07-10-2021, 09:07 AM
রুনু আপার সাথে, বসার ঘরের অনেক মেহমান ডিঙিয়ে ইভার পড়ার ঘরে গিয়েই ঢুকলাম।রুনু আপা ইভার খাটের উপর বসে, আমাকে তার পাশেই বসতে বললো। তারপর, এক নিঃশ্বাসেই বললো, ছেলে এমেরিকায় পি, এইচ, ডি, করে। মাত্র পনেরো দিনের ছুটি নিয়ে এসেছে, নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করার জন্যে। অনেক মেয়ে খোঁজেছে, কালকে নাকি ইভাকে কলেজে যাবার পথে দেখেছে, আর সাথে সাথে তার মা বাবাকে নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির। আমি ভাইয়াকে জানালাম, অথচ ভাইয়া হঠাৎ করে কিছুতেই এমন একটি কাজে মত দিলো না। আমি তোমার দুলাভাইকে টেলিফোন করলাম। সে বললো, ভালো শিক্ষিত ছেলে হলে তুমিই সিদ্ধান্ত নাও। আহা সিদ্ধান্ত নিতে তো আমার আপত্তি ছিলো না। কিন্তু ছেলে বলতেছে, বিয়ে করে বউ সংগে করে এমেরিকা নিয়েযাবে। পাসপোর্ট ভিসা করতেও সময় লাগবে, তাই বায়না করলো, বিয়ে যদি করেই আজকেই করবে। তা না হলে জীবনে আর বিয়েই করবে না। এই দেখো, আজকে সন্ধ্যায় সত্যিসত্যিই সব আত্মীয় স্বজন নিয়ে হাজির। কাজীও নাকি নিজেরা ব্যবস্থা করে এসেছে! একটু পরেই কাজী আসবে! আমি যে সবাইকে এক কাপ চা ঢেলে দেবো, সেই সময়টাও পাচ্ছি না।
এতগুলো কথা এক সংগে শুনে, আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ইভার প্রতি আমারও খানিকটা মনের দুর্বলতা জমে উঠেছিলো। বন্যার বিয়ের কথা শুনে, সহজ সরল বোকা প্রকৃতির এই ইভাকে জীবন সংগিনী করে নেবার লোভেই হয়তো, অবচেতন মনে হাঁটতে হাঁটতে ইভাদের বাড়ী চলে এসেছিলাম। আমি বললাম, বিয়েতে ইভার মতামত আছে?
রুনু আপা ভ্যাংচি কেটেই বললো, ইভার আবার মতামত কি? এই মেয়ের বুদ্ধি আছে নাকি? সারাদিন ইন্ডিয়া বাংলাদেশের নায়কদের ছবি বুকে নিয়ে ঘুরে। যে ছেলেটা বিয়ে করতে চাইছে, সে কি ঐসব নায়কদের চাইতে কম নাকি?
রুনু আপা একটু থেমে বললো, ছেলেকে তুমি দেখো নি? বসার ঘরে ছিলো তো!
বসার ঘরে আসলে অনেকেই ছিলো। আমি কারো দিকে তাঁকাইনি। তা ছাড়া আমার এই সংকটকালীন সময়ে সেই ছেলেটিকে দেখার আগ্রহও নেই। আমি মিছেমিছিই বললাম, জী, দেখেছি! খুবই হ্যান্ডসাম!
রুনু আপা খুশি হয়ে বললো, আমারও ছেলে খুব পছন্দ হয়েছে! তবে, বয়সটা একটু বেশী।ছেলেদের বয়স দিয়ে আর কি হবে বলো? আমার সাথেও তো তোমার দুলাভাইয়ের পনেরো বছরের পার্থক্য! আমার কি বিয়ে হয়নি? আমি কি সংসার করিনি?
আমি রুনু আপাকে আর কষ্ট দিতে চাইনা। বললাম, আমাকে এখন কি করতে হবে?
রুনু আপা বললো, হ্যা, তাই তো বলতে চেয়েছিলাম। মেহমান বসিয়ে রেখেছি ঘন্টা খানেক হলো। চা ও রেডী করেছি। রান্না বান্না অর্ধেক হয়েছে, অর্ধেক হয়নি। এদিকে কাজী আসবে বিয়ে পরাতে। অথচ, ইভাকে সাজানোই হয়নি।
আমি বললাম, ইভা কোথায়?
রুনু আপা বললো, উপরে আছে! আমি ওদিকটা দেখছি। তুমি এখন মেহমানদের কার কি লাগবে, সেই দিকটা দেখো। আর কাজী আসলে আমাকে জানাবে।
এই বলে রুনু আপা হন হন করেই বিদায় নিলো।
এতগুলো কথা এক সংগে শুনে, আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ইভার প্রতি আমারও খানিকটা মনের দুর্বলতা জমে উঠেছিলো। বন্যার বিয়ের কথা শুনে, সহজ সরল বোকা প্রকৃতির এই ইভাকে জীবন সংগিনী করে নেবার লোভেই হয়তো, অবচেতন মনে হাঁটতে হাঁটতে ইভাদের বাড়ী চলে এসেছিলাম। আমি বললাম, বিয়েতে ইভার মতামত আছে?
রুনু আপা ভ্যাংচি কেটেই বললো, ইভার আবার মতামত কি? এই মেয়ের বুদ্ধি আছে নাকি? সারাদিন ইন্ডিয়া বাংলাদেশের নায়কদের ছবি বুকে নিয়ে ঘুরে। যে ছেলেটা বিয়ে করতে চাইছে, সে কি ঐসব নায়কদের চাইতে কম নাকি?
রুনু আপা একটু থেমে বললো, ছেলেকে তুমি দেখো নি? বসার ঘরে ছিলো তো!
বসার ঘরে আসলে অনেকেই ছিলো। আমি কারো দিকে তাঁকাইনি। তা ছাড়া আমার এই সংকটকালীন সময়ে সেই ছেলেটিকে দেখার আগ্রহও নেই। আমি মিছেমিছিই বললাম, জী, দেখেছি! খুবই হ্যান্ডসাম!
রুনু আপা খুশি হয়ে বললো, আমারও ছেলে খুব পছন্দ হয়েছে! তবে, বয়সটা একটু বেশী।ছেলেদের বয়স দিয়ে আর কি হবে বলো? আমার সাথেও তো তোমার দুলাভাইয়ের পনেরো বছরের পার্থক্য! আমার কি বিয়ে হয়নি? আমি কি সংসার করিনি?
আমি রুনু আপাকে আর কষ্ট দিতে চাইনা। বললাম, আমাকে এখন কি করতে হবে?
রুনু আপা বললো, হ্যা, তাই তো বলতে চেয়েছিলাম। মেহমান বসিয়ে রেখেছি ঘন্টা খানেক হলো। চা ও রেডী করেছি। রান্না বান্না অর্ধেক হয়েছে, অর্ধেক হয়নি। এদিকে কাজী আসবে বিয়ে পরাতে। অথচ, ইভাকে সাজানোই হয়নি।
আমি বললাম, ইভা কোথায়?
রুনু আপা বললো, উপরে আছে! আমি ওদিকটা দেখছি। তুমি এখন মেহমানদের কার কি লাগবে, সেই দিকটা দেখো। আর কাজী আসলে আমাকে জানাবে।
এই বলে রুনু আপা হন হন করেই বিদায় নিলো।