26-08-2021, 11:52 PM
.........ভয় নেই ফাগু, ওরা আমার জন্য অপেখ্যা করছে। গাড়ি লাগান মাত্র পিছনের দরজা খুলে ধনুকে তুলে নিয়ে গেল। ফাগুও সাথে সাথে চলছে। ধনু হঠাৎ
......... বন্ধু, যদি না বাঁচি ,যে করেই হোক বোন কে খুজে বার করিস, পারলে কিছু করিস......আর পারলনা রক্ত পাতের ফলে নিস্তেজ হয়ে গেছে ধনু। ফাগু দু হাতে ধনুর হাত জড়িয়ে ধরল কান্না আসছে ফাগুর ,। একজন এসে ফাগুকে সরিয়ে ভিতরে নিয়ে গেল। দরজা বন্ধ হতে ফাগু দেখল দরজার ওপরে লেখা “অপারেশন থিয়েটার”। কিন্তু কোন আলো জ্বলছে না কেন, তার মানে ষা হচ্ছে, তা লুকিয়ে। ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল সারা শরীরে। ধ্রুত পায়ে বাইরে এসে দেখল, গাড়ি নেই “ আরে গাড়ি কোথায় গেল”। একটি ওর বয়েসি ছেলে এসে বলল
............এখানে গাড়ি রাখলে, পুলিস সন্দেহ করতে পারে, তাই সামনে রেখেছি, আর নিন চাবি। ফাগু অবাক হয়ে গেল, সবটাই নিখুত ভাবে চলছে। আর দেরি না করে রোহিত কে ফোন লাগাল।
............সেকি, ঠিক আছে। তুমি থাক, যদি দরকার হয় পরে ফোন কর। টাকা নিয়ে ভাবতে হবেনা। ফোন বন্ধ করে ভিতরে আসল, একটি ছেলে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে
............চলুন রক্ত আনতে হবে, এখুনি চলুন......। ৪ বোতল রক্ত এনে, শুনল , ২ টো গুলি ঢুকেছিল , অনেক খানি কেটে বার করা গেছে। তবে প্রচুর রক্ত পাত হয়েছে। ভিতরেও জখম হয়েছে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। মাথা চিপে বসে পরল ফাগু,পড়নের জামা প্যান্ট এ রক্ত লেগে শুকিয়ে কালচে দাগ হয়ে গেছে। ঘোরের ভিতর এতক্ষণ সব করে গেছে। মাথা ফাঁকা বোধ হচ্ছে। চোখ তুলে, ঘরের সিলিং এ তাকাল। একটা ফ্যান ঘুরে যাচ্ছে, প্রায় বিবর্ণ সিলিং, রঙ চটে গেছে , ফাগুর চোখ এ শূন্যতা, বন্য তা নয়, নিষ্পাপতা ছড়িয়ে আছে, দুই হাত জড় করে
..... কোনদিন তোমায় ডাকিনি, আজ কি শুনবে .ভগবান, তুমি আছ কি নেই জানিনা। ধনু আমার একমাত্র বন্ধু, আর কেউ নেই ভগবান। আর কেউ নেই ...... দু হাতে শিশুর মতো নিষ্পাপ চোখ ঢেকে বসে রইল ৬ ফুট লম্বা , মেদ-হিন, পেশী বহুল ফাগু।
কতক্ষণ বসে ছিল জানেনা
......... আপনার চা .......চোখ তুলে সামনে একটি দোহারা চেহারার, বেশ লম্বা তা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হবে , রোগাটে গড়ন, একটি মেয়ে। বড় বড় দুটি চোখ। সেই চোখে কাঠিন্য ছাড়া কিছু নেই।শরীরে যেন অপুষ্টির ছোঁয়া। ওই বেদনার ভিতর ও ফাগু লক্ষ করলো মেয়েটি সুন্দরী । কিন্তু সারা মুখে এক তাচ্ছিল্য ভাব,কিছুটা ঘৃণা মিশ্রিত।
.........ও কেমন আছে? চা এর গ্লাস হাতে নিয়ে জিজ্ঞ্যাসা করলো
.........জানি না। চা খেয়ে চলে ষান। পুলিস আসলে বিপদে পরবেন।......মেয়েটি কথা বলেই চলে গেল। হাতের ঘড়িতে দেখল রাত ১২ টা বাজে। দু চুমুকেই চা শেষ করে উঠে দাড়াল। বেরিয়ে গাড়ির দিকে হাঁটবে
.........শুনছেন , ঘার ঘুড়িয়ে দেখে মেয়েটি
.........রক্ত চলছে, কাল সন্ধ্যার আগে কিছু বলা যাবে না। একটা উপকার করবেন? চোখ দিয়ে ফাগু প্রস্ন করলো
.........আমাকে একটু শিয়ালদাহ, ষ্টেশন এ নামিয়ে দেবেন, কাল প্রথম ট্রেন এ যাতে যেতে পারি...ঘাড় নাড়িয়ে ফাগু গাড়ি নিয়ে ষ্টেশন এর দিকে চলল।
কথায় কথায় . জানল, মেয়েটি আয়ার কাজ করে। রোজ ১২৫ টাকা পায়,নাম কুন্তি। হাবড়া থেকে ৩ মাইল ভিতরে থাকে বাবার সাথে। বাবা হাঁপানির রুগী। খুব কষ্ট পাচ্ছেন। ষ্টেশন এ নেমে
.........ওই দিকে আর পা বাড়াবেন না। বিপদে পড়বেন।
......কিন্তু খবর পাবো কি ভাবে? ...আবারও সেই কঠিন চাহুনি।একটু চুপ করে থেকে
.........রোজ সন্ধ্যায়, ৭ টার সময় নার্সিং হোম এর পুব দিকে একটি পার্ক আছে, সেই খানে আসবেন, আমি থাকব। ...বলেই আর দাড়াল না, দ্রুত পায়ে ভিতরে ঢুকে গেল।
ফাগু গাড়ি ঘুড়িয়ে গ্যারেজ এ নিয়ে আসলো। গাড়ি রেখে ভিতরেই চুপ করে অপেখ্যা করতে লাগল সকাল হবার জন্য। চোখ লেগে গেছিল, ঘুম ভাঙলে দেখে ৭ টা বাজে। ফাগু আসতে আসতে রোহিত এর বাড়ির দিকে হাটা লাগাল। হেতে ১০ মিনিট মতো পথ। বাইরের ঘরে রোহিত সব শুনে
.........ওইটি ,আমাদের চেনা নার্সিং হোম। সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ফাগু তুমি অন্তত ২ মাস আর এই দিকে ঘেঁষবে না। কাল ৩ টে লাশ পড়েছে, একটা ঘায়েল হয়েছে। পুলিস ছানবিন করবে, গা ঢাকা দিয়ে থাক। এই টাকাটা আপাতত রাখ, পরে দ্যাখা যাবে আর ঘোড়া দুটো মালি কে দিয়ে দাও। পারলে অন্য ধান্দা তে লেগে থাক আমি ঠিক ডেকে নেব।তুমি এই রকম ঘোড়া চালাতে পার জানতাম না তো? ......।একটু হেঁসে ফাগু রোহিত এর কথা মতো কাজ করলো। ডেরায় ফিরে চুপি চুপি বাড়িওয়ালী দিদা কে লুকিয়ে ঘরে ঢুকেই , জামা কাপর খুলে গরম জলে অনেক বেশি করে সাবান গুড়ো দিয়ে চুবিয়ে দিল। ‘পরে দ্যাখা যাবে’।
......... বন্ধু, যদি না বাঁচি ,যে করেই হোক বোন কে খুজে বার করিস, পারলে কিছু করিস......আর পারলনা রক্ত পাতের ফলে নিস্তেজ হয়ে গেছে ধনু। ফাগু দু হাতে ধনুর হাত জড়িয়ে ধরল কান্না আসছে ফাগুর ,। একজন এসে ফাগুকে সরিয়ে ভিতরে নিয়ে গেল। দরজা বন্ধ হতে ফাগু দেখল দরজার ওপরে লেখা “অপারেশন থিয়েটার”। কিন্তু কোন আলো জ্বলছে না কেন, তার মানে ষা হচ্ছে, তা লুকিয়ে। ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে গেল সারা শরীরে। ধ্রুত পায়ে বাইরে এসে দেখল, গাড়ি নেই “ আরে গাড়ি কোথায় গেল”। একটি ওর বয়েসি ছেলে এসে বলল
............এখানে গাড়ি রাখলে, পুলিস সন্দেহ করতে পারে, তাই সামনে রেখেছি, আর নিন চাবি। ফাগু অবাক হয়ে গেল, সবটাই নিখুত ভাবে চলছে। আর দেরি না করে রোহিত কে ফোন লাগাল।
............সেকি, ঠিক আছে। তুমি থাক, যদি দরকার হয় পরে ফোন কর। টাকা নিয়ে ভাবতে হবেনা। ফোন বন্ধ করে ভিতরে আসল, একটি ছেলে দ্রুত পায়ে বেরিয়ে
............চলুন রক্ত আনতে হবে, এখুনি চলুন......। ৪ বোতল রক্ত এনে, শুনল , ২ টো গুলি ঢুকেছিল , অনেক খানি কেটে বার করা গেছে। তবে প্রচুর রক্ত পাত হয়েছে। ভিতরেও জখম হয়েছে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। মাথা চিপে বসে পরল ফাগু,পড়নের জামা প্যান্ট এ রক্ত লেগে শুকিয়ে কালচে দাগ হয়ে গেছে। ঘোরের ভিতর এতক্ষণ সব করে গেছে। মাথা ফাঁকা বোধ হচ্ছে। চোখ তুলে, ঘরের সিলিং এ তাকাল। একটা ফ্যান ঘুরে যাচ্ছে, প্রায় বিবর্ণ সিলিং, রঙ চটে গেছে , ফাগুর চোখ এ শূন্যতা, বন্য তা নয়, নিষ্পাপতা ছড়িয়ে আছে, দুই হাত জড় করে
..... কোনদিন তোমায় ডাকিনি, আজ কি শুনবে .ভগবান, তুমি আছ কি নেই জানিনা। ধনু আমার একমাত্র বন্ধু, আর কেউ নেই ভগবান। আর কেউ নেই ...... দু হাতে শিশুর মতো নিষ্পাপ চোখ ঢেকে বসে রইল ৬ ফুট লম্বা , মেদ-হিন, পেশী বহুল ফাগু।
কতক্ষণ বসে ছিল জানেনা
......... আপনার চা .......চোখ তুলে সামনে একটি দোহারা চেহারার, বেশ লম্বা তা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হবে , রোগাটে গড়ন, একটি মেয়ে। বড় বড় দুটি চোখ। সেই চোখে কাঠিন্য ছাড়া কিছু নেই।শরীরে যেন অপুষ্টির ছোঁয়া। ওই বেদনার ভিতর ও ফাগু লক্ষ করলো মেয়েটি সুন্দরী । কিন্তু সারা মুখে এক তাচ্ছিল্য ভাব,কিছুটা ঘৃণা মিশ্রিত।
.........ও কেমন আছে? চা এর গ্লাস হাতে নিয়ে জিজ্ঞ্যাসা করলো
.........জানি না। চা খেয়ে চলে ষান। পুলিস আসলে বিপদে পরবেন।......মেয়েটি কথা বলেই চলে গেল। হাতের ঘড়িতে দেখল রাত ১২ টা বাজে। দু চুমুকেই চা শেষ করে উঠে দাড়াল। বেরিয়ে গাড়ির দিকে হাঁটবে
.........শুনছেন , ঘার ঘুড়িয়ে দেখে মেয়েটি
.........রক্ত চলছে, কাল সন্ধ্যার আগে কিছু বলা যাবে না। একটা উপকার করবেন? চোখ দিয়ে ফাগু প্রস্ন করলো
.........আমাকে একটু শিয়ালদাহ, ষ্টেশন এ নামিয়ে দেবেন, কাল প্রথম ট্রেন এ যাতে যেতে পারি...ঘাড় নাড়িয়ে ফাগু গাড়ি নিয়ে ষ্টেশন এর দিকে চলল।
কথায় কথায় . জানল, মেয়েটি আয়ার কাজ করে। রোজ ১২৫ টাকা পায়,নাম কুন্তি। হাবড়া থেকে ৩ মাইল ভিতরে থাকে বাবার সাথে। বাবা হাঁপানির রুগী। খুব কষ্ট পাচ্ছেন। ষ্টেশন এ নেমে
.........ওই দিকে আর পা বাড়াবেন না। বিপদে পড়বেন।
......কিন্তু খবর পাবো কি ভাবে? ...আবারও সেই কঠিন চাহুনি।একটু চুপ করে থেকে
.........রোজ সন্ধ্যায়, ৭ টার সময় নার্সিং হোম এর পুব দিকে একটি পার্ক আছে, সেই খানে আসবেন, আমি থাকব। ...বলেই আর দাড়াল না, দ্রুত পায়ে ভিতরে ঢুকে গেল।
ফাগু গাড়ি ঘুড়িয়ে গ্যারেজ এ নিয়ে আসলো। গাড়ি রেখে ভিতরেই চুপ করে অপেখ্যা করতে লাগল সকাল হবার জন্য। চোখ লেগে গেছিল, ঘুম ভাঙলে দেখে ৭ টা বাজে। ফাগু আসতে আসতে রোহিত এর বাড়ির দিকে হাটা লাগাল। হেতে ১০ মিনিট মতো পথ। বাইরের ঘরে রোহিত সব শুনে
.........ওইটি ,আমাদের চেনা নার্সিং হোম। সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ফাগু তুমি অন্তত ২ মাস আর এই দিকে ঘেঁষবে না। কাল ৩ টে লাশ পড়েছে, একটা ঘায়েল হয়েছে। পুলিস ছানবিন করবে, গা ঢাকা দিয়ে থাক। এই টাকাটা আপাতত রাখ, পরে দ্যাখা যাবে আর ঘোড়া দুটো মালি কে দিয়ে দাও। পারলে অন্য ধান্দা তে লেগে থাক আমি ঠিক ডেকে নেব।তুমি এই রকম ঘোড়া চালাতে পার জানতাম না তো? ......।একটু হেঁসে ফাগু রোহিত এর কথা মতো কাজ করলো। ডেরায় ফিরে চুপি চুপি বাড়িওয়ালী দিদা কে লুকিয়ে ঘরে ঢুকেই , জামা কাপর খুলে গরম জলে অনেক বেশি করে সাবান গুড়ো দিয়ে চুবিয়ে দিল। ‘পরে দ্যাখা যাবে’।