01-07-2021, 02:11 PM
বাড়ির গেটে যখন বেল দেই তখন সন্ধ্যে ৬.৩০ বাজে। রিনি গেট খুলে দেয়; আমি ভেতরে ঢুকবার সময়েই ও কেমন একটা ইশারা বুঝাতে চায়, কিন্তু শালুকে দেখেই চুপ হয়ে যায়। শালু আমায় দেখে উতসাহের সাথেই এগিয়ে আসে, মিষ্টির প্যাকেট গুলো নিয়ে বলে এলে এতক্ষণে? যাও কাপড় ছেড়ে এসো স্যারের সাথে কথা বল।
আমি ঘরে গিয়ে বিশেষ কিচুই পরিবর্তন দেখলাম না... বিছানা টা এমন ভাবে পরিপাটি করা, যেন গত তিন দিনে এখানে কেউ শোয়নি। আমি কাপড় চেঞ্জ করে চান ঘরে হাতমুখ ধুতে যাই।
মুখ হাত মুছতে বারান্দায় রাখা তোয়ালে নিতে গিয়ে দেখি নতুন দুইটা গামছা; একটা সবুজ একটা সাদা কালো চেক। ভাল বেশ ভাল, কেউ একটু আগেই চান করেচে বোঝা গেল.... দুজন চান করেছে, তাই দুটো গামছাই এখনও ভেজা।আবার ঘরে এসেই একটা জিনিস আমার চোখে পড়ল, আমার শেলফের পাটাতনে একটা দেশি হুইস্কি’র বোতল রাখা, বেশি আধখানা তার খালি; যার মানে ওই নারায়ণ মশায় এখানে আমার ঘরে মদ্দপান করেছেন, গেলাসও রাখা। হতেই পারে, গুরুজন ব্যাক্তি আমার শোবার ঘরে পান করতেই পারেন... মেহমান বলে কথা!!
যা হোক আমি বসার ঘরে চলে যাই, ওখানেই ছিলেন নারায়ণ স্যার (মাষ্টার)। আমি বিনয় ভরে ওনাকে প্রনাম করি;তিনিও উঠে দাঁড়িয়ে আমায় আশীর্বাদ করার মত করে ডান হাত তোলেন। খেয়াল করলাম, বেশ লম্বা, তা ৬ ফুট ২ তো হবেই, কুচকুচে কালো, চশমা পড়ে, বড় বেশী নয়, তবে টাইট একটা ভুঁড়ি আছে; গুরু গম্ভীর, তবে হাসলে বেশ ঝলমল করে মুখ টা। বয়স বুঝি ৪৬/৪৭ এর বেশী হবেই না।
আমি কুশলাদি জিজ্ঞেস করি, দুপুরে খাওয়া করেছেন কিনা তা খোঁজ নেই; আমিও তো মাষ্টার; না হলেও দেড়’শ ছেলেমেয়ে আমায়ও স্যার বলে ডাকে। তফাৎ, উনি কলেজ আমি কলেজ। so, there will be respect. আমি তাদের চিকিৎসা সম্বন্ধেও জানতে চাইলেম, বললাম, আমার পরিচিত অনেক ভাল ডক্টর আছে, তিনি চাইলে আমি পরিচয় করাতে পারি। উনি জানালেন উনার এক ছাত্রের বাবা ভাল ডক্টর হাপানির জন্য, কাল মিটিং আছে।
উনিও বেশ গুছিয়ে কথা বলেন আর জানালেন যে, আমি উনার জিবনে পাওয়া সবচেয়ে ভাল মেয়েটাকেই জীবন সঙ্গিনি করে পেয়েছি।উনার সাথে শালুদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতাও অনেক পুরনো আর ঘন।
আমি ভেতরে গিয়ে নারায়ণ মশায়ের স্ত্রী আর মাকে দেখলাম আমার মায়ের ঘরে শুয়ে বসে আচেন, টি.ভি. দেখচেন; আমি দুজনকেই প্রনাম জানিয়ে কুশলাদি জেনে রান্না ঘরের দিকে গেলেম। রিনি শালুকে খুব হেল্প করছে মোরগ পোলাও বানাতে... শালু বললে, দুপুরে তো যা ছিল তাই খেলাম সবাই ভরতা-ভাত; রাতে আসল খাবার। আমিও খুব খুশী ভাব দেখিয়ে ওদের উৎসাহ দিয়ে এলাম, মাষ্টারের মেয়েটা ৪/৫ বছরের হবে বুঝি; ওকে নিয়ে গল্পে গল্পে বসার ঘরে এসে নারায়ণ মশায়ের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে গল্পে মেতে থাকলাম।
আমি ঘরে গিয়ে বিশেষ কিচুই পরিবর্তন দেখলাম না... বিছানা টা এমন ভাবে পরিপাটি করা, যেন গত তিন দিনে এখানে কেউ শোয়নি। আমি কাপড় চেঞ্জ করে চান ঘরে হাতমুখ ধুতে যাই।
মুখ হাত মুছতে বারান্দায় রাখা তোয়ালে নিতে গিয়ে দেখি নতুন দুইটা গামছা; একটা সবুজ একটা সাদা কালো চেক। ভাল বেশ ভাল, কেউ একটু আগেই চান করেচে বোঝা গেল.... দুজন চান করেছে, তাই দুটো গামছাই এখনও ভেজা।আবার ঘরে এসেই একটা জিনিস আমার চোখে পড়ল, আমার শেলফের পাটাতনে একটা দেশি হুইস্কি’র বোতল রাখা, বেশি আধখানা তার খালি; যার মানে ওই নারায়ণ মশায় এখানে আমার ঘরে মদ্দপান করেছেন, গেলাসও রাখা। হতেই পারে, গুরুজন ব্যাক্তি আমার শোবার ঘরে পান করতেই পারেন... মেহমান বলে কথা!!
যা হোক আমি বসার ঘরে চলে যাই, ওখানেই ছিলেন নারায়ণ স্যার (মাষ্টার)। আমি বিনয় ভরে ওনাকে প্রনাম করি;তিনিও উঠে দাঁড়িয়ে আমায় আশীর্বাদ করার মত করে ডান হাত তোলেন। খেয়াল করলাম, বেশ লম্বা, তা ৬ ফুট ২ তো হবেই, কুচকুচে কালো, চশমা পড়ে, বড় বেশী নয়, তবে টাইট একটা ভুঁড়ি আছে; গুরু গম্ভীর, তবে হাসলে বেশ ঝলমল করে মুখ টা। বয়স বুঝি ৪৬/৪৭ এর বেশী হবেই না।
আমি কুশলাদি জিজ্ঞেস করি, দুপুরে খাওয়া করেছেন কিনা তা খোঁজ নেই; আমিও তো মাষ্টার; না হলেও দেড়’শ ছেলেমেয়ে আমায়ও স্যার বলে ডাকে। তফাৎ, উনি কলেজ আমি কলেজ। so, there will be respect. আমি তাদের চিকিৎসা সম্বন্ধেও জানতে চাইলেম, বললাম, আমার পরিচিত অনেক ভাল ডক্টর আছে, তিনি চাইলে আমি পরিচয় করাতে পারি। উনি জানালেন উনার এক ছাত্রের বাবা ভাল ডক্টর হাপানির জন্য, কাল মিটিং আছে।
উনিও বেশ গুছিয়ে কথা বলেন আর জানালেন যে, আমি উনার জিবনে পাওয়া সবচেয়ে ভাল মেয়েটাকেই জীবন সঙ্গিনি করে পেয়েছি।উনার সাথে শালুদের পরিবারের ঘনিষ্ঠতাও অনেক পুরনো আর ঘন।
আমি ভেতরে গিয়ে নারায়ণ মশায়ের স্ত্রী আর মাকে দেখলাম আমার মায়ের ঘরে শুয়ে বসে আচেন, টি.ভি. দেখচেন; আমি দুজনকেই প্রনাম জানিয়ে কুশলাদি জেনে রান্না ঘরের দিকে গেলেম। রিনি শালুকে খুব হেল্প করছে মোরগ পোলাও বানাতে... শালু বললে, দুপুরে তো যা ছিল তাই খেলাম সবাই ভরতা-ভাত; রাতে আসল খাবার। আমিও খুব খুশী ভাব দেখিয়ে ওদের উৎসাহ দিয়ে এলাম, মাষ্টারের মেয়েটা ৪/৫ বছরের হবে বুঝি; ওকে নিয়ে গল্পে গল্পে বসার ঘরে এসে নারায়ণ মশায়ের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে গল্পে মেতে থাকলাম।