23-08-2021, 12:15 PM
৩ দিন পর মোবাইল এ রিঙ
......হালো রোহিত বল
.......আসানসোল যেতে হবে প্যাকেট আসবে দুটো।
......কতো দেবে ?
......২০
.........কোড,ট্রেন, কামড়া বল । আর গাড়ী লাগবে। ...সব জেনে ফাগূ বেড়িয়ে পোড়লো। আসানসোল পৌছালো রাত ১২ টা নাগাদ ।ফেরার টীকেট কেটে সিগারেট ধরাল। ট্রেন এলো সকাল ৬টার সময়। ‘ভালই হল, অফিস বাবুদের ভীড় পাওয়া যাবে। ডানকুনি ,লীলূয়া,বেলূড় একটা না একটা তে ১০ সেকেন্ড হোলেও দাঁড়াবে।‘ হাতে চারমিনার এর প্যাকেট দেখে এক জন নেমে জীজ্ঞাসা করলো
......এখানে চারমিনার পাওয়া যায়
......যায়, তবে দাম বেশি
............কী রকম ?
......এঈ ১০-২০...
......সঙ্গে আসুন ...বলে কামরাতে নিয়ে বসার জায়গা দেখিয়ে দিলো আর ব্যাগ দুটো। ফাগূ ব্যাগ দেখে বুজল যে যথেষ্ট ভারী । পীঠের ব্যাগ কীছূ না হলেও ৩০ হবে । আর কিটস ব্যাগ ২০ হবে। এঈ নিয়ে দৌড়ানো অসম্ভব । পুলিস বড়োজোর এরেস্ট করবে , কিন্তু রমেশ এর গ্যাং দেখলে দানা পুরে দেবে ।ডানকুনি আসতে ফাগূ ব্যাগ নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালো। গাড়ী একটু থামতেই লাফীয়ে নেমে ভিড়ে মিশে গেলো। একটু দাঁড়ালো ওভঝারভ করার জন্য। যখন বূঝলো সেরকম কীছূ নেই, ধীরে ধীরে প্লাটফরম এর শেষে গিয়ে লাইন টপকে লেবেল ক্রসিং পাড় হোয়ে দাঁড়ালো। যে কেঊ বলবে ফাগু একটি কলেজ পড়ুয়া । একটি বাস আসতে দক্ষিণেশ্বর যাবে দেখে, কনডাকটর কে ম্যানেজ করে ৪০ টাকা দিয়ে ব্যাগ দুটো চালক এর পাসে কেবিন এ তূলে দিলো । মোবাইল বার করে গাড়ী নিয়ে টারমিনাস এ আসতে বোলে পিছন গেটে ভিড়ের মাঝে দাঁড়ালো। কোন ঝামেলা দেখলেই ধা দেবে। না কীছূঈ হোলো না । টারমিনাস এ নেমে দেখে সীমা গাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে। পড়নে লাল পাড় সাদা শাড়ি কপালে সিঁদুর এর টিপ।। ব্যাগ দুটো পিছনে তূলে নিজে স্টিয়ারিং ধরে স্টার্ট দিলো ।
......তুমি কেন, আর কেঊ নেই ?
......রোহিত পাঠাল। বলল, একটু মুখোশ দরকার। বড় মাল , তাই।ফাগূ একটু থামাও
ফাগূ গাড়ী থামাতে শালপাতার ঠোঙা থেকে প্রসাদি ফুল নিয়ে কপালে বূকে ছুঁইয়ে কপালে টিপ দিয়ে দিলো। ফাগুর চোখে প্রশ্ন দেখে
......দক্ষিণেশ্বর এসে পূজো না দিলে হয় , তার উপর আজ ভাইফোঁটা। আজ থেকে তুমি আমার ধর্মভাই হোলে। আমরা ভাই বোন।
বোন ? ফাগুর চোখের সামনে ভেসে এলো একটি ছোটো বালিকা।বাতাসে উড়িয়ে একমাথা চূল, ছূটে আসছে “দাদাই দাদাই “।দোলনায় দোল খাচ্ছে,হাঁসিতে মুখরিত,পড়ন্ত আলো রাঙিয়ে দিয়েছে তাকে । কলকল করে কথা বলছে। নির্জন ঘূঘূ ডাকা দুপুরে কোলে শূয়ে, ফাগূ গাইছে “সাত ভাই চম্পা জাগো রে”। পিঠে উঠে চূল ধরে ঝাঁকানি দিচ্ছে, দুই গাল ভরিয়ে দিচ্ছে আদর এ।কতদিন এর কথা । হঠাৎ সে আজ কোথা থেকে ? এই কর্কশ জনবহুল রাস্তায় সে কেন এলো? আমাকে যে দুলিয়ে দিলি বোন ।সে এখন কোথায়? কেমন আছে, কতো বড় হয়েছে, চিনতে পারবে তার দাদাই কে? ডাকবে ‘দাদাই’ বলে? কেন এতো বছর পর তাকে দেখতে ঈচ্ছা করছেঃ ভীষণ ভীষণ দেখতে ঈচ্ছা করছে, এখুনি যদি একবার দেখতে পেতাম! দুর থেকে দেখবো তাকে, কিন্তু সে যদি আজকের ‘দাদাই’ কে গ্রহণ না করে, যদি ঘৃণা করে?......প্রাণপণ চেষ্টা করছে আবেগ,সামলানোর।
......কী হয়েছে ফাগু, কী হয়েছে?
......বোন আমার। এই লাইন এ কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠা অপরাধ। পাছে কোন গ্রুপ হয় তাই। আমাদের সম্পর্ক খালি আমরা জানবো, বোন। যে কোন অবস্থায় তুমি তোমার ভাই কে পাসে পাবে। আর রোহিত এর সাথে বিয়ে টা সেরে ফেলো। লীভইন আর না।......গাড়ী স্টার্ট দিলো ফাগু।
.........কোথায় নামাব?
.........রাজারহাট এ। ধনঞ্জয় আছে।
এই ধনঞ্জয় একমাত্র ছেলে যার সাথে ফাগুর সখ্যতা আছে। দুজনেই এক বয়েসের। দম আছে ধনুর।
......হালো রোহিত বল
.......আসানসোল যেতে হবে প্যাকেট আসবে দুটো।
......কতো দেবে ?
......২০
.........কোড,ট্রেন, কামড়া বল । আর গাড়ী লাগবে। ...সব জেনে ফাগূ বেড়িয়ে পোড়লো। আসানসোল পৌছালো রাত ১২ টা নাগাদ ।ফেরার টীকেট কেটে সিগারেট ধরাল। ট্রেন এলো সকাল ৬টার সময়। ‘ভালই হল, অফিস বাবুদের ভীড় পাওয়া যাবে। ডানকুনি ,লীলূয়া,বেলূড় একটা না একটা তে ১০ সেকেন্ড হোলেও দাঁড়াবে।‘ হাতে চারমিনার এর প্যাকেট দেখে এক জন নেমে জীজ্ঞাসা করলো
......এখানে চারমিনার পাওয়া যায়
......যায়, তবে দাম বেশি
............কী রকম ?
......এঈ ১০-২০...
......সঙ্গে আসুন ...বলে কামরাতে নিয়ে বসার জায়গা দেখিয়ে দিলো আর ব্যাগ দুটো। ফাগূ ব্যাগ দেখে বুজল যে যথেষ্ট ভারী । পীঠের ব্যাগ কীছূ না হলেও ৩০ হবে । আর কিটস ব্যাগ ২০ হবে। এঈ নিয়ে দৌড়ানো অসম্ভব । পুলিস বড়োজোর এরেস্ট করবে , কিন্তু রমেশ এর গ্যাং দেখলে দানা পুরে দেবে ।ডানকুনি আসতে ফাগূ ব্যাগ নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালো। গাড়ী একটু থামতেই লাফীয়ে নেমে ভিড়ে মিশে গেলো। একটু দাঁড়ালো ওভঝারভ করার জন্য। যখন বূঝলো সেরকম কীছূ নেই, ধীরে ধীরে প্লাটফরম এর শেষে গিয়ে লাইন টপকে লেবেল ক্রসিং পাড় হোয়ে দাঁড়ালো। যে কেঊ বলবে ফাগু একটি কলেজ পড়ুয়া । একটি বাস আসতে দক্ষিণেশ্বর যাবে দেখে, কনডাকটর কে ম্যানেজ করে ৪০ টাকা দিয়ে ব্যাগ দুটো চালক এর পাসে কেবিন এ তূলে দিলো । মোবাইল বার করে গাড়ী নিয়ে টারমিনাস এ আসতে বোলে পিছন গেটে ভিড়ের মাঝে দাঁড়ালো। কোন ঝামেলা দেখলেই ধা দেবে। না কীছূঈ হোলো না । টারমিনাস এ নেমে দেখে সীমা গাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে। পড়নে লাল পাড় সাদা শাড়ি কপালে সিঁদুর এর টিপ।। ব্যাগ দুটো পিছনে তূলে নিজে স্টিয়ারিং ধরে স্টার্ট দিলো ।
......তুমি কেন, আর কেঊ নেই ?
......রোহিত পাঠাল। বলল, একটু মুখোশ দরকার। বড় মাল , তাই।ফাগূ একটু থামাও
ফাগূ গাড়ী থামাতে শালপাতার ঠোঙা থেকে প্রসাদি ফুল নিয়ে কপালে বূকে ছুঁইয়ে কপালে টিপ দিয়ে দিলো। ফাগুর চোখে প্রশ্ন দেখে
......দক্ষিণেশ্বর এসে পূজো না দিলে হয় , তার উপর আজ ভাইফোঁটা। আজ থেকে তুমি আমার ধর্মভাই হোলে। আমরা ভাই বোন।
বোন ? ফাগুর চোখের সামনে ভেসে এলো একটি ছোটো বালিকা।বাতাসে উড়িয়ে একমাথা চূল, ছূটে আসছে “দাদাই দাদাই “।দোলনায় দোল খাচ্ছে,হাঁসিতে মুখরিত,পড়ন্ত আলো রাঙিয়ে দিয়েছে তাকে । কলকল করে কথা বলছে। নির্জন ঘূঘূ ডাকা দুপুরে কোলে শূয়ে, ফাগূ গাইছে “সাত ভাই চম্পা জাগো রে”। পিঠে উঠে চূল ধরে ঝাঁকানি দিচ্ছে, দুই গাল ভরিয়ে দিচ্ছে আদর এ।কতদিন এর কথা । হঠাৎ সে আজ কোথা থেকে ? এই কর্কশ জনবহুল রাস্তায় সে কেন এলো? আমাকে যে দুলিয়ে দিলি বোন ।সে এখন কোথায়? কেমন আছে, কতো বড় হয়েছে, চিনতে পারবে তার দাদাই কে? ডাকবে ‘দাদাই’ বলে? কেন এতো বছর পর তাকে দেখতে ঈচ্ছা করছেঃ ভীষণ ভীষণ দেখতে ঈচ্ছা করছে, এখুনি যদি একবার দেখতে পেতাম! দুর থেকে দেখবো তাকে, কিন্তু সে যদি আজকের ‘দাদাই’ কে গ্রহণ না করে, যদি ঘৃণা করে?......প্রাণপণ চেষ্টা করছে আবেগ,সামলানোর।
......কী হয়েছে ফাগু, কী হয়েছে?
......বোন আমার। এই লাইন এ কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠা অপরাধ। পাছে কোন গ্রুপ হয় তাই। আমাদের সম্পর্ক খালি আমরা জানবো, বোন। যে কোন অবস্থায় তুমি তোমার ভাই কে পাসে পাবে। আর রোহিত এর সাথে বিয়ে টা সেরে ফেলো। লীভইন আর না।......গাড়ী স্টার্ট দিলো ফাগু।
.........কোথায় নামাব?
.........রাজারহাট এ। ধনঞ্জয় আছে।
এই ধনঞ্জয় একমাত্র ছেলে যার সাথে ফাগুর সখ্যতা আছে। দুজনেই এক বয়েসের। দম আছে ধনুর।