24-06-2021, 09:30 AM
রেণু হারিয়ে গেল
ও কাছে এসে জিগ্যেস করল। একটু এগিয়ে গিয়ে চা খেয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। কেউই কোনও কথা বলছিলাম না।
আমার বাড়িতে তো না হয় কেউ জানল না। কিন্তু রেণুর বাড়িতে কী হতে যাচ্ছে, সেটা ভেবেই টেনশন হচ্ছিল ভীষণ।
কিন্তু খবর পাওয়ার তো কোনও উপায় নেই। কাল কলেজে দেখা হবে।
সেরাতে বাড়ি চলে এলাম।
পরের দিন নিয়মমতো কলেজে গেলাম। কিন্তু রেণু এল না কলেজে।
যে চার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলাম, তাদের মধ্যে দুজন আমার কলেজের বন্ধু। ওরা জিগ্যেস করল কাল কী হল।
আমি ওদের টাকাগুলো ফেরত দিতে দিতে বললাম থানায় ফিরে আসার পর কী হল।
ওরা শুনে বলল, ‘শুয়োরের বাচ্চা।‘
কিন্তু রেণু কেন এল না, সেটা জানা গেল না। ওর বাড়িতে তো যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
দুদিন তিনদিন কেটে গেল, রেণুর দেখা নেই। টিউশনেও যাচ্ছে না।
আমাকে কয়েকজন জিগ্যেস করল রেণু কোথায়। আমি পুরোটা না ভেঙ্গে বললাম রেণুর বাবা আমাদের একসঙ্গে দেখে ফেলে ঝামেলা করেছে।
ক্লাস করছি, কফি হাউসে যাচ্ছি, সবই কীরকম যন্ত্রের মতো। কোনওদিকেই মন নেই। যারা ব্যাপারটা জানে না, তারা বারে বারে জিগ্যেস করছে কী হয়েছে তোর।
বাড়িতেও কয়েকবার জানতে চাইল মনমরা হয়ে আছি কেন।
এড়িয়ে যেতে লাগলাম প্রশ্ন। কিন্তু রেণুর দেখা নেই।
প্রায় দেড় সপ্তাহ পড়ে কলেজের একটা বন্ধু কোথা থেকে জেনে এসে আমাকে খবর দিল যে রেণুর বাবা এসেছিল কলেজে। মেয়ের ট্র্যান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে। বলেছে ওরা নাকি কলকাতা থেকে চলে যাচ্ছে, তাই কলেজ বদল করতে হবে।
আমি তো অবাক, কলকাতা ছেড়েই চলে যাচ্ছে রেণু। ও একবার আমাকে জানালো না!!
পরে মনে হল কীভাবেই বা জানাবে। আমাদের কারও বাড়িতেই তো ফোন নেই। আর বাড়িতে হয়তো এতটাই কড়া নজরে রেখেছে যে বেরতে পারছে না।
পরের দিন টিউশন ক্লাসে গিয়ে শুনলাম, স্যারকে ওর বাবা জানিয়ে গেছেন যে দিল্লিতে চলে যাচ্ছে ওরা। তাই রেণু আর পড়বে না!
ওর কাছে পৌঁছনর কোনও রাস্তা নেই। বাধ্য হয়েই মন খারাপ করে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
মাস দুয়েক পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে লাগলাম। কিন্তু রেণুর চিন্তাটা গেল না রয়েই গেল রেণু আমার মনের মধ্যে।
ও কাছে এসে জিগ্যেস করল। একটু এগিয়ে গিয়ে চা খেয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। কেউই কোনও কথা বলছিলাম না।
আমার বাড়িতে তো না হয় কেউ জানল না। কিন্তু রেণুর বাড়িতে কী হতে যাচ্ছে, সেটা ভেবেই টেনশন হচ্ছিল ভীষণ।
কিন্তু খবর পাওয়ার তো কোনও উপায় নেই। কাল কলেজে দেখা হবে।
সেরাতে বাড়ি চলে এলাম।
পরের দিন নিয়মমতো কলেজে গেলাম। কিন্তু রেণু এল না কলেজে।
যে চার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলাম, তাদের মধ্যে দুজন আমার কলেজের বন্ধু। ওরা জিগ্যেস করল কাল কী হল।
আমি ওদের টাকাগুলো ফেরত দিতে দিতে বললাম থানায় ফিরে আসার পর কী হল।
ওরা শুনে বলল, ‘শুয়োরের বাচ্চা।‘
কিন্তু রেণু কেন এল না, সেটা জানা গেল না। ওর বাড়িতে তো যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
দুদিন তিনদিন কেটে গেল, রেণুর দেখা নেই। টিউশনেও যাচ্ছে না।
আমাকে কয়েকজন জিগ্যেস করল রেণু কোথায়। আমি পুরোটা না ভেঙ্গে বললাম রেণুর বাবা আমাদের একসঙ্গে দেখে ফেলে ঝামেলা করেছে।
ক্লাস করছি, কফি হাউসে যাচ্ছি, সবই কীরকম যন্ত্রের মতো। কোনওদিকেই মন নেই। যারা ব্যাপারটা জানে না, তারা বারে বারে জিগ্যেস করছে কী হয়েছে তোর।
বাড়িতেও কয়েকবার জানতে চাইল মনমরা হয়ে আছি কেন।
এড়িয়ে যেতে লাগলাম প্রশ্ন। কিন্তু রেণুর দেখা নেই।
প্রায় দেড় সপ্তাহ পড়ে কলেজের একটা বন্ধু কোথা থেকে জেনে এসে আমাকে খবর দিল যে রেণুর বাবা এসেছিল কলেজে। মেয়ের ট্র্যান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে। বলেছে ওরা নাকি কলকাতা থেকে চলে যাচ্ছে, তাই কলেজ বদল করতে হবে।
আমি তো অবাক, কলকাতা ছেড়েই চলে যাচ্ছে রেণু। ও একবার আমাকে জানালো না!!
পরে মনে হল কীভাবেই বা জানাবে। আমাদের কারও বাড়িতেই তো ফোন নেই। আর বাড়িতে হয়তো এতটাই কড়া নজরে রেখেছে যে বেরতে পারছে না।
পরের দিন টিউশন ক্লাসে গিয়ে শুনলাম, স্যারকে ওর বাবা জানিয়ে গেছেন যে দিল্লিতে চলে যাচ্ছে ওরা। তাই রেণু আর পড়বে না!
ওর কাছে পৌঁছনর কোনও রাস্তা নেই। বাধ্য হয়েই মন খারাপ করে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
মাস দুয়েক পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে লাগলাম। কিন্তু রেণুর চিন্তাটা গেল না রয়েই গেল রেণু আমার মনের মধ্যে।