজ্ঞার ক্লাস শুরু হয়ে গেছে।মাসীর বাসা থেকে কলেজে যায় বাসে।বেথুনে পড়ার সময় হেটেই কলেজ যেতো কিন্তু সায়েন্স কলেজ অনেকটা পথ।পুরানো সহপাঠী এখানে কেউ নেই।এখানে ছেলে মেয়ে সবাই আছে। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হল।তার মধ্যে একজন শুভেন্দু কথায় কথায় তার তারিফ করে।মনস্তত্ত্ব না পড়লেও বুঝতে অসুবিধে হয়না শুভেন্দুর মাথায় কোন চিন্তা খেলা করছে।মনে মনে হাসে প্রজ্ঞা।ভালয় মন্দয় মিশিয়ে খারাপ লাগে না।কলকাতায় এসেছে মাস্তান মনে হয় জানে না।
--ক্লাস হবে না স্যার আসেন নি।শুভেন্দু এসে বলল।
কি করবে ভাবে প্রজ্ঞা,শুভেন্দু বলল,চলুন ক্যাণ্টিনে গিয়ে বসি।
দুজনে ক্যাণ্টিনে গিয়ে বসল।শুভেন্দু এত বক বক করতে পারে।ওকে এড়াবার জন্য ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করে খুলে বসল।
শুভেন্দু স্ক্রিনে উকি দিয়ে জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার ইউপিএসসিতে বসার ইচ্ছে আছে নাকি?
উফস কথা ঠিক খুজে বের করবে প্রজ্ঞা হেসে বলল,বসলে হয়।হঠাৎ কি দেখে ভ্রু কুচকে যায় নীচু হয়ে দেখতে থাকে।মনের মধ্যে একটা ঢেউ খেলে যায়।ল্যাপটপ বন্ধ করে ব্যাগে ভরে ঘড়ি দেখল,পরের ক্লাসের সময় হয়ে গেছে।
শুয়ে শুয়ে বই পড়ছিল মনসিজ।হিমানীদেবী চা দিয়ে বলল,একটু ঘুরে আয় ভাল লাগবে।
চায়ে চুমুক দিয়ে হেসে বলল,তোমার কাছে থাকি ভাল লাগে না?
--ভাল লাগবে না কেন?বাইরে ঘুরলে মন হালকা হয়।
বেলা হয়েছে মনসিজ চা খেয়ে বাথরুমে গিয়ে চোখে মুখে জল দিয়ে জামা গায়ে দেয়।এতক্ষনে সবাই হয়তো জড়ো হচ্ছে রকে।মনসিজ বলল,আমি বেরোচ্ছি।
রাস্তায় বেরিয়ে দূর থেকে নজরে পড়ে আড্ডা জমে গেছে।মনসিজ গিয়ে নির্মলের পাশে বসল।রকের আড্ডা ক্ষনে ক্ষনে প্রসঙ্গ বদলায়।
খেলার কথা থেকে সাহিত্য সাহিত্য থেকে সিনেমা তারপর পরচর্চায় এসে থামে।আশিসদা জমিয়ে সংসার করছে।দিলীপের একটা আফশোস তার লেখা পড়ে শোনাবে এমন সমজদার পাঠক পাওয়া যায় না।একসময় নির্মল নীচু গলায় মনসিজকে বলল,তুই বৌদির ওখানে যাস না?তোর কথা বলছিল।
--তুমি গেছিলে?
--রীমাকে বলছিল।
--কেন খোজ করছিল কিছু বলেছে?
নির্মল কি বলবে এক মুহূর্ত ভেবে বলল,সেরকম কিছু না।কাকে কোন কাজে লেগে যায় কে বলতে পারে।
বঙ্কিম বলল,মনা তোকে ডাকছে।ইশারায় রাস্তার দিকে দেখালো।
মনসিজ তাকিয়ে চমকে উঠল, রাস্তার ওপারে দাঁড়িয়ে বেলি।
রক থেকে নামতেই বেলি হাটতে শুরু করে।শুভ বলল,মনা মালটা দারুণ বাগিয়েছে।
কথাটা কানে ঝা-ঝা করে উঠল ইচ্ছে করছিল ঘুরে গিয়ে গালে এক চড় কষিয়ে দেয়।ইচ্ছে দমন করে বেলির পিছন পিছন চলতে শুরু করে।
--কি ব্যাপার তুমি?
--পরীক্ষা দিলি কি হল একবার খোজ নিয়েছিস?
--ভাবছিলাম একবার খোজ নেবো।যাইহোক স্বচক্ষে দেখতে দোষ কি।
--তুই কি সারা জীবন ভেবে ভেবে কাটাবি?
এসেই শুরু করেছে গার্ডিয়ানগিরি।মনসিজ কথার জবাব দেয়না।বেলি এর আগে কোনোদিন একেবারে রকে আসেনি।লোকে ভাল চোখে দেখে না ওকি বোঝেনা।রকে এর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে অনুমান করতে পারে।
কলিং বেলের শব্দ শুনে হিমানীদেবী অবাক হন।এর মধ্যে ফিরে এল?ছেলেটাকে নিয়ে চিন্তা হয়।দরজা খুলে চোখ কপালে তুলে বললেন,ওমা বেলি! আয় মা ভিতরে আয়।
প্রজ্ঞা ভিতরে ঢুকে নীচু হয়ে হিমানীদেবীর পা ছুয়ে প্রণাম করে মনসিজকে বলল,দাড়িয়ে আছিস কেন মামণিকে প্রণাম কর।
মনসিজ অবাক হলেও বেলির কথামত প্রণাম করল।
--কি ব্যাপার?হিমানীদেবী জিজ্ঞেস করলেন।
--তোমার ছেলে পাস করেছে।
ব্যাগ থেকে একটা বড় কাগজ বের করে মনসিজের দিকে এগিয়ে দিল প্রজ্ঞা।মনসিজ খুশিতে আত্মহারা কাগজটা নিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে থাকে।একশো একুশে র্যাঙ্ক করেছে।প্রজ্ঞা ঢুকে বলল,সামনের সপ্তাহে ভাইবা।
--তুমি এটা কোথায় পেলে?
--ওয়েভসাইটে দিয়েছে,কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট আউট বের করেছি।
হিমানীদেবী চা নিয়ে ঢুকলেন।প্রজ্ঞা বলল,মামণি আর একটা ছোট ধাপ বাকী।
--তোরা চা খা।আমি টিফিন করে আনছি।হিমানী দেবী চলে গেলেন।
--ভাইভা কি খুব কঠিণ?
প্রজ্ঞা টেবিলের সামনে টুল রেখে উলটো দিকে চেয়ারে বসে বলল,আয় একবার ট্রায়াল দিয়ে নে।তুই ঘরের বাইরে যা।
মনসিজ বাইরে যেতে বলল,এবার আয়।
মনসিজ বাইরে থেকে ঘরে ঢুকতে প্রজ্ঞা বলল,--কিরে গটগট করে ঢুকে পড়লি?অনুমতি নিয়ে ঢূকবি,যা বাইরে যা।
মনসিজ দরজার বাইরে গিয়ে বলল,may I come in sir?
প্রজ্ঞা হতাশ হয়ে কপালে চাপড় মারে।মমসিজ বলল,কি হল?
--আমাকে তোর স্যার মনে হচ্ছে?
--ওখানে তো স্যার থাকবে।
--ওখানে নয় এখন এখানের কথা ভাব।যা বাইরে যা।
মনসিজ বাইরে গিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে বলল, may I come in madam?
--yes come in.
মনসিজ ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসল।প্রজ্ঞা বলল,ওঠ ওঠ দাড়া।তোকে বসতে বলেছি?যা বাইরে যা।
মনসিজ বাইরে থেকে অনুমতি নিয়ে ঢুকে দাঁড়িয়ে থাকে।প্রজ্ঞা বলল,Be sitted please
মনসিজ বসতে প্রজ্ঞা জিজ্ঞেস করে,
--Whats your name?
--Manosij Mazumdar,
--Mr Mazumder to whome do you credit your success?
--First my father who is not among us today whose honesty and devotion are my role models.Secondly my mother being a triumphant woman both in the professional and personal front despite the tremendous destitution she faced.Lastly It is unfair to talk about another person who has taught me anew.She is my inspiration.I can't think me without her.
--Is she your Girl friend.
--I am one of the unfortunates who has no girl friend.
--দাড়া বাদর তোকে বলেছি না সব সময় সত্যি কথা বলবি।
হিমানী দেবী দুটো প্লেটে লুচি তরকারী নিয়ে প্রবেশ করলেন।
লুচি চিবোতে চিবোতে ভাবে মনসিজ,ঐ রকম বলা যায় কিন্তু সব সময় সত্যি বলা সোজা নয়।