06-08-2021, 05:07 PM
পরেরদিন থেকে করন আদিকে শেখাতে শুরু করলো কি ভাবে খবর সংগ্রহ করতে হয়। রিক্সাওালা, পানের দোকান,,অপছন্দের লোক কারা, তাদের কি মনোভাব এই ভাবে করন আর আদির সম্পর্ক সহজ হতে লাগল, করন কিছু কিছু হাত খরচ দেয়। কখনো অন্য কোন পুরানো লোকের সাথে পাঠায় হাতে কলমে শেখার জন্য। এই করে প্রায় মাস ৬ কাঁটার পর, একদিন
.........আদি, তোমার ঘোষালের ওপর রাগ নেই?
.........পেলে মেরে ফেলব
.........তাহলে পাওয়ার চেষ্টা করো। আর যদি মেরে ফেলতে চাও এমন ভাবে মারবে যাতে কোন প্রমাণ না থাকে। খোঁজ করো আদি, খোঁজ কর...কথা শেষ করে এক দৃষ্টি তে চেয়ে রইল।
আদি বাড়ি ফিরে মুন কে সব খুলে বলতে
.........হতে পারে উনি তোমাকে দিয়ে কোন কাজ হাসিল করাতে চান অথবা তোমায় ফাঁসাতে চায়। কিন্তু তোমাকে ফাঁসিয়ে কি লাভ। তুমি একবার আমাকে ওনার বাড়ি নিয়ে চল।কালকে বিকালেই চলো, বলব বেড়াতে বেড়াতে এদিকে এসেছিলাম তাই আপনার বাড়িতে একবার আসলাম, যা বলার আমি বলব।
করন খুব আন্তরিক ভাবে দুজনকে ঘরে এনে বসিয়ে
.........জাহা, জাহা, একটু এসো
জাহা আসতে আদি আর মুন দুজনেই হাত জোর করে নমস্কার করলো
.........পৃথিবীতে আমার একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী, এই জাহানারা। ওকে বাদ দিয়ে এই সংসার অচল, কিন্তু আমরা বিবাহিত নই, বাকিটা বুঝে নাও
.........আপনি এতো খোলাখুলি বলাতে আমাদের সুবিধাই হল, আমরাও বিবাহিত নই। কিছু কাজ বাকি আছে, সেইগুল না মিটলে বিবাহ সম্ভব নয়.........মুন খুব আস্তে অথচ দৃঢ় স্বরে বলল। করন চুপ করে তাকিয়ে দেখল কিছু সময়
......মুন মুন, প্রেসার কুকার এর ভিতরে যখন বাষ্প জমে ওঠে তখন সিটি দিয়ে সেফটিভাল্ভ নিজের থেকে সেই বাষ্প বার করে দেয়, না হলে কুকার ফেটে যাবে। মনের ভিতরের জমা রাগ, ঘৃণা, প্রতিশোধ বার না করলে , বুক ফেটে যাবে, সেইটা সুখকর নয়। আমারও ভিতরে জমে আছে আগুন , বার করতে হব্* না হলে আমার মেয়েকে পাবনা। জাহা নিজের থেকে সেই কাজের দায়িত্ব নিয়েছে। খুলে বলতে পার, তোমাদের আমি কেন বিপদে ফেলব? আমি বরঞ্চ তোমাদের বন্ধু বা সহ যোদ্ধা হিসাবে পেতে চাই
.........তাই পাবেন। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী এইবার থেকে ৩ জন হোল, আর আমাদের?......মুনের হাসি মুখ
......তোমরা দুজন নয় আমরা ৪ জন......... এই প্রথম জাহা কিছু বলল
শুরু হোল ৪ জনের পরস্পর কে জানা। কিন্তু মানুষ কে জানা সবচাইতে দুরুহ। না হলে আদি কি জানতে পারত মুনমুন কতো খানি শক্ত মনের আর নিঃস্বার্থ?
...মুন মুন, ঘোষাল এর দুরবলতা কিসে?
......জানোয়ারটা হোমো। এই জন্য ওর স্ত্রী আর ছেলে অনেক বছর ওর সাথে থাকেনা, একা থাকে কাজের লোক নিয়ে, আর গাঁজা খায়।
......আদি ঘোষালের খোঁজ নাও। কখন কোথায় যায়, কি করে সব।অবসরের পর এই ৫ বছর ও কি ভাবে দিন কাটায়, সব। বার বার চেক করবে, ওর গতিবিধি, কেমন?। মুন মুন তুমি আদি কে একটু মেকআপ করে দিয় যাতে চট করে না চেনা যায়। চুল কাঁটা বন্ধ করো আদি, কাজে লাগবে
পরের ৭মাস আদি করনের সুত্রে কারখানায় কাজ করে আর সুযোগ পেলেই ঘোষালের গতিবিধির খোঁজ। তারপর একদিন একটা কাগজে সব লিখে ফেলল। সকাল থেকে কি করে কার কার সাথে থাকে, সন্ধ্যা বেলা কি করে কার সাথে থাকে সব। মুন কে নিয়ে আবার করনের বাড়ি এলো
.........স্যার এই নিন, একেবারে সঠিক.........করন কাগজ নিয়ে চোখ বুলিয়ে জাহাকে দিল। জাহা পরে
.........আদিদা, তুমি ১২ বছর ছিলে , ও অন্ত্যত কিছুদিন বিছানায় শুয়ে থাকুক। মরে গেলে তো ওর পাপ শেষ হবে না.........ঘাড় নারিয়ে সায় দিল আদি।
...... এই মোবাইল টা সঙ্গে রাখ আদি, সিম কার্ড ভুয়ো। কাউকে ফোন করবে না, প্রতিশোধ এর কাজে ব্যাবহার করবে। আর বাড়ি থেকে কখনো ব্যাবহার করবে না। রেল ষ্টেশন, বাজার, কোন মাঠ, এই সব যায়গায় করবে।কাজ হয়ে গেলে মাঝ গঙ্গায় ফেলে দেবে, আবার বলছি, কাজ মেটার সঙ্গে সঙ্গে মাঝ গঙ্গায় ফেলে দেবে। আর মুন মুন, তুমি আদিকে সিধান্ত নিতে সাহায্য করো। ওকে ‘মগা’ বানাও
এই প্রথম ৪জন হাঁসিতে ফেটে পড়ল। শুরু হোল আদির ‘মগা’ হওয়ার ট্রেনিং। ১০ বাই ১০ ঘরে মাথায় বই চাপিয়ে ক্যাটওয়াক ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মেয়েলি ঢং , চাহুনি, ঘাড় বেকিয়ে কথা বলা, হাসি প্রভৃতি। মাস ৬ পর একদিন মুন আদিকে ‘মগা’ সাজিয়ে করনের বাড়ি নিয়ে আসতে, করন আর জাহা প্রথমে চিনতেই পারেনি। মাস ৩-৪ পর
.........আদি তুমি তৈরি। এইবার বল কি করবে।
.......মুন, ঘোষাল প্রতি শুক্র আর শনিবার রেল লাইন এর পাশের মাঠে যায়। ওখানে কিছু ‘মগা’ মাঝে মাঝে আসে। ওখানে না পেলে নতুন ব্রিজ এর নিচে যায়। আমি ওই মাঠেই এই চান্স নেব। তুমি কাল মেকআপ করে দিয়।
.........আদি, তোমার ঘোষালের ওপর রাগ নেই?
.........পেলে মেরে ফেলব
.........তাহলে পাওয়ার চেষ্টা করো। আর যদি মেরে ফেলতে চাও এমন ভাবে মারবে যাতে কোন প্রমাণ না থাকে। খোঁজ করো আদি, খোঁজ কর...কথা শেষ করে এক দৃষ্টি তে চেয়ে রইল।
আদি বাড়ি ফিরে মুন কে সব খুলে বলতে
.........হতে পারে উনি তোমাকে দিয়ে কোন কাজ হাসিল করাতে চান অথবা তোমায় ফাঁসাতে চায়। কিন্তু তোমাকে ফাঁসিয়ে কি লাভ। তুমি একবার আমাকে ওনার বাড়ি নিয়ে চল।কালকে বিকালেই চলো, বলব বেড়াতে বেড়াতে এদিকে এসেছিলাম তাই আপনার বাড়িতে একবার আসলাম, যা বলার আমি বলব।
করন খুব আন্তরিক ভাবে দুজনকে ঘরে এনে বসিয়ে
.........জাহা, জাহা, একটু এসো
জাহা আসতে আদি আর মুন দুজনেই হাত জোর করে নমস্কার করলো
.........পৃথিবীতে আমার একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী, এই জাহানারা। ওকে বাদ দিয়ে এই সংসার অচল, কিন্তু আমরা বিবাহিত নই, বাকিটা বুঝে নাও
.........আপনি এতো খোলাখুলি বলাতে আমাদের সুবিধাই হল, আমরাও বিবাহিত নই। কিছু কাজ বাকি আছে, সেইগুল না মিটলে বিবাহ সম্ভব নয়.........মুন খুব আস্তে অথচ দৃঢ় স্বরে বলল। করন চুপ করে তাকিয়ে দেখল কিছু সময়
......মুন মুন, প্রেসার কুকার এর ভিতরে যখন বাষ্প জমে ওঠে তখন সিটি দিয়ে সেফটিভাল্ভ নিজের থেকে সেই বাষ্প বার করে দেয়, না হলে কুকার ফেটে যাবে। মনের ভিতরের জমা রাগ, ঘৃণা, প্রতিশোধ বার না করলে , বুক ফেটে যাবে, সেইটা সুখকর নয়। আমারও ভিতরে জমে আছে আগুন , বার করতে হব্* না হলে আমার মেয়েকে পাবনা। জাহা নিজের থেকে সেই কাজের দায়িত্ব নিয়েছে। খুলে বলতে পার, তোমাদের আমি কেন বিপদে ফেলব? আমি বরঞ্চ তোমাদের বন্ধু বা সহ যোদ্ধা হিসাবে পেতে চাই
.........তাই পাবেন। আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী এইবার থেকে ৩ জন হোল, আর আমাদের?......মুনের হাসি মুখ
......তোমরা দুজন নয় আমরা ৪ জন......... এই প্রথম জাহা কিছু বলল
শুরু হোল ৪ জনের পরস্পর কে জানা। কিন্তু মানুষ কে জানা সবচাইতে দুরুহ। না হলে আদি কি জানতে পারত মুনমুন কতো খানি শক্ত মনের আর নিঃস্বার্থ?
...মুন মুন, ঘোষাল এর দুরবলতা কিসে?
......জানোয়ারটা হোমো। এই জন্য ওর স্ত্রী আর ছেলে অনেক বছর ওর সাথে থাকেনা, একা থাকে কাজের লোক নিয়ে, আর গাঁজা খায়।
......আদি ঘোষালের খোঁজ নাও। কখন কোথায় যায়, কি করে সব।অবসরের পর এই ৫ বছর ও কি ভাবে দিন কাটায়, সব। বার বার চেক করবে, ওর গতিবিধি, কেমন?। মুন মুন তুমি আদি কে একটু মেকআপ করে দিয় যাতে চট করে না চেনা যায়। চুল কাঁটা বন্ধ করো আদি, কাজে লাগবে
পরের ৭মাস আদি করনের সুত্রে কারখানায় কাজ করে আর সুযোগ পেলেই ঘোষালের গতিবিধির খোঁজ। তারপর একদিন একটা কাগজে সব লিখে ফেলল। সকাল থেকে কি করে কার কার সাথে থাকে, সন্ধ্যা বেলা কি করে কার সাথে থাকে সব। মুন কে নিয়ে আবার করনের বাড়ি এলো
.........স্যার এই নিন, একেবারে সঠিক.........করন কাগজ নিয়ে চোখ বুলিয়ে জাহাকে দিল। জাহা পরে
.........আদিদা, তুমি ১২ বছর ছিলে , ও অন্ত্যত কিছুদিন বিছানায় শুয়ে থাকুক। মরে গেলে তো ওর পাপ শেষ হবে না.........ঘাড় নারিয়ে সায় দিল আদি।
...... এই মোবাইল টা সঙ্গে রাখ আদি, সিম কার্ড ভুয়ো। কাউকে ফোন করবে না, প্রতিশোধ এর কাজে ব্যাবহার করবে। আর বাড়ি থেকে কখনো ব্যাবহার করবে না। রেল ষ্টেশন, বাজার, কোন মাঠ, এই সব যায়গায় করবে।কাজ হয়ে গেলে মাঝ গঙ্গায় ফেলে দেবে, আবার বলছি, কাজ মেটার সঙ্গে সঙ্গে মাঝ গঙ্গায় ফেলে দেবে। আর মুন মুন, তুমি আদিকে সিধান্ত নিতে সাহায্য করো। ওকে ‘মগা’ বানাও
এই প্রথম ৪জন হাঁসিতে ফেটে পড়ল। শুরু হোল আদির ‘মগা’ হওয়ার ট্রেনিং। ১০ বাই ১০ ঘরে মাথায় বই চাপিয়ে ক্যাটওয়াক ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মেয়েলি ঢং , চাহুনি, ঘাড় বেকিয়ে কথা বলা, হাসি প্রভৃতি। মাস ৬ পর একদিন মুন আদিকে ‘মগা’ সাজিয়ে করনের বাড়ি নিয়ে আসতে, করন আর জাহা প্রথমে চিনতেই পারেনি। মাস ৩-৪ পর
.........আদি তুমি তৈরি। এইবার বল কি করবে।
.......মুন, ঘোষাল প্রতি শুক্র আর শনিবার রেল লাইন এর পাশের মাঠে যায়। ওখানে কিছু ‘মগা’ মাঝে মাঝে আসে। ওখানে না পেলে নতুন ব্রিজ এর নিচে যায়। আমি ওই মাঠেই এই চান্স নেব। তুমি কাল মেকআপ করে দিয়।