26-12-2019, 03:50 PM
টুলু নতুন শাড়ি পরে কোলে বাচ্চানিয়ে বেরিয়েছে। বৃষ্টি বাদল দিনে ঘোড়াগাড়ি করে এগিয়ে চলেছে পেছনে সুধীরকে ফেলে রেখে। জ্বর গায়ে নিয়ে সুধীর দৌড়ালো ওদের আটকাতে। কিন্তু এক্কাগাড়ি আরো গতি বাড়িয়ে ছুটতে লাগলো। সুধীর হাত বাড়ালো ধরার জন্য, হুমরী খেয়ে পড়লো নিজে। সারা শরীর জুড়ে ব্যথা। চোখ খুলল সুধীর।
সামনে সাদা চাদরে লাল রঙের কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে।ঝাপসা চোখের সামনে আরো ফুটে উঠলো নীল আকাশ। দূরে সবুজের দেওয়া সাদা বালুর পারে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ছোটো ছোটো ঢেউ। হাত দিয়ে চোখ কোচলাতেই চোখ জ্বালা করে উঠলো। কোনো উপায়ে দাঁড়িয়ে একটু এগিয়ে সমানে থাকা নীল জল তুলে ঝাপটা দিলো। খানিকটা কষ্ট কমলেও পুরো পুরি মিটলোনা। সারা শরীরে সাদা বালুতে ভরা। সামনে ছোট্ট ছোট্ট লাল কাঁকরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে। সুধীর কাছে যেতেই সব হাওয়া। মাথার উপর প্রখর রোদ। মাথায় হাত দিতেই তপ্ত হাত সরিয়ে ফেললো। সামনে কিছু নারকেল গাছ। একটু খানি ছাওয়া পেতে দৌড় লাগলো সেই দিকে। সামনের কিছু গাছ পেরিয়ে তবে বেশ ঘন জঙ্গল। আসে পাশে কোনো বাড়ি বা বসার জায়গাটুকু নেই।
একটু খানি ছাওনি দেখে একটা ঢিপির ওপর বসে পড়লো সুধীর। এত ক্ষণে সুধীর সামনে শেষ না হওয়া নীল সমুদ্র দেখতে পেলো সুধীর। কোনো নৌকা বা জাহাজ কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি সুধীর এলো কি করে! একটু মনে করতেই আঁৎকে উঠলো। তাহলে কি ওদের জাহাজ ডুবে গেছে! তাহলে কি সবাই মারা গেছে! এখানে লোকজন আদেও আছে কি না! মুহূর্তে সুধীর হন্তদন্ত হয়ে চার পাশে কিছু খুঁজতে লাগলো। তিন দিকে জল এক পাশে জঙ্গল। দূরে কিছু একটা উপর হয়ে পড়ে থাকতে দেখে দৌড় মারলো সেদিকে। পেছন থেকে দেখলো আন্ডারবার আর ওপরে গেঞ্জি পড়া লোক। শরীর ফুলে গেছে। ধরে সোজা করতে ভয় পেলো সুধীর, মুখ হাঁ করা, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে এক লাল কাঁকরা।
আরো একটু সামনে আরো একটা শরীর। পরনে শত ছিন্ন শাড়ি মুখ কালো হয়ে গেছে চেনা ও যাচ্ছে না। তার পাশে আর একটা। সুধীর হয়ে আর এগোতে চাইলো না। ছাওনিতে ফিরে গলা তেষ্টা পেলো। কিন্তু আসে পাশে জলের কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। দূরে কিছু শুকনো নারকেল পরে থাকতে দেখে দৌড় লাগলো। পাশে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে থেতলে ছাড়াতে যথেষ্ট বেগ পেতে হলো সুধীরের। ভেতরের শেষ বিন্দু টুকু জল চেটে নিলো। কিছুটা সাদা শাঁস কামড়ে খেলো।
সুধীর বুঝেছে এখানে যতক্ষন না কিছু পাওয়া যায় ততক্ষণ নারকেল দিয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাই একটা পরিস্কার জায়গা দেখে বেশ কিছু নারিকেল জড়ো করে নিলো। সন্ধে হতে আর বেশি দেরি নেই। কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে রাত কাটানোর জন্যে। সমুদ্রের ধার বরাবর আবার হেঁটে চললো সুধীর যদি কিছু পাওয়া যায়। দুপুরের লাশ গুলো এখনও পরে রয়েছে একটা একটা করে ১৩টা শরীর পেরিয়ে এগিয়ে গেলো সুধীর সামনে কিছু জাহাজের কাঠ দেখতে পেলো সঙ্গে কিছু কাপড়ের পুটলি। সুধীর আগে জলে ভেজা পুটলি তুলে কাঠের পাটাতন টানার চেষ্টা করলো অনেক কষ্টে শুধু ডাঁঙ্গায় তুলে ছেড়ে দিলো। ফিরে আসতেই সুধীর দেখলো তার শেষ কাঙ্খিত চেহারা সেই শাড়ি সেই পাছা সেই খোলা মেদ বহুল পিঠ। সুধীর দৌড়ে গিয়ে উপর করতে দেখলো শ্বাস চলছে। এত কষ্টের মধ্যেও সুধীর খুশিতে চঞ্চল হয়ে উঠলো।
সামনে সাদা চাদরে লাল রঙের কিছু ঘুরে বেড়াচ্ছে।ঝাপসা চোখের সামনে আরো ফুটে উঠলো নীল আকাশ। দূরে সবুজের দেওয়া সাদা বালুর পারে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ছোটো ছোটো ঢেউ। হাত দিয়ে চোখ কোচলাতেই চোখ জ্বালা করে উঠলো। কোনো উপায়ে দাঁড়িয়ে একটু এগিয়ে সমানে থাকা নীল জল তুলে ঝাপটা দিলো। খানিকটা কষ্ট কমলেও পুরো পুরি মিটলোনা। সারা শরীরে সাদা বালুতে ভরা। সামনে ছোট্ট ছোট্ট লাল কাঁকরা দৌড়ে বেড়াচ্ছে। সুধীর কাছে যেতেই সব হাওয়া। মাথার উপর প্রখর রোদ। মাথায় হাত দিতেই তপ্ত হাত সরিয়ে ফেললো। সামনে কিছু নারকেল গাছ। একটু খানি ছাওয়া পেতে দৌড় লাগলো সেই দিকে। সামনের কিছু গাছ পেরিয়ে তবে বেশ ঘন জঙ্গল। আসে পাশে কোনো বাড়ি বা বসার জায়গাটুকু নেই।
একটু খানি ছাওনি দেখে একটা ঢিপির ওপর বসে পড়লো সুধীর। এত ক্ষণে সুধীর সামনে শেষ না হওয়া নীল সমুদ্র দেখতে পেলো সুধীর। কোনো নৌকা বা জাহাজ কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি সুধীর এলো কি করে! একটু মনে করতেই আঁৎকে উঠলো। তাহলে কি ওদের জাহাজ ডুবে গেছে! তাহলে কি সবাই মারা গেছে! এখানে লোকজন আদেও আছে কি না! মুহূর্তে সুধীর হন্তদন্ত হয়ে চার পাশে কিছু খুঁজতে লাগলো। তিন দিকে জল এক পাশে জঙ্গল। দূরে কিছু একটা উপর হয়ে পড়ে থাকতে দেখে দৌড় মারলো সেদিকে। পেছন থেকে দেখলো আন্ডারবার আর ওপরে গেঞ্জি পড়া লোক। শরীর ফুলে গেছে। ধরে সোজা করতে ভয় পেলো সুধীর, মুখ হাঁ করা, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে এক লাল কাঁকরা।
আরো একটু সামনে আরো একটা শরীর। পরনে শত ছিন্ন শাড়ি মুখ কালো হয়ে গেছে চেনা ও যাচ্ছে না। তার পাশে আর একটা। সুধীর হয়ে আর এগোতে চাইলো না। ছাওনিতে ফিরে গলা তেষ্টা পেলো। কিন্তু আসে পাশে জলের কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। দূরে কিছু শুকনো নারকেল পরে থাকতে দেখে দৌড় লাগলো। পাশে পড়ে থাকা পাথর দিয়ে থেতলে ছাড়াতে যথেষ্ট বেগ পেতে হলো সুধীরের। ভেতরের শেষ বিন্দু টুকু জল চেটে নিলো। কিছুটা সাদা শাঁস কামড়ে খেলো।
সুধীর বুঝেছে এখানে যতক্ষন না কিছু পাওয়া যায় ততক্ষণ নারকেল দিয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাই একটা পরিস্কার জায়গা দেখে বেশ কিছু নারিকেল জড়ো করে নিলো। সন্ধে হতে আর বেশি দেরি নেই। কিছু একটা ব্যবস্থা করতেই হবে রাত কাটানোর জন্যে। সমুদ্রের ধার বরাবর আবার হেঁটে চললো সুধীর যদি কিছু পাওয়া যায়। দুপুরের লাশ গুলো এখনও পরে রয়েছে একটা একটা করে ১৩টা শরীর পেরিয়ে এগিয়ে গেলো সুধীর সামনে কিছু জাহাজের কাঠ দেখতে পেলো সঙ্গে কিছু কাপড়ের পুটলি। সুধীর আগে জলে ভেজা পুটলি তুলে কাঠের পাটাতন টানার চেষ্টা করলো অনেক কষ্টে শুধু ডাঁঙ্গায় তুলে ছেড়ে দিলো। ফিরে আসতেই সুধীর দেখলো তার শেষ কাঙ্খিত চেহারা সেই শাড়ি সেই পাছা সেই খোলা মেদ বহুল পিঠ। সুধীর দৌড়ে গিয়ে উপর করতে দেখলো শ্বাস চলছে। এত কষ্টের মধ্যেও সুধীর খুশিতে চঞ্চল হয়ে উঠলো।