19-08-2021, 12:08 PM
মোহন বম্বে গেলো একটি ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা নিয়ে। অশনি সঙ্কেত টের পাচ্ছে মোহন। শুধু প্রানে নয়, ধনে প্রানে মারবে। প্রায় ২ মাস পর বাম্বে থেকে ফিরে মোহন নিজের কাজে মন দিয়েছে, কিন্তু খচ খচানি রয়ে গেছে। এডস এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে, শুধু ওষুধ এর দাম আকাশ ছোঁয়া। ধীরে ধীরে আরও বেনামি ফ্ল্যাট বিক্রি আর ওষুধএর খরচা ষোগান। কিন্তু আসল আঘাত আসল ৮ মাস পর। একদিন মোহনের নাক দিয়ে আর হাতের চামড়া ফেটে রক্ত বেরতে, ডাক্তার গম্ভীর মুখে
.........এখুনি হাসপাতালে ভর্তি হন, ভাল ঠেকছেনা
লিউকমিয়া, খুব রেয়ার টাইপ। মাস দুয়েক চিকিৎসা আর জলের মতো খরচা করার পর মোহন বুঝল, দিন ঘনিয়ে আসছে। এই ভাবে চললে, নিজে তো মরবেই সোনালি আর মেয়ের জীবনে হাহাকার নেবে আসবে। জ্ঞ্যান হবার পর থেকে প্রথম মোহন নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে নিজেকে শেষ করার ডিসিশন নিল। “ সোনালি আর টুম্পা অন্তত খেয়ে পরে বাঁচুক, আমি পাপের প্রায়শ্চিত্য করি।“ জয়ির সাথে সেই সন্ধ্যার পর ১ বছর কেটে গেছে। যতোগুলো বেনামি ফ্ল্যাট ছিল সব বিক্রি করতে হয়েছে। যে কমপ্লেক্স এ ৫ টা বাড়ি বানাচ্ছিল, সেগুলো অঘাধ জলে। যারা টাকা অগ্রিম দিয়েছিল, সবাই কেস করেছে, প্রায় ৪০টা কেস। বেচারি সোনালিকে প্রতিদিন কোর্ট এ যেতে হয় তাই সামলাতে, তার উপর মোহনের মতো রুগী বিছানায়। বাধ্য হয়ে মোহন কমপ্লেক্স এর পার্টি দের সাথে বোঝাপড়ায় এসে তাদের নামে ফ্ল্যাট লিখে দিল যাতে বাকি কাজ তারা নিজেরাই পয়সা দিয়ে শেষ করে আর ধার বাকির কাগজ থাকলে, সেইটা শোধ করবে। মোটা মুটি সব ঠিক করে মোহন বিবাহ বার্ষিকীর পর আত্মহত্যা করবে বলে মনস্থির করেছে।
কিন্তু মোহন মৃত্যুর দিন বিকালে একটি ইনল্যান্ড লেটার পায় আর সেইটাই তাকে সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে
মোহন,
শেষ দিনের আর কতো বাকি? ঠিক করে নাও আর ভেবে দেখো তোমার জন্য যারা নিজেদের শেষ করেছে তাদের কিরকম লেগেছিল। তোমার যত এখনকার ফুটানি, টাকাপয়সা সব সেই অভাগিনিদের রক্ত চুষে নেওয়া পয়সায়। অশ্রু, সতী, আত্মহত্যা করে কতো অল্পবয়েসে চলে গেছে সংসার ভাসিয়ে। রুমি, কৃষ্ণা, তৃপ্তি, সহেলি এদের কথা ভাববেনা? স্বামী,সন্তান থেকে বিছিন্ন হয়ে কি জীবন কাটাচ্ছে? এ বাদে আরও মেয়েদের কথা বলব না, তুমি যাদের ব্লাক্লমেল করে করে ছিবড়ে করে দিয়েছ?শুধু মুক্তি, একটি '.কে বিয়ে করেছিল বলে তোমার সাহসে কুলায়নি। আমি তাদের সবার কন্যা, বোন, বন্ধু হিসাবে প্রতিশোধ নিয়েছি। কোন আফসোস নেই বরং তৃপ্তি, অসিম তৃপ্তি যে তোমাকে ধনে প্রানে শেষ করতে পেরেছি।
জয়ি। ( যে জয় অর্জন করে)
চিঠি শেষ করে মোহন জীবনের সব অন্যায় দুষ্কর্ম ফিরে ফিরে মনে করলো। একটি দীর্ঘনিশ্বাস বেরিয়ে এলো শুধু।চিঠি কুচি কুচি করে ছিঁড়ে তলায় রাখা থুতু ফেলার পাত্রে ফেলে দুই হাত জড়ো করে প্রতিটি নারীকে , যাদের জীবনে সে মূর্তিমান অভিশাপ, মনে করলো।
রাত গভীর, মোহন আজ ঘুমের বড়ি খায়নি। সোনালি পাশের বিছানায়, সারাদিনের অক্লান্ত পরিস্রমের পর ঘুমে মগ্ন, ওতি কষ্টে মোহন লুকিয়ে রাখা ব্লেড বার করে, ততোধিক কষ্টে নিজের বাঁ হাতের শিরায় সর্ব শক্তি দিয়ে কেটে চোখ বন্ধ করে ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে, সব অভিশপ্ত নারিদের নাম উচ্চারণ করে “ ক্ষমা কর আমায়, ক্ষমা চাইছি।“ ঘাড় ঘুড়িয়ে সোনালির মুখের দিকে চেয়ে” ভাল থেকে, সোনা। ভাল থেকো।“
সোনালি ভোরের আলো ফুটতে ঘুম ভেঙে যখন প্রথম মোহনের মৃতদেহ দেখে, তখনও মোহনের চোখ সোনালির বিছানার দিকেই ।
.........এখুনি হাসপাতালে ভর্তি হন, ভাল ঠেকছেনা
লিউকমিয়া, খুব রেয়ার টাইপ। মাস দুয়েক চিকিৎসা আর জলের মতো খরচা করার পর মোহন বুঝল, দিন ঘনিয়ে আসছে। এই ভাবে চললে, নিজে তো মরবেই সোনালি আর মেয়ের জীবনে হাহাকার নেবে আসবে। জ্ঞ্যান হবার পর থেকে প্রথম মোহন নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে নিজেকে শেষ করার ডিসিশন নিল। “ সোনালি আর টুম্পা অন্তত খেয়ে পরে বাঁচুক, আমি পাপের প্রায়শ্চিত্য করি।“ জয়ির সাথে সেই সন্ধ্যার পর ১ বছর কেটে গেছে। যতোগুলো বেনামি ফ্ল্যাট ছিল সব বিক্রি করতে হয়েছে। যে কমপ্লেক্স এ ৫ টা বাড়ি বানাচ্ছিল, সেগুলো অঘাধ জলে। যারা টাকা অগ্রিম দিয়েছিল, সবাই কেস করেছে, প্রায় ৪০টা কেস। বেচারি সোনালিকে প্রতিদিন কোর্ট এ যেতে হয় তাই সামলাতে, তার উপর মোহনের মতো রুগী বিছানায়। বাধ্য হয়ে মোহন কমপ্লেক্স এর পার্টি দের সাথে বোঝাপড়ায় এসে তাদের নামে ফ্ল্যাট লিখে দিল যাতে বাকি কাজ তারা নিজেরাই পয়সা দিয়ে শেষ করে আর ধার বাকির কাগজ থাকলে, সেইটা শোধ করবে। মোটা মুটি সব ঠিক করে মোহন বিবাহ বার্ষিকীর পর আত্মহত্যা করবে বলে মনস্থির করেছে।
কিন্তু মোহন মৃত্যুর দিন বিকালে একটি ইনল্যান্ড লেটার পায় আর সেইটাই তাকে সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে
মোহন,
শেষ দিনের আর কতো বাকি? ঠিক করে নাও আর ভেবে দেখো তোমার জন্য যারা নিজেদের শেষ করেছে তাদের কিরকম লেগেছিল। তোমার যত এখনকার ফুটানি, টাকাপয়সা সব সেই অভাগিনিদের রক্ত চুষে নেওয়া পয়সায়। অশ্রু, সতী, আত্মহত্যা করে কতো অল্পবয়েসে চলে গেছে সংসার ভাসিয়ে। রুমি, কৃষ্ণা, তৃপ্তি, সহেলি এদের কথা ভাববেনা? স্বামী,সন্তান থেকে বিছিন্ন হয়ে কি জীবন কাটাচ্ছে? এ বাদে আরও মেয়েদের কথা বলব না, তুমি যাদের ব্লাক্লমেল করে করে ছিবড়ে করে দিয়েছ?শুধু মুক্তি, একটি '.কে বিয়ে করেছিল বলে তোমার সাহসে কুলায়নি। আমি তাদের সবার কন্যা, বোন, বন্ধু হিসাবে প্রতিশোধ নিয়েছি। কোন আফসোস নেই বরং তৃপ্তি, অসিম তৃপ্তি যে তোমাকে ধনে প্রানে শেষ করতে পেরেছি।
জয়ি। ( যে জয় অর্জন করে)
চিঠি শেষ করে মোহন জীবনের সব অন্যায় দুষ্কর্ম ফিরে ফিরে মনে করলো। একটি দীর্ঘনিশ্বাস বেরিয়ে এলো শুধু।চিঠি কুচি কুচি করে ছিঁড়ে তলায় রাখা থুতু ফেলার পাত্রে ফেলে দুই হাত জড়ো করে প্রতিটি নারীকে , যাদের জীবনে সে মূর্তিমান অভিশাপ, মনে করলো।
রাত গভীর, মোহন আজ ঘুমের বড়ি খায়নি। সোনালি পাশের বিছানায়, সারাদিনের অক্লান্ত পরিস্রমের পর ঘুমে মগ্ন, ওতি কষ্টে মোহন লুকিয়ে রাখা ব্লেড বার করে, ততোধিক কষ্টে নিজের বাঁ হাতের শিরায় সর্ব শক্তি দিয়ে কেটে চোখ বন্ধ করে ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে, সব অভিশপ্ত নারিদের নাম উচ্চারণ করে “ ক্ষমা কর আমায়, ক্ষমা চাইছি।“ ঘাড় ঘুড়িয়ে সোনালির মুখের দিকে চেয়ে” ভাল থেকে, সোনা। ভাল থেকো।“
সোনালি ভোরের আলো ফুটতে ঘুম ভেঙে যখন প্রথম মোহনের মৃতদেহ দেখে, তখনও মোহনের চোখ সোনালির বিছানার দিকেই ।