26-11-2021, 10:09 AM
টিভি টা অফ করে দিলো সোনা । বসে চিন্তা করতে লাগলো । শত্রুও দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেললো ।
শত্রূ: হ্যারে শেষে ধরা পরে যাবো না তো?
সোনা: নাহ যদি প্রেমে না পড়ি ! বা তুই প্রেমে না পড়িস ! আর কাওকে কোনো দিন কিছু না বলিস !
পরের দিন দুজনে দুটো ডিজিটাল ঘড়ি পরে ঢুকলো তাদের আস্থানায় রাত্রে । প্ল্যান কিছুটা অদল বদল হয়েছে । সেটা সোনারই মোডিফিকেশন । যে মুহূর্তে তারা তাদের নিজেদের আস্তানায় ঢুকেছে একটা ঘড়ি স্টপ ওয়াচ চালিয়ে সোনার টেবিলে রেখে দিয়েছে যা ২৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত ঘুরবে । আর দুটো ঘড়ি সোনা , শত্রু স্বাভাবিক ভাবে পরে রেখেছে । আজ ৩১ -এ ডিসেম্বর । ঠিক ৪ ঘন্টা পরে পয়লা জানুয়ারী হবে হিসাব মতো । আর চার ঘন্টা তারা নিজেদের আস্তানায় থাকবে ।
গরিবের ঘরে ছেলে মেয়ে বড়ো হয়ে গেলে কেউ আর জিজ্ঞাসা করে না কোথায় যাচ্ছিস কখন আসবি । তাই দুজনেই দুজনের মাকে বলে দিয়েছে রাতে বাড়ি ফিরবে না পিকনিক আছে ।
যেখানেই যেতে হবে ওদের এক সাথেই যেতে হবে । চেষ্টা করলো শত্রূ একা ডেরা থেকে বেরিয়ে আসবার কিন্তু পারলো না ।
আজ সোনা আরেকটা এক্সপেরিমেন্ট করবে তার নিজের জীবনের সাথে । তুলে আনবে কিছু অজানা তথ্য তার জীবনের । ধন্বন্তরি সব সময়ই বলে তার বাবা নাকি জন্মের সময়ই মারা গেছে । শত্রুর বাবা মারা গেছে জ্বরে । কিন্তু তার মনে একটা খটকা আছে । শত্রুর বাবাকে নিয়ে গ্রামে আলোচনা হয় কিন্তু সনাতনের বাবা কে নিয়ে কেউ গ্রামে আলোচনা করে না । অনেকে জানেই না সনাতনের বাবা কে ছিল । কোনো দিন সে কারোর মুখে তার বাবার কোনো কথা সোনে নি । গ্রাম তাকে চেনে তার জন্মের সাথে সাথে আর মাকে চেনে গ্রামের মেয়ে হিসাবে ।
ডেরায় গিয়ে ভালো করে বসলো দুজনে । দুজনেই মুখ চাওয়া চাওয়ি করে বললো আজ কিন্তু ভালো খাবার আর ভালো মদ চাইবো নতুন বছর । আর জামা কাপড় । এক কোনে কালো বাক্সে ৫০ লক্ষ টাকা পড়ে আছে । অঞ্জনা টাকা নিয়ে যান নি । টাকা টা কি করা যায় বলতো ?
শত্রুর মন খুব পরিষ্কার । "মঞ্জুলা কে দিয়ে দিলে কেমন হয় ! তোরই তো বোন ! "
সোনা: এতো টাকা ওহ সামলাতে পারবে না কিছু ওকে দিয়ে বাকিটা তুই আপাতত তোর কাছে রাখ !
শত্রূ মস্তি চায় । কিন্তু লজ্জা পায়। আজ কিন্তু দুজনে আগের দিনের মতো এক সাথে থাকবো । শত্রুর দিকে তাকিয়ে সোনা বললো "দাঁড়া আগে একটু দারু সারু খাই ! ভালো করে অনেক দিন খাওয়া হয় নি ! "
শত্রূ: কাকে ডাকবি ?
সোনা: অনন্য চ্যাটার্জি কে ।
শত্রূ: তোর এতো হাই ফাই ক্লাস না, মাইরি ভয় লাগে !
কোথায় শ্রাবন্তী কে ডাকবি বা কোয়েল মল্লিক কে ডাকবি ! আমিও কোয়েলের সামনে বলবো "চাবকে তোমার পিঠের চাল তুলে নেবো ! রণজিৎ মল্লিকের মতো !
দুজনেই ডাকলো অনন্য চ্যাটার্জী , সজ্ঞানে ।
শত্রূ: হ্যারে শেষে ধরা পরে যাবো না তো?
সোনা: নাহ যদি প্রেমে না পড়ি ! বা তুই প্রেমে না পড়িস ! আর কাওকে কোনো দিন কিছু না বলিস !
পরের দিন দুজনে দুটো ডিজিটাল ঘড়ি পরে ঢুকলো তাদের আস্থানায় রাত্রে । প্ল্যান কিছুটা অদল বদল হয়েছে । সেটা সোনারই মোডিফিকেশন । যে মুহূর্তে তারা তাদের নিজেদের আস্তানায় ঢুকেছে একটা ঘড়ি স্টপ ওয়াচ চালিয়ে সোনার টেবিলে রেখে দিয়েছে যা ২৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত ঘুরবে । আর দুটো ঘড়ি সোনা , শত্রু স্বাভাবিক ভাবে পরে রেখেছে । আজ ৩১ -এ ডিসেম্বর । ঠিক ৪ ঘন্টা পরে পয়লা জানুয়ারী হবে হিসাব মতো । আর চার ঘন্টা তারা নিজেদের আস্তানায় থাকবে ।
গরিবের ঘরে ছেলে মেয়ে বড়ো হয়ে গেলে কেউ আর জিজ্ঞাসা করে না কোথায় যাচ্ছিস কখন আসবি । তাই দুজনেই দুজনের মাকে বলে দিয়েছে রাতে বাড়ি ফিরবে না পিকনিক আছে ।
যেখানেই যেতে হবে ওদের এক সাথেই যেতে হবে । চেষ্টা করলো শত্রূ একা ডেরা থেকে বেরিয়ে আসবার কিন্তু পারলো না ।
আজ সোনা আরেকটা এক্সপেরিমেন্ট করবে তার নিজের জীবনের সাথে । তুলে আনবে কিছু অজানা তথ্য তার জীবনের । ধন্বন্তরি সব সময়ই বলে তার বাবা নাকি জন্মের সময়ই মারা গেছে । শত্রুর বাবা মারা গেছে জ্বরে । কিন্তু তার মনে একটা খটকা আছে । শত্রুর বাবাকে নিয়ে গ্রামে আলোচনা হয় কিন্তু সনাতনের বাবা কে নিয়ে কেউ গ্রামে আলোচনা করে না । অনেকে জানেই না সনাতনের বাবা কে ছিল । কোনো দিন সে কারোর মুখে তার বাবার কোনো কথা সোনে নি । গ্রাম তাকে চেনে তার জন্মের সাথে সাথে আর মাকে চেনে গ্রামের মেয়ে হিসাবে ।
ডেরায় গিয়ে ভালো করে বসলো দুজনে । দুজনেই মুখ চাওয়া চাওয়ি করে বললো আজ কিন্তু ভালো খাবার আর ভালো মদ চাইবো নতুন বছর । আর জামা কাপড় । এক কোনে কালো বাক্সে ৫০ লক্ষ টাকা পড়ে আছে । অঞ্জনা টাকা নিয়ে যান নি । টাকা টা কি করা যায় বলতো ?
শত্রুর মন খুব পরিষ্কার । "মঞ্জুলা কে দিয়ে দিলে কেমন হয় ! তোরই তো বোন ! "
সোনা: এতো টাকা ওহ সামলাতে পারবে না কিছু ওকে দিয়ে বাকিটা তুই আপাতত তোর কাছে রাখ !
শত্রূ মস্তি চায় । কিন্তু লজ্জা পায়। আজ কিন্তু দুজনে আগের দিনের মতো এক সাথে থাকবো । শত্রুর দিকে তাকিয়ে সোনা বললো "দাঁড়া আগে একটু দারু সারু খাই ! ভালো করে অনেক দিন খাওয়া হয় নি ! "
শত্রূ: কাকে ডাকবি ?
সোনা: অনন্য চ্যাটার্জি কে ।
শত্রূ: তোর এতো হাই ফাই ক্লাস না, মাইরি ভয় লাগে !
কোথায় শ্রাবন্তী কে ডাকবি বা কোয়েল মল্লিক কে ডাকবি ! আমিও কোয়েলের সামনে বলবো "চাবকে তোমার পিঠের চাল তুলে নেবো ! রণজিৎ মল্লিকের মতো !
দুজনেই ডাকলো অনন্য চ্যাটার্জী , সজ্ঞানে ।