29-07-2021, 05:30 PM
.........আমি কিছু খোঁজ করেছি। একটি গাড়ি এসে দাড়িয়েছিল তোমাদের বাড়ির একটু দূরে। দুজন পিছনে আর একজন ড্রাইভার। ওই তিনজন এই কাজ করেছে। লোকাল লোকেদের সন্দেহ ওই দুই জমজ ভাইএর উপর। ড্রাইভার এর নাম জেনেছি, নকুল শর্মা। বিহারি কিন্তু পুরোপুরি বাঙালি হয়ে গেছে। আমার ধারনা ওই নকুল ই মিষ্টি কে নিয়ে ভেগেছে। কেননা ওই ঘটনার পর তাকে কেউ দেখেনি। কিন্তু সে কোথায় কেউ বলতে পারেনি।............চুপ করে চোয়াল শক্ত করে আদি শুয়ে রইল।
সন্ধ্যাবেলায় দুজনে বেরিয়েছে হাঁটতে। কিছু কেনা কাঁটা করবে।
.........মুন এখন পর্যন্ত জিজ্ঞ্যাসা করিনি,তুমি কি করো, তোমার চলে কি ভাবে?
.........জেলে থাকতে বিউটিশিয়ান কোর্স করেছিলাম। কলকাতায় একটা যায়গায় কাজ করি। নাম হয়েছে, অনেকেই পছন্দ করে। বড়লোকের মেয়ে বউরা কোন পার্টি বাঁ অনুষ্ঠান বাড়িতে যেতে হলে, দু একজন তাদের বাড়িতে আলাদা করে ডেকে নেয় ওতে ভালই আয় হয়। ।এ ছাড়া মেকআপ করতে পারি। তুমি এখন কি করবে?
...... মুন, আজ জেল থেকে বেরনোর মুখে এই কার্ড এক পুলিস অফিসার দিয়েছেন। কেন জানিনা। তোমাকে বলতাম রাত্রি বেলায়।দেখি উনি, কিছু যদি করেন। কিছু তো করতেই হবে, তোমার ঘাড়ে বসে কতদিন খাব।
.........এখনো ১ দিন পুরো হয়নি, এর মধ্যেই পৌরষে লাগল। আমি ওইটা জিজ্ঞ্যাসা করিনি। আমি জিজ্ঞ্যাসা করেছিলাম এই ভেবে যে তুমি কি ভাবে প্রতিশোধ নেবে। আমি কম্প্রমাইস করাকে অপছন্দ করি।
কথা বলতে বলতে দুজনে এক পার্ক এ বসেছে। আদি নিজের অজান্তে মুন এর হাত নিজের মুঠো বন্দি করে নিয়েছে
.........মুন। আমাকে তুমি কেন মনে রেখেছ? সকালে তোমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম
.........জেল খানায় সবাই আমার শরীরে সুযোগ পেলেই হাত দিতো। ব্যাতিক্রম তুমি।অনেক সুযোগ পেয়েছ কিন্তু তুমি কোনদিন অপমান করনি।
চুপ করে দুজনে হাত ধরে বসে রইল অনেক্ষন। হঠাৎ
.........মুন, রবিন কাছেই থাকত যাবে ওর বাড়ি? হয়ত কিছু সুত্র পেতে পারি
হেটে, রিক্সা চড়ে আধ ঘণ্টা মতো পর দুজনে এসে দাঁড়াল হাওরার এক পুরানো অঞ্চলে । কোন বাড়িই অন্তত ৭০-৮০ বছরের কম না। প্রতিটি বাড়িতেই একাধিক পরিবার বাস করে। এইরকম একটি বাড়ির সামনে এসে
.........মুন, এই বাড়িটা। ওইত লেটারবক্স এ লেখা আর খামারু কোচিং সেন্টার। সে আবার কি, কি করব?
......তুমি দাড়াও আমি দেখছি.........মুন এগিয়ে একটি ঘরের কড়া নাড়াল। দরজা খুলে সামনে দাঁড়াল এক ভদ্রলোক
.........কে আপনি, এখানে কি চাই?
.........আমাকে চিনবেন না। আদিত্য ঘোষ, রবিন বাবুর বন্ধু ছিলেন। তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন
ভদ্রলোক আপাদমস্তক কয়েকবার দেখল মুন কে।
......... সে এখন কোথায়, আপনি তার কে হন?
....... আপনি কি রবিন বাবু?.........’হ্যাঁ’ সুচক ঘাড় নাড়ালেন......” ভিতরে আসতে পারি”? মুন কে ভিতরে এনে বসালেন রবিন। ঘরে ৬ খানি লম্বা বেঞ্চ আর ডেস্ক। দেয়ালে একটি ব্ল্যাক বোর্ড। মানে এইটি ই কোচিং ঘর। একটু গলা পরিস্কার করে নিল মুন
.........আদিত্য কোন খুন করেনি। অন্তত কোর্ট তাই বলেছে। আদিত্যকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। আপনার সাথে আদির দ্যাখা হওয়া দরকার। আদি বাইরে দাঁড়িয়ে আছে.........শুনেই রবিন লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেলো। আর আদিকে জড়িয়ে ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দু হাতে জড়িয়ে কেঁদে দিল
.........ক্ষমা কর আদি। প্লিস আমার সব কথা শোন। ওই ঘটনা আমার জীবন তছনছ করে দিয়েছে
পুলিস আমার নামে ফলস কেস দিয়েছিল যে আমি তোর মেয়েকে চুরি করেছি। আসলে আটকে রেখেছিল যাতে আমি সাক্ষি না দিতে পারি। প্রচণ্ড মেরেছিল ঘোষাল দারগা। ৩ মাস পর বেল দেয়, কিন্তু শাসিয়ে দিয়েছিল ওদের কথা মতো না চললে আবারও কেস দেবে। কোম্পানি চাকরি থেকে বার করে দেয়। উকিলের পিছনে সব টাকা খরচ করে না খেতে পাওয়ার মতো অবস্থা। ক্ষমা কর আদি......... রবিনের গলার স্বর বুজে আসছে। আদি রবিনের হাত ধরে
সন্ধ্যাবেলায় দুজনে বেরিয়েছে হাঁটতে। কিছু কেনা কাঁটা করবে।
.........মুন এখন পর্যন্ত জিজ্ঞ্যাসা করিনি,তুমি কি করো, তোমার চলে কি ভাবে?
.........জেলে থাকতে বিউটিশিয়ান কোর্স করেছিলাম। কলকাতায় একটা যায়গায় কাজ করি। নাম হয়েছে, অনেকেই পছন্দ করে। বড়লোকের মেয়ে বউরা কোন পার্টি বাঁ অনুষ্ঠান বাড়িতে যেতে হলে, দু একজন তাদের বাড়িতে আলাদা করে ডেকে নেয় ওতে ভালই আয় হয়। ।এ ছাড়া মেকআপ করতে পারি। তুমি এখন কি করবে?
...... মুন, আজ জেল থেকে বেরনোর মুখে এই কার্ড এক পুলিস অফিসার দিয়েছেন। কেন জানিনা। তোমাকে বলতাম রাত্রি বেলায়।দেখি উনি, কিছু যদি করেন। কিছু তো করতেই হবে, তোমার ঘাড়ে বসে কতদিন খাব।
.........এখনো ১ দিন পুরো হয়নি, এর মধ্যেই পৌরষে লাগল। আমি ওইটা জিজ্ঞ্যাসা করিনি। আমি জিজ্ঞ্যাসা করেছিলাম এই ভেবে যে তুমি কি ভাবে প্রতিশোধ নেবে। আমি কম্প্রমাইস করাকে অপছন্দ করি।
কথা বলতে বলতে দুজনে এক পার্ক এ বসেছে। আদি নিজের অজান্তে মুন এর হাত নিজের মুঠো বন্দি করে নিয়েছে
.........মুন। আমাকে তুমি কেন মনে রেখেছ? সকালে তোমাকে দেখে অবাক হয়ে গেছিলাম
.........জেল খানায় সবাই আমার শরীরে সুযোগ পেলেই হাত দিতো। ব্যাতিক্রম তুমি।অনেক সুযোগ পেয়েছ কিন্তু তুমি কোনদিন অপমান করনি।
চুপ করে দুজনে হাত ধরে বসে রইল অনেক্ষন। হঠাৎ
.........মুন, রবিন কাছেই থাকত যাবে ওর বাড়ি? হয়ত কিছু সুত্র পেতে পারি
হেটে, রিক্সা চড়ে আধ ঘণ্টা মতো পর দুজনে এসে দাঁড়াল হাওরার এক পুরানো অঞ্চলে । কোন বাড়িই অন্তত ৭০-৮০ বছরের কম না। প্রতিটি বাড়িতেই একাধিক পরিবার বাস করে। এইরকম একটি বাড়ির সামনে এসে
.........মুন, এই বাড়িটা। ওইত লেটারবক্স এ লেখা আর খামারু কোচিং সেন্টার। সে আবার কি, কি করব?
......তুমি দাড়াও আমি দেখছি.........মুন এগিয়ে একটি ঘরের কড়া নাড়াল। দরজা খুলে সামনে দাঁড়াল এক ভদ্রলোক
.........কে আপনি, এখানে কি চাই?
.........আমাকে চিনবেন না। আদিত্য ঘোষ, রবিন বাবুর বন্ধু ছিলেন। তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন
ভদ্রলোক আপাদমস্তক কয়েকবার দেখল মুন কে।
......... সে এখন কোথায়, আপনি তার কে হন?
....... আপনি কি রবিন বাবু?.........’হ্যাঁ’ সুচক ঘাড় নাড়ালেন......” ভিতরে আসতে পারি”? মুন কে ভিতরে এনে বসালেন রবিন। ঘরে ৬ খানি লম্বা বেঞ্চ আর ডেস্ক। দেয়ালে একটি ব্ল্যাক বোর্ড। মানে এইটি ই কোচিং ঘর। একটু গলা পরিস্কার করে নিল মুন
.........আদিত্য কোন খুন করেনি। অন্তত কোর্ট তাই বলেছে। আদিত্যকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। আপনার সাথে আদির দ্যাখা হওয়া দরকার। আদি বাইরে দাঁড়িয়ে আছে.........শুনেই রবিন লাফ দিয়ে বেরিয়ে গেলো। আর আদিকে জড়িয়ে ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দু হাতে জড়িয়ে কেঁদে দিল
.........ক্ষমা কর আদি। প্লিস আমার সব কথা শোন। ওই ঘটনা আমার জীবন তছনছ করে দিয়েছে
পুলিস আমার নামে ফলস কেস দিয়েছিল যে আমি তোর মেয়েকে চুরি করেছি। আসলে আটকে রেখেছিল যাতে আমি সাক্ষি না দিতে পারি। প্রচণ্ড মেরেছিল ঘোষাল দারগা। ৩ মাস পর বেল দেয়, কিন্তু শাসিয়ে দিয়েছিল ওদের কথা মতো না চললে আবারও কেস দেবে। কোম্পানি চাকরি থেকে বার করে দেয়। উকিলের পিছনে সব টাকা খরচ করে না খেতে পাওয়ার মতো অবস্থা। ক্ষমা কর আদি......... রবিনের গলার স্বর বুজে আসছে। আদি রবিনের হাত ধরে