12-11-2021, 11:10 AM
কথা আর আগে বাড়ে নি । তাদের রোজ নামচাও বদলায় নি । দুজনের কেউই বাড়িতে ২০০০ টাকা করে দেয় নি । কিন্তু নিয়ম মাফিক নিজের নিজের কাজে বেরিয়েছে । যদি উচ্ছাসে ফেটে পড়তো তাহলে হয় তো আশ্চর্য এই কেটলি তাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে দেখা দিতো । যেটা তারা করেনি । অনেক দিন পেরিয়ে গিয়েছিলো । আসলে দুই বন্ধু অপেক্ষা করছিলো কত দিন নিজেদের লোভ কে বশে রাখা যায় । তাই কেটলির দেবতা শুধু প্রসন্ন হয় নি খুব গর্ব বোধ করেছিল , কারণ কেটলি বেহাতে এসে পড়ে নি ! কারণ লোভী মানুষ শুধু চাইতে জানে ।
লটারির খেলা হয়েছে অন্তত দিন ৭ এক আগে । খবরে ঢালাও বিজ্ঞাপন , যার টিকিট এসে প্রাইজ নিয়ে যান । দুজনের কেউই খবরের কাগজ বা প্রমীলা লটারি সেন্টার এর ধারে কাছে যায় নি । সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটিয়েছে । দুজনেই মনে মনে ঠিক করেছিল একান্ত প্রয়োজন না পড়লে তারা কেটলির দেবতার কাছে কিছু চাইবে না । আর উপরওয়ালা বোধ হয় তাদের এই ইচ্ছা কে সন্মান জানিয়েছিল । যেখানে উপরওয়ালা কোনো ব্যক্তির জীবন কে বদলে দিতে চান , তখন তারা না চাইলেও তাদের জীবন নাটকীয় ভাবে বদলে যায় । আর ঠিক অনুমান মাফিক দুজনেই রাতারাতি হয়ে উঠলো গ্রামের মধ্য মনি । কারণ প্রেস মিডিয়া উৎপাত শুরু করলো , দুজনেই রাতারাতি ২ কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবার জন্য ।
কি ভাবে তাদের লোকে খুঁজে বেরকরলো , কি ভাবে টিকেট তাদের অনেক টাকার মালিক করে তুললো সেটা শুধু সুখ স্বপ্নই হতে পারে । কিন্তু মন বদলালো না দুজনের । না গ্রাম ছেড়ে যাবে না । যেরকম ছিল থাকবে সেরকমই । কিন্তু নূন্যতম কিছু চাই । তাই ঘরটা ঠিক করা , গোয়ালে দুটো গরু, একটু জমি সেটাকে ঠিক করা আর আরেকটু জমি কেনা , একটা দুটো ভালো জামা কাপড় ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু কোনো বিলাসিতার বাহার নয় । টাকা দিয়েই এই টুকু করা সম্ভব , কেটলি বাবা কে ডাকবার দরকার নেই ।
মিনতি আর ধন্বন্তরি কে ২০০ টাকার দিনের জন খাটা কাজে দিতে চায় নি শতদ্রু , সনাতন। তার চেয়ে নিজেদের জমি যুৎলে ফসল না ফলুক মনের শান্তি । সন্মান টাও বাঁচবে । যদিও সনাতন আর শত্রু দুজনেই পাড়ার ক্লাব কে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছে লটারির টাকা থেকে । ওই টাকায় গ্রামে পাথরের মূর্তি দিয়ে বেদি বাঁধানো হয়ে যায় । এই হলো গ্রাম্য জীবন দুই মহাপুরুষের কথা । এবার আমরা শুরু করবো তাদের অভিসারের যাত্রা পালা ।
সমস্যা দাঁড়ালো এখানেই যে কোটি টাকার মালিক হয়ে সনাতন শেষে বসাকের দোকানের ৮০০০ টাকা মাইনের গোলামী করবে ? দিলো চাকরি ছেড়ে । কিন্তু চাকরি ছেড়ে বেচারা যায় কোথায় । একটা দোকান না খুললেই নয় । কারণ তার স্যাঙাত শত্রু কে নিয়েই চলতে হবে আজীবন । শেষে অনেক ভেবে চিনতে ঠিক করলো একটা হার্ডওয়্যার-এর দোকান খুলবে । রঙের প্রতি ঝোক শত্রুর বেশ ভালোই , আর জিনিস চেনার এলেম আছে । তাছাড়া এ তল্লাটে হারবারে-এর কোনো দোকান ই নেই । যেতে হয় সেই জয়নগর ।
হার্ডওয়্যার-এর জিনিস সহজে নষ্ট হয় না । আর বিক্রি না হলেই বা । লেখা পড়া জানার সুবাদে শত্রু আর নিজের একাউন্টস নিজেই দেখে শুনে বুঝে লাগোয়া রেল স্টেশনে একটা হার্ডওয়্যার এর দোকান খুললো দুই ভাই ! খুব বোরো নয় , কিন্তু যা চাইবে তা পাবে বৈকি । হার্ডওয়্যার -এর দোকানের প্রতি বরাবরের ঝোক ছিল সোনার । তাই বড়বাজার থেকে সোজা জিনিস মহাজন পৌঁছে দেবে , এমনি চুক্তি করলো সে ।
লটারির খেলা হয়েছে অন্তত দিন ৭ এক আগে । খবরে ঢালাও বিজ্ঞাপন , যার টিকিট এসে প্রাইজ নিয়ে যান । দুজনের কেউই খবরের কাগজ বা প্রমীলা লটারি সেন্টার এর ধারে কাছে যায় নি । সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটিয়েছে । দুজনেই মনে মনে ঠিক করেছিল একান্ত প্রয়োজন না পড়লে তারা কেটলির দেবতার কাছে কিছু চাইবে না । আর উপরওয়ালা বোধ হয় তাদের এই ইচ্ছা কে সন্মান জানিয়েছিল । যেখানে উপরওয়ালা কোনো ব্যক্তির জীবন কে বদলে দিতে চান , তখন তারা না চাইলেও তাদের জীবন নাটকীয় ভাবে বদলে যায় । আর ঠিক অনুমান মাফিক দুজনেই রাতারাতি হয়ে উঠলো গ্রামের মধ্য মনি । কারণ প্রেস মিডিয়া উৎপাত শুরু করলো , দুজনেই রাতারাতি ২ কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবার জন্য ।
কি ভাবে তাদের লোকে খুঁজে বেরকরলো , কি ভাবে টিকেট তাদের অনেক টাকার মালিক করে তুললো সেটা শুধু সুখ স্বপ্নই হতে পারে । কিন্তু মন বদলালো না দুজনের । না গ্রাম ছেড়ে যাবে না । যেরকম ছিল থাকবে সেরকমই । কিন্তু নূন্যতম কিছু চাই । তাই ঘরটা ঠিক করা , গোয়ালে দুটো গরু, একটু জমি সেটাকে ঠিক করা আর আরেকটু জমি কেনা , একটা দুটো ভালো জামা কাপড় ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু কোনো বিলাসিতার বাহার নয় । টাকা দিয়েই এই টুকু করা সম্ভব , কেটলি বাবা কে ডাকবার দরকার নেই ।
মিনতি আর ধন্বন্তরি কে ২০০ টাকার দিনের জন খাটা কাজে দিতে চায় নি শতদ্রু , সনাতন। তার চেয়ে নিজেদের জমি যুৎলে ফসল না ফলুক মনের শান্তি । সন্মান টাও বাঁচবে । যদিও সনাতন আর শত্রু দুজনেই পাড়ার ক্লাব কে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছে লটারির টাকা থেকে । ওই টাকায় গ্রামে পাথরের মূর্তি দিয়ে বেদি বাঁধানো হয়ে যায় । এই হলো গ্রাম্য জীবন দুই মহাপুরুষের কথা । এবার আমরা শুরু করবো তাদের অভিসারের যাত্রা পালা ।
সমস্যা দাঁড়ালো এখানেই যে কোটি টাকার মালিক হয়ে সনাতন শেষে বসাকের দোকানের ৮০০০ টাকা মাইনের গোলামী করবে ? দিলো চাকরি ছেড়ে । কিন্তু চাকরি ছেড়ে বেচারা যায় কোথায় । একটা দোকান না খুললেই নয় । কারণ তার স্যাঙাত শত্রু কে নিয়েই চলতে হবে আজীবন । শেষে অনেক ভেবে চিনতে ঠিক করলো একটা হার্ডওয়্যার-এর দোকান খুলবে । রঙের প্রতি ঝোক শত্রুর বেশ ভালোই , আর জিনিস চেনার এলেম আছে । তাছাড়া এ তল্লাটে হারবারে-এর কোনো দোকান ই নেই । যেতে হয় সেই জয়নগর ।
হার্ডওয়্যার-এর জিনিস সহজে নষ্ট হয় না । আর বিক্রি না হলেই বা । লেখা পড়া জানার সুবাদে শত্রু আর নিজের একাউন্টস নিজেই দেখে শুনে বুঝে লাগোয়া রেল স্টেশনে একটা হার্ডওয়্যার এর দোকান খুললো দুই ভাই ! খুব বোরো নয় , কিন্তু যা চাইবে তা পাবে বৈকি । হার্ডওয়্যার -এর দোকানের প্রতি বরাবরের ঝোক ছিল সোনার । তাই বড়বাজার থেকে সোজা জিনিস মহাজন পৌঁছে দেবে , এমনি চুক্তি করলো সে ।