08-10-2021, 05:50 PM
শুনে হতাশ হব কিনা ভাবছি। তাহলে কি বলবে না আর?
ও আচ্ছা, মনে পড়ল হঠাৎ করে তাই ভাবলাম একবার তোমাকে জিজ্ঞেস করে নি বলে ব্যাপারটাকে তখনকারমতো সামলে নিতে চাইছিলাম। ছোড়’দি ফোনের ওপার থেকে বলল কাল বিকেলে আমরা সল্ট ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছি। তুইও চল না আমাদের সাথে। ওখানেই...
ছোড়’দির গলা শুনে কিছুটা হলেও বুঝলাম স্বাভাবিক নয়। এ সুযোগ ছাড়া যাবে না। সাথে সাথেই বলে দিলাম আচ্ছা ঠিক আছে। এখন তো বোধহয় মাছের সিজন। তাই না?
ও বাবা, সে আর বলতে...কত মাছ খেতে পারিস দেখবো! চাইলে, তোর জামাইবাবুদের সাথে গ্লাস নিয়েও বসে যেতে পারিস। দুদিন কিভাবে কেটে যাবে বুঝতেই পারবি না। ছোড়’দির গলা এখন আবার আগের মতো স্বাভাবিক। বুঝলাম সামলে নিয়েছে। জামাইবাবুদের সাথে মানে শ্রাবনী বৌদি’রাও যাচ্ছে। দুর ছাই, যাবে না কেন। সল্ট ফ্যাক্টরীটা তো ওদের জয়েন্ট বিজনেস। এক সাথে যাবে না তো কি আলাদা আলাদা যাবে! দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় ভেবে বললাম সে দেখা যাবে খন। আগে তো যাই।
ঠিক আছে। কাল বিকেলে যাওয়ার সময় আমরা তোকে তুলে নেবো বলে ছোড়’দি ফোন কেটে দিল। তাড়াতাড়ি করে ভেবে নিলাম কি কি করতে হবে যাওয়ার আগে। কাল বিকেলে বেরোতে হলে পূর্বার সাথে দুপুরে দেখা করতে যাওয়াটা বোধহয় আর হবে না। বেচারা মন খারাপ করবে। আজ সারাদিনটা তাহলে ওর জন্য বরাদ্দ থাক। দুদিন থাকবো না। সেটা ওকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
বিকেল শেষ হতে যাচ্ছে। সন্ধের কিছুটা বাকি আছে এমন একটা সময়ে পৌঁছোলাম সল্টে। বলতে গেলে জায়গাটা একেবারে জন মানবহীন। সমুদ্র থেকে বেশ কিছুটা ভেতরে কিন্তু শেষ গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে এসেছি মাইল তিনেক আগে। প্রায় তিনশো বিঘা জায়গা জুড়ে সল্ট ফ্যাক্টরী। ঠিক মাঝখানে অফিস কাম থাকার জায়গা। খুব বেশী বড় নয়। দোতলায় কলেজ বিল্ডিং স্টাইলে পর পর চারটে বিশাল বড় বড় ঘর, লাগোয়া বাথরুম...সামনে বিশাল চওড়া বারান্দা। মালিক পক্ষের কেউ এলে তাদের থাকার জন্য। নীচে, অফিস, গোডাউইন, কিচেন ইত্যাদি ইত্যাদি। নামে ফ্যাক্টরী হলেও যন্ত্রপাতি বলতে গেলে কিছুই লাগে না। বিশাল কোনো কারখানাও নেই। দরকার পড়ে না। আসলে কি গরমের সময় সমুদ্রের জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পুরো জমিতে। আস্তে আস্তে সেই জল শুকিয়ে নুনের চাংড় তৈরী হয়ে যায় আর তারপরে সেগুলোকে তুলে নিয়ে এসে মেশিনে গুঁড়ো করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য জায়গায়। গরমের শেষের দিকে নুন উঠে গেলে শুরু হয় ধান চাষ কারন বর্ষাকালে জল শুকিয়ে নুন হয় না। ধান যত না হয় তার থেকে অনেক বেশি হয় মাছ। বলতে গেলে অফুরন্ত মাছ। নুন থেকে যা ইনকাম হয় মাছ থেকেও বোধহয় সেরকমই কিছু একটা হবে। যাকগে, সেটা আমার বিচার্য নয়। আমি দুদিনে যত পারবো মাছ খাবো...চিংড়ি, পার্শে, ট্যাংরা যা ইচ্ছে তাই খাবো...সাথে থাকবে কিছুটা হুইস্কি কি রাম। বেশি খাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আউট হয়ে গেলে যে কারনে এসেছি সেটা মাঠে মারা যাবে। তার থেকে বড় কথা মাঝে মধ্যে বন্ধু বান্ধবদের সাথে খেলেও আমার দৌড় খুব একটা লম্বা হয় না। যেটুকু খেলে মাথা ঝিম ঝিম করবে...নিজেকে বেশ হালকা লাগবে, সেই অব্দিই ঠিক আছে। গান্ডে পিন্ডে গিলে বমি করে দিয়ে লাভ কি!
ও আচ্ছা, মনে পড়ল হঠাৎ করে তাই ভাবলাম একবার তোমাকে জিজ্ঞেস করে নি বলে ব্যাপারটাকে তখনকারমতো সামলে নিতে চাইছিলাম। ছোড়’দি ফোনের ওপার থেকে বলল কাল বিকেলে আমরা সল্ট ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছি। তুইও চল না আমাদের সাথে। ওখানেই...
ছোড়’দির গলা শুনে কিছুটা হলেও বুঝলাম স্বাভাবিক নয়। এ সুযোগ ছাড়া যাবে না। সাথে সাথেই বলে দিলাম আচ্ছা ঠিক আছে। এখন তো বোধহয় মাছের সিজন। তাই না?
ও বাবা, সে আর বলতে...কত মাছ খেতে পারিস দেখবো! চাইলে, তোর জামাইবাবুদের সাথে গ্লাস নিয়েও বসে যেতে পারিস। দুদিন কিভাবে কেটে যাবে বুঝতেই পারবি না। ছোড়’দির গলা এখন আবার আগের মতো স্বাভাবিক। বুঝলাম সামলে নিয়েছে। জামাইবাবুদের সাথে মানে শ্রাবনী বৌদি’রাও যাচ্ছে। দুর ছাই, যাবে না কেন। সল্ট ফ্যাক্টরীটা তো ওদের জয়েন্ট বিজনেস। এক সাথে যাবে না তো কি আলাদা আলাদা যাবে! দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় ভেবে বললাম সে দেখা যাবে খন। আগে তো যাই।
ঠিক আছে। কাল বিকেলে যাওয়ার সময় আমরা তোকে তুলে নেবো বলে ছোড়’দি ফোন কেটে দিল। তাড়াতাড়ি করে ভেবে নিলাম কি কি করতে হবে যাওয়ার আগে। কাল বিকেলে বেরোতে হলে পূর্বার সাথে দুপুরে দেখা করতে যাওয়াটা বোধহয় আর হবে না। বেচারা মন খারাপ করবে। আজ সারাদিনটা তাহলে ওর জন্য বরাদ্দ থাক। দুদিন থাকবো না। সেটা ওকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
বিকেল শেষ হতে যাচ্ছে। সন্ধের কিছুটা বাকি আছে এমন একটা সময়ে পৌঁছোলাম সল্টে। বলতে গেলে জায়গাটা একেবারে জন মানবহীন। সমুদ্র থেকে বেশ কিছুটা ভেতরে কিন্তু শেষ গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে এসেছি মাইল তিনেক আগে। প্রায় তিনশো বিঘা জায়গা জুড়ে সল্ট ফ্যাক্টরী। ঠিক মাঝখানে অফিস কাম থাকার জায়গা। খুব বেশী বড় নয়। দোতলায় কলেজ বিল্ডিং স্টাইলে পর পর চারটে বিশাল বড় বড় ঘর, লাগোয়া বাথরুম...সামনে বিশাল চওড়া বারান্দা। মালিক পক্ষের কেউ এলে তাদের থাকার জন্য। নীচে, অফিস, গোডাউইন, কিচেন ইত্যাদি ইত্যাদি। নামে ফ্যাক্টরী হলেও যন্ত্রপাতি বলতে গেলে কিছুই লাগে না। বিশাল কোনো কারখানাও নেই। দরকার পড়ে না। আসলে কি গরমের সময় সমুদ্রের জল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় পুরো জমিতে। আস্তে আস্তে সেই জল শুকিয়ে নুনের চাংড় তৈরী হয়ে যায় আর তারপরে সেগুলোকে তুলে নিয়ে এসে মেশিনে গুঁড়ো করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য জায়গায়। গরমের শেষের দিকে নুন উঠে গেলে শুরু হয় ধান চাষ কারন বর্ষাকালে জল শুকিয়ে নুন হয় না। ধান যত না হয় তার থেকে অনেক বেশি হয় মাছ। বলতে গেলে অফুরন্ত মাছ। নুন থেকে যা ইনকাম হয় মাছ থেকেও বোধহয় সেরকমই কিছু একটা হবে। যাকগে, সেটা আমার বিচার্য নয়। আমি দুদিনে যত পারবো মাছ খাবো...চিংড়ি, পার্শে, ট্যাংরা যা ইচ্ছে তাই খাবো...সাথে থাকবে কিছুটা হুইস্কি কি রাম। বেশি খাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আউট হয়ে গেলে যে কারনে এসেছি সেটা মাঠে মারা যাবে। তার থেকে বড় কথা মাঝে মধ্যে বন্ধু বান্ধবদের সাথে খেলেও আমার দৌড় খুব একটা লম্বা হয় না। যেটুকু খেলে মাথা ঝিম ঝিম করবে...নিজেকে বেশ হালকা লাগবে, সেই অব্দিই ঠিক আছে। গান্ডে পিন্ডে গিলে বমি করে দিয়ে লাভ কি!