01-10-2021, 09:42 AM
ইভা উঁচু গলাতেই বললো, টিচার, আম্মু!
ইভা আমাকে টানতে টানতে ভেতরে তার নিজের পড়ার ঘরটার দিকে নিয়ে যেতে যেতে বললো, মা তো আপনাকে টিচার ডাকে! আমি আপনাকে কি ডাকবো? আমি কিন্তু টিচার ডাকতে পারবো না, স্যারও ডাকতে পারবো না।
আমি আহত হয়েই বললাম, কেনো?
ইভা বললো, আপনাকে টিচারের মতো মনে হয় নাকি?
আমি বললাম, টিচারগুলোই বা কেমন? আর আমাকেই বা কেমন লাগে?
ইভা তার নিজের ঘরে ঢুকেই বললো, টিচার গুলো হয় রাগী, চেহারাগুলো বিদঘুটে! আর আপনি হলেন বোম্বে ফিল্ম এর নায়কদের মতো! আকাশ পাতাল তফাৎ!
আমি হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। আপাততঃ ইভার হাত থেকে আমার হাতটা সরিয়ে নিয়ে বললাম, তুমি কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিলে, এখন থেকে আমার সব কথা শুনবে, এমন কি আমার কাছে অংকও করবে! আর তার জন্যেই কিন্তু এসেছি!
ইভা মন খারাপ করেই বললো, তাই বলে আপনাকে আমি স্যার ডাকতে পারবো না!
আমি বললাম, ঠিক আছে, আমি তো তোমার আম্মুকে আপা বলে ডাকি, তুমি আমাকে মামা বলেই ডেকো।
ইভা এবার রাগ করেই বললো, আপনি আম্মুকে আপা বলে ডাকতে গেলেন কেনো?
আমি বললাম, কি ডাকবো? তোমার আম্মু তো আপাদের বয়েসীই।
ইভা বললো, যাহ, আম্মুরা আবার আপার বয়েসী হয় নাকি? আম্মুর বয়স কত জানেন? বত্রিশ! সারাদিন রূপচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে, বয়স কম লাগে। তবে, আমার মনে হয় আর বেশীদিন বয়স কমিয়ে রাখতে পারবে না।
আমি হাসলাম। বললাম, এমন মনে হবার কারন?
ইভা খুব আগ্রহ করেই বললো, জানেন, আম্মু এখন দুপুরে ঘুমায়! একদম নাক ডেকে ডেকে!
আমি বললাম, দুপুরে নাক ডেকে ডেকে ঘুমালে বুঝি বয়স বাড়ে?
ইভা চোখ কপালে তুলে বললো, আপনি জানেন না? ভুল করেও মেয়েদের দুপুরে ঘুমুতে নেই।প্রথমে পেটে মেদ জমে। তারপর, গাল দুটো ফুলে উঠে বয়সের ভাঁজ জমতে থাকে।
এইবলে, ইভা তার পরনের সেমিজটা বেশ কিছুটা উপরে তুলে, সমতল পেটটা দেখিয়ে বললো, আমার পেটে কি কোন মেদ আছে বলে মনে হয়? আমি কক্ষনোই দুপুরে ঘুমাইনা।
আমি মজা করার জন্যেই বললাম, তা তো রাতে ঘুমালেও হতে পারে!
ইভা রাগ করেই বললো, আপনি কি আমার চাইতে বেশি জানেন?
আমি থতমত খেয়ে গেলাম। আমার হঠাৎই মনে হলো, এ আমি কোথায়, কার সাথে, কি আলাপ করছি? কে কাকে, কি শেখাচ্ছে? ইভার কান্ড দেখে, আমার নুনুটা আনন্দ পাচ্ছিলো ঠিকই, তবে আমার খুব ভয় ভয় করছিলো। যদি হঠাৎ এসে, ইভার মা এসব দেখে, তাহলে টিউশনিটা তো যাবেই, লজ্জায় অফিসে ইয়াহিয়া সাহেবকেও মুখ দেখাতে পারবোনা। আমি বললাম, ঠিক আছে, সবই বুঝলাম। এখন কি পড়তে বসবে, নাকি তোমার মাকে একবার ডাকবো?
ইভা অবাক হয়ে বললো, আম্মুকে ডাকবেন কেনো? আম্মুর পেটও দেখবেন নাকি? আমার কথা বিশ্বাস হয় না!
আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না। খানিকটা রাগ করার ভান করেই বললাম, নাহ, পেট দেখবো না। ডেকে বলবো, ইভা খুব দুষ্ট মেয়ে, বাচাল, বেশী কথা বলে!
ইভা হঠাৎই ভেজা বেড়ালের মতো চেহারা করে সোজা পড়ার টেবিলটার অপর পাশে বিছানায় গিয়ে বসলো। আমিও অপর পাশের চেয়ারটা টেনে বসলাম। তারপর বললাম, বই খাতা বেড় করো।
ইভা লক্ষ্মী মেয়ের মতোই বই খাতা, কলম এগুলো বের করলো টেবিল সংলগ্ন ওপাশের ড্রয়ার থেকেই। আমি অংক বইটা খোলেই দেখলাম, প্রথমেই সরল অংকের চাপ্টার। সরল অংকের নাম যতই সরল হউক না কেনো, অংকে যারা কাঁচা, তাদের মাথায় সরল অংক ঢুকার কথা না। তাই আমি ঐকিকের চাপ্টারেই গেলাম। কোন কিছু না ভেবেই সেই বানরের অংকটাই শুরু করলাম। প্রশ্নটা নিজে একবার ভালো করে পড়ে, ইভাকে ব্যাখ্যা করতে থাকলাম, ধরো একটা তৈলাক্ত বাঁশ বারো ফুট লম্বা!
ইভা আমাকে টানতে টানতে ভেতরে তার নিজের পড়ার ঘরটার দিকে নিয়ে যেতে যেতে বললো, মা তো আপনাকে টিচার ডাকে! আমি আপনাকে কি ডাকবো? আমি কিন্তু টিচার ডাকতে পারবো না, স্যারও ডাকতে পারবো না।
আমি আহত হয়েই বললাম, কেনো?
ইভা বললো, আপনাকে টিচারের মতো মনে হয় নাকি?
আমি বললাম, টিচারগুলোই বা কেমন? আর আমাকেই বা কেমন লাগে?
ইভা তার নিজের ঘরে ঢুকেই বললো, টিচার গুলো হয় রাগী, চেহারাগুলো বিদঘুটে! আর আপনি হলেন বোম্বে ফিল্ম এর নায়কদের মতো! আকাশ পাতাল তফাৎ!
আমি হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। আপাততঃ ইভার হাত থেকে আমার হাতটা সরিয়ে নিয়ে বললাম, তুমি কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিলে, এখন থেকে আমার সব কথা শুনবে, এমন কি আমার কাছে অংকও করবে! আর তার জন্যেই কিন্তু এসেছি!
ইভা মন খারাপ করেই বললো, তাই বলে আপনাকে আমি স্যার ডাকতে পারবো না!
আমি বললাম, ঠিক আছে, আমি তো তোমার আম্মুকে আপা বলে ডাকি, তুমি আমাকে মামা বলেই ডেকো।
ইভা এবার রাগ করেই বললো, আপনি আম্মুকে আপা বলে ডাকতে গেলেন কেনো?
আমি বললাম, কি ডাকবো? তোমার আম্মু তো আপাদের বয়েসীই।
ইভা বললো, যাহ, আম্মুরা আবার আপার বয়েসী হয় নাকি? আম্মুর বয়স কত জানেন? বত্রিশ! সারাদিন রূপচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে, বয়স কম লাগে। তবে, আমার মনে হয় আর বেশীদিন বয়স কমিয়ে রাখতে পারবে না।
আমি হাসলাম। বললাম, এমন মনে হবার কারন?
ইভা খুব আগ্রহ করেই বললো, জানেন, আম্মু এখন দুপুরে ঘুমায়! একদম নাক ডেকে ডেকে!
আমি বললাম, দুপুরে নাক ডেকে ডেকে ঘুমালে বুঝি বয়স বাড়ে?
ইভা চোখ কপালে তুলে বললো, আপনি জানেন না? ভুল করেও মেয়েদের দুপুরে ঘুমুতে নেই।প্রথমে পেটে মেদ জমে। তারপর, গাল দুটো ফুলে উঠে বয়সের ভাঁজ জমতে থাকে।
এইবলে, ইভা তার পরনের সেমিজটা বেশ কিছুটা উপরে তুলে, সমতল পেটটা দেখিয়ে বললো, আমার পেটে কি কোন মেদ আছে বলে মনে হয়? আমি কক্ষনোই দুপুরে ঘুমাইনা।
আমি মজা করার জন্যেই বললাম, তা তো রাতে ঘুমালেও হতে পারে!
ইভা রাগ করেই বললো, আপনি কি আমার চাইতে বেশি জানেন?
আমি থতমত খেয়ে গেলাম। আমার হঠাৎই মনে হলো, এ আমি কোথায়, কার সাথে, কি আলাপ করছি? কে কাকে, কি শেখাচ্ছে? ইভার কান্ড দেখে, আমার নুনুটা আনন্দ পাচ্ছিলো ঠিকই, তবে আমার খুব ভয় ভয় করছিলো। যদি হঠাৎ এসে, ইভার মা এসব দেখে, তাহলে টিউশনিটা তো যাবেই, লজ্জায় অফিসে ইয়াহিয়া সাহেবকেও মুখ দেখাতে পারবোনা। আমি বললাম, ঠিক আছে, সবই বুঝলাম। এখন কি পড়তে বসবে, নাকি তোমার মাকে একবার ডাকবো?
ইভা অবাক হয়ে বললো, আম্মুকে ডাকবেন কেনো? আম্মুর পেটও দেখবেন নাকি? আমার কথা বিশ্বাস হয় না!
আমি কি বলবো বুঝতে পারলাম না। খানিকটা রাগ করার ভান করেই বললাম, নাহ, পেট দেখবো না। ডেকে বলবো, ইভা খুব দুষ্ট মেয়ে, বাচাল, বেশী কথা বলে!
ইভা হঠাৎই ভেজা বেড়ালের মতো চেহারা করে সোজা পড়ার টেবিলটার অপর পাশে বিছানায় গিয়ে বসলো। আমিও অপর পাশের চেয়ারটা টেনে বসলাম। তারপর বললাম, বই খাতা বেড় করো।
ইভা লক্ষ্মী মেয়ের মতোই বই খাতা, কলম এগুলো বের করলো টেবিল সংলগ্ন ওপাশের ড্রয়ার থেকেই। আমি অংক বইটা খোলেই দেখলাম, প্রথমেই সরল অংকের চাপ্টার। সরল অংকের নাম যতই সরল হউক না কেনো, অংকে যারা কাঁচা, তাদের মাথায় সরল অংক ঢুকার কথা না। তাই আমি ঐকিকের চাপ্টারেই গেলাম। কোন কিছু না ভেবেই সেই বানরের অংকটাই শুরু করলাম। প্রশ্নটা নিজে একবার ভালো করে পড়ে, ইভাকে ব্যাখ্যা করতে থাকলাম, ধরো একটা তৈলাক্ত বাঁশ বারো ফুট লম্বা!