27-08-2021, 10:25 AM
......স্যার,পাখি দলুই এর খুন নিয়ে লোকাল থানা খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে
.........কত টাকা নিয়েছে?
.........কাউন্সিলর, চাপ দিচ্ছে। হেঁসে জবাব দিল সূর্য। ...চুপ করে রইলেন সিরাজ
......পার্থর সাথে ফোন এ কথা হয়েছে। ও বলল, ধনুর সাথে কে ছিল, সে বিষয়ে ও নিশ্চিত নয়। সূর্য, ফাগুর একটা ছবি পেলে ভাল হত, নজর রাখা যেত । ছবি আঁকতে বলেছিলাম কি হল
......... এই যে স্যার, একেছি। ...ছবি নিয়ে গম্ভির মুখে বসে রইলেন সিরাজ
.........এতো সুন্দর দেখতে একটা ছেলে, কি ভাবে জড়াল, আশ্চর্য। যাই হোক, তুমি ওই কাউন্সিলর কে ডেকে পাঠাও। আর পাখির সাথে ওর কথার রেকর্ড টেপ টা দিও।দেখছি। থানা কে ওন্য ভাবে বলতে হবে। রোহিত এখন মেয়েছেলে নিয়ে ব্যাবসা করছে।পার্থ যে, পেন ড্রাইভ পাঠিয়েছে, দেখেছ?
.........দেখেছি। নোংরা ভীষণ নোংরা । ওই দিয়ে রোহিতকে কিছু করা যাবে না। কোর্টএ বলবে, যে মেয়েরা স্বইচ্ছায় করেছে।
এর ৪ দিন বাদে কাউন্সিলর উপস্থিত। এসেই
......... আমায় কেন ডেকেছেন? এখন আমাদের অনেক কাজ, আর আপনারা এই সময়ে ডেকে পাঠাচ্ছেন, কি ব্যাপার, তাড়াতাড়ি বলুন ... সিরাজ গম্ভীর হয়ে শুনল
......সে তো ঠিক স্যার। কিন্তু জানতে চাইছি যে পাখির সম্পর্কে আপনার এতো আগ্রহ কেন, থানায় গিয়ে চাপ দিচ্ছেন কেন?
...........তার মানে, আমার এলাকায় ৩ টে লাশ পরল তার কোন কিনারা হবে না? ......সিরাজ পকেট থেকে মোবাইল বার করলেন। নিজের মনে কাকে ফোন করলেন। উল্টোদিকে বসা কাউন্সিলর এর ফোন হঠাত বেজে উঠল। তাড়াতাড়ি ফোন বার করে
.........হ্যালো, কে বলছেন?...উল্টো দিক থেকে সিরাজ বলে উঠল
......আমি, সিরাজ আলি মণ্ডল......কাউন্সিলর এর মুখ শুকিয়ে গেল।
.........শুনুন কাউন্সিলর মশাই। আমাদের কাছে আপনার আর পাখি দলুই এর কথা বার্তার টেপ আছে। ওই খুনের রাত্রের। একটা নরকের কীট, ঝরনা বাউরিকে ;., করে খুন করেছে, প্রমান এর অভাবে, কিছু করা জায়নি। আর আপনার মতো একজন বিচক্ষণ ব্যাক্তির তার সাথে কথার রেকর্ডিং যদি প্রকাশ পায়, সেটা কি আপনার রাজনৈতিক জীবনে ভাল হবে, ভেবে বলুন? তার চাইতে বরং আপনি রোহিত এর উপর নজর রাখুন, আপনার এদিক ওদিক কাজে আমরা খোজ করবনা। এখন বলুন কি করবেন।......মাথা নিছু করে বসে থাকল একটু সময়, তারপর হাত বাড়িয়ে
.........ঠিক আছে। তাই হবে। আমি যতখানি পারি সাহায্য করব। কিন্তু
.........কেউ জানবে না। কথা দিলাম। তবে, খুন এর ভিতর যাবেন না।
কাউন্সিলর চলে যাবার পর,
......... সূর্য, কোন অবস্থাতেই, রোহিত আর ওর বাবা যেন সন্দেহ নাকরে। ওরা দেশের শত্রু। একটু এদিক ওদিক হলেই পাখি উড়ে যাবে। ওদের সাথে আরব দেশ এর যোগাযোগ আছে। ওই শেখ দের সুধু মেয়ে ছেলে দেয় না, আরও বড় ক্ষতি করে। সুধু এই টুকু জেনে রাখ, কেননা আমিও এর থেকে বেশি জানিনা। হ্যাঁ, কিছু সাধারন লোকের প্রান হয়ত যাবে। কিছু বোকা মেয়ের সর্বনাশ হবে কিন্তু সেই সবই কোল্যাটারাল ক্ষতি। ব্যাস।
......স্যার,আপনি অজু বলে কাকে খুজছেন?......চুপ করে থাকল সিরাজ একটু সময়
.........সে এক বেদনার ইতিহাস সূর্য। আমি আর শঙ্কর বসু , এক সাথে গ্রামে একই কলেজ এ পরতাম। সব চাইতে কাছের ছিলাম আমরা দুজন দুজনের। ও পরে ইঙ্গিনিয়ার হয়।পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া করি। আমার স্ত্রী জুঁই এর জমজ বাচ্চা হয়, একটি ছেলে একটি মেয়ে। কিন্তু ছেলেটি ২ মাসের মাথায় মারা যায়। বাচ্চা হবার সময় প্রচুর ঝঞ্ঝাট হয়েছিল। প্রান সংসয় হয় জুঁই এর । ডাক্তার উটেরাস বাদ দেয়। তার ফলে আর বাচ্চা হবার সুযোগ থাকে না। অজু জন্মায় আমার ছেলে মারা যাবার ৩ দিন বাদে, জুঁই নিজের ছেলের মতই ওজুকে ভালবাসত।অজু জুঁই কে ‘ফুল’ বলে বলে ডাকতো। শঙ্কর আর জোনাকির ভিতর বনিবনা ছিলনা। কিছুতেই ওদের ভিতর মিল হয়নি। অজুর ৫ বছরের মাথায় ডিভরস হয়ে যায়। জোনাকি, যে অফিস এ কাজ করত তার মালিকের ছেলেকে বিয়ে করে। শঙ্কর ও আবার বিয়ে করে, ওরই এক সহকরমিনি কে । অজু কে জোনাকি বোম্বাই নিয়ে যায়। শঙ্কর অজু কে দেখতে বোম্বাই, পরে দেরাদুন যেত, কলেজ এ। জোনাকি ওকে বোর্ডিং এ রেখেছিল। জুঁই আর আমি বলেছিলাম আমাদের দিতে, কিন্তু যেঁটা হয়না, আমরা সেটাই চেয়েছিলাম। অজু ক্লাস ১০ এর ফাইনাল পরিক্ষ্যা দিয়ে শঙ্করএর কাছে এসেছিল, সেখান থেকে পালায়। আজ পর্যন্ত তার খোজ পায়নি কেউ। জোনাকি ,শঙ্কর খুজেছে কিন্তু পায়নি। গত ৫ বছর হন্যে হয়ে খুজছে কিন্তু অজুর কোন খবর নেই। অজু আমাকে গব্বর সিং বলত। খুব ভালবাসত। আমিও ওকে আমার সন্তানের মতই এখনও ভালবাসি।জুঁই রোজ একবার ওর কথা বলে।ওর চেহারায় একটা বিশেষত্ব আছে। নাকের উপর একটা বড় আব আর সামনের দাঁত বিশ্রী রকম ওঠা। খুজে বার করা অসম্ভব নয়, যদি বেচে থাকে। তোমাকে সব বললাম, গোপন রাখবে কথা গুলো।......বিষণ্ণ মুখে সিরাজ হাতে মাথা রাখল।
.........কত টাকা নিয়েছে?
.........কাউন্সিলর, চাপ দিচ্ছে। হেঁসে জবাব দিল সূর্য। ...চুপ করে রইলেন সিরাজ
......পার্থর সাথে ফোন এ কথা হয়েছে। ও বলল, ধনুর সাথে কে ছিল, সে বিষয়ে ও নিশ্চিত নয়। সূর্য, ফাগুর একটা ছবি পেলে ভাল হত, নজর রাখা যেত । ছবি আঁকতে বলেছিলাম কি হল
......... এই যে স্যার, একেছি। ...ছবি নিয়ে গম্ভির মুখে বসে রইলেন সিরাজ
.........এতো সুন্দর দেখতে একটা ছেলে, কি ভাবে জড়াল, আশ্চর্য। যাই হোক, তুমি ওই কাউন্সিলর কে ডেকে পাঠাও। আর পাখির সাথে ওর কথার রেকর্ড টেপ টা দিও।দেখছি। থানা কে ওন্য ভাবে বলতে হবে। রোহিত এখন মেয়েছেলে নিয়ে ব্যাবসা করছে।পার্থ যে, পেন ড্রাইভ পাঠিয়েছে, দেখেছ?
.........দেখেছি। নোংরা ভীষণ নোংরা । ওই দিয়ে রোহিতকে কিছু করা যাবে না। কোর্টএ বলবে, যে মেয়েরা স্বইচ্ছায় করেছে।
এর ৪ দিন বাদে কাউন্সিলর উপস্থিত। এসেই
......... আমায় কেন ডেকেছেন? এখন আমাদের অনেক কাজ, আর আপনারা এই সময়ে ডেকে পাঠাচ্ছেন, কি ব্যাপার, তাড়াতাড়ি বলুন ... সিরাজ গম্ভীর হয়ে শুনল
......সে তো ঠিক স্যার। কিন্তু জানতে চাইছি যে পাখির সম্পর্কে আপনার এতো আগ্রহ কেন, থানায় গিয়ে চাপ দিচ্ছেন কেন?
...........তার মানে, আমার এলাকায় ৩ টে লাশ পরল তার কোন কিনারা হবে না? ......সিরাজ পকেট থেকে মোবাইল বার করলেন। নিজের মনে কাকে ফোন করলেন। উল্টোদিকে বসা কাউন্সিলর এর ফোন হঠাত বেজে উঠল। তাড়াতাড়ি ফোন বার করে
.........হ্যালো, কে বলছেন?...উল্টো দিক থেকে সিরাজ বলে উঠল
......আমি, সিরাজ আলি মণ্ডল......কাউন্সিলর এর মুখ শুকিয়ে গেল।
.........শুনুন কাউন্সিলর মশাই। আমাদের কাছে আপনার আর পাখি দলুই এর কথা বার্তার টেপ আছে। ওই খুনের রাত্রের। একটা নরকের কীট, ঝরনা বাউরিকে ;., করে খুন করেছে, প্রমান এর অভাবে, কিছু করা জায়নি। আর আপনার মতো একজন বিচক্ষণ ব্যাক্তির তার সাথে কথার রেকর্ডিং যদি প্রকাশ পায়, সেটা কি আপনার রাজনৈতিক জীবনে ভাল হবে, ভেবে বলুন? তার চাইতে বরং আপনি রোহিত এর উপর নজর রাখুন, আপনার এদিক ওদিক কাজে আমরা খোজ করবনা। এখন বলুন কি করবেন।......মাথা নিছু করে বসে থাকল একটু সময়, তারপর হাত বাড়িয়ে
.........ঠিক আছে। তাই হবে। আমি যতখানি পারি সাহায্য করব। কিন্তু
.........কেউ জানবে না। কথা দিলাম। তবে, খুন এর ভিতর যাবেন না।
কাউন্সিলর চলে যাবার পর,
......... সূর্য, কোন অবস্থাতেই, রোহিত আর ওর বাবা যেন সন্দেহ নাকরে। ওরা দেশের শত্রু। একটু এদিক ওদিক হলেই পাখি উড়ে যাবে। ওদের সাথে আরব দেশ এর যোগাযোগ আছে। ওই শেখ দের সুধু মেয়ে ছেলে দেয় না, আরও বড় ক্ষতি করে। সুধু এই টুকু জেনে রাখ, কেননা আমিও এর থেকে বেশি জানিনা। হ্যাঁ, কিছু সাধারন লোকের প্রান হয়ত যাবে। কিছু বোকা মেয়ের সর্বনাশ হবে কিন্তু সেই সবই কোল্যাটারাল ক্ষতি। ব্যাস।
......স্যার,আপনি অজু বলে কাকে খুজছেন?......চুপ করে থাকল সিরাজ একটু সময়
.........সে এক বেদনার ইতিহাস সূর্য। আমি আর শঙ্কর বসু , এক সাথে গ্রামে একই কলেজ এ পরতাম। সব চাইতে কাছের ছিলাম আমরা দুজন দুজনের। ও পরে ইঙ্গিনিয়ার হয়।পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া করি। আমার স্ত্রী জুঁই এর জমজ বাচ্চা হয়, একটি ছেলে একটি মেয়ে। কিন্তু ছেলেটি ২ মাসের মাথায় মারা যায়। বাচ্চা হবার সময় প্রচুর ঝঞ্ঝাট হয়েছিল। প্রান সংসয় হয় জুঁই এর । ডাক্তার উটেরাস বাদ দেয়। তার ফলে আর বাচ্চা হবার সুযোগ থাকে না। অজু জন্মায় আমার ছেলে মারা যাবার ৩ দিন বাদে, জুঁই নিজের ছেলের মতই ওজুকে ভালবাসত।অজু জুঁই কে ‘ফুল’ বলে বলে ডাকতো। শঙ্কর আর জোনাকির ভিতর বনিবনা ছিলনা। কিছুতেই ওদের ভিতর মিল হয়নি। অজুর ৫ বছরের মাথায় ডিভরস হয়ে যায়। জোনাকি, যে অফিস এ কাজ করত তার মালিকের ছেলেকে বিয়ে করে। শঙ্কর ও আবার বিয়ে করে, ওরই এক সহকরমিনি কে । অজু কে জোনাকি বোম্বাই নিয়ে যায়। শঙ্কর অজু কে দেখতে বোম্বাই, পরে দেরাদুন যেত, কলেজ এ। জোনাকি ওকে বোর্ডিং এ রেখেছিল। জুঁই আর আমি বলেছিলাম আমাদের দিতে, কিন্তু যেঁটা হয়না, আমরা সেটাই চেয়েছিলাম। অজু ক্লাস ১০ এর ফাইনাল পরিক্ষ্যা দিয়ে শঙ্করএর কাছে এসেছিল, সেখান থেকে পালায়। আজ পর্যন্ত তার খোজ পায়নি কেউ। জোনাকি ,শঙ্কর খুজেছে কিন্তু পায়নি। গত ৫ বছর হন্যে হয়ে খুজছে কিন্তু অজুর কোন খবর নেই। অজু আমাকে গব্বর সিং বলত। খুব ভালবাসত। আমিও ওকে আমার সন্তানের মতই এখনও ভালবাসি।জুঁই রোজ একবার ওর কথা বলে।ওর চেহারায় একটা বিশেষত্ব আছে। নাকের উপর একটা বড় আব আর সামনের দাঁত বিশ্রী রকম ওঠা। খুজে বার করা অসম্ভব নয়, যদি বেচে থাকে। তোমাকে সব বললাম, গোপন রাখবে কথা গুলো।......বিষণ্ণ মুখে সিরাজ হাতে মাথা রাখল।