13-11-2021, 11:08 PM
পর্ব ২
কলেজ থেকে বেরিয়ে যতীন দাস পার্ক মেট্রো র গেটের কাছে এসে… আসছি রে…আমার একটু কাজ আছে… বলে সামনের দিকে এগিয়ে গেল অভিষিক্তা। দীপান্বিতা… আয়… বলে কিছুক্ষন অভিষিক্তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবছিল, অভিষিক্তা মাঝে মাঝেই কাজ আছে বলে কোথায় যায় কে জানে। কারুর সাথে দেখা করতে? তেমন কেউ থাকলে তো ওকে নিশ্চয় বলতো…দু এক বার জিজ্ঞেস করেছে কিন্তু অভিষিক্তা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেবা কখোনো অন্য কথায় চলে গিয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে আর বেশি না ভেবে দীপান্বিতা মেট্রো স্টেশনের দিকে পা বাড়ালো। দমদম গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে, ট্রেনে যা ভীড় থাকে, লেডিজ কামরায়ও ওঠা মুশকিল হয়, তবে আজ একটু তাড়াতাড়ি বেরোতে পেরেছে, অফিস টাইমের ভীড় শুরু হতে এখোনো ঘন্টা খানেক দেরী আছে।
মাঝে রবিবার ছিল, সোমবার কলেজে গিয়ে দীপান্বিতার পাত্তা নেই দেখে অভিষিক্তা ওর মোবাইলে ফোন করে দেখলো বন্ধ করা আছে। একটু চিন্তায় পড়ে গেল, দীপা তো এরকম করে না, না আসতে পারলে জানিয়ে দেয়। কি এমন হয়েছে যে ফোন বন্ধ করতে হল, খারাপ কিছু নয়তো? প্রথম ক্লাসে ঠিক মতো মন বসাতে পারলো না, ক্লাস শেষ হতেই আবার একবার রিডায়াল করে দেখল তখোনো বন্ধ। ঠিক আছে বিকেলে আবার চেষ্টা করে দেখবে ভেবে বাকি ক্লাস গুলো করে বাড়ী ফিরলো যখন প্রায় চারটে বাজে। বাড়ী ফিরে আবার একবার ফোন করে দেখলো…ফোনটা বাজছে। একটু পরে দীপা রিসিভ করল…
কি রে দীপা…তোর ব্যাপার টাকি…কলেজে এলি না…ফোন সুইচড অফ…কি হয়েছে?
তেমন কিছু না রে…তুই তো জানিস…বাবার ব্যবসা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না…রোজ বাড়ীতে অশান্তি…ভালো লাগছে না রে…এখন রাখি…
অভিষিক্তার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল…জিজ্ঞেস করল…কাল আসছিস?
দেখি…হয়তো যেতে পারি…
পরের দিন ক্লাস শেষ হওয়ার পর কলেজ থেকে বেরিয়ে এসে অভিষিক্তা জিজ্ঞেস করল…কি হয়েছে বল না।
দীপা কিছু বলতে চাইছিল না…বন্ধুর চাপাচাপিতে বাধ্য হয়ে বলল… ভাই এর পড়াশোনা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে রে, পড়াশোনায় ভালো বলে নামী কলেজে দেওয়া হয়েছিল, তখন তো আর বাবা বুঝতে পারেনি ব্যাবসার অবস্থা খারাপ হতে পারে। কোনো রকমে মা সংসার চালিয়ে নিচ্ছে কিন্তু কলেজের খরচ চালানো যাচ্ছে না।
অন্য কলেজে দেওয়া যায় না?
এখন অন্য কলেজে দেওয়াটা খুব মুশকিল, আর কটা দিন বাকি আছে টেস্ট শুরু হতে, কোনো কলেজই নেবে না।
মন টা খুব খারাপ হয়ে গেল, দীপা ওর খুব কাছে বন্ধু, নিজের কারুর কিছু হলে ও একেবারেই সহ্য করতে পারেনা। কিছুক্ষন চুপ করে থেকে জিজ্ঞেস করল…কত টাকা লাগবে?
তুই শুনে কি করবি?
বল না, শুনে কি করবো…তোকে ভাবতে হবে না।
হাজার দশেক।
অভিষিক্তা মোবাইল নিয়ে কিছুক্ষন ঘাঁটাঘাঁটি করে বলল…চল…এটিএম থেকে তুলে দিচ্ছি।
দীপা অবাক হয়ে গিয়ে বলল…তুই কোত্থেকে টাকা এতগুলো টাকা দিবি? শোধ করবো কি করে?
কোত্থেকে আসবে তোকে ভাবতে হবে না, শোধ করতে পারলে করবি, না পারলে কিছু যাবে আসবে না।
ষিক্তা, প্লিজ আমাকে একটু ভাবতে দে।
কিছু ভাবার নেই, তোর ভাই কি আমার ও ভাই নয়।
দীপা আর কিছু বলতে পারলো না, ওর দু চোখ জলে ভিজে যাচ্ছিল।
অভিষিক্তা ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল…এই দীপা্, প্লিজ কাঁদিস না।
কলেজ থেকে বেরিয়ে যতীন দাস পার্ক মেট্রো র গেটের কাছে এসে… আসছি রে…আমার একটু কাজ আছে… বলে সামনের দিকে এগিয়ে গেল অভিষিক্তা। দীপান্বিতা… আয়… বলে কিছুক্ষন অভিষিক্তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবছিল, অভিষিক্তা মাঝে মাঝেই কাজ আছে বলে কোথায় যায় কে জানে। কারুর সাথে দেখা করতে? তেমন কেউ থাকলে তো ওকে নিশ্চয় বলতো…দু এক বার জিজ্ঞেস করেছে কিন্তু অভিষিক্তা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেবা কখোনো অন্য কথায় চলে গিয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে আর বেশি না ভেবে দীপান্বিতা মেট্রো স্টেশনের দিকে পা বাড়ালো। দমদম গিয়ে ট্রেন ধরতে হবে, ট্রেনে যা ভীড় থাকে, লেডিজ কামরায়ও ওঠা মুশকিল হয়, তবে আজ একটু তাড়াতাড়ি বেরোতে পেরেছে, অফিস টাইমের ভীড় শুরু হতে এখোনো ঘন্টা খানেক দেরী আছে।
মাঝে রবিবার ছিল, সোমবার কলেজে গিয়ে দীপান্বিতার পাত্তা নেই দেখে অভিষিক্তা ওর মোবাইলে ফোন করে দেখলো বন্ধ করা আছে। একটু চিন্তায় পড়ে গেল, দীপা তো এরকম করে না, না আসতে পারলে জানিয়ে দেয়। কি এমন হয়েছে যে ফোন বন্ধ করতে হল, খারাপ কিছু নয়তো? প্রথম ক্লাসে ঠিক মতো মন বসাতে পারলো না, ক্লাস শেষ হতেই আবার একবার রিডায়াল করে দেখল তখোনো বন্ধ। ঠিক আছে বিকেলে আবার চেষ্টা করে দেখবে ভেবে বাকি ক্লাস গুলো করে বাড়ী ফিরলো যখন প্রায় চারটে বাজে। বাড়ী ফিরে আবার একবার ফোন করে দেখলো…ফোনটা বাজছে। একটু পরে দীপা রিসিভ করল…
কি রে দীপা…তোর ব্যাপার টাকি…কলেজে এলি না…ফোন সুইচড অফ…কি হয়েছে?
তেমন কিছু না রে…তুই তো জানিস…বাবার ব্যবসা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না…রোজ বাড়ীতে অশান্তি…ভালো লাগছে না রে…এখন রাখি…
অভিষিক্তার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল…জিজ্ঞেস করল…কাল আসছিস?
দেখি…হয়তো যেতে পারি…
পরের দিন ক্লাস শেষ হওয়ার পর কলেজ থেকে বেরিয়ে এসে অভিষিক্তা জিজ্ঞেস করল…কি হয়েছে বল না।
দীপা কিছু বলতে চাইছিল না…বন্ধুর চাপাচাপিতে বাধ্য হয়ে বলল… ভাই এর পড়াশোনা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে রে, পড়াশোনায় ভালো বলে নামী কলেজে দেওয়া হয়েছিল, তখন তো আর বাবা বুঝতে পারেনি ব্যাবসার অবস্থা খারাপ হতে পারে। কোনো রকমে মা সংসার চালিয়ে নিচ্ছে কিন্তু কলেজের খরচ চালানো যাচ্ছে না।
অন্য কলেজে দেওয়া যায় না?
এখন অন্য কলেজে দেওয়াটা খুব মুশকিল, আর কটা দিন বাকি আছে টেস্ট শুরু হতে, কোনো কলেজই নেবে না।
মন টা খুব খারাপ হয়ে গেল, দীপা ওর খুব কাছে বন্ধু, নিজের কারুর কিছু হলে ও একেবারেই সহ্য করতে পারেনা। কিছুক্ষন চুপ করে থেকে জিজ্ঞেস করল…কত টাকা লাগবে?
তুই শুনে কি করবি?
বল না, শুনে কি করবো…তোকে ভাবতে হবে না।
হাজার দশেক।
অভিষিক্তা মোবাইল নিয়ে কিছুক্ষন ঘাঁটাঘাঁটি করে বলল…চল…এটিএম থেকে তুলে দিচ্ছি।
দীপা অবাক হয়ে গিয়ে বলল…তুই কোত্থেকে টাকা এতগুলো টাকা দিবি? শোধ করবো কি করে?
কোত্থেকে আসবে তোকে ভাবতে হবে না, শোধ করতে পারলে করবি, না পারলে কিছু যাবে আসবে না।
ষিক্তা, প্লিজ আমাকে একটু ভাবতে দে।
কিছু ভাবার নেই, তোর ভাই কি আমার ও ভাই নয়।
দীপা আর কিছু বলতে পারলো না, ওর দু চোখ জলে ভিজে যাচ্ছিল।
অভিষিক্তা ওকে কাছে টেনে নিয়ে বলল…এই দীপা্, প্লিজ কাঁদিস না।