19-08-2021, 12:07 PM
করন ঠিকই আন্দাজ করেছিল। মোহন ততক্ষনে তার লোক আর পুলিস লাগিয়ে দিয়েছে, মোবাইলের টাওয়ার খোঁজ করে। কিন্তু এই টুকু করতে সময় যায়, তাই কোয়ালিটির সামনে এসে বিফল মনেই তাদের ফিরতে হয়। গরিয়াহাটের কাছের ওঁই রাস্তায়, তন্ন তন্ন করে খুজেও মোহন জয়ি রায় বা বাদল রায় বলে কাউর খোঁজ পায়না। সন্দেহ দৃঢ় হয়। সেই দিনের হোটেলে, মোহনের চামচা পুলিস গিয়ে সিসিটিভি চেক করে দেখে যে জাহা সম্পূর্ণ সময় মাথায় * চড়িয়ে আর মাথা মেঝের দিকে ঝুকিয়ে হেটেছে। মোহনের পুলিস আর মোহন বুঝতে পারে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই, কাউর অঙ্গুলিহেলনে জয়ি এই কাজ করেছে। কিন্তু মোটিভ কি, কি হতে পারে? কিছুতেই ধরতে পারছেনা
.........মোহন, আমার ধারনা এইটা প্রতিশোধ, আর কিছুই না। এখন অপেখ্যা করতে হবে ওদের নেক্সট চালের জন্য।
......কতদিন বলে আপনার মনে হয়?
......দ্যাখা যাক।
ঠিক ২৩ দিনের মাথায় মোহনের প্রথম জ্বর হয়। ডাক্তার অ্যান্টিবাওটিক দিতে একটু কমল। কিন্তু ৪-৫ দিনের ভীতর আবার প্রবল বেগে ঘুরে এলো সাথে দুর্বলতা আর অন্যান্য অসুবিধা। ৮০০ টাকা ফিস এর ডাক্তার, দ্বিতীয় বার আসতেই রক্ত পরীক্ষা করতে লিখল“ এলাইজ্যা টেস্ট” । দু দিন পর রিপোর্ট নিয়ে মোহনের মাথায় বাজ ভেঙে পরল।মোহনের বউ শূন্য দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইল। প্রায় মিনিট ৫ দুজনে কোন কথা বলতে পারল না। তারপর ডাক্তারের চেম্বারে হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ল মোহন। ডাক্তার স্বান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কি করতে পারে। তখুনি কলকাতার বিরাট নাম করা নার্সিং হোমে ভর্তি হোল মোহন।চামচা পুলিস ছুঁটে এসে
.........আমি ঠিকই সন্দেহ করেছিলাম। চিন্তা নেই ধরব। তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো, তারপর দেখছি।
প্রায় ১ মাস পর মোহন নার্সিং হোম থেকে বাড়ি ফিরল।বন্যার জলের মত টাকা বেরিয়েছে। ডাক্তার বলেছে বোম্বাই গিয়ে আরও ভালভাবে চিকিৎসা করাতে। ডাক্তারের কথা মতো ওষুধ খেলে ৮-১০ বছর অবধি বাচা যায়, তবে টাকা খরচ হবে। বিছানায় শুয়ে মোহন এইসব ই ভাবছিল। হঠাৎ মনে হতে, সেফ খুলে পেন ড্রাইভ নিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে প্রথমে একটা লাগাল। কিচ্ছু নেই, আর একটা, সেটাতেও নেই,একে একে সব কটা লাগিয়ে মোহন বুঝতে পারল কেউ এ কাজ করেছে। কিন্তু সেফ খুলে কি করে বার করলো আর ঢুকলই বা কি ভাবে? চামচা কে ফোন করতে তাড়াতাড়ি এসে
.........মোহন। শোন চেক করব। তোমার ঘরের ক্যামেরা চালাও তো।
কিচ্ছু নেই। তাহলে কি হতে পারে?
......পেনড্রাইভ এ কার কার ছবি ছিল? একে একে মোহন সব কু কীর্তি ভাসা ভাসা করে বলাতে চামচা কাগজে টুকে নিল। মোহন ২২ বছর আগের সতীর আত্মহত্যার কথা বলতে ভুলে গেছিল। ধারনাও করতে পারেনি প্রায় ২২ বছর আগের ঘটনার প্রতিশোধ কেউ নিতে পারে।
বম্বে তে চিকিৎসার জন্য টাকা বার করতে মোহন বউকে ডেকে খাটের ড্রয়ার খুলে টাকা বার করছে
.........একি ......আর্তনাদ ছিটকে বেরিয়ে এলো মোহনের বউ সোনালির মুখ দিয়ে। চমকে ঘুরে ড্রয়ার এর দিকে তাকিয়ে মোহন পরে গেলো মাথা ঘুরে।শুধু কুচি কুচি কাগজ আর চোখে দ্যাখা যায় না এইরকম অগুন্তি পোকা। মোহন বুঝল, একমাত্র জয়িকে ও বলেছিল কি ভাবে টাকা লুকিয়ে রাখা যায়। চামচা ফোন পেয়ে ছুঁটে এসে
.........অত্যন্ত ধুরন্ধর লোক, যার মাথা থেকে এই সব বেরিয়েছে। তুমি চেহারার একটু আন্দাজ দিতে পারবে? আমি লোক দিয়ে আঁকিয়ে দেখি
মোহনের কথা মতো চামচার লোক জয়ির ছবি একে দিল। চামচা তার নিজের লোক লাগাল খুঁজে বার করতে।
.........মোহন, আমার ধারনা এইটা প্রতিশোধ, আর কিছুই না। এখন অপেখ্যা করতে হবে ওদের নেক্সট চালের জন্য।
......কতদিন বলে আপনার মনে হয়?
......দ্যাখা যাক।
ঠিক ২৩ দিনের মাথায় মোহনের প্রথম জ্বর হয়। ডাক্তার অ্যান্টিবাওটিক দিতে একটু কমল। কিন্তু ৪-৫ দিনের ভীতর আবার প্রবল বেগে ঘুরে এলো সাথে দুর্বলতা আর অন্যান্য অসুবিধা। ৮০০ টাকা ফিস এর ডাক্তার, দ্বিতীয় বার আসতেই রক্ত পরীক্ষা করতে লিখল“ এলাইজ্যা টেস্ট” । দু দিন পর রিপোর্ট নিয়ে মোহনের মাথায় বাজ ভেঙে পরল।মোহনের বউ শূন্য দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইল। প্রায় মিনিট ৫ দুজনে কোন কথা বলতে পারল না। তারপর ডাক্তারের চেম্বারে হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ল মোহন। ডাক্তার স্বান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কি করতে পারে। তখুনি কলকাতার বিরাট নাম করা নার্সিং হোমে ভর্তি হোল মোহন।চামচা পুলিস ছুঁটে এসে
.........আমি ঠিকই সন্দেহ করেছিলাম। চিন্তা নেই ধরব। তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো, তারপর দেখছি।
প্রায় ১ মাস পর মোহন নার্সিং হোম থেকে বাড়ি ফিরল।বন্যার জলের মত টাকা বেরিয়েছে। ডাক্তার বলেছে বোম্বাই গিয়ে আরও ভালভাবে চিকিৎসা করাতে। ডাক্তারের কথা মতো ওষুধ খেলে ৮-১০ বছর অবধি বাচা যায়, তবে টাকা খরচ হবে। বিছানায় শুয়ে মোহন এইসব ই ভাবছিল। হঠাৎ মনে হতে, সেফ খুলে পেন ড্রাইভ নিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে প্রথমে একটা লাগাল। কিচ্ছু নেই, আর একটা, সেটাতেও নেই,একে একে সব কটা লাগিয়ে মোহন বুঝতে পারল কেউ এ কাজ করেছে। কিন্তু সেফ খুলে কি করে বার করলো আর ঢুকলই বা কি ভাবে? চামচা কে ফোন করতে তাড়াতাড়ি এসে
.........মোহন। শোন চেক করব। তোমার ঘরের ক্যামেরা চালাও তো।
কিচ্ছু নেই। তাহলে কি হতে পারে?
......পেনড্রাইভ এ কার কার ছবি ছিল? একে একে মোহন সব কু কীর্তি ভাসা ভাসা করে বলাতে চামচা কাগজে টুকে নিল। মোহন ২২ বছর আগের সতীর আত্মহত্যার কথা বলতে ভুলে গেছিল। ধারনাও করতে পারেনি প্রায় ২২ বছর আগের ঘটনার প্রতিশোধ কেউ নিতে পারে।
বম্বে তে চিকিৎসার জন্য টাকা বার করতে মোহন বউকে ডেকে খাটের ড্রয়ার খুলে টাকা বার করছে
.........একি ......আর্তনাদ ছিটকে বেরিয়ে এলো মোহনের বউ সোনালির মুখ দিয়ে। চমকে ঘুরে ড্রয়ার এর দিকে তাকিয়ে মোহন পরে গেলো মাথা ঘুরে।শুধু কুচি কুচি কাগজ আর চোখে দ্যাখা যায় না এইরকম অগুন্তি পোকা। মোহন বুঝল, একমাত্র জয়িকে ও বলেছিল কি ভাবে টাকা লুকিয়ে রাখা যায়। চামচা ফোন পেয়ে ছুঁটে এসে
.........অত্যন্ত ধুরন্ধর লোক, যার মাথা থেকে এই সব বেরিয়েছে। তুমি চেহারার একটু আন্দাজ দিতে পারবে? আমি লোক দিয়ে আঁকিয়ে দেখি
মোহনের কথা মতো চামচার লোক জয়ির ছবি একে দিল। চামচা তার নিজের লোক লাগাল খুঁজে বার করতে।