04-10-2021, 05:46 PM
ইচ্ছে ছিলো ইভাকে কড়া করে একটা ধমক দেবো। অথচ, তার মিষ্টি হাসিটা দেখে সব কিছুই ভুলে গেলাম।
ভয়ে আমার সারা শরীর তখনও শির শির করছিলো। কি বিশ্রী কথা! ৩২ বছর বয়স্ক এক ঘুমন্ত গৃহবধুর নিজ বাড়ীতে গিয়ে, তারই যোনিতে কলম ঢুকিয়ে খাটের নীচে পালানো! ধরা পরলে কি অবস্থাটাই না হতো। আমি ইভার সাথে কোন রকম কথা না বাড়িয়ে, ফিশ ফিশ করে বললাম, আমি এখন আসি।
কেনো না, রাগারাগি যা করার, তা পরেও করা যাবে। এখন যে কোন মূহুর্তে রুনু ঘুম থেকে উঠে যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে এই অসময়ে আমাকে তাদের বাড়ীতে দেখলে, সন্দেহের দানাটা আমাকে ঘিরেই বাঁধবে। আর ইভার মতো যে মেয়ে মায়ের সামনে ভয়ে ভেজা বিড়াল হয়ে থাকে, সে হয়তো আঙুলী নির্দেশ করে আমাকেই দেখিয়ে দেবে! অথচ, ইভা আমার হাত টেনে ধরে বললো, যাবেন মানে? আপনার পুরস্কার নিয়ে যাবেন না?
আমি আমতা আমতা করে বললাম, এখন না, অন্যদিন।
ইভা ভ্যাচকি দিয়েই বললো, এখন না অন্যদিন? মামার বাড়ীর আব্দার নাকি? যখন খুশি, চাইলেই আমি পুরস্কারটা দিয়ে দেবো।
আমি ইভাকে বুঝাতে চাইলাম, দেখো, তোমার আম্মু যে কোন সময় নীচে চলে আসতে পারে! তখন বিপদ হবে!
ইভা বললো, কিসের বিপদ?
আমি আমতা আমতা করেই বললাম, মানে, ঐ কলম!
ইভা বললো, ঢুকানোর আগে মনে হয়নি? অমন কাজ করতে গেলেন কেন?
আমি বললাম, না মানে, তুমিই তো বললে!
ইভা খানিকটা রেগে, আপনি থেকে তুমি সম্বোধন করে বলতে থাকলো, আমি বললেই অমন একটাকাজ করতে হবে? আমি যদি বলি বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দাও, তাহলে কি তাও করবে?
আমি সত্যিই থতমত খেয়ে গেলাম। আমি ইভার মামা ইয়াহিয়া সাহেবকে জানি। এমনিতে খুবই ভালো মানুষ, তবে রেগে গেলে সাংঘাতিক রূপ ধারন করে। সে ছায়া আমি ইভার মায়ের চেহারাতেও অনুভব করেছি। তাদেরই তো রক্ত! এই এখন ইভার মাঝেও সেই রূপ দেখতে পেলাম। আমি লজ্জা, ভয় আর আত্ম অভিমানে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম, সেইসাথে পালানোর পথই খোঁজতে থাকলাম। ইভা এবার আমার হাতটা হ্যাচকা টেনে, তুই তোকারি করেই বললো, চল্।
আমি আহত হয়ে বললাম, কোথায়?
ভয়ে আমার সারা শরীর তখনও শির শির করছিলো। কি বিশ্রী কথা! ৩২ বছর বয়স্ক এক ঘুমন্ত গৃহবধুর নিজ বাড়ীতে গিয়ে, তারই যোনিতে কলম ঢুকিয়ে খাটের নীচে পালানো! ধরা পরলে কি অবস্থাটাই না হতো। আমি ইভার সাথে কোন রকম কথা না বাড়িয়ে, ফিশ ফিশ করে বললাম, আমি এখন আসি।
কেনো না, রাগারাগি যা করার, তা পরেও করা যাবে। এখন যে কোন মূহুর্তে রুনু ঘুম থেকে উঠে যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে এই অসময়ে আমাকে তাদের বাড়ীতে দেখলে, সন্দেহের দানাটা আমাকে ঘিরেই বাঁধবে। আর ইভার মতো যে মেয়ে মায়ের সামনে ভয়ে ভেজা বিড়াল হয়ে থাকে, সে হয়তো আঙুলী নির্দেশ করে আমাকেই দেখিয়ে দেবে! অথচ, ইভা আমার হাত টেনে ধরে বললো, যাবেন মানে? আপনার পুরস্কার নিয়ে যাবেন না?
আমি আমতা আমতা করে বললাম, এখন না, অন্যদিন।
ইভা ভ্যাচকি দিয়েই বললো, এখন না অন্যদিন? মামার বাড়ীর আব্দার নাকি? যখন খুশি, চাইলেই আমি পুরস্কারটা দিয়ে দেবো।
আমি ইভাকে বুঝাতে চাইলাম, দেখো, তোমার আম্মু যে কোন সময় নীচে চলে আসতে পারে! তখন বিপদ হবে!
ইভা বললো, কিসের বিপদ?
আমি আমতা আমতা করেই বললাম, মানে, ঐ কলম!
ইভা বললো, ঢুকানোর আগে মনে হয়নি? অমন কাজ করতে গেলেন কেন?
আমি বললাম, না মানে, তুমিই তো বললে!
ইভা খানিকটা রেগে, আপনি থেকে তুমি সম্বোধন করে বলতে থাকলো, আমি বললেই অমন একটাকাজ করতে হবে? আমি যদি বলি বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দাও, তাহলে কি তাও করবে?
আমি সত্যিই থতমত খেয়ে গেলাম। আমি ইভার মামা ইয়াহিয়া সাহেবকে জানি। এমনিতে খুবই ভালো মানুষ, তবে রেগে গেলে সাংঘাতিক রূপ ধারন করে। সে ছায়া আমি ইভার মায়ের চেহারাতেও অনুভব করেছি। তাদেরই তো রক্ত! এই এখন ইভার মাঝেও সেই রূপ দেখতে পেলাম। আমি লজ্জা, ভয় আর আত্ম অভিমানে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম, সেইসাথে পালানোর পথই খোঁজতে থাকলাম। ইভা এবার আমার হাতটা হ্যাচকা টেনে, তুই তোকারি করেই বললো, চল্।
আমি আহত হয়ে বললাম, কোথায়?