17-11-2021, 11:38 AM
(This post was last modified: 09-02-2022, 09:41 PM by kumdev. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
।।৬৬।।
নিজেকে খুব হাল্কা লাগছে হাটতে থাকে মাসীর বাড়ীর দিকে।নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধূ, সুন্দরী রূপসী গানটা মনে মনে গুন গুন করে গাইতে থাকে।ফুটপাথ দিয়ে ব্যস্ত মানুষ হেটে চলেছে নিজ নিজ গন্তব্যে।তাল্পুকুরে মাস্তানকে মারপিট করতে দেখেছে কেমন নির্মম দেখলে কে বলবে ওর মনটা এত নরম।একটা ব্যাপার মেলাতে পারছে না,সাধারণত মেল পারসন ডমিনেটিং টাইপ হয়,মাস্তানের মধ্যে পৌরুষের অভাব নেই বরং বেশী মাত্রায় আছে।
ছেলেটা ধরা পড়েছে কমলা শুনেছে।খুকীর আসার সময় হয়ে এল বিছানা ছেড়ে উঠে বসল।দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে ভাবলেন,খুকী এসে গেছে।বাইরে বেরিয়ে দরজা খুলে কমল সিকদারকে দেখে মুখটা ব্যাজার হয়।
--তুমি বলেছিল আসামী ধরা পড়লে--।
--এখন খুকীর আসার সময় হয়ে গেছে,তুমি কাল এসো।
--ঠিক আছে কাল আবার কোনো বাহানা কোরোনা।
--বাহানা করব কেন,কথা যখন দিয়েছি--হ্যা কণ্ডোম নিয়ে আসবেন।কমলা দরজা বন্ধ করে দিল।
বরদা উকিলের চেম্বারে অবনীশবাবু বসে আছেন।কপালে হাত দিয়ে চোখ বুজে উকিলবাবুকে চিন্তান্বিত মনে হল।একসময় চোখ খুলে বললেন,৩৭৫ জামীন অযোগ্য ধারা থানায় গিয়ে কোনো লাভ হবে না।বিশেষ করে ফেরার ছিল,অনেকদিন পর ধরা পড়েছে।উহু-উহু করে কয়েকবার মাথা নেড়ে বরদা বাবু বললেন, কাল কোর্টেই যেতে হবে।
--সারারাত ছেলেটা হাজতে থাকবে?
--আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি বাট এ্যাম হেল্পলেস।আচ্ছা ঐ বলাই মিত্তির লোকটার কি ইন্টারেস্ট বলুন তো,লোকটা টেটিয়া টাইপ।
অবনীশ মুখুজ্জে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,আপনাকে কত দিতে হবে?
--আমার কন্সাল্টেশন ফিজ পাচশো আপনি পাড়ার লোক তিনশো দিলেই হবে।বাইরে আমার মুহুরী আছে ওকেই দিয়ে দিন।
ইচ্ছে ছিল বরদাবাবুকে নিয়ে থানায় গিয়ে ছেলেটার জামীন করিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসবেন।সেতো হলনা মাঝখান থেকে তিনশো টাকা গাট গচ্চা।রাস্তায় এসে আবনীশ মুখুজ্জে ভাবেন একবার মিত্তিরদার বাড়ী গেলে কেমন হয়।
বোস বাড়ীর রক জমজমাট।আলোচনা হচ্ছিল আশিসদাকে নিয়ে।শুভ বলল,তোরা নিশ্চিত হলি কি করে মেয়েটার কথা ঠিক?
বঙ্কিম আমতা আমতা করে।কল্পনার কথায় সেও বিশ্বাস করে ;., করেছে।বঙ্কিম বলল,তাহলে পালালো কেন?
--কি রকম কেলিয়েছিল পাব্লিক জানিস?ওই রকম ক্যালানি খেলে তুইও পালাতিস।
নির্মল বলল,ঠিক আছে শুভ আমরা না জেনে বলছি কিন্তু কানুদার জ্যাঠা বয়স্ক লোক উনিও কি না বুঝেই করেছেন?
--অনেকে হিরো হবার জন্য এরকম করে।
দিলীপ রকে বসেনি দাঁড়িয়েছিল।হঠাৎ কি দেখে দিলীপ বলল,দেখ-দেখ কে আসছে?
সবাই ঝুকে দেখল মনসিজ বাস রাস্তার দিক থেকে কিছু একটা ভাবতে ভাবতে আসছে।রকের কাছে আসতে বঙ্কিম বলল,কিরে মনা তুই তো একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেছিস।
--ফোন করলেও পাওয়া যায় না।
--ফোনটা একটু ডিস্টার্ব করছে ঐ জন্য ফোন নিয়ে বেরোই না।তারপর খবর কি বল?মনসিজ রকের একপাশে বসল।
বঙ্কিম বলল,খবর এক নম্বর বৌদির ছেলে হয়েছে--।
--বৌদি মানে?
--তাতাইদার বৌ এরমধ্যে ভুলে গেলি?
--ও এলিনাবৌদি,তারপর?
--দু-নম্বর মিসেস পাকড়াশী তোর খোজ করছিল তোকে ফোনে পাচ্ছে না।
--আর তিন নম্বর?
--তিন নম্বর আশিসদা ধরা পড়েছে,থানায় আছে।
--ধরা পড়েছে?কোথায় ছিল?
--মামার বাড়ী জলপাইগুড়ী।মনসিজকে চুপচাপ দেখে জিজ্ঞেস করল,খারাপ লাগছে?
--আমি ভাবছি ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে শেষ হবে।মহিলার ঐ অবস্থা আবার এদিকে আশিসদা থানা হাজতে--
--যেমন কর্ম তেমন ফল এবার জেল খাটো।
--তাতে কি মহিলার সমস্যা মিটবে?মনসিজ জিজ্ঞেস করল।
শুভ বলল,আমি এই কথাটা বলতে চাইছিলাম।
--ছাড়তো ফালতু ঝামেলা যে কাঠ খাবে সে আঙড়া হাগবে।নির্মল বলল।
এ সময় অবনীশ মুখুজ্জেকে দেখে বলাই মিত্তির কিছুটা অবাক হয়।তাকে ভিতরে নিয়ে বসিয়ে বললেন,চা খাবেন?
--আর চা! সব শুনেছেন?
--শুনে খুব খারাপ লাগল।এই বয়সে হাজতবাস কার ভাল লাগে বলুন।
মিত্তির গিন্নী চায়ের ট্রে এগিয়ে দিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন,তুমি চা খাবে নাকি?
--দাও এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে কেন?
চায়ে চুমুক দিয়ে অবনীশ মুখুজ্জে বললেন,দাদা এখন কি করি একটা পরামর্শ দিন তো।
মিত্তির গিন্নী আরেক কাপ চা নিয়ে স্বামীকে দিলেন।বলাই মিত্তির চায়ে চুমুক দিয়ে কি যেন ভাবতে থাকেন তারপর বললেন,আমার পরামর্শ আপনার ভাল লাগবে না,তবু বলি।
অবনীশ বাবু আগ্রহ নিয়ে তাকালেন।
--দেখুন মুখার্জিবাবু দুজনেই ছেলে মানুষ,ঘটনা যা ঘটেছে এক তরফা বলা যায়না,দুজনেই সমভাবে দায়ী।তবে এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের পোয়াতে হয় ঝক্কি। মেয়েটা দেখতে শুনতে মন্দ নয়। অল্প সময় কথা বলে যা বুঝেছি মেয়েটা খুব খারাপ হবে না।তবে কি মেয়েটা অ', আপনার পরিবারের সঙ্গে খাপ খায়না।
--আমার সেখানেই আপত্তি।
--মুখার্জিবাবু আপনি মেয়ে নয় ছেলের বাবা।যার সঙ্গে বিয়ে হোক ছেলের ব্রাহ্মনত্ব চলে যাবে না।বিয়ে হলে মেয়েটাও ', হয়ে যাবে।মেয়েদের ভগবানদত্ত একটা ক্ষমতা থাকে তারা সব ক্ষেত্রেই মানিয়ে নিতে পারে--এখন আপনি ভাবুন--।
অবনীশ বাবু হতাশার শ্বাস ছাড়লেন।
অবনীশবাবুর মুখ দেখে বলাই মিত্তির বললেন,দেখুন ভাই শেষ কথা বলার আমি কে?আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমার যা মনে হয়েছে আপনাকে বললাম।বাড়ী যান সবার সঙ্গে কথা বলুন।রাজী থাকলে বলবেন সকালে কোর্টে প্রোডিউস করার আগে থানায় গিয়ে কথা বলা যেতে পারে।মেয়েটাও অভিযোগ তুলে নেবে মনে হয়।
-- না দাদা আপনাকে ভুল বুঝিনি,সবই আমার অদৃষ্ট।
--এত ভেঙ্গে পড়ার মত কিছু হয়নি।এ সময় আপনাকে শক্ত হতে হবে।
--ভেঙ্গে পড়িনি দাদা।আমি ভাবছি ছেলেটার কথা।যে চাকরিটা করছিল ওটা গেছে বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে কি?তাছাড়া আমাদের পরিবারে বাড়ীর বউ ঐরকম চাকরি করবে কেউ মেনে নেবে না।
--চাকরি ছেড়ে দেবে।
অবনীশবাবু হাসল বলল,কি যে বলেন দাদা আমার পক্ষে কি এতবড় সংসারের দায় সামলানো সম্ভব?তারপর মেয়েটির কদিন পর বাচ্চা হবে--।
--হুউম বুঝতে পারছি।কিছুক্ষন ভেবে বলাই মিত্তির বললেন,আপনার ছেলের লেখাপড়া কদ্দুর?
--দুবার বিএ ফেল করে আর পরীক্ষা দিলনা--।
--দিন পনেরো সময় দিলে একটা প্রাইভেট ফার্মে ছোটোখাট একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
অবনীশবাবু চোখ তুলে তাকালেন।বলাই মিত্তির বললেন,মাইনে যে চাকরি করতো ঐরকমই হবে।
অবনীশবাবু উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,আজ আসি দাদা--।
--যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে।মেয়েটাকে দিয়ে ডায়েরী উইথড্র করাতে হবে।একবার কোর্টে চালান হয়ে গেলে পুলিশের কিছু করার থাকবে না।
নিজেকে খুব হাল্কা লাগছে হাটতে থাকে মাসীর বাড়ীর দিকে।নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধূ, সুন্দরী রূপসী গানটা মনে মনে গুন গুন করে গাইতে থাকে।ফুটপাথ দিয়ে ব্যস্ত মানুষ হেটে চলেছে নিজ নিজ গন্তব্যে।তাল্পুকুরে মাস্তানকে মারপিট করতে দেখেছে কেমন নির্মম দেখলে কে বলবে ওর মনটা এত নরম।একটা ব্যাপার মেলাতে পারছে না,সাধারণত মেল পারসন ডমিনেটিং টাইপ হয়,মাস্তানের মধ্যে পৌরুষের অভাব নেই বরং বেশী মাত্রায় আছে।
ছেলেটা ধরা পড়েছে কমলা শুনেছে।খুকীর আসার সময় হয়ে এল বিছানা ছেড়ে উঠে বসল।দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে ভাবলেন,খুকী এসে গেছে।বাইরে বেরিয়ে দরজা খুলে কমল সিকদারকে দেখে মুখটা ব্যাজার হয়।
--তুমি বলেছিল আসামী ধরা পড়লে--।
--এখন খুকীর আসার সময় হয়ে গেছে,তুমি কাল এসো।
--ঠিক আছে কাল আবার কোনো বাহানা কোরোনা।
--বাহানা করব কেন,কথা যখন দিয়েছি--হ্যা কণ্ডোম নিয়ে আসবেন।কমলা দরজা বন্ধ করে দিল।
বরদা উকিলের চেম্বারে অবনীশবাবু বসে আছেন।কপালে হাত দিয়ে চোখ বুজে উকিলবাবুকে চিন্তান্বিত মনে হল।একসময় চোখ খুলে বললেন,৩৭৫ জামীন অযোগ্য ধারা থানায় গিয়ে কোনো লাভ হবে না।বিশেষ করে ফেরার ছিল,অনেকদিন পর ধরা পড়েছে।উহু-উহু করে কয়েকবার মাথা নেড়ে বরদা বাবু বললেন, কাল কোর্টেই যেতে হবে।
--সারারাত ছেলেটা হাজতে থাকবে?
--আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি বাট এ্যাম হেল্পলেস।আচ্ছা ঐ বলাই মিত্তির লোকটার কি ইন্টারেস্ট বলুন তো,লোকটা টেটিয়া টাইপ।
অবনীশ মুখুজ্জে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,আপনাকে কত দিতে হবে?
--আমার কন্সাল্টেশন ফিজ পাচশো আপনি পাড়ার লোক তিনশো দিলেই হবে।বাইরে আমার মুহুরী আছে ওকেই দিয়ে দিন।
ইচ্ছে ছিল বরদাবাবুকে নিয়ে থানায় গিয়ে ছেলেটার জামীন করিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসবেন।সেতো হলনা মাঝখান থেকে তিনশো টাকা গাট গচ্চা।রাস্তায় এসে আবনীশ মুখুজ্জে ভাবেন একবার মিত্তিরদার বাড়ী গেলে কেমন হয়।
বোস বাড়ীর রক জমজমাট।আলোচনা হচ্ছিল আশিসদাকে নিয়ে।শুভ বলল,তোরা নিশ্চিত হলি কি করে মেয়েটার কথা ঠিক?
বঙ্কিম আমতা আমতা করে।কল্পনার কথায় সেও বিশ্বাস করে ;., করেছে।বঙ্কিম বলল,তাহলে পালালো কেন?
--কি রকম কেলিয়েছিল পাব্লিক জানিস?ওই রকম ক্যালানি খেলে তুইও পালাতিস।
নির্মল বলল,ঠিক আছে শুভ আমরা না জেনে বলছি কিন্তু কানুদার জ্যাঠা বয়স্ক লোক উনিও কি না বুঝেই করেছেন?
--অনেকে হিরো হবার জন্য এরকম করে।
দিলীপ রকে বসেনি দাঁড়িয়েছিল।হঠাৎ কি দেখে দিলীপ বলল,দেখ-দেখ কে আসছে?
সবাই ঝুকে দেখল মনসিজ বাস রাস্তার দিক থেকে কিছু একটা ভাবতে ভাবতে আসছে।রকের কাছে আসতে বঙ্কিম বলল,কিরে মনা তুই তো একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে গেছিস।
--ফোন করলেও পাওয়া যায় না।
--ফোনটা একটু ডিস্টার্ব করছে ঐ জন্য ফোন নিয়ে বেরোই না।তারপর খবর কি বল?মনসিজ রকের একপাশে বসল।
বঙ্কিম বলল,খবর এক নম্বর বৌদির ছেলে হয়েছে--।
--বৌদি মানে?
--তাতাইদার বৌ এরমধ্যে ভুলে গেলি?
--ও এলিনাবৌদি,তারপর?
--দু-নম্বর মিসেস পাকড়াশী তোর খোজ করছিল তোকে ফোনে পাচ্ছে না।
--আর তিন নম্বর?
--তিন নম্বর আশিসদা ধরা পড়েছে,থানায় আছে।
--ধরা পড়েছে?কোথায় ছিল?
--মামার বাড়ী জলপাইগুড়ী।মনসিজকে চুপচাপ দেখে জিজ্ঞেস করল,খারাপ লাগছে?
--আমি ভাবছি ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে শেষ হবে।মহিলার ঐ অবস্থা আবার এদিকে আশিসদা থানা হাজতে--
--যেমন কর্ম তেমন ফল এবার জেল খাটো।
--তাতে কি মহিলার সমস্যা মিটবে?মনসিজ জিজ্ঞেস করল।
শুভ বলল,আমি এই কথাটা বলতে চাইছিলাম।
--ছাড়তো ফালতু ঝামেলা যে কাঠ খাবে সে আঙড়া হাগবে।নির্মল বলল।
এ সময় অবনীশ মুখুজ্জেকে দেখে বলাই মিত্তির কিছুটা অবাক হয়।তাকে ভিতরে নিয়ে বসিয়ে বললেন,চা খাবেন?
--আর চা! সব শুনেছেন?
--শুনে খুব খারাপ লাগল।এই বয়সে হাজতবাস কার ভাল লাগে বলুন।
মিত্তির গিন্নী চায়ের ট্রে এগিয়ে দিয়ে স্বামীকে জিজ্ঞেস করলেন,তুমি চা খাবে নাকি?
--দাও এক যাত্রায় পৃথক ফল হবে কেন?
চায়ে চুমুক দিয়ে অবনীশ মুখুজ্জে বললেন,দাদা এখন কি করি একটা পরামর্শ দিন তো।
মিত্তির গিন্নী আরেক কাপ চা নিয়ে স্বামীকে দিলেন।বলাই মিত্তির চায়ে চুমুক দিয়ে কি যেন ভাবতে থাকেন তারপর বললেন,আমার পরামর্শ আপনার ভাল লাগবে না,তবু বলি।
অবনীশ বাবু আগ্রহ নিয়ে তাকালেন।
--দেখুন মুখার্জিবাবু দুজনেই ছেলে মানুষ,ঘটনা যা ঘটেছে এক তরফা বলা যায়না,দুজনেই সমভাবে দায়ী।তবে এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের পোয়াতে হয় ঝক্কি। মেয়েটা দেখতে শুনতে মন্দ নয়। অল্প সময় কথা বলে যা বুঝেছি মেয়েটা খুব খারাপ হবে না।তবে কি মেয়েটা অ', আপনার পরিবারের সঙ্গে খাপ খায়না।
--আমার সেখানেই আপত্তি।
--মুখার্জিবাবু আপনি মেয়ে নয় ছেলের বাবা।যার সঙ্গে বিয়ে হোক ছেলের ব্রাহ্মনত্ব চলে যাবে না।বিয়ে হলে মেয়েটাও ', হয়ে যাবে।মেয়েদের ভগবানদত্ত একটা ক্ষমতা থাকে তারা সব ক্ষেত্রেই মানিয়ে নিতে পারে--এখন আপনি ভাবুন--।
অবনীশ বাবু হতাশার শ্বাস ছাড়লেন।
অবনীশবাবুর মুখ দেখে বলাই মিত্তির বললেন,দেখুন ভাই শেষ কথা বলার আমি কে?আমাকে ভুল বুঝবেন না, আমার যা মনে হয়েছে আপনাকে বললাম।বাড়ী যান সবার সঙ্গে কথা বলুন।রাজী থাকলে বলবেন সকালে কোর্টে প্রোডিউস করার আগে থানায় গিয়ে কথা বলা যেতে পারে।মেয়েটাও অভিযোগ তুলে নেবে মনে হয়।
-- না দাদা আপনাকে ভুল বুঝিনি,সবই আমার অদৃষ্ট।
--এত ভেঙ্গে পড়ার মত কিছু হয়নি।এ সময় আপনাকে শক্ত হতে হবে।
--ভেঙ্গে পড়িনি দাদা।আমি ভাবছি ছেলেটার কথা।যে চাকরিটা করছিল ওটা গেছে বিয়ে করে বউকে খাওয়াবে কি?তাছাড়া আমাদের পরিবারে বাড়ীর বউ ঐরকম চাকরি করবে কেউ মেনে নেবে না।
--চাকরি ছেড়ে দেবে।
অবনীশবাবু হাসল বলল,কি যে বলেন দাদা আমার পক্ষে কি এতবড় সংসারের দায় সামলানো সম্ভব?তারপর মেয়েটির কদিন পর বাচ্চা হবে--।
--হুউম বুঝতে পারছি।কিছুক্ষন ভেবে বলাই মিত্তির বললেন,আপনার ছেলের লেখাপড়া কদ্দুর?
--দুবার বিএ ফেল করে আর পরীক্ষা দিলনা--।
--দিন পনেরো সময় দিলে একটা প্রাইভেট ফার্মে ছোটোখাট একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারি।
অবনীশবাবু চোখ তুলে তাকালেন।বলাই মিত্তির বললেন,মাইনে যে চাকরি করতো ঐরকমই হবে।
অবনীশবাবু উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,আজ আসি দাদা--।
--যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে।মেয়েটাকে দিয়ে ডায়েরী উইথড্র করাতে হবে।একবার কোর্টে চালান হয়ে গেলে পুলিশের কিছু করার থাকবে না।