30-07-2021, 01:57 PM
সুরেশ করন ৩৮ বছর পুলিস এ চাকরি করেছেন। এই ৩৮ বছরে গোটা ৪ প্রোমোশন পেয়ে আজ ২ বছর আগে অবসর নিয়েছেন। পুলিস এ ব্যাতিক্রম সুরেশ করন। সিগারেট ছাড়া নেশা নেই, ঘুষ নিতেন না। ৪৪ বছর বয়েসে স্ত্রী সতী আত্মহত্যা করেন। একমাত্র সন্তান, মেয়ে তুনি ভালনাম তনয়া, মা-এর মৃত্যুর জন্য সুরেশ কে দায়ি করে। সতী মারা যাবার পর হস্টেল থেকে বাড়ি আসত না। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে সেই যে আমেরিকা গেছে আজ ১৩ বছরে এক বারও আসেনি বা যোগাযোগ করেনি। যাবার আগে একবার এসেছিল খবর দিতে শুধু। সুরেশ অনেক চেষ্টা করেও মেয়ের মন ছুঁতে পারেন নি।শুনেছেন মেয়ে বিয়ে করেছে এক মারাঠিকে, একটি মেয়ে হয়েছে, বাবাকে খবর টুকু পর্যন্ত দেয়নি।
পুরুলিয়ার হস্টেল এ বাচ্চু কে রেখে বাস এ আসার সময় জানলায় মাথা রেখে করন এই সব ভাবছিল। “ কি করে তোকে বলব তুনি, সতী কেন আত্মহত্যা করেছিল! তাহলে যে সতীর অপমান হবে। সতী আমার সম্মান এর কথা ভেবে আত্মহত্যা করেছিল। আমি তোকে জানালে যে সতীর সম্পর্কে তোর ধারনা পালটে যাবে। বুকে পাথর চেপে সহ্য করছি”
বাচ্চু, জাহানারার ছেলে। আজ ১১ বছর জাহানারা করন এর বাড়িতে কাজ করে। শুধু কাজ না, বাড়ির কাজের লোক থেকে এখন করণ এর লিভ-ইন-পারটনার কাম হাউস কিপার কাম একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী কাম এক মাত্র কথা বলার সঙ্গী।জাহানারা বা জাহা লম্বা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। শরীরের গঠন পেশিবহুল, শক্ত সমর্থ চেহারা।এই শরীরে যতই খাবার খাক মেদ জমেনা। চোখ,নাক, চিবুক কপাল ঠোঁট কোনটিই আহামরি নয় শুধু দাঁত আর চুল ছাড়া।গায়ের চামড়া করন এর বাড়িতে আসার পর থেকে উজ্জ্বল হয়েছে। তবুও দেখলে মনে হয় সুশ্রী। মুখে একটা আলগা শ্রী আছে।তবে যেঁটা আছে জাহার সেটা শরীরের গড়ন, এক ‘হাতছানি’ আছে শরীরে যা পুরুষের মনে দোলা দেবেই। করন এর টাকার অভাব নেই। দেশের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে শেয়ার বাজার এ লাগিয়ে প্রচুর আয় করেছে, এ ছাড়া সরকার থেকে প্রাপ্য টাকা সব মিলিয়ে করন উচ্চ মধ্যবিত্য তো বটে, হয়ত তার চাইতেও একটু উপরে। জাহানারা যখন স্বামী রফিক এর কাছে প্যাদানি খেয়ে ৩ বছরের বাচ্চু কে নিয়ে আসে, তখন তার বয়েস ২০। আজ ৩১ বছরের জাহানারা রীতিমতো এট্রাকটিভ। নিরক্ষর জাহানারা এখন বাংলা লিখতে পড়তে জানে, ইংরাজি পড়তে পারে, অল্প সল্প বলতে বা বুজতে পারে। করন এর টাকা পয়সা , ব্যাংক সব কিছু হিসাব রাখে। জাহানারার এই পরিবর্তন এর পিছনে আসল কারন, বাচ্চু। ৩ বছরের শিশু, বাড়িতে থাকলে মায়া পরবেই। করন জানে না কখন কি ভাবে সে প্রথম বাচ্চু কে কোলে নিয়েছিল। বাচ্চু করন কে ‘বন্ধু’ বলে ডাকে, করন ই শিখিয়েছে। জাহানারা আজ পর্যন্ত করন কে আপনি ছাড়া সম্বোধন করেনি, যদিও করন ‘তুই’ বলেই ডাকে। তাতে জাহানারা অখুসি না, সে জানে যে টুকু পেয়েছে তাই আশাতিত।করন এর সংসার সম্পূর্ণ তার, করন সম্পূর্ণ ভাবে তার উপর নির্ভরশীল। করন বাচ্চু কে ভালবাসে, নিখাদ ভালবাসা। সেই ভালবাসা থেকেই ব্যাংক এ জাহানারার নামে যে টাকা রেখেছে, তাতে করন হঠাৎ মারা গেলেও জাহানারা বাচ্চু কে ভালভাবেই বড় করে তুলতে পারবে। বাচ্চু, করন কে বোধহয় নিজের মায়ের থেকেও বেশি ভালবাসে।জাহানারর সাথে করন এর সম্পর্ক ১৩ বছরের বালক বুঝতে পারেনা, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় কিন্তু এক অদৃশ্য সুতো বাচ্চু আর করন কে বেঁধে রেখেছে। করন বাচ্চুর হিরো। বড় হয়ে বাচ্চু মিলিটারি তে যোগ দেবে, গোয়েন্দা বিভাগে এইটাই তার ইচ্ছা। “ তোকে বলব তুনি, সত্যি কথা জানাব, আগে হিসাব মিটিয়ে নি। গতকাল সকালেই তাকে পেয়েছি, তার বউ যাদের জন্য মারা গেছে, যাদের জন্য সে ১২ বছর জেলে কাটাল, তাদের জন্যই সতী নেই। আগে হিসাব মেটাই, তারপর। জাহার সাথে পরামর্শ করতে হবে। এই ব্যাপারে জাহা অনেকের থেকে ধুরন্দর, ঘা খেয়ে খেয়ে হয়েছে।“ নিজের মনে কথা বলে করন চোখ বুজল।
পুরুলিয়ার হস্টেল এ বাচ্চু কে রেখে বাস এ আসার সময় জানলায় মাথা রেখে করন এই সব ভাবছিল। “ কি করে তোকে বলব তুনি, সতী কেন আত্মহত্যা করেছিল! তাহলে যে সতীর অপমান হবে। সতী আমার সম্মান এর কথা ভেবে আত্মহত্যা করেছিল। আমি তোকে জানালে যে সতীর সম্পর্কে তোর ধারনা পালটে যাবে। বুকে পাথর চেপে সহ্য করছি”
বাচ্চু, জাহানারার ছেলে। আজ ১১ বছর জাহানারা করন এর বাড়িতে কাজ করে। শুধু কাজ না, বাড়ির কাজের লোক থেকে এখন করণ এর লিভ-ইন-পারটনার কাম হাউস কিপার কাম একমাত্র শুভাকাঙ্ক্ষী কাম এক মাত্র কথা বলার সঙ্গী।জাহানারা বা জাহা লম্বা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। শরীরের গঠন পেশিবহুল, শক্ত সমর্থ চেহারা।এই শরীরে যতই খাবার খাক মেদ জমেনা। চোখ,নাক, চিবুক কপাল ঠোঁট কোনটিই আহামরি নয় শুধু দাঁত আর চুল ছাড়া।গায়ের চামড়া করন এর বাড়িতে আসার পর থেকে উজ্জ্বল হয়েছে। তবুও দেখলে মনে হয় সুশ্রী। মুখে একটা আলগা শ্রী আছে।তবে যেঁটা আছে জাহার সেটা শরীরের গড়ন, এক ‘হাতছানি’ আছে শরীরে যা পুরুষের মনে দোলা দেবেই। করন এর টাকার অভাব নেই। দেশের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে শেয়ার বাজার এ লাগিয়ে প্রচুর আয় করেছে, এ ছাড়া সরকার থেকে প্রাপ্য টাকা সব মিলিয়ে করন উচ্চ মধ্যবিত্য তো বটে, হয়ত তার চাইতেও একটু উপরে। জাহানারা যখন স্বামী রফিক এর কাছে প্যাদানি খেয়ে ৩ বছরের বাচ্চু কে নিয়ে আসে, তখন তার বয়েস ২০। আজ ৩১ বছরের জাহানারা রীতিমতো এট্রাকটিভ। নিরক্ষর জাহানারা এখন বাংলা লিখতে পড়তে জানে, ইংরাজি পড়তে পারে, অল্প সল্প বলতে বা বুজতে পারে। করন এর টাকা পয়সা , ব্যাংক সব কিছু হিসাব রাখে। জাহানারার এই পরিবর্তন এর পিছনে আসল কারন, বাচ্চু। ৩ বছরের শিশু, বাড়িতে থাকলে মায়া পরবেই। করন জানে না কখন কি ভাবে সে প্রথম বাচ্চু কে কোলে নিয়েছিল। বাচ্চু করন কে ‘বন্ধু’ বলে ডাকে, করন ই শিখিয়েছে। জাহানারা আজ পর্যন্ত করন কে আপনি ছাড়া সম্বোধন করেনি, যদিও করন ‘তুই’ বলেই ডাকে। তাতে জাহানারা অখুসি না, সে জানে যে টুকু পেয়েছে তাই আশাতিত।করন এর সংসার সম্পূর্ণ তার, করন সম্পূর্ণ ভাবে তার উপর নির্ভরশীল। করন বাচ্চু কে ভালবাসে, নিখাদ ভালবাসা। সেই ভালবাসা থেকেই ব্যাংক এ জাহানারার নামে যে টাকা রেখেছে, তাতে করন হঠাৎ মারা গেলেও জাহানারা বাচ্চু কে ভালভাবেই বড় করে তুলতে পারবে। বাচ্চু, করন কে বোধহয় নিজের মায়ের থেকেও বেশি ভালবাসে।জাহানারর সাথে করন এর সম্পর্ক ১৩ বছরের বালক বুঝতে পারেনা, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় কিন্তু এক অদৃশ্য সুতো বাচ্চু আর করন কে বেঁধে রেখেছে। করন বাচ্চুর হিরো। বড় হয়ে বাচ্চু মিলিটারি তে যোগ দেবে, গোয়েন্দা বিভাগে এইটাই তার ইচ্ছা। “ তোকে বলব তুনি, সত্যি কথা জানাব, আগে হিসাব মিটিয়ে নি। গতকাল সকালেই তাকে পেয়েছি, তার বউ যাদের জন্য মারা গেছে, যাদের জন্য সে ১২ বছর জেলে কাটাল, তাদের জন্যই সতী নেই। আগে হিসাব মেটাই, তারপর। জাহার সাথে পরামর্শ করতে হবে। এই ব্যাপারে জাহা অনেকের থেকে ধুরন্দর, ঘা খেয়ে খেয়ে হয়েছে।“ নিজের মনে কথা বলে করন চোখ বুজল।