06-10-2021, 11:30 AM
২০০৯ সাল। অক্টোবর মাসের শুরুর দিকের কথা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই দিনটিতে, বন্যা ক্রিকেট খেলার নাম করে আমার বাসাতেই সময় কাটায়। ছুটির দিনে আমার ঘুমটা একটু দেরীতেই ভাঙে। সেদিন অপেক্ষাকৃত তাড়াডাড়িই ঘুমটা ভেঙে গেলো। কেননা, এই কয়দিন ধরে বন্যা অফিসেও আসছে না। তাকে দেখার জন্যেই সারা রাত মনটা ছটফট করেছিলো। ঘুম বলতে ভোর বেলাতে চোখ দুটো খালি লেগে উঠেছিলো, সেটাও ভেঙে গেলো সাতটার দিকে।
রাতে ভালো ঘুম হয়নি বলে, ক্ষুধাটাও ভালো নেই। বন্যা দশটার দিকেই আসার কথা।ভাবলাম, নাস্তাটা বন্যা এলে একসাথেই করবো। কেনোনা পরটা আর ডিম ভাজা বন্যার খুব পছন্দের খাবার। তাই, হাত মুখটা ধুয়ে, ধীরে সুস্থেই রুটিগুলো বেলে অপেক্ষা করতে থাকলাম বন্যার জন্যে। সে এলেই গরম গরম তেলে ভেজে নাস্তাটা সারবো।
দশটা বেজে এগারটা বেজে যাচ্ছে, তারপরও বন্যার আসার কোন নাম গন্ধ দেখলাম না।বন্যার সাথে আমার অফিস প্রেম। যোগাযোগের মাধ্যমটা ছিলো, অফিসের ই, মেইল। এছাড়া তার ব্যক্তিগত টেলিফোন কিংবা মোবাইল নম্বর জানার প্রয়োজন ছিলো না।তাই, সেসব আমার কাছে নেই। এখন, দেরি হবার কারনটা যে জানবো, সে উপায়টাও ছিলোনা। যানজট কিনা কে জানে? খানিকটা ক্ষুধাও লেগে এসেছে। এতক্ষণ ক্ষুধা জমিয়ে কি লাভ? আমি শেষ পয্যন্ত একা একাই নাস্তাটা শেষ করে নিলাম।
দুপুর বারোটা বেজে গেছে, তখনও বন্যা এলো না। ধরে নিলাম, আজ হয়তো অন্য কোন কাজে আটকা পরে গেছে। তাই বন্যা আসার অপেক্ষাটাও মন থেকে তাড়িয়ে দিলাম। সিগারেটের নেশা পেতেই দেখলাম, প্যাকেট খালি। সিগারেট কেনার জন্যেই বাইরে বেড়োনোর উদ্যোগ করছিলাম। দরজার কাছাকাছি যেতেই দেখলাম, আয়তাকার একটা বড় খাম পরেআছে, দরজার কাছেই। সাধারন চিঠি ভেবেই খামটা খোললাম।
নাহ, চিঠি নয়। বিয়ের কার্ড! কার আবার বিয়ে? খামের উপরে ঠিকানাটা আবারও পড়লাম।প্রেরকের নাম পরিচিত বলেই মনে হলো। আবার পরিচিতও না। শফিকুর রহমান। আমি একজন শফিক সাহেবকে চিনি, যে আমাদের অফিসের প্রোডাকশন এর সহকারি ম্যানেজার।বয়স পঞ্চান্নর কাছাকাছি। তার মেয়ের বিয়ে নাকি? কার্ডের বিষয়বস্তুটাও পড়লাম।পাত্র নিজের বিয়ে বলেই লিখেছে। পঞ্চান্ন বছর বয়সের শফিক সাহেবের বিয়ে করার কথা না। তাহলে, কোন শফিক?
আমি আপাততঃ কার্ডটা বিছানার উপর রেখে, সিগারেট কিনতে গেলাম। ফিরে এসে আবারও কার্ডটা খোলে পড়তে থাকলাম। এবার একটু ভালো করেই পড়লাম। পাত্রীর নাম নীলুফার বন্যা। মাই গড! নীলুফার বন্যা নামে তো শুধু একজনকেই চিনি আমি। সেই বন্যার জন্যেই তো সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম। রাতে ভালো ঘুমও হয়নি! সেই বন্যার বিয়ে? আর দাওয়াত পেলাম ডাকযোগে? তাও আবার বর পক্ষ থেকে? কিন্তু বর আমার ঠিকানা জানে কেমন করে? জানলেও, বর পক্ষ থেকে দাওয়াতই বা আসবে কেনো? আমার মাথায় কিছুই ঢুকলোনা। তাৎক্ষণিকভাবে আমার মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠলো। এটা কেমন করে সম্ভব?
সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই দিনটিতে, বন্যা ক্রিকেট খেলার নাম করে আমার বাসাতেই সময় কাটায়। ছুটির দিনে আমার ঘুমটা একটু দেরীতেই ভাঙে। সেদিন অপেক্ষাকৃত তাড়াডাড়িই ঘুমটা ভেঙে গেলো। কেননা, এই কয়দিন ধরে বন্যা অফিসেও আসছে না। তাকে দেখার জন্যেই সারা রাত মনটা ছটফট করেছিলো। ঘুম বলতে ভোর বেলাতে চোখ দুটো খালি লেগে উঠেছিলো, সেটাও ভেঙে গেলো সাতটার দিকে।
রাতে ভালো ঘুম হয়নি বলে, ক্ষুধাটাও ভালো নেই। বন্যা দশটার দিকেই আসার কথা।ভাবলাম, নাস্তাটা বন্যা এলে একসাথেই করবো। কেনোনা পরটা আর ডিম ভাজা বন্যার খুব পছন্দের খাবার। তাই, হাত মুখটা ধুয়ে, ধীরে সুস্থেই রুটিগুলো বেলে অপেক্ষা করতে থাকলাম বন্যার জন্যে। সে এলেই গরম গরম তেলে ভেজে নাস্তাটা সারবো।
দশটা বেজে এগারটা বেজে যাচ্ছে, তারপরও বন্যার আসার কোন নাম গন্ধ দেখলাম না।বন্যার সাথে আমার অফিস প্রেম। যোগাযোগের মাধ্যমটা ছিলো, অফিসের ই, মেইল। এছাড়া তার ব্যক্তিগত টেলিফোন কিংবা মোবাইল নম্বর জানার প্রয়োজন ছিলো না।তাই, সেসব আমার কাছে নেই। এখন, দেরি হবার কারনটা যে জানবো, সে উপায়টাও ছিলোনা। যানজট কিনা কে জানে? খানিকটা ক্ষুধাও লেগে এসেছে। এতক্ষণ ক্ষুধা জমিয়ে কি লাভ? আমি শেষ পয্যন্ত একা একাই নাস্তাটা শেষ করে নিলাম।
দুপুর বারোটা বেজে গেছে, তখনও বন্যা এলো না। ধরে নিলাম, আজ হয়তো অন্য কোন কাজে আটকা পরে গেছে। তাই বন্যা আসার অপেক্ষাটাও মন থেকে তাড়িয়ে দিলাম। সিগারেটের নেশা পেতেই দেখলাম, প্যাকেট খালি। সিগারেট কেনার জন্যেই বাইরে বেড়োনোর উদ্যোগ করছিলাম। দরজার কাছাকাছি যেতেই দেখলাম, আয়তাকার একটা বড় খাম পরেআছে, দরজার কাছেই। সাধারন চিঠি ভেবেই খামটা খোললাম।
নাহ, চিঠি নয়। বিয়ের কার্ড! কার আবার বিয়ে? খামের উপরে ঠিকানাটা আবারও পড়লাম।প্রেরকের নাম পরিচিত বলেই মনে হলো। আবার পরিচিতও না। শফিকুর রহমান। আমি একজন শফিক সাহেবকে চিনি, যে আমাদের অফিসের প্রোডাকশন এর সহকারি ম্যানেজার।বয়স পঞ্চান্নর কাছাকাছি। তার মেয়ের বিয়ে নাকি? কার্ডের বিষয়বস্তুটাও পড়লাম।পাত্র নিজের বিয়ে বলেই লিখেছে। পঞ্চান্ন বছর বয়সের শফিক সাহেবের বিয়ে করার কথা না। তাহলে, কোন শফিক?
আমি আপাততঃ কার্ডটা বিছানার উপর রেখে, সিগারেট কিনতে গেলাম। ফিরে এসে আবারও কার্ডটা খোলে পড়তে থাকলাম। এবার একটু ভালো করেই পড়লাম। পাত্রীর নাম নীলুফার বন্যা। মাই গড! নীলুফার বন্যা নামে তো শুধু একজনকেই চিনি আমি। সেই বন্যার জন্যেই তো সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম। রাতে ভালো ঘুমও হয়নি! সেই বন্যার বিয়ে? আর দাওয়াত পেলাম ডাকযোগে? তাও আবার বর পক্ষ থেকে? কিন্তু বর আমার ঠিকানা জানে কেমন করে? জানলেও, বর পক্ষ থেকে দাওয়াতই বা আসবে কেনো? আমার মাথায় কিছুই ঢুকলোনা। তাৎক্ষণিকভাবে আমার মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠলো। এটা কেমন করে সম্ভব?