21-12-2019, 03:31 PM
এই যে দাদা, শুনুন কেবিনে খালি গায়ে গামছা পরে দয়া করে ঘুরে বেড়াবেন না।
সুধীর কোনো কথা না বলে বিছানায় রাখা ধুতি গেঞ্জি পরে জানালার দিকে মুখ করে বসে পড়লো। এই টুকু কেবিন এত গুলো লোকের জন্যে সত্যি কম, তার ওপর মনের ব্যবধান যখন আরো বেশি।
আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টির গতি আর জোরে হয়েছে, আসার সময়ে টুলু খুব কাঁদছিলো। সুধীরের ও খারাপ লাগছিল। না হয় একটু আপস করে টুলুর বাবার সাথে মানিয়ে নিলেই হতো। বাচ্চাটা কিছু না বুঝলেও মন উদাস ছিলো। এমন সময়ে বিকট আওয়াজ করে জাহাজ ছেড়ে দিলো।
রুবি, তুই কোথায় গেলি রে! এদিক আই বলছি! খ্যাঁন খ্যাঁন গলা নিয়ে মহিলা চেঁচিয়ে উঠলো।
আমার নাম শুভেন্দু মাইতি। আপনি? ভদ্র লোক সুধীরের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো।
আঁজ্ঞে আমার নাম সুধীর দাস।
আমরা যাচ্ছি ঘুরতে আন্দামান। আপনি!
আমার চাকরি ওখানে।
আপনি কিসে আছেন!
আঁজ্ঞে পোস্ট মাস্টার।
"এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা গেলো না " বলে মহিলা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
তা আপনি ওখানেই থাকেন তাহলে আপনার কাছে অনেক কিছু জানা যাবে মশাই।
আসলে আমিও প্রথমবার যাচ্ছি। নতুন ট্রান্সফার নিয়ে।
এমন সময়ে মহিলা কান ধরে অনেকটা মারতে মারতে একটি মেয়ে কে নিয়ে ঘরে এলো। সেই মেয়েটি।
সুধীরের এবার কেমন লজ্জা লাগতে শুরু করলো।
বেশ লম্বা। মুখটা লম্বা ধরণের। ঘরে ঢুকে বড়ো বড়ো চোখ দিয়ে সুধীরের দিকে তাকিয়ে কোন পরিবর্তন না এনে মায়ের দিকে তাকিয়ে খিল খিল করে হাসতে লাগলো।
সুধীর তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পড়লো না। ভুরু গুলো যেনো আঁকা। নাক বেশ নিকোলো। মাথার জল চওড়া কপাল পেরিয়ে ফোলা ফোলা ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে যেনো মধু মৌচাক উপচে গড়িয়ে পড়ছে। খাওয়ার কেউ নেই। কোমরে বেশ খানিকটা মেদ। বৃষ্টির জলে শাড়ি বিপর্যস্ত, এলোমেলো। পেটের নাভি যে বেরিয়ে পড়েছে সেই খেয়াল নেই।
বাবা তুমি ভিজে গেছো, কাপড় পাল্টে ফেলো তাড়াতাড়ি।
চোলুন সুধীর বাবু একটু বাইরে বসি গিয়ে
সুধীর খানিকটা লজ্জা পেয়ে বলে উঠলো
হ্যাঁ চলুন বাইরে।
প্রকৃতির কারণে জাহাজ ফাঁকা বললেই চলে। পাশের ঘর দুই জন তার পাশের ঘর খালি। বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু একটা চারমিনার সিগারেট এগিয়ে দিয়ে নিজে একটা ধরিয়ে বলো সুধীর বাবু বেশি ভাগ ঘর খালি। যদি ম্যানেজ করতে পারি আপনি কি পাশের ঘর যাবেন?
সুধীর কোনো কথা না বলে বিছানায় রাখা ধুতি গেঞ্জি পরে জানালার দিকে মুখ করে বসে পড়লো। এই টুকু কেবিন এত গুলো লোকের জন্যে সত্যি কম, তার ওপর মনের ব্যবধান যখন আরো বেশি।
আকাশ পরিষ্কার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টির গতি আর জোরে হয়েছে, আসার সময়ে টুলু খুব কাঁদছিলো। সুধীরের ও খারাপ লাগছিল। না হয় একটু আপস করে টুলুর বাবার সাথে মানিয়ে নিলেই হতো। বাচ্চাটা কিছু না বুঝলেও মন উদাস ছিলো। এমন সময়ে বিকট আওয়াজ করে জাহাজ ছেড়ে দিলো।
রুবি, তুই কোথায় গেলি রে! এদিক আই বলছি! খ্যাঁন খ্যাঁন গলা নিয়ে মহিলা চেঁচিয়ে উঠলো।
আমার নাম শুভেন্দু মাইতি। আপনি? ভদ্র লোক সুধীরের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো।
আঁজ্ঞে আমার নাম সুধীর দাস।
আমরা যাচ্ছি ঘুরতে আন্দামান। আপনি!
আমার চাকরি ওখানে।
আপনি কিসে আছেন!
আঁজ্ঞে পোস্ট মাস্টার।
"এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারা গেলো না " বলে মহিলা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
তা আপনি ওখানেই থাকেন তাহলে আপনার কাছে অনেক কিছু জানা যাবে মশাই।
আসলে আমিও প্রথমবার যাচ্ছি। নতুন ট্রান্সফার নিয়ে।
এমন সময়ে মহিলা কান ধরে অনেকটা মারতে মারতে একটি মেয়ে কে নিয়ে ঘরে এলো। সেই মেয়েটি।
সুধীরের এবার কেমন লজ্জা লাগতে শুরু করলো।
বেশ লম্বা। মুখটা লম্বা ধরণের। ঘরে ঢুকে বড়ো বড়ো চোখ দিয়ে সুধীরের দিকে তাকিয়ে কোন পরিবর্তন না এনে মায়ের দিকে তাকিয়ে খিল খিল করে হাসতে লাগলো।
সুধীর তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পড়লো না। ভুরু গুলো যেনো আঁকা। নাক বেশ নিকোলো। মাথার জল চওড়া কপাল পেরিয়ে ফোলা ফোলা ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে যেনো মধু মৌচাক উপচে গড়িয়ে পড়ছে। খাওয়ার কেউ নেই। কোমরে বেশ খানিকটা মেদ। বৃষ্টির জলে শাড়ি বিপর্যস্ত, এলোমেলো। পেটের নাভি যে বেরিয়ে পড়েছে সেই খেয়াল নেই।
বাবা তুমি ভিজে গেছো, কাপড় পাল্টে ফেলো তাড়াতাড়ি।
চোলুন সুধীর বাবু একটু বাইরে বসি গিয়ে
সুধীর খানিকটা লজ্জা পেয়ে বলে উঠলো
হ্যাঁ চলুন বাইরে।
প্রকৃতির কারণে জাহাজ ফাঁকা বললেই চলে। পাশের ঘর দুই জন তার পাশের ঘর খালি। বাইরে বেরিয়ে শুভেন্দু একটা চারমিনার সিগারেট এগিয়ে দিয়ে নিজে একটা ধরিয়ে বলো সুধীর বাবু বেশি ভাগ ঘর খালি। যদি ম্যানেজ করতে পারি আপনি কি পাশের ঘর যাবেন?