06-10-2021, 05:03 PM
ব্যাগটা ছুড়ে ফেলতেই লক্ষ্য করলাম, একটা ভাঁজ করা কাগজ, ব্যাগের ভেতর থেকে ছিটকে বেড়োলো। কাগজটা তুলে নেবার কোন আগ্রহই আমার ছিলো না। তারপরও নিজের অজান্তেই কাগজটা তুলে নিয়ে ভাঁজটা খুলে নিলাম। একটা চিঠি! আমাকে লক্ষ্য করেই লেখা। আমি চিঠিটা পড়তে থাকলাম।
অনি,
যেকোন চিঠির শুরুতে মানুষ শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। তোমাকে শুভেচ্ছা জানানোর আগ্রহ আমার নেই। কারন, তোমাকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। তুমি হয়তো অবাক হয়েই ভাববে, এতটা ঘৃণা যার উপর, তার সাথে এতটা দিন, এত মেলামেশা করলাম কেনো? আসলে, এমন একটা শাস্তিই তোমার জন্যে উপযুক্ত বলে, আমার মনে হয়েছিলো। আমাকে তুমি মাত্র একটি বছর আগুনে পুড়িয়ে ছিলে, আমি তোমাকে সারা জীবন আগুনে পুড়িয়ে মারতে চাই।
আসলে তোমার সাথে অনেক মিথ্যে গলপো করেছি। আমার বড় কোন বোন নেই। মা, বাবা আর আমি তিনজনের সংসার। ছোটকাল থেকেই মা বাবার আদরে আদরে বড় হয়েছি। তাই, প্রেম ভালোবাসার কথা কখনোই ভাবিনি। সেবার ইউনিভার্সিটি পাশ করে, আমতলী অফিসে যোগ দিতেই প্রথম তোমাকে দেখে সত্যিই তোমার প্রেমে পরে গিয়েছিলাম। কেনো যেনো অন্য সবার মাঝে তোমাকে আলাদা মনে হতো। তোমার ব্যক্তিত্ব আমাকে আকর্ষন করতো প্রচন্ডভাবে। তোমার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করেছি অনেকভাবে। অথচ, তুমি আমাকে কখনোই পাত্তা দাওনি।
তোমার মনে পরে কিনা জানিনা, আমতলী অফিসের রেষ্টরুমে প্রায়ই তোমার সামনে বসে চা পান করার ভাব নিয়ে বসে থাকতাম, অথচ ভুল করেও কখনো তাঁকাওনি আমার দিকে। অফিস ফেরার পথে, বাস স্ট্যান্ডে ঘন্টার পর ঘন্টাও অপেক্ষা করেছি তোমার সাথে একটিবার কথা বিনিময় করার জন্যে। অথচ, কখনো সুযোগ দাওনি আমাকে। প্রতিটি রাত আমি এক দুঃসহ যন্ত্রণার মাঝেই কাটাতাম। কি এত অহংকার তোমার? তখন থেকেই ভাবতাম, যদি কখনো সুযোগ পাই, তোমার সমস্ত অহংকার আমি গুড়ো গুড়ো করে দেবো। সেই সুযোগটাই পেয়েছিলাম, নাগপুর অফিসে এসে। তাই কাজে লাগিয়েছিলাম।
শফিক সাহেবের কথা তোমাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ইদানিং লোকটা খুবই বিরক্ত করছে আমাকে। আমি জানি, আমার বাবার বয়েসী লোক সে। তার বউ যেমনি আছে, তেমনি আমার সমবয়েসী দুটো মেয়েও আছে তার। তারপরও কেনো যেনো লোকটার উপর মায়া জমে গেলো আমার। কদিন ধরেই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব করছে সে। শুধুমাত্র আমার জন্যেই নিজ বউ মেয়েদেরও ত্যগ করেছে শফিক। ভালোবাসার জন্যে কত কঠিন কাজও করে মানুষ, তাই না? কেনো যেনো প্রেম কাতর বুড়ু এই মানুষটার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারলাম না। আসলে, তোমার প্রতি ভালোবাসার মনটা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তার চেয়ে তোমার উপর রাগটাই বেশী ছিলো এতদিন। তোমার নামে একটা স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে চাকুরিটা ছেড়ে দেবারই ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু, শফিক সাহেব জীবনে এসে, তোমার বাকী শাস্তিটা অন্যভাবেই দিতে চাই। কেনোনা, শফিক তোমার ভালো বন্ধু! এখন থেকে ভালো শত্রুই হবে তোমরা।
- বন্যা।
অনি,
যেকোন চিঠির শুরুতে মানুষ শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। তোমাকে শুভেচ্ছা জানানোর আগ্রহ আমার নেই। কারন, তোমাকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করি। তুমি হয়তো অবাক হয়েই ভাববে, এতটা ঘৃণা যার উপর, তার সাথে এতটা দিন, এত মেলামেশা করলাম কেনো? আসলে, এমন একটা শাস্তিই তোমার জন্যে উপযুক্ত বলে, আমার মনে হয়েছিলো। আমাকে তুমি মাত্র একটি বছর আগুনে পুড়িয়ে ছিলে, আমি তোমাকে সারা জীবন আগুনে পুড়িয়ে মারতে চাই।
আসলে তোমার সাথে অনেক মিথ্যে গলপো করেছি। আমার বড় কোন বোন নেই। মা, বাবা আর আমি তিনজনের সংসার। ছোটকাল থেকেই মা বাবার আদরে আদরে বড় হয়েছি। তাই, প্রেম ভালোবাসার কথা কখনোই ভাবিনি। সেবার ইউনিভার্সিটি পাশ করে, আমতলী অফিসে যোগ দিতেই প্রথম তোমাকে দেখে সত্যিই তোমার প্রেমে পরে গিয়েছিলাম। কেনো যেনো অন্য সবার মাঝে তোমাকে আলাদা মনে হতো। তোমার ব্যক্তিত্ব আমাকে আকর্ষন করতো প্রচন্ডভাবে। তোমার দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করেছি অনেকভাবে। অথচ, তুমি আমাকে কখনোই পাত্তা দাওনি।
তোমার মনে পরে কিনা জানিনা, আমতলী অফিসের রেষ্টরুমে প্রায়ই তোমার সামনে বসে চা পান করার ভাব নিয়ে বসে থাকতাম, অথচ ভুল করেও কখনো তাঁকাওনি আমার দিকে। অফিস ফেরার পথে, বাস স্ট্যান্ডে ঘন্টার পর ঘন্টাও অপেক্ষা করেছি তোমার সাথে একটিবার কথা বিনিময় করার জন্যে। অথচ, কখনো সুযোগ দাওনি আমাকে। প্রতিটি রাত আমি এক দুঃসহ যন্ত্রণার মাঝেই কাটাতাম। কি এত অহংকার তোমার? তখন থেকেই ভাবতাম, যদি কখনো সুযোগ পাই, তোমার সমস্ত অহংকার আমি গুড়ো গুড়ো করে দেবো। সেই সুযোগটাই পেয়েছিলাম, নাগপুর অফিসে এসে। তাই কাজে লাগিয়েছিলাম।
শফিক সাহেবের কথা তোমাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ইদানিং লোকটা খুবই বিরক্ত করছে আমাকে। আমি জানি, আমার বাবার বয়েসী লোক সে। তার বউ যেমনি আছে, তেমনি আমার সমবয়েসী দুটো মেয়েও আছে তার। তারপরও কেনো যেনো লোকটার উপর মায়া জমে গেলো আমার। কদিন ধরেই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব করছে সে। শুধুমাত্র আমার জন্যেই নিজ বউ মেয়েদেরও ত্যগ করেছে শফিক। ভালোবাসার জন্যে কত কঠিন কাজও করে মানুষ, তাই না? কেনো যেনো প্রেম কাতর বুড়ু এই মানুষটার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারলাম না। আসলে, তোমার প্রতি ভালোবাসার মনটা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। তার চেয়ে তোমার উপর রাগটাই বেশী ছিলো এতদিন। তোমার নামে একটা স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে চাকুরিটা ছেড়ে দেবারই ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু, শফিক সাহেব জীবনে এসে, তোমার বাকী শাস্তিটা অন্যভাবেই দিতে চাই। কেনোনা, শফিক তোমার ভালো বন্ধু! এখন থেকে ভালো শত্রুই হবে তোমরা।
- বন্যা।