06-09-2021, 10:25 AM
স্টেশন চত্বর পেরিয়ে আমার কাঁধে হাত দিয়ে কথা বলতে বলতে ট্যাক্সি তে উঠলো । সাউথ এক্স ! কাস্টমার নাম্বার : ৩১২৯ । স্যার ২২১ টাকা । হ্যা ঠিক আছে চলো ।
আমি: আচ্ছা প্রভু তোর এই ডাক্তারের গল্প বল শুনি !
প্রভু: ঝালমুড়ি ওয়ালা থেকে ডাক্তার?
আমি: আমি তো আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি ! লোকেও তো দেখলাম তাই জানে , তোর নামি নাকি ঝালমুড়ি ডাক্তার ।
প্রভু: যখন পা টা পুরো পেকে গেছে ক্ষত হয়ে , যন্ত্রনায় চলতে পারছিলাম না , এক দিকে জীবনে বাঁচতে না চাওয়ার ইচ্ছা অন্য দিকে কাঁদতে না পারার দুঃখ ঘরে পরে আছি । ধুম জ্বর । উমেধ সিংহ এলাহাবৎঃ তখন DGM . কেউ বোধ হয় খবর দিয়েছিলো , আমি মোর যাবো । তাই নিজেই দয়া করে দেখতে এসে ভর্তি করে দিলেন লেডি হার্ডিংস হাসপাতালে । কপাল আমার এমন বেঁচেও গেলাম । শুধু আঙুলটাই কেটে বাদ দিলো ।
আমি: তার পর?
প্রভু: ক্লাস ৮ পর্যন্ত পড়েছিলাম কিন্তু ১০ ক্লাস ১২ ক্লাস অনেক গেরো ! তার পর আমার বয়স তখন ২৩ ।
আমি: হ্যাঁ যদিও বছর দুয়েক সময় তোর হাতে ছিল অবশ্যই মন্ত্রী সান্ত্রী ধরে ।
প্রভু: হ্যাঁ ঠিক তাই । ঠিক করলাম সোজা ১২ ক্লাস দেব ইন্দিরা থেকে ! আর সোজা গিয়ে পায়ে ধরলাম উমেধ সিং এর । রেলের ক্যান্টিন এ কাজ পেলাম রাতের । ঝাল মুড়ি ছাড়া কিছুই তো বানাই নি । দিন রাত শুধু পরে গেলাম নেশায় ! মাগি টাকে হারিয়ে দেবার নেশা ! যে ভাবেই হোক পড়তেই হবে ! ১২ ক্লাস উৎরে গেলেও ডাক্তারি পরীক্ষায় যে বসা যায় না আমার বয়সে । পড়ি কি মরি করে ছুটলাম AIIMS , ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল প্র্যাক্টিসে । সেখানে যখন ১৮০০ জনের পরে আমার জায়গা হলো আর পিছনে তাকাই নি । জাকির হুসেন মেডিকেল কলেজ তো কিছুতেই নেবে না গ্রাডুয়েশন এর জন্য । বলে ফর্মাল এডুকেশন নেই হবে না । শেষে আবার সেই উদ্যম সিং এলাহাবৎঃ এর পায়ে পড়লাম । তবে ইউনিভার্সিটি বেরোবার সময় ওই সোনার চাকতি টা উদ্যম সিংয়ের বিধবা বৌকে দিয়ে দিলাম । উনি মারা যাবার সময় ঐটা ছাড়া কিছু ছিল না আমার কাছে । যাবার আগে আমার নামের সিফারিশ রেল বোর্ড-এ করে গিয়েছিলেন , স্টেশন মেডিকেল প্রাক্টিশনার এর । তারই সুবাদে চাকরি ।
আমি: আচ্ছা প্রভু তোর এই ডাক্তারের গল্প বল শুনি !
প্রভু: ঝালমুড়ি ওয়ালা থেকে ডাক্তার?
আমি: আমি তো আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি ! লোকেও তো দেখলাম তাই জানে , তোর নামি নাকি ঝালমুড়ি ডাক্তার ।
প্রভু: যখন পা টা পুরো পেকে গেছে ক্ষত হয়ে , যন্ত্রনায় চলতে পারছিলাম না , এক দিকে জীবনে বাঁচতে না চাওয়ার ইচ্ছা অন্য দিকে কাঁদতে না পারার দুঃখ ঘরে পরে আছি । ধুম জ্বর । উমেধ সিংহ এলাহাবৎঃ তখন DGM . কেউ বোধ হয় খবর দিয়েছিলো , আমি মোর যাবো । তাই নিজেই দয়া করে দেখতে এসে ভর্তি করে দিলেন লেডি হার্ডিংস হাসপাতালে । কপাল আমার এমন বেঁচেও গেলাম । শুধু আঙুলটাই কেটে বাদ দিলো ।
আমি: তার পর?
প্রভু: ক্লাস ৮ পর্যন্ত পড়েছিলাম কিন্তু ১০ ক্লাস ১২ ক্লাস অনেক গেরো ! তার পর আমার বয়স তখন ২৩ ।
আমি: হ্যাঁ যদিও বছর দুয়েক সময় তোর হাতে ছিল অবশ্যই মন্ত্রী সান্ত্রী ধরে ।
প্রভু: হ্যাঁ ঠিক তাই । ঠিক করলাম সোজা ১২ ক্লাস দেব ইন্দিরা থেকে ! আর সোজা গিয়ে পায়ে ধরলাম উমেধ সিং এর । রেলের ক্যান্টিন এ কাজ পেলাম রাতের । ঝাল মুড়ি ছাড়া কিছুই তো বানাই নি । দিন রাত শুধু পরে গেলাম নেশায় ! মাগি টাকে হারিয়ে দেবার নেশা ! যে ভাবেই হোক পড়তেই হবে ! ১২ ক্লাস উৎরে গেলেও ডাক্তারি পরীক্ষায় যে বসা যায় না আমার বয়সে । পড়ি কি মরি করে ছুটলাম AIIMS , ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল প্র্যাক্টিসে । সেখানে যখন ১৮০০ জনের পরে আমার জায়গা হলো আর পিছনে তাকাই নি । জাকির হুসেন মেডিকেল কলেজ তো কিছুতেই নেবে না গ্রাডুয়েশন এর জন্য । বলে ফর্মাল এডুকেশন নেই হবে না । শেষে আবার সেই উদ্যম সিং এলাহাবৎঃ এর পায়ে পড়লাম । তবে ইউনিভার্সিটি বেরোবার সময় ওই সোনার চাকতি টা উদ্যম সিংয়ের বিধবা বৌকে দিয়ে দিলাম । উনি মারা যাবার সময় ঐটা ছাড়া কিছু ছিল না আমার কাছে । যাবার আগে আমার নামের সিফারিশ রেল বোর্ড-এ করে গিয়েছিলেন , স্টেশন মেডিকেল প্রাক্টিশনার এর । তারই সুবাদে চাকরি ।