09-11-2021, 02:49 PM
সনাতন গ্রামের ছেলে । ৮:৫৮ এর রাত্রের লক্ষীকান্তপুর ট্রেনে ফেরে , বাড়ি লক্ষীকান্তপুরে । খুব খাটতে পারে । গ্রামের ছেলে বলেই এতো পরিশ্রম করতে পারে । ইকোনমিক্স এ গ্রাজুয়েশন করলেও চাকরি দেয় নি কেউ । পোছেও নি সেলস এর একটা চাকরি দিয়ে কেউ । বোন মঞ্জুলার বিয়ে দিয়েছে কলকাতায় জেরক্স এর দোকানে ৮০০০ টাকা মাইনের কাজ করে করে । এর চেয়ে বিরল প্রতিভা পৃথিবীতে দেখা যাবে না হয় তো ।
প্রাণের বন্ধু বলতে শতদ্রু । বেশ চকমকে নাম হলেও রোজ জন খাটে শতদ্রু । বাবা মারাগেছে ছোটবেলায় । কি জ্বর হয়েছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানে নাকি তার নাম নেই , এমনি শহুরে ডাক্তার দের কথা । বিধবা মা , মাঠে জন খেতে ১২০ টাকা পায় । আর এভাবেই একটু একটু করে ছেলে মেয়ে মানুষ করেছে শতদ্রুর মা । বেচারি মিনতি ।
আর তার সাথেই গ্রামের সখ্যতার বট গাছ মোটা হয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আরেকটা বাড়িতে সে হলো সনাতনের মা ধন্নন্তরীর সাথে । না না তিনি চিকিৎসক নন । মিনতির সাথে মাঠে জন খাটেন ।
আসলে বয়স ৫৫ পেরিয়ে গেলো জন খাটার অভ্যেস টা যায় নি । আর গুরাকু তামাক মাজার অভ্যাস । সন্ধ্যে হলে দুজনে পুকুর পারে বসে থাকে গুরাকু তামাক দাঁতে নিয়ে এক ঘন্টা । এই টুকু পৃথিবীতে এদের চাহিদা ।শতদ্রুর বোনের নাম অরুন্ধতী । নাম এমন হলেও তার জীবনে কোনো দিন অরুন্ধতী নক্ষত্র আলো ফেলেনি । কিন্তু পূর্ব ফলহানি আর উত্তর ফাল্গুনীর মিলন ঘটেছিলো শতদ্রু আর সনাতনের । সঁপে নেউলের মতো একে ওপরের সাথে লেগে থাকলেও মনের শক্ত পোক্ত ভাবে বাসা বেঁধেছিলো নির্ভর যোগ্য বন্ধুত্বের । গল্পের সূত্রপাত দেবুর সাথে একদিন জেরক্স-এর দোকানেই পরিচয়ে ।
দেবু কে আশাকরি কাওকে দ্বিতীযবার বলে দিতে হবে না । হ্যাঁ সেই দেবু । সনাতনের জন্ম দুঃখিনী মায়ের গল্প শুনে প্রাণ ভরে গিয়েছিলো দেবুর । হাজার হলেও সিদ্ধ পুরুষ । দিব্য জ্ঞানে শতদ্রুকেও মনে ধরেছিলো তার । কিন্তু দেবুর সাথে এ গল্পের সংযোগ শুধু সেই টুকুই । কেন দেবু সনাতন কে কোনো সাহায্য করতে পারে নি সেটা মুখ্য প্রশ্ন ছিল না । এই গল্পের নায়ক চরিত্র দুজনেই সনাতন , আর শতদ্রু ।
প্রাণের বন্ধু বলতে শতদ্রু । বেশ চকমকে নাম হলেও রোজ জন খাটে শতদ্রু । বাবা মারাগেছে ছোটবেলায় । কি জ্বর হয়েছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানে নাকি তার নাম নেই , এমনি শহুরে ডাক্তার দের কথা । বিধবা মা , মাঠে জন খেতে ১২০ টাকা পায় । আর এভাবেই একটু একটু করে ছেলে মেয়ে মানুষ করেছে শতদ্রুর মা । বেচারি মিনতি ।
আর তার সাথেই গ্রামের সখ্যতার বট গাছ মোটা হয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আরেকটা বাড়িতে সে হলো সনাতনের মা ধন্নন্তরীর সাথে । না না তিনি চিকিৎসক নন । মিনতির সাথে মাঠে জন খাটেন ।
আসলে বয়স ৫৫ পেরিয়ে গেলো জন খাটার অভ্যেস টা যায় নি । আর গুরাকু তামাক মাজার অভ্যাস । সন্ধ্যে হলে দুজনে পুকুর পারে বসে থাকে গুরাকু তামাক দাঁতে নিয়ে এক ঘন্টা । এই টুকু পৃথিবীতে এদের চাহিদা ।শতদ্রুর বোনের নাম অরুন্ধতী । নাম এমন হলেও তার জীবনে কোনো দিন অরুন্ধতী নক্ষত্র আলো ফেলেনি । কিন্তু পূর্ব ফলহানি আর উত্তর ফাল্গুনীর মিলন ঘটেছিলো শতদ্রু আর সনাতনের । সঁপে নেউলের মতো একে ওপরের সাথে লেগে থাকলেও মনের শক্ত পোক্ত ভাবে বাসা বেঁধেছিলো নির্ভর যোগ্য বন্ধুত্বের । গল্পের সূত্রপাত দেবুর সাথে একদিন জেরক্স-এর দোকানেই পরিচয়ে ।
দেবু কে আশাকরি কাওকে দ্বিতীযবার বলে দিতে হবে না । হ্যাঁ সেই দেবু । সনাতনের জন্ম দুঃখিনী মায়ের গল্প শুনে প্রাণ ভরে গিয়েছিলো দেবুর । হাজার হলেও সিদ্ধ পুরুষ । দিব্য জ্ঞানে শতদ্রুকেও মনে ধরেছিলো তার । কিন্তু দেবুর সাথে এ গল্পের সংযোগ শুধু সেই টুকুই । কেন দেবু সনাতন কে কোনো সাহায্য করতে পারে নি সেটা মুখ্য প্রশ্ন ছিল না । এই গল্পের নায়ক চরিত্র দুজনেই সনাতন , আর শতদ্রু ।