04-10-2021, 11:19 AM
পরদিন, শরীর খারাপ বলেই অফিস ছুটি নিলাম। ঠিক বেলা তিনটায় যেনো ইভাদের বাড়ী গিয়ে পৌঁছুতে পারি, সেভাবেই ঘড়ি ধরে ঘর থেকে বেড়োলাম। ইভাদের বাড়ীর সামনে গিয়ে, সত্যিই অবাক হয়ে দেখলাম, ইভা বারান্দাতেই ইজি চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছে। কলাপসিবল গেইটটাও খোলা। আমাকে দেখেই, তার চমৎকার ঠোট যুগলে আঙুলি ঠেকিয়ে ইশারা করলো, কোন ধরনের শব্দ না করতে। আমি তখন সত্যিই খুব টেনশনে উপনীত হলাম। তবে কি বাড়ীতে এখন ইভা একা নয়? ভয়ে ভয়েই আমি বারান্দার ভেতরে ঢুকলাম। ইভা বরাবরের মতোই আমার হাতটা ধরে টেনে, পা টিপে টিপেই ভেতরে ঢুকতে থাকলো।
আমার কেনো যেনো মনে হলো, আমাকে আসতে বলে ইভা নিজেই ফেঁসে গেছে। হয়তো, এই সময়টাতে তার মা বাসায় থাকবে না বলেই ধারনা করেছিলো, অথচ তার মা ঘরেই আছে।আমিও ইভাকে সহযোগীতা করার জন্যে, পারতপক্ষে নিঃশব্দেই ঘরের ভেতর ঢুকতে থাকলাম।
ইভার ঘরে ঢুকেই আমি ফিশ ফিশ করে বললাম, কি ব্যাপার? তোমার আম্মু কি ঘরে?
ইভাও ফিশ ফিশ করে বললো, হ্যা, উপরে ঘুমুচ্ছে!
আমি বললাম, এখন কি হবে?
ইভা চোখ কপালে তুলে ফিশ ফিশ করে বললো, কি হবে মানে? আম্মুকে দেখার জন্যেই তো আসতে বলেছি!
আমি অবাক হয়ে বললাম, মানে? তোমার আম্মুকে তো এমনিতেই দেখেছি। এই সময়ে আসার দরকার কি ছিলো?
ইভা বললো, সব সময় দেখা আর, এই সময়ে আম্মুকে ঘুমুতে দেখা অনেক পার্থক্য আছে।
আমি বললাম, মানে?
ইভা বললো, মানে, উপরে গেলেই বুঝতে পারবেন। তবে, সাবধান! বড় কোন শব্দ করবেন না।অবশ্য, ছোট খাট কোন শব্দে আম্মুর ঘুম ভাঙে না। এগুলো আমার পরীক্ষিত!
আমার সত্যিই খুব ভয় ভয় করতে লাগলো। বললাম, তোমার আম্মু ঘুমুচ্ছে, ঘুমাক। বাদ দাও ওসব। এসেই যখন পরেছি, তখন অংক করতে বসো। তোমার আম্মু ঘুম থেকে উঠে গেলে, এই সময়ে আসার কারনটা, আমিই ব্যাখ্যা করবো।
ইভা রাগ করেই বললো, আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে? এই সময়ে আমি অংক করতে বসবো? যা বলছি, আমার সংগে আসুন। আর আপনাকে যা যা করতে বলি, তা যদি করতে পারেন, তাহলে আপনার জন্যে চমৎকার একটা পুরস্কার জমা থাকবে! যা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না!
এ তো দেখছি সত্যিই এক রহস্যময়ী মেয়ে! আমি আর না করলাম না। বললাম, চলো!
ইভা তার টেবিলের উপর রাখা ফাউন্টেইন কলমটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বললো, এটা হাতে রাখেন।
আমার কেনো যেনো মনে হলো, আমাকে আসতে বলে ইভা নিজেই ফেঁসে গেছে। হয়তো, এই সময়টাতে তার মা বাসায় থাকবে না বলেই ধারনা করেছিলো, অথচ তার মা ঘরেই আছে।আমিও ইভাকে সহযোগীতা করার জন্যে, পারতপক্ষে নিঃশব্দেই ঘরের ভেতর ঢুকতে থাকলাম।
ইভার ঘরে ঢুকেই আমি ফিশ ফিশ করে বললাম, কি ব্যাপার? তোমার আম্মু কি ঘরে?
ইভাও ফিশ ফিশ করে বললো, হ্যা, উপরে ঘুমুচ্ছে!
আমি বললাম, এখন কি হবে?
ইভা চোখ কপালে তুলে ফিশ ফিশ করে বললো, কি হবে মানে? আম্মুকে দেখার জন্যেই তো আসতে বলেছি!
আমি অবাক হয়ে বললাম, মানে? তোমার আম্মুকে তো এমনিতেই দেখেছি। এই সময়ে আসার দরকার কি ছিলো?
ইভা বললো, সব সময় দেখা আর, এই সময়ে আম্মুকে ঘুমুতে দেখা অনেক পার্থক্য আছে।
আমি বললাম, মানে?
ইভা বললো, মানে, উপরে গেলেই বুঝতে পারবেন। তবে, সাবধান! বড় কোন শব্দ করবেন না।অবশ্য, ছোট খাট কোন শব্দে আম্মুর ঘুম ভাঙে না। এগুলো আমার পরীক্ষিত!
আমার সত্যিই খুব ভয় ভয় করতে লাগলো। বললাম, তোমার আম্মু ঘুমুচ্ছে, ঘুমাক। বাদ দাও ওসব। এসেই যখন পরেছি, তখন অংক করতে বসো। তোমার আম্মু ঘুম থেকে উঠে গেলে, এই সময়ে আসার কারনটা, আমিই ব্যাখ্যা করবো।
ইভা রাগ করেই বললো, আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে? এই সময়ে আমি অংক করতে বসবো? যা বলছি, আমার সংগে আসুন। আর আপনাকে যা যা করতে বলি, তা যদি করতে পারেন, তাহলে আপনার জন্যে চমৎকার একটা পুরস্কার জমা থাকবে! যা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না!
এ তো দেখছি সত্যিই এক রহস্যময়ী মেয়ে! আমি আর না করলাম না। বললাম, চলো!
ইভা তার টেবিলের উপর রাখা ফাউন্টেইন কলমটা আমার হাতে তুলে দিয়ে বললো, এটা হাতে রাখেন।