15-11-2021, 04:15 PM
(This post was last modified: 15-11-2021, 04:17 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
4
দীপার ভাই এর কলেজের ব্যাপারটা মিটে গেছে…এই মূহুর্তে আর কোনো বড় সমস্যা নেই। দীপা দুটো টিউশান শুরু করেছে…নিজের পড়ার খরচ চালিয়ে নেবার জন্য। মাঝে মাঝেই ওর বন্ধুর দেওয়া টাকাটার কথা মনে পড়ে যায়…খুব খারাপ লাগে…এতগুলো টাকা… হয়তো নিজে পড়াশোনার সাথে সাথে কিছু কাজ করে বা ওর বাবা হাত খরচ দেয়…বাঁচিয়ে রেখেছিল… শোধ করে দিতে পারলে ভালো হত…কিন্তু এই মুহুর্তে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দু একবার কথাটা তুললে…অভিষিক্তা বলল…দূর ছাই… টাকা টাকা করে তোর মাথাটা গেছে… বললাম তো…পারলে দিবি…না পারলে… না দিবি।
এর পরে আরো কয়েকটা দিন কেটে গেছে। দীপা কলেজে আসছে না সোমবার থেকে…ফোন বন্ধ। আর একটা দিন দেখি ভেবে ভেবে চারটে দিন কেটে গেছে কিন্তু পরিস্থিতি একই। নিশ্চয় খুব খারাপ কিছু হয়েছে, একবার ওর বাড়ীতেযাওয়া উচিত কিন্তু যাবো কিভাবে…অনেকদিন আগে একবারই দীপা ওদের বাড়ীতে নিয়ে গিয়েছিল, তাও ট্রেন থেকে নেমে রিকশা করে…গল্প করতে করতে গিয়েছিল…কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে খেয়াল করেনি…এতদিন পরে কি আর চিনতে পারবে? কিছু করার নেই…একবার তো যেতেই হবে…যা হয় হবে ভেবে শুক্রবার কলেজে না গিয়ে সোজা মেট্রো করে দমদম গিয়ে ট্রেন ধরল। সোদপুর পৌঁছে কিছুটা মনে করে , কিছুটা লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করে শেষ পর্যন্ত পৌঁছোতে পারলো ওদের বাড়ীতে। এই দুপুর বেলা ওকে দেখে দীপা ভুত দেখার মতো চমকে উঠল। ও ভাবতেই পারেনি অভিষিক্তা ওর খোঁজে বাড়ী অব্দি চলে আসবে। দীপার বাবাকে দেখে চিনতেই পারলো না…কেমন যেন বুড়িয়ে গেছে…গালে খোঁচা খোঁচা বেশ কয়েক দিনের না কামানো দাড়ি। একটা কষ্টের হাসি হেসে বললেন…কেমন আছো…দীপা…ওকে ঘরে নিয়ে যা। দীপাকে মায়ের কথা জিজ্ঞেস করাতে বলল… ভাইকে সাথে নিয়ে মামার বাড়ী গেছে।
দীপা ওকে ঘরে বসিয়ে দিয়ে আসছি বলে বেরিয়ে গেছে…ঘরের চারদিকে তাকিয়ে দেখছিল… একটা সময় যে টাকা পয়সার অভাব ছিলনা সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। মানুষের কখন যে কি হয় ভাবছিল…দীপা ফিরে এলে জিজ্ঞেস করল…কি ব্যাপার বলতো…কি এমন হয়েছে যে সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিস…এই তো বললি…চলে যাছে…
দীপা মুখটা নিচু করে নিয়ে বলল…গত রবিবার বাবার দোকান টা আগুনে পুড়ে গেছে…সব শেষ হয়ে গেছে… ষিক্তা…আমাদের আর মরা ছাড়া রাস্তা নেই রে… বলে নিজেকে সামলাতে না পেরে কেঁদে ফেলল…।
অভিষিক্তা কি ভাবে ওকে সান্তনা দেবে বুঝতে পারছিল না… উঠে গিয়ে দীপাকে জড়ীয়ে ধরে ওকে আরো কিছুটা কাঁদতে দিল… মনটা একটু হালকা হলে তারপর দেখা যাবে। ভাবছিল…কি ই বা দেখা যাবে…যা হয়েছে শুনলো…তাতে ওই বা কি করতে পারবে। ওর নিজের ই কান্না পেয়ে গেল।
দীপার ভাই এর কলেজের ব্যাপারটা মিটে গেছে…এই মূহুর্তে আর কোনো বড় সমস্যা নেই। দীপা দুটো টিউশান শুরু করেছে…নিজের পড়ার খরচ চালিয়ে নেবার জন্য। মাঝে মাঝেই ওর বন্ধুর দেওয়া টাকাটার কথা মনে পড়ে যায়…খুব খারাপ লাগে…এতগুলো টাকা… হয়তো নিজে পড়াশোনার সাথে সাথে কিছু কাজ করে বা ওর বাবা হাত খরচ দেয়…বাঁচিয়ে রেখেছিল… শোধ করে দিতে পারলে ভালো হত…কিন্তু এই মুহুর্তে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দু একবার কথাটা তুললে…অভিষিক্তা বলল…দূর ছাই… টাকা টাকা করে তোর মাথাটা গেছে… বললাম তো…পারলে দিবি…না পারলে… না দিবি।
এর পরে আরো কয়েকটা দিন কেটে গেছে। দীপা কলেজে আসছে না সোমবার থেকে…ফোন বন্ধ। আর একটা দিন দেখি ভেবে ভেবে চারটে দিন কেটে গেছে কিন্তু পরিস্থিতি একই। নিশ্চয় খুব খারাপ কিছু হয়েছে, একবার ওর বাড়ীতেযাওয়া উচিত কিন্তু যাবো কিভাবে…অনেকদিন আগে একবারই দীপা ওদের বাড়ীতে নিয়ে গিয়েছিল, তাও ট্রেন থেকে নেমে রিকশা করে…গল্প করতে করতে গিয়েছিল…কোন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে খেয়াল করেনি…এতদিন পরে কি আর চিনতে পারবে? কিছু করার নেই…একবার তো যেতেই হবে…যা হয় হবে ভেবে শুক্রবার কলেজে না গিয়ে সোজা মেট্রো করে দমদম গিয়ে ট্রেন ধরল। সোদপুর পৌঁছে কিছুটা মনে করে , কিছুটা লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করে শেষ পর্যন্ত পৌঁছোতে পারলো ওদের বাড়ীতে। এই দুপুর বেলা ওকে দেখে দীপা ভুত দেখার মতো চমকে উঠল। ও ভাবতেই পারেনি অভিষিক্তা ওর খোঁজে বাড়ী অব্দি চলে আসবে। দীপার বাবাকে দেখে চিনতেই পারলো না…কেমন যেন বুড়িয়ে গেছে…গালে খোঁচা খোঁচা বেশ কয়েক দিনের না কামানো দাড়ি। একটা কষ্টের হাসি হেসে বললেন…কেমন আছো…দীপা…ওকে ঘরে নিয়ে যা। দীপাকে মায়ের কথা জিজ্ঞেস করাতে বলল… ভাইকে সাথে নিয়ে মামার বাড়ী গেছে।
দীপা ওকে ঘরে বসিয়ে দিয়ে আসছি বলে বেরিয়ে গেছে…ঘরের চারদিকে তাকিয়ে দেখছিল… একটা সময় যে টাকা পয়সার অভাব ছিলনা সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। মানুষের কখন যে কি হয় ভাবছিল…দীপা ফিরে এলে জিজ্ঞেস করল…কি ব্যাপার বলতো…কি এমন হয়েছে যে সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছিস…এই তো বললি…চলে যাছে…
দীপা মুখটা নিচু করে নিয়ে বলল…গত রবিবার বাবার দোকান টা আগুনে পুড়ে গেছে…সব শেষ হয়ে গেছে… ষিক্তা…আমাদের আর মরা ছাড়া রাস্তা নেই রে… বলে নিজেকে সামলাতে না পেরে কেঁদে ফেলল…।
অভিষিক্তা কি ভাবে ওকে সান্তনা দেবে বুঝতে পারছিল না… উঠে গিয়ে দীপাকে জড়ীয়ে ধরে ওকে আরো কিছুটা কাঁদতে দিল… মনটা একটু হালকা হলে তারপর দেখা যাবে। ভাবছিল…কি ই বা দেখা যাবে…যা হয়েছে শুনলো…তাতে ওই বা কি করতে পারবে। ওর নিজের ই কান্না পেয়ে গেল।