07-09-2021, 09:51 AM
ডেস্কে ফিরে আসার পর আধ ঘন্টা পেরিয়ে গেলো, অথচ বন্যার ফেরার কোন লক্ষণই চোখে পরলো না। তবে কি এই যাত্রায় সত্যিই অফিস ট্যুর এ? আমার মনটা অসম্ভব চঞ্চল হয়ে উঠলো। সেই সাথে আমার শিশ্নটাও খানিকটা শান্ত হয়েছে বলেই মনে হলো। তবে মনটা অশান্ত হয়ে উঠলো ততোধিক। আমি কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগের দিকে উঁকিঝুকি দিতে থাকলাম। অথচ, একটা হার্ডবোর্ড পার্টিশন এর জন্যে, কোথায় কে আছেকিছুই বুঝা গেলোনা। আমার হঠাৎই মনে হলো, আমার ডিজাইন এর কাজ গুলো তো কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগের যাচাই এর পরই মার্কেটিং বিভাগ হয়ে বাজারে যায়!কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগের অনেকের সাথে পরিচয়ও আছে। একটা কাজ এর ছোতা ধরে মামুন সাহেবের ডেস্কে এগিয়ে গেলাম। উদ্দেশ্য, বন্যা আছে কি নাই, সেটাই শুধু জানা।
মামুনসাহেবের সাথে মামুলী ধরনের কিছু আলাপ সালাপ এর মাঝে, এদিক সেদিকই শুধু তাঁকাতে থাকলাম। দেখলাম, বন্যা তার ডেস্কে ঠিকমতোই আছে। তাহলে, তখন গিয়েছিলো কোথায়? টয়লেটে?
দুপুরের লাঞ্চের পর আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। বন্যার সাথে সরাসরি কথা বলার কোন সুযোগই তো পাচ্ছি না! আমি চমৎকার একটা উপায় খোঁজে পেলাম। সরাসরি কথা বলতে না পারলেও, ই মেইলও তো করা যায়! আমি অফিস এর ই মেইল লিষ্ট গুলো এক এক করে খোঁজতে থাকলাম। ফলাফল যা দাঁড়ালো, তা হলো বন্যা নাম এর কমপক্ষে পাঁচটি মেয়ের নাম চোখে পরলো। শুধু তাই নয়, এমন কি কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগেও দুজন বন্যা রয়েছে। আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে গেলো। আমি গতদিনের স্মৃতিতে কিছুক্ষণ এর জন্যে ডুবে গেলাম। আমার আবছা আবছা মনে পরতে থাকলো, মেয়েটির নাম এর শুরুতে ন অক্ষরটা ছিলো। আমি অনুমান এর উপর ভিত্তি করেই সেই ই মেইল এ লিখতে থাকলাম,
গতকাল এ ভবন থেকে বি ভবন এ আসার পথে একজন বন্যার সাথে আলাপ হয়েছিলো। আপনি কি সেই বন্যা? যদি না হয়ে থাকেন, তাহলে ক্ষমা করবেন। আসলে, আমি একজন বন্যাকে খোঁজছি, যার সাথে গতকাল আলাপ হয়েছিলো। সত্যি কথা বলতে কি, কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগে বন্যা নামের দুজন আছে। তাই অনুমান করতে পারছিনা, কার সাথে আলাপ হয়েছিলো।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই উত্তর এলো,
আমিই সেই বন্যা। আসলে, কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগে দুজন বন্যা থাকায় অনেকেই ভুল করে। একাকী কাজ করতে কেমন লাগছে আপনার?
আমি লিখলাম,
হুম, সত্যিই একাকী লাগছে! ভালো কথা, আপনার কি আজ কোন অফিসিয়াল ট্যুর আছে নাকি? নাহ মানে, আজকে সাধারন পোষাকে অফিস করতে দেখছি! শুধু মাত্র কৌতুহল এর জন্যেই এই প্রশ্ন করলাম। কিছু মনে করবেন না।
বন্যা উত্তর করলো,
নাহ, বিশেষ কোন কারন নয়। শুনলাম, হেড অফিসে ইউনিফর্ম পরা অপশনাল। তাই, পোষাক বদলানোর মতো বাড়তি ঝামেলা করছিনা।
আমি মনে মনে ভাবলাম, বড় বড় কোম্পানীগুলোতে ইউনিফর্ম পরার রীতীটা বুঝি এই কারনেই। ইউনিফর্ম না পরলে, বিশেষ করে বন্যার মতো মেয়েগুলো অফিস চলাকালীন সময়েও যৌন বিপযয় ঘটাতে পারে। তবে, মেইল এ লিখলাম,
আসুননা, বিকালের টি ব্রেক এ এক সংগে চা খাই! এ ভবন এর চার তলার রেষ্টরুমটা আমার খুব পছন্দ! প্রশস্থ কাঁচের জানালায় দুর এর অনেক চমৎকার দৃশ্য চোখে পরে। আশা করি আপনারও ভালো লাগবে।
বন্যা লিখলো, স্যরি, এই কোম্পানীতে আমার অনেক শুভাকাংখী আছে। কারো চোখে পরলে বিপদ হবে।
আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। তারপরও মনে হলো, প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারগুলো তো যতক্ষণ গোপন থাকে, ততক্ষণই ভালো। বন্যা তো ভুল বলেনি! শুভাকাংখীরা যদি প্রেম ভালোবাসার গোপন ব্যাপারগুলো জেনেই যায়, তাহলে তো সমুহ বিপদ!
মামুনসাহেবের সাথে মামুলী ধরনের কিছু আলাপ সালাপ এর মাঝে, এদিক সেদিকই শুধু তাঁকাতে থাকলাম। দেখলাম, বন্যা তার ডেস্কে ঠিকমতোই আছে। তাহলে, তখন গিয়েছিলো কোথায়? টয়লেটে?
দুপুরের লাঞ্চের পর আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। বন্যার সাথে সরাসরি কথা বলার কোন সুযোগই তো পাচ্ছি না! আমি চমৎকার একটা উপায় খোঁজে পেলাম। সরাসরি কথা বলতে না পারলেও, ই মেইলও তো করা যায়! আমি অফিস এর ই মেইল লিষ্ট গুলো এক এক করে খোঁজতে থাকলাম। ফলাফল যা দাঁড়ালো, তা হলো বন্যা নাম এর কমপক্ষে পাঁচটি মেয়ের নাম চোখে পরলো। শুধু তাই নয়, এমন কি কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগেও দুজন বন্যা রয়েছে। আমার মাথাটাই খারাপ হয়ে গেলো। আমি গতদিনের স্মৃতিতে কিছুক্ষণ এর জন্যে ডুবে গেলাম। আমার আবছা আবছা মনে পরতে থাকলো, মেয়েটির নাম এর শুরুতে ন অক্ষরটা ছিলো। আমি অনুমান এর উপর ভিত্তি করেই সেই ই মেইল এ লিখতে থাকলাম,
গতকাল এ ভবন থেকে বি ভবন এ আসার পথে একজন বন্যার সাথে আলাপ হয়েছিলো। আপনি কি সেই বন্যা? যদি না হয়ে থাকেন, তাহলে ক্ষমা করবেন। আসলে, আমি একজন বন্যাকে খোঁজছি, যার সাথে গতকাল আলাপ হয়েছিলো। সত্যি কথা বলতে কি, কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগে বন্যা নামের দুজন আছে। তাই অনুমান করতে পারছিনা, কার সাথে আলাপ হয়েছিলো।
কিছুক্ষণ এর মধ্যেই উত্তর এলো,
আমিই সেই বন্যা। আসলে, কুয়ালিটি কণ্ট্রোল বিভাগে দুজন বন্যা থাকায় অনেকেই ভুল করে। একাকী কাজ করতে কেমন লাগছে আপনার?
আমি লিখলাম,
হুম, সত্যিই একাকী লাগছে! ভালো কথা, আপনার কি আজ কোন অফিসিয়াল ট্যুর আছে নাকি? নাহ মানে, আজকে সাধারন পোষাকে অফিস করতে দেখছি! শুধু মাত্র কৌতুহল এর জন্যেই এই প্রশ্ন করলাম। কিছু মনে করবেন না।
বন্যা উত্তর করলো,
নাহ, বিশেষ কোন কারন নয়। শুনলাম, হেড অফিসে ইউনিফর্ম পরা অপশনাল। তাই, পোষাক বদলানোর মতো বাড়তি ঝামেলা করছিনা।
আমি মনে মনে ভাবলাম, বড় বড় কোম্পানীগুলোতে ইউনিফর্ম পরার রীতীটা বুঝি এই কারনেই। ইউনিফর্ম না পরলে, বিশেষ করে বন্যার মতো মেয়েগুলো অফিস চলাকালীন সময়েও যৌন বিপযয় ঘটাতে পারে। তবে, মেইল এ লিখলাম,
আসুননা, বিকালের টি ব্রেক এ এক সংগে চা খাই! এ ভবন এর চার তলার রেষ্টরুমটা আমার খুব পছন্দ! প্রশস্থ কাঁচের জানালায় দুর এর অনেক চমৎকার দৃশ্য চোখে পরে। আশা করি আপনারও ভালো লাগবে।
বন্যা লিখলো, স্যরি, এই কোম্পানীতে আমার অনেক শুভাকাংখী আছে। কারো চোখে পরলে বিপদ হবে।
আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। তারপরও মনে হলো, প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারগুলো তো যতক্ষণ গোপন থাকে, ততক্ষণই ভালো। বন্যা তো ভুল বলেনি! শুভাকাংখীরা যদি প্রেম ভালোবাসার গোপন ব্যাপারগুলো জেনেই যায়, তাহলে তো সমুহ বিপদ!


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)