10-11-2021, 02:50 PM
দুই ভবঘুরে শেষ মেশ দুপুরের খাবার খাবার জন্য একটা মাঝারি মাপের সাধারণ ডাল ভাতের খাবার মতো হোটেলে গিয়ে কাটা পোনার ঝাল ভাত কাঁচা লংকা আর ডাল তরকারি সহযোগে তাদের খাবার খেলো । ২০ টাকায় যে খাবার পাওয়া যায় কলকাতায় সে খাবার বিশ্বের কোনো জায়গায় পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ আছে । তবুও আপামর জনগণ গরিব দেশ গরিব দেশ বলে গালাগালি করে । এমনটাই ভাবছিলো ইকোনোমিস্ট মিস্টার সনাতন মন্ডল । তাদের আজকের পিনিক এখানেই শেষ ।
স্টেশন থেকে যখন ট্রেন ধরলো ওরা তখন বাজে দুপুর ২:০৫ । মনে প্রফুল্লতা নিয়ে দুজনে বসে ট্রেনে গল্প করছে । দুপুরের ট্রেন এই লাইনে ফাঁকাই থাকে ।
একটা স্টেশন-এ দাঁড়ালো ট্রেন নাম সংগ্রামপুর । বেশ গ্রাম গ্রাম চেহারা ভি শহরের গন্ধ দুখেছে একটু স্টেশনের আসে পাশে না হলে গ্রামই বলা চলে । সনাতন কি মনে করে যেটা প্লাষ্টিক-এ কুড়িয়ে নিয়ে এসেছে সেটা খুলে দেখতে লাগলো । এমন একটা লিপি সেটা হিব্রু বা রোমান না, চীন ভাষা নয় , নয় সংস্কৃত । দুর্বোধ্য কিছু লেখা সেই পড়তে পারা যায় না । পোড়ানো লোহা কিন্তু ইস্পাতের মতো কিছু একটা বানানো ।
ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়েছে আগে যাবে না হটার না এরকম কি একটা স্টেশনে যাত্রী অবরোধ । বিরক্ত হয়ে দুজনে নেমে গেলো ট্রেন থেকে । স্থানীয় দু একজন বললো নাকি ২-৩ ঘন্টাও বন্ধ থাকতে পারে ট্রেন । এসব ক্ষেত্রে শতদ্রু খুব বেশি আবেগ প্রবন । খনিকটা রেল কে গল্ মন্দ করে বললো ভাই পকেটে রেস্ত নেই চল স্টেশনেই বসে থাকি । সনাতন বললো হ্যাঁ ভ্যান বা অটো করে যাওয়া গেলেও এতো পয়সা তাদের নেই ।
দুজনে স্টেশনের কোন এক নির্জন জায়গায় বসে তাকিয়ে দেখছে চার দিকে । দূরে কিছু হকার মসলা মুড়ি আর সস বিক্রি করছে । ট্রেন খ খ করছে সবাই নেমে পড়েছে । দু চারজন যারা দূরে যাবে ট্রেন ছাড়া গতি নেই তারাই বসে আছে প্লাটফর্ম-এ । যিকির কাউন্টার এর সামনে শুধু দু দশ জন লোক বসে । বাকি গোটা চারেক হকার । শত্রু বললো " মাইরি পকেটে ৫০ তা টাকা যদি থাকতো ! তাহলে সস কিনে খাওয়া যেত বুঝলি ! স্টেশনে নোংরা জল যা জল পিপাসা পাচ্ছে না !"
সনাতন মন ঠান্ডা করে বললো: দেখ স্টেশন থেকে নেমে নিশ্চয়ই খাবার কোলের জল পাবি ! আমি বসে আছি যা খেয়ে আয় । শত্রু চলে গেলো । মনে মনে ভাবলো ইশ ট্রেন ঠিক সময়ে থাকলে নবান্ন ক্লাবে বসে তাস খেলা যেত । বা কেরাম । যদিও শত্রুই তার কেরামের পার্টনার । কেরাম টা ভালো খেলতে জানে শত্রু ।
হাতে দুটো শসা নিয়ে হাসতে হাসতে ফায়ার আসলো শত্রু । সনাতন মনে মনে ভাবলো " শালা লুকিয়ে রাখে পয়সা শত্রু । নিশ্চয়ই সনাতনকে না জানিয়ে দু দশটাকা নিয়ে এসেছে । " শত্রু কে লক্ষ্য করে " কিরে বাড়া কোটা টাকা লুকিয়ে রেখেছিলি আমার থেকে ?"
এক গল্ হাসি দিয়ে শত্রু বলে " মাক্কালীর দিব্বি বলছি , কিছু ছিল না । কোনো দিন পকেটে ৫০ টাকা পরে ছিল হাতে পাই নি এতো দিন । প্যান্ট হাঁচিয়ে দেখি কড়কড়ে ৫০ টাকার নোট । তাই কিনে আনলাম এই দ্যাখ বাকি ৪০ টাকা খুচরো । শসা নিয়ে খেতে খেতে বললো সনাতন , ট্রেন তা চললে খুব ভালো হতো তাই না ! আমরা যদি এখুনি বাড়ি ফিরতে পারতাম তাহলে নবান্নর ধনঞ্জয় দেড় কেরাম খেলে দু একবার গোহারা করতে পারতাম কি বলিস ।
স্টেশন থেকে যখন ট্রেন ধরলো ওরা তখন বাজে দুপুর ২:০৫ । মনে প্রফুল্লতা নিয়ে দুজনে বসে ট্রেনে গল্প করছে । দুপুরের ট্রেন এই লাইনে ফাঁকাই থাকে ।
একটা স্টেশন-এ দাঁড়ালো ট্রেন নাম সংগ্রামপুর । বেশ গ্রাম গ্রাম চেহারা ভি শহরের গন্ধ দুখেছে একটু স্টেশনের আসে পাশে না হলে গ্রামই বলা চলে । সনাতন কি মনে করে যেটা প্লাষ্টিক-এ কুড়িয়ে নিয়ে এসেছে সেটা খুলে দেখতে লাগলো । এমন একটা লিপি সেটা হিব্রু বা রোমান না, চীন ভাষা নয় , নয় সংস্কৃত । দুর্বোধ্য কিছু লেখা সেই পড়তে পারা যায় না । পোড়ানো লোহা কিন্তু ইস্পাতের মতো কিছু একটা বানানো ।
ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়েছে আগে যাবে না হটার না এরকম কি একটা স্টেশনে যাত্রী অবরোধ । বিরক্ত হয়ে দুজনে নেমে গেলো ট্রেন থেকে । স্থানীয় দু একজন বললো নাকি ২-৩ ঘন্টাও বন্ধ থাকতে পারে ট্রেন । এসব ক্ষেত্রে শতদ্রু খুব বেশি আবেগ প্রবন । খনিকটা রেল কে গল্ মন্দ করে বললো ভাই পকেটে রেস্ত নেই চল স্টেশনেই বসে থাকি । সনাতন বললো হ্যাঁ ভ্যান বা অটো করে যাওয়া গেলেও এতো পয়সা তাদের নেই ।
দুজনে স্টেশনের কোন এক নির্জন জায়গায় বসে তাকিয়ে দেখছে চার দিকে । দূরে কিছু হকার মসলা মুড়ি আর সস বিক্রি করছে । ট্রেন খ খ করছে সবাই নেমে পড়েছে । দু চারজন যারা দূরে যাবে ট্রেন ছাড়া গতি নেই তারাই বসে আছে প্লাটফর্ম-এ । যিকির কাউন্টার এর সামনে শুধু দু দশ জন লোক বসে । বাকি গোটা চারেক হকার । শত্রু বললো " মাইরি পকেটে ৫০ তা টাকা যদি থাকতো ! তাহলে সস কিনে খাওয়া যেত বুঝলি ! স্টেশনে নোংরা জল যা জল পিপাসা পাচ্ছে না !"
সনাতন মন ঠান্ডা করে বললো: দেখ স্টেশন থেকে নেমে নিশ্চয়ই খাবার কোলের জল পাবি ! আমি বসে আছি যা খেয়ে আয় । শত্রু চলে গেলো । মনে মনে ভাবলো ইশ ট্রেন ঠিক সময়ে থাকলে নবান্ন ক্লাবে বসে তাস খেলা যেত । বা কেরাম । যদিও শত্রুই তার কেরামের পার্টনার । কেরাম টা ভালো খেলতে জানে শত্রু ।
হাতে দুটো শসা নিয়ে হাসতে হাসতে ফায়ার আসলো শত্রু । সনাতন মনে মনে ভাবলো " শালা লুকিয়ে রাখে পয়সা শত্রু । নিশ্চয়ই সনাতনকে না জানিয়ে দু দশটাকা নিয়ে এসেছে । " শত্রু কে লক্ষ্য করে " কিরে বাড়া কোটা টাকা লুকিয়ে রেখেছিলি আমার থেকে ?"
এক গল্ হাসি দিয়ে শত্রু বলে " মাক্কালীর দিব্বি বলছি , কিছু ছিল না । কোনো দিন পকেটে ৫০ টাকা পরে ছিল হাতে পাই নি এতো দিন । প্যান্ট হাঁচিয়ে দেখি কড়কড়ে ৫০ টাকার নোট । তাই কিনে আনলাম এই দ্যাখ বাকি ৪০ টাকা খুচরো । শসা নিয়ে খেতে খেতে বললো সনাতন , ট্রেন তা চললে খুব ভালো হতো তাই না ! আমরা যদি এখুনি বাড়ি ফিরতে পারতাম তাহলে নবান্নর ধনঞ্জয় দেড় কেরাম খেলে দু একবার গোহারা করতে পারতাম কি বলিস ।