Thread Rating:
  • 20 Vote(s) - 2.75 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance কিছু সম্পর্ক
কিছু সম্পর্কঃ ৯ এর বাকি অংশ............ 



“ আচ্ছা, রাজীব ভাই কেমন আছেন?”

 
আবরার আর জান্নাত রাস্তার ধারে বসে বসে বাদাম খাচ্ছিলো , আসলে জান্নাত রাজীবের জন্য ওয়েট করছিলো , আজকেই আবরারের ব্যাপারটা রাজীব কে জানিয়ে দিতে চায় । রাজীব ও পার্টনার , তবুও নিজে নিজেই আবরারের ব্যাপারে ডিসিশন নিয়ে নেয়ায় , জন্নাত একটু চিন্তায় আছে , যদি রাজীব কিছু মনে করে , এই ভেবে । তাই হঠাত আবরারের মুখে রাজীবের কুশল জিজ্ঞাসা শুনে , আবরারের দিকে তাকায় , প্রথমে নর্মাল ভাবে , তারপর চোখ সরু করে ,  রাজীব যে এখানে আসছে সেটা জান্নাত বিশ পঁচিশ মিনিট আগেও বলেছে আবরার কে , আবরার চাইলে রাজীব এলে ওকে জিজ্ঞাস করতে পারতো , কিন্তু সেটা না করে ওকে জিজ্ঞাস করছে , এই জিজ্ঞাস করা যে অর্থ প্রনদিত সেটা জান্নাত বুঝতে পারে , অথচ এমন ভাব করছে , যেন এই প্রশ্ন জান্নাত কে করা খুব স্বাভাবিক । আবরার কেন যে থিয়েটারে চান্স পায়নি সেটা ভাবে জান্নাত ,
 
“ আচ্ছা থিয়েটারে কেন নেয় নি তোমাকে?” জান্নাত নির্লিপ্ত ভাবে জিজ্ঞাস করে , বাদাম কেনার আগে আবরার আর জান্নাত সমঝোতায় পৌঁছেছিলো ওরা যেহেতু সেইম ব্যাচের তাই একে অপর কে তুমি করে বলবে ।
 
“ মানে , হঠাত এই প্রশ্ন!!”
“ তুমি যদি আমাকে রাজীবের কুশল জিজ্ঞাস করতে পারো , তাহলে আমিও হঠাত এমন প্রশ্ন করতেই পারি কি বলো?” জান্নাত একটু কঠিন করেই বলে ,
 
“ আরে রাগ করছো কেন? তোমারা পাশা পাশি থাকো , তাই ভাবলাম………”
 
“ তোমাকে আমি বললাম না রাজীব আসছে , তুমি আর আধাঘণ্টা ওয়েট করতে পারলে না? এই প্রশ্ন রাজীব কে জিজ্ঞাস করার জন্য?”
 
উত্তরে আবরার হাসে ,
 
“ দেখ আবরার খোঁচাখুঁচির স্বভাব বাদ দাও , নইলে আমি রানীর কাছে তোমার প্রস্তাব পৌছুতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে বাধ্য হবো, এবং তোমাকে আরো কিছুদিনের জন্য ঘর ছাড়া করে রাখবো”
 
“ এই না না প্লিজ , ভুল হয়ে গেছে “
 
“ মনে যেন থাকে , আর এটাও মনে রাখবে আমি তোমার বস” জান্নাত হালকা ফানি টোনে বলে
 
“ ওকে বস , আমি আজ থেকে আপনার একনিষ্ঠ , আপনি চাইলে মুখ থেকে শব্দ বরুবে , না চাইলে আমি বোবা” এই বলে আবরার সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে কিছু বলতে চায় ,
 
সেটা দেখে জান্নাত কপাল কুঁচকে বলে “ মুখে বলো”
 
“ ওকে বস , আমি কি বাদাম খেতে পারি”
 
দুজন এক সাথে হেসে ওঠে , আর ঠিক ঐ মুহূর্তে জান্নাতের ফোন বেজে ওঠে , জান্নাত ফোন বের করে , রাজীব কল করেছে । জান্নাত ভাবে রাজীবের কালস তো আরো আধ ঘন্টার মত চলার কথা ,
 
রিসিভ করতেই রাজীবের উদ্বিগ্ন কণ্ঠ শুনতে পায় জান্নাত
 
“ জান্নাত , আব্বু , হসপিটালে , আমি  যাচ্ছি”    
 
“ তুই আছিস কোথায়?” জান্নাত সাথে সাথে জিজ্ঞাস করে ,
 
“ ক্লাস থেকে বের হয়েছি, বাইকের কাছে যাচ্ছি”
 
“ আমাকে সাথে নিয়ে যা , আমি রাস্তায় দাঁড়াচ্ছি”
 
জান্নাতের গলায় উদ্বেগ শুনে আবরার বুঝতে পারে ম কোন সমস্যা হয়েছে , জান্নাত কল কাট করতেই আবরার জিজ্ঞাস করে ।
 
“ ছোট আব্বু , ওনাকে হস্পিটালাইজ করা হয়েছে , আমি আর রাজীব সেখানে যাচ্ছি , তোমার ব্যাপারে পরে কথা বলবো , আবরার , তবে তুমি চিন্তা করো না , আমি একটা ব্যাবস্থা করছি”  
 
“ আরে না না , আমি কি আসবো , যদি কোন কাজে লাগে”
 
“ না  থাক , এখন আমরা বাইকে যাবো , লাগলে তোমাকে ডাকবো” কথা বলতে বলতে আবরার আর জান্নাত রাজীবের যাওয়ার পথে এসে দাড়ায় । আর এর কিছুক্ষন পর ই রাজীব এসে বাইক থামায় । আবরারের সাথে কোন ধরনের কথা হয় না রাজীবের । জান্নাত ও প্রায় কোন ধরনের বিদায় না নিয়ে , বাইকে উঠে পরে , সাথে সাথেই বাইক চালায় রাজীব । বেশ দ্রুত চালচ্ছে ।
 
“ রানী কে পেলাম না , রিং  হচ্ছে কিন্তু ধরছে না”  বাইক চালাতে চালাতে বলে রাজীব , আজকে ও আর হেলমেট এর ঝামেলায় যায়নি ।
 
“ আচ্ছা আমি ট্রাই করছি” এই বলে জান্নাত নিজের পকেট থেকে মোবাইল বের করে , বেশ কয়েকবার ট্রাই করে রিং হয় কিন্তু ধরে না । জান্নাত এক হাতে রাজীবের কাঁধ ধরে অন্য হাতে টাইপ করে “ রানী কল করিস”
 
****  
 
রহিম ক্লাস নেয়ার সময় ই একটু খারাপ বোধ করছিলো , তবুও ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলো । কিন্তু কিছুক্ষন পর বুকে চাপ বোধ করে , সেই সাথে  বমি ভাব , এক পর্যায়ে শরীর ঘামতে থাকে , ব্যাথা তীব্র আকার নেয় । রহিম আর টিকতে না পেরে বসে পরে , মুহূর্তেই ওর শরীর ঘেমে পরনের সার্ট ভিজে যায় ।
 
ছাত্ররা অবাক হয় এই দৃশ্য দেখে , কলেজের স্টুডেন্ট দের পড়াচ্ছিল , কিছু কিছু ছাত্র মিলে রহিম কে পার্শ্ববর্তী হসপিটালে নিয়ে যায় । সেখান থেকেই এক ছাত্র রহিমের মোবাইল থেকে রাজীব কে কল করেছে ।
 
জান্নাত আর রাজীব প্রায় দৌরে হসপিটালের নির্দিষ্ট অংশে পৌঁছুলে ডিউটি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ওকে ।
রাজীব প্রচণ্ড শকে আছে , ওর মাথা কাজ করছে না । রানী যখন অসুস্থ হয়েছিলো , রাজীব তখন বেশ ঠাণ্ডা মাথায় সব কিছু করেছিলো । কিন্তু আব্বুর কথা শোনার পর থেকে , রাজীবের ব্রেইন যেন নাম্ব হয়ে গেছে । কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। প্রচণ্ড আতংক পেয়ে বসেছে ওকে । একটা সিনারিও বার বার ওর মাথার ভেতর চলছে , সেই সিনারিওতে ওর আব্বু নেই , আর রাজীব চোখে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারছে না , রাজীব যেন নিজের চোখে দেখতে পারছে , ওদের পরিবার ছন্নছাড়া হয়ে যেতে ।
 
এই মানুষটি যতই নির্লিপ্ত থাকুক , তার উপস্থিতিই ওদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ । ওদের পরাবার কে যদি একটা গাছের সাথে তুলনা করা  হয় , তবে ঐ গাছের শেকড় আর কাণ্ড হচ্ছে ওদের আব্বু , যে ওদের জন্য খাবার সরবারাহর সাথে সাথে একটা শক্ত বেজ দিয়েছে দাঁড়ানোর জন্য ।
 
রাজীবের মনে পরে যায় , ইদানিং ওর আব্বুকে ও কত বিষয়ে কত ভাবেই না দুষেছে । কিন্তু আজ বুঝতে পারছে , এই মানুষটির আসল মূল্য । কোন কিছু না করেই কত কিছু করছে ওদের জন্য । যার সংখ্যা গুনে বের করা রাজীবের পক্ষে সবভব নয় । খবরটা সোনার পর থেকেই রাজীবের মন জপে যাচ্ছে ‘ প্লিজ এখন নয় , এভাবে নয় প্লিজ’
 
এখন ডাক্তারের সামনে দাড়িয়েও রাজীব সুধু এই জপে যাচ্ছে , কথা যা বলার জান্নাত বলছে ।
 
ডাক্তারঃ “ আমরা সন্দেহ করছি , মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক , মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন । চিন্তা করবেন না । আমরা খুব যত্নের সাথে প্রাথমিক ব্যাবস্থা নিয়েছি , এখন পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হবে , এখন আমাদের জানা জরুরি , ওনার ম্যাডিকাল হিস্টোরি , ওনার কি ডায়বেটিস , উচ্চ রক্তচাপ , বা অন্য কোন আন্ডারলেইং  ডিজিজ আছে?”   
 
ডাক্তারের এই প্রস্নে জান্নাত রাজীবের দিকে তাকায় , দেখে রাজীবের দৃষ্টি ব্ল্যাংক । ও এখানে নেই , ওর মনে অন্য ভাবনা চলছে । জান্নাত খুব ধিরে রাজীবের কাঁধে হাত রাখে , আর রাজীব চমকে ওঠে । চমকে উঠে জান্নাতের দিকে তাকায় । রাজীবের এমন ভাবে তাকানো দেখে জান্নাতের বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে । এমন অসহায় দৃষ্টি আর কোনদিন রাজীবের চোখে দেখছে কিনা ওর মনে পরে না । জান্নাতের মনে হয় রাজীবের মনে কেমন ঝড় চলছে সেটা আন্দাজ করাও ওর পক্ষে সম্ভব নয় ।
 
জান্নাত খুব নরম ভাবে রাজীব কে ডাক্তারের করা প্রশ্নটা পুনরায় করে ।
 
“ ওহ হ্যা , আব্বুর , ডায়বেটিস আছে , উচ্চ রক্তচাপ ও আছে , আর কোন জানা রোগ নেই” রাজীব দুর্বল ভাবে বলে ।
 
“ আপনি ওনার ছেলে হন?” এই বলে ইয়ং ডাক্তার রাজীবের কাঁধে হাত রাখে , “ চিন্তা করবেন না , ওনাকে সঠিক সময় নিয়ে আশা হয়েছে “ এই বলে ডাক্তার ওখানে দাড়িয়ে থাকা কিছু কলেজ ছাত্রের দিকে ইশারা করে । রাজীব ও ওদের দেখে , মাথা একটু নুইয়ে ওদের কাজ কে এপ্রিশিয়েট করে ।
 
ডাক্তার আবার বলে “ এখন আমরা কিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করবো , তারপর স্যার এসে সিধান্ত নেবেন , তবে চিন্তার কিছু নেই” এই বলে ডাক্তার হাসি মুখে বিদায় নেয় ।
 
রাজীব ছেলে গুলোর কাছে যায় , “ তোমাদের কি বলে ধন্যবাদ দেবো” রাজীবের কণ্ঠ থেকে কৃতজ্ঞতা উপচে পরে ।
 
“ আরে না ভাইয়া , স্যার আমাদের খুব স্নেহ করেন , ওনার জন্য এটুকু করতে পারবো না?”
 
ছেলে গুলো বিদায় নেয় , আর তখন রাজীব কে আবার আতংক পেয়ে বসে । রাজীব আবিস্কার করে , ও নিজেকে যতটা আত্মবিশ্বাসী  মনে করে, আসলে  ততটা না , ওর আত্মবিশ্বাস এর উৎস হচ্ছে ওর আব্বু । যাকে ও প্রায়ই একিউজ করে কিছু না করার জন্য । রাজীবের ভীষণ কান্না পায় । দেয়ালের সাথে ঠেশ দিয়ে দাড়িয়ে পরে রাজীব । শরীর কাঁপিয়ে কান্না আসে ওর । পাশে দাড়িয়ে জান্নাত ওর একটা বাহ সুধু ধরে রাখে । নিজে মনের ভেতর খুজতে থাকে কিভাবে রাজীব কে সান্তনা দেয়া যায়।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 2 users Like gungchill's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
বেশি কিছু বলে লাভ নেই, এক কথায় নিখুঁত।

পড়তে খুব ভালো লাগছিলো, একেবারে স্মুথ বর্ণনা।

কথোপকথনে কোনো জড়তা ছিল না, প্রাঞ্জল একটা অনুভুতি ছিল। কোথাও মনে হয় নি কোনো কথা জোর করে বলানো। সবকিছু গোছগাছ করা, আর ম্যাটিকুলাস ভাবে চিন্তা করা।

বাবার কিছু হবে না, প্রে করি। রাজীবকে আর কষ্ট পেতে দেখতে ভালো লাগে না। হি ডিজার্ভস বেটার। কিন্তু আপনি ঘোষণা দিয়েই রেখেছেন, বেচারাকে সাফার করাবেন। কিন্তু অনুরোধ থাকবে ওর প্রতি কঠোর থেকেন না, বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যথা হয় কষ্টে (আমি একটু আবেগী কি না, লোল)।

ভালোবাসা নেবেন।
Blush
[+] 1 user Likes ধূমকেতু's post
Like Reply
Very nice
[+] 1 user Likes Saj890's post
Like Reply
(30-10-2025, 09:03 PM)ধূমকেতু Wrote: বেশি কিছু বলে লাভ নেই, এক কথায় নিখুঁত।

পড়তে খুব ভালো লাগছিলো, একেবারে স্মুথ বর্ণনা।

কথোপকথনে কোনো জড়তা ছিল না, প্রাঞ্জল একটা অনুভুতি ছিল। কোথাও মনে হয় নি কোনো কথা জোর করে বলানো। সবকিছু গোছগাছ করা, আর ম্যাটিকুলাস ভাবে চিন্তা করা।

বাবার কিছু হবে না, প্রে করি। রাজীবকে আর কষ্ট পেতে দেখতে ভালো লাগে না। হি ডিজার্ভস বেটার। কিন্তু আপনি ঘোষণা দিয়েই রেখেছেন, বেচারাকে সাফার করাবেন। কিন্তু অনুরোধ থাকবে ওর প্রতি কঠোর থেকেন না, বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যথা হয় কষ্টে (আমি একটু আবেগী কি না, লোল)।

ভালোবাসা নেবেন।

ধন্যবাদ ভাই , আপনার কাছ থেকে "নিখুঁত" শব্দটা  সত্যি ই আমার জন্য প্রেরণা দায়ক । 

না এতো ছোট এটাকে রহিমের মনে হয় না কিছু হবে । 

রাজীবের সাফারিং এর জন্য আমাকে দায়ি করলেন ভাইয়া!!! ওকে ঠিক আছে , আমি আই অপবাদ থেকে মুক্তি চাই , এর জন্য আমি রাজীব কে কিছু টিপস দিবো ,যদি ও আমার কথা শোনে তাহলে এক সপ্তার মাঝে ওর সাফারিং এর শেষ হবে ।  


১/ কারো কথা ভাবতে হবে না , নিজেকে নিয়ে ভাবো । বাকি সবাই যে যারটা বুঝে নিক ? বিশেষ করে রানী। 

২/ বাবা কে চাপ দাও বাড়িটা যেন কোন কম্পানি কে দিয়ে ডেভ্লপ করে নেয় । এেতে প্রচুর টাকা হাতে আসবে , অনেক ফ্ল্যাট ও পাওয়া যাবে , মাসে মাসে প্রচুর ভাড়া , বাবাকে আর কাজ ও করতে হবে না। 

৩/ নিজের ক্যারিয়ারের উপর ফোকাস করো , পরিবারের জন্য টাকা উপার্জন নয় , এতে তুমি বেশি সাকসেস পাবে । 

৪/রানী যদি এর পর উল্টো পাল্টা কিছু করে , ওকে বলো " গো টু হেল" 

৫/ তোমাকে যেসব ব্যাপার গুলো রানীর প্রতি তোমার বিশেষ দায়িত্ব আছে শিখিয়েছে , সেগুলো ভুলে যাও , একেবারে কবর দিয়ে দাও । 

৬/জান্নাতের ব্যাপারে তোমার মন কি বলে সেটা করো , তোমার বড় আব্বু জয়নাল কি ভাববে সেটা নিয়ে এতো ভেবে কাজ নেই ।আর যদি মনে করো একেবারেই পারবে না , তাহলে ছেড়ে দাও , আশেপাশে দেখো , তোমার জন্য কত মেয়ে বসে আছে , লাইফ এঞ্জয় করো । 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঃ  কোন কিছু করার আগে সব সময় নিজেকে নিয়ে ভাববে ,যদি দেখন নিজের জন্য ভালো হচ্ছে ,তখন কার কি হচ্ছে এসব ভাববে না  । 


দেখেন রাজীব আমার কথা শোনে কিনা  Big Grin
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
(31-10-2025, 07:47 AM)Saj890 Wrote: Very nice

thanks
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
(31-10-2025, 04:23 PM)gungchill Wrote: ধন্যবাদ ভাই , আপনার কাছ থেকে "নিখুঁত" শব্দটা  সত্যি ই আমার জন্য প্রেরণা দায়ক । 

না এতো ছোট এটাকে রহিমের মনে হয় না কিছু হবে । 

রাজীবের সাফারিং এর জন্য আমাকে দায়ি করলেন ভাইয়া!!! ওকে ঠিক আছে , আমি আই অপবাদ থেকে মুক্তি চাই , এর জন্য আমি রাজীব কে কিছু টিপস দিবো ,যদি ও আমার কথা শোনে তাহলে এক সপ্তার মাঝে ওর সাফারিং এর শেষ হবে ।  


১/ কারো কথা ভাবতে হবে না , নিজেকে নিয়ে ভাবো । বাকি সবাই যে যারটা বুঝে নিক ? বিশেষ করে রানী। 

২/ বাবা কে চাপ দাও বাড়িটা যেন কোন কম্পানি কে দিয়ে ডেভ্লপ করে নেয় । এেতে প্রচুর টাকা হাতে আসবে , অনেক ফ্ল্যাট ও পাওয়া যাবে , মাসে মাসে প্রচুর ভাড়া , বাবাকে আর কাজ ও করতে হবে না। 

৩/ নিজের ক্যারিয়ারের উপর ফোকাস করো , পরিবারের জন্য টাকা উপার্জন নয় , এতে তুমি বেশি সাকসেস পাবে । 

৪/রানী যদি এর পর উল্টো পাল্টা কিছু করে , ওকে বলো " গো টু হেল" 

৫/ তোমাকে যেসব ব্যাপার গুলো রানীর প্রতি তোমার বিশেষ দায়িত্ব আছে শিখিয়েছে , সেগুলো ভুলে যাও , একেবারে কবর দিয়ে দাও । 

৬/জান্নাতের ব্যাপারে তোমার মন কি বলে সেটা করো , তোমার বড় আব্বু জয়নাল কি ভাববে সেটা নিয়ে এতো ভেবে কাজ নেই ।আর যদি মনে করো একেবারেই পারবে না , তাহলে ছেড়ে দাও , আশেপাশে দেখো , তোমার জন্য কত মেয়ে বসে আছে , লাইফ এঞ্জয় করো । 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঃ  কোন কিছু করার আগে সব সময় নিজেকে নিয়ে ভাববে ,যদি দেখন নিজের জন্য ভালো হচ্ছে ,তখন কার কি হচ্ছে এসব ভাববে না  । 


দেখেন রাজীব আমার কথা শোনে কিনা  Big Grin

তার দরকার নেই। রাজীবকে আমরা এভাবেই ভালোবাসবো।  চলুক যেমন চলছে। শুধু অনুরোধ স্পট লাইট যেন ওর দিকেই বেশি থাকে। আমার মতো রাজীবকে ভালোবাসে এমন লোক মনে হয় আরো আছে।
আমাদের দিকটা একটু কনসিডার করিয়েন।
Blush
[+] 1 user Likes ধূমকেতু's post
Like Reply
গতকাল একটা প্রশ্ন মাথায় এসেছে ,অন্য কারো মাথায় এসেছে কিনা আমি জানি না , প্রশ্ন ই করে  দুই একজন , বাকিরা তো প্রস্নই করেনা । 

গতকাল গল্পটা যখন লিখছিলাম , তখন হঠাত মনে হলো একটা চরিত্র যাকে প্রায় দেখাই যায় না মাঝে মাঝে মেনশন হয়  , সে হচ্ছে জয়নাল । কেন দেখা যায় না ?  কেউ কি বলতে পারবেন ?
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
স্পটলাইট থাকবে ,অবশ্যই থাকবে , রাজীব আমার চোখে এই গল্পের সবচেয়ে অবাস্তব চরিত্র , আর অবাস্তব চরিত্রই হিরো হয় ,বাস্তবে হিরো খুজে পাওয়া বেশ কঠিন । 

 আমার মতে , একজন হিরোকে , কে সবচেয়ে বেশি সুন্দর করে্ পটট্রেইট করতে পারে জানেন ? 

একজন লুজার । আমি রাজীব কে খুব যত্ননিয়ে ট্রিট করবো । চিন্তা করবেন না ।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 1 user Likes gungchill's post
Like Reply
Waiting
[+] 1 user Likes Saj890's post
Like Reply
(01-11-2025, 07:45 AM)Saj890 Wrote: Waiting

আজকে হয়তো নয় , আগামিকাল পাবেন ভাই । লেখা চলছে ।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
আজকে লেখা দেওয়ার কথা ছিলো, অপেক্ষায় আছি।
Blush
[+] 2 users Like ধূমকেতু's post
Like Reply
(02-11-2025, 07:15 PM)ধূমকেতু Wrote: আজকে লেখা দেওয়ার কথা ছিলো, অপেক্ষায় আছি।

পলিশ করছি ভাই
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
কিছু সম্পর্কঃ ৯ ()

 
হাইওয়ের দুই পাশে শুকনো ঘাসে শেষ শীতের ঝলমলে আলোতে সোনালি বর্ণ ধারন করেছে রাস্তার দুপাশে গাছের সারি, বাতাসে হালকা ধুলোর গন্ধ দুপুরের সূর্যটা মাথার একটু ওপরে, আলোটাও বেশ নরম গায়ে লাগলে গরম না, বরং একরকম আলসেমি ছড়িয়ে দেয়  
জয়ের বাইকের গর্জনটা যেন এই নিস্তব্ধ দুপুরের একমাত্র শব্দফিরতি পথে জয় বাইক চালাচ্ছে মাঝারি গতিতে, সানগ্লাসে ওর মুখের অর্ধেক ঢাকা থাকায় ওর চোখের দৃষ্টি কেমন তা বোঝা যাচ্ছে না তবে ঠোঁটে একটা তৃপ্তির হাসি, পেছনে রানী বসে আছে চুল বাতাসে উড়ছে, হাত রাখা জয়ের কোমরে  আপাত দৃষ্টিতে রানীর চেহারা নির্লিপ্ত মনে হলেও ভেতর একটা দ্বন্দ্ব চলছে , তার আভাষ হঠাত হঠাত ই ভেসে উঠছে ।
 
একটু পর জয় বলে ওঠে রানী, তোর কাছে কেমন লেগেছে, সত্যি করে বল 
 
রানী কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিচু স্বরে বলে, ভালো না  যদিও রানীর মন বলছে ওর ভালো লেগেছে , সুধু ভালই লাগেনি , এমন অভিজ্ঞতা আজ  পর্যন্ত  ওর জীবনে আসেনি  ।  রানী যদি বলতো ওর ভালো লেগেছে , তবুও ওর মনের কথা পুরো পুরি প্রকাশ পেতো না । তবে রানীর মন জুড়ে সুধুই এই ভালোলাগার অনুভূতিটার একক আধিপত্য নেই , সেখানে কিছুটা ভয় ও বসবাস করছে । আধিপত্যর জন্য লড়াই করছে , নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে ।  
 
জয় মৃদু আত্মবিশ্বাসী হাসি হাসে , বলে তোকে বললাম সত্যি করে বল , আর তুই একদম ডাহা মিথ্যা বললি!!”
 
জয়ের অভিযোগ শুনে রানী হাসে।
 
রানী জানে জয়ের আর ওর এই সম্পর্ক কেউই স্বাভাবিক ভাবে নেবে না, অন্তত এই মুহূর্তে তো নয় ই । ওদের দুই পরিবারের সুধু একজন সদস্য ওদের এই ব্যাপারটা জানে । সে হচ্ছে জান্নাত , আর এই কয়দিনে জান্নাত রানীকে আড়ে ঠারে বেশ কয়েকবার বলার চেষ্টা করেছে , রানী যেন জয়ের পাল্লায় পরে নিজের পড়াশুনার ক্ষতি না করে ।  বার বার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে , রানীর উপর ওর আব্বু আর রাজীবের প্রত্যাশার কথা । এই নিয়ে রানী নিজেও বেশ কিছুটা চাপে আছে । রানী এও জানে ওর আব্বু হয়তো মুখ কিছু বলবে না , কিন্তু মনে মনে কিছুটা দুঃখ পাবে , আর রাজীব , রাজীব হয়তো খুব রিয়েক্ট করবে । আজকাল জয়ের প্রতি রাজীবের দৃষ্টিভঙ্গি আগের মত নেই ।  
 
কিরে? সত্যি করে বলনা , এই যে তোকে হাইজ্যাক করে নিয়ে এলাম , তোর কেমন লাগলো”  জয় আবার জিজ্ঞাস করে
 
  জয়, আমি চাই আমাদের দিকে কেউ যেন আঙুল তুলতে না পারেকেউ যেন বলতে না পারে জয় রানীর সম্পর্ক ওদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেআমি সবাইকে দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা একে অপরের জন্য ক্ষতিকর নাআমরা একে অপরের জন্য বাধা না হয়ে এগিয়ে যাওয়ার মোটিভেশন হতে চাই আমি আরো চাই আমরা ধৈর্যের সাথে সুন্দর একটা জীবন গঠন করবো  কথা গুলো রানী বেশ আবেগ মিশিয়ে বললেও ওর গলা কাঁপে না , তার বদলে একটা শান্ত দৃঢ় ভাব থাকে ।
 
রানীর কথা গুলো জয় খুব মনোযোগ দিয়ে শোনে , বাধা দেয়না । জয়ের চোয়াল কিছুটা শক্ত হয় , নাহ,  রাগে বা বিরক্তিতে নয় । যেন মনে মনে দৃঢ় সংকল্প বাধছে  ।
 
  
জয় হালকা হেসে,  বলে,আমার কাছে জীবন মানে কী জানিস?” 
 
কি?” রানী মৃদু স্বরে বলে ।  
 
বাতাসে রানীর চুল উড়ে এসে জয়ের গালে লাগে 
 
 জীবন মানে অতীত নয়, জীবন মানে ভবিষ্যৎও নয়জীবন হচ্ছে আজ, এখন, এই মুহূর্তযদি জীবনটা সুন্দর করে বাঁচতে চাস, তাহলে এই মুহূর্তটা উপভোগ কর অতীতকে আঁকড়ে ধরে নয়, ভবিষ্যতের ভাবনা ভেবে নয়তবেই জীবন সার্থক হবে, সুন্দর মনে হবে , বাঁচতে ইচ্ছে হবে অনেকদিন  
 
রানী চুপ করে যায়ওর চোখে রোদের প্রতিফলন পড়ে  এক হাতে নিজের অবাধ্য চুল গুলোকে জায়গা মতন ফিরিয়ে নিয়ে আসে ।
 সারা জীবন ও শুনেছে ভবিষ্যতের জন্য বাঁচতে হয়, অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়, আজকে সঞ্চয় করতে হয় আগামী কালের জন্য 
 
কিন্তু জয়ের কথা যেন সেই সমস্ত শেখা ধারণাগুলোর ভিত কাঁপিয়ে দিলোওর মনে হয় সত্যিই তো, এই যে এত সুন্দর মুহূর্ত,
ও যেন ঠিকমতো অনুভবই করতে পারছে নামন ভরে আছে ভবিষ্যতের চিন্তায় পরীক্ষা, ক্লাস,  এসব চিন্তা ওর কাছ থেকে বর্তমানের সুখ চুরি করে  নিচ্ছে, ওর অজান্তেই 
 
 
রানী মৃদু স্বরে বলে , “ তবুও ভয় হয় , আমার ভবিষ্যতের জন্য তোমাকে কেউ দায়ি করুক আমি সেটা চাই না জয়”  
 
কে কি ভাবছে, তার কোনো মূল্যই আমার কাছে নেইতুই কি ভাবছিস, সেটাই আমার জন্য ইম্পরট্যান্টতোর কাছে কি মনে হয় আমি তোর ভবিষ্যতের জন্য হানিকারক?”   
 
জয়ের কণ্ঠে ছিলো দৃপ্ত প্রত্যয়, যা রানীকে দারুন প্রভাবিত করে ,  রানী হালকা শ্বাস ফেলে বলে,তুমি-ই আমার ভবিষ্যৎ জয় 
 
জয় হেসে মাথা নাড়ায়, বাতাসে ওর চুল উড়ে , রানীর বলা ঐ ছোট্ট বাক্যটা যেন শীতের অস্বস্তিকর শীতল বাতাসে আরামদায়ক উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছে , এমন মনে হয় ওর কাছে । নিজের ভেতর আত্মবিশ্বাস উথলে ওঠা টের পায় , নিজেকে এই মুহূর্তে দুনিয়ার বাদশা মনে হয় ।  
 
আর তুই আমারআমরা নিজেরা ঠিক করবো আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবেআর কাউকে আমাদের মাঝে নাক গলাতে দেবো না, কোনোদিন না 
 
জয়ের এই আত্মবিশ্বাসের ছিটা যেন রানীর শরীরে এসেও পরে , রানী জয়ের জন্য আনন্দিত হয়ে , মনে মনে ভাবে , এই ছেলেটাকে সবাই হালকা ভাবে নেয় , কেউ একে ঠিক বুঝতে পারে না । রানী সিধান্ত নেয় আজ থেকে ও জয় কে বুঝতে চেষ্টা করবে , রানী একটু চুপ থেকে বলে,
 
জয়…”
 
হুঁ?”
 
তোমার সাথে থাকলে জীবনটা অনেক সহজ মনে হয়সত্যিই কি জীবন এমন সহজ?”
 
জয় একটু হেসে রাস্তায় চোখ রেখে বলে,
 
কিছুদিন পর তুই নিজেই বুঝে যাবিআর কটা দিন আমার সাথে থাক,তোকে এতদিন যা শেখানো হয়েছে,আমি সেগুলো একটা একটা করে উপড়ে ফেলবো তখন দেখবি জীবন আসলে অতটা কঠিন নয় যতটা আমরা ভাবি
 
রানীর গলায় একরকম প্রশান্তির কম্পন, সেই সাথে প্রবল আকুতি  আমিও তাই চাই জয়তোমার সাথে আমি জীবন উপভোগ করতে চাইআমার কাছে মনে হয়, আজ পর্যন্ত আমি জীবন কী সেটাই দেখিনি দেখেছি শুধু কিছু অতীতের দুঃখ, ভবিষ্যতের আশ্বাস,আর বর্তমানের সংগ্রাম তুমি আমাকে জীবন কি সেটা সেখাও , আমাকে বাঁচতে শেখাও  রানী জয়ের পিঠে পরম নির্ভরতায় মাথা রাখে , হাত দুটো দিয়ে জয়ের বুকের কাছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে । রানীর বুক লেপ্টে থাকে জয়ের পিঠে ,একে অন্যের হার্ট বিট অনুভব করে  হৃদয় দিয়ে । রানীর মনে হয় জয়ের হার্টের প্রতিটা বিট ওকে বলছে আমি আছি তোর জন্য , আর কারো দরকার নেই
 
বাইকটা এগিয়ে চলে দূরে কিছু পাখি উড়ছে, বাতাসে হালকা ধুলো উড়ছে
দুজনের ছায়া লম্বা হয়ে মিশে যায় রাস্তায়চারপাশে শুধু রোদ, বাতাস, আর এক শান্ত দুপুর  জীবন যেন সত্যিই সহজ মনে হয়
 
****
 
রাজীব কেঁদেই চলেছেচোখের জল যেন থামতেই চায় নাজান্নাত চুপচাপ রাজীবের এক বাহু ধরে দাঁড়িয়ে আছেনিঃশব্দ সান্ত্বনার মতোচারপাশের মানুষজন কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে; কারো চোখে সহানুভূতির ছোঁয়া, কারো চোখে নিছক কৌতূহলকিন্তু এসব রাজীবের কাছে অর্থহীনওর কান্না শুধু আব্বুর অসুস্থতার জন্য নয়ওর মনে হচ্ছে, আব্বুর কিছু হয়ে গেলে পৃথিবীতে সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়বে  নিজেইসেই নির্মম, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কাই যেন রাজীবের বুক ফুঁড়ে কান্না হয়ে বেরিয়ে আসছে 
 
রাজীবকে এভাবে কাঁদতে দেখে জান্নাতের বুকটাও কেমন করে উঠছেকী বলবে? কীভাবে সান্ত্বনা দেবে? ওর ভীষণ বলতে ইচ্ছে করছে[i][/i]তুই কাঁদিস না রাজীব, তুই কাঁদলে আমার জগৎটাই এলোমেলো হয়ে যায়আমি নিজেকে সামলাতে পারি না[i][/i]
কিন্তু ও বলতে পারে না , চুপ করে থাকেবলতে না পারার সেই যন্ত্রণা জান্নাতকে আরও বেশি অসহায় করে তুলছেআজ ওর কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছেঅধিকারহীন ভালোবাসার চেয়ে অসহায় আর কিছু নেই এই পৃথিবীতে 
 
ওর মনে হয়, যদি পারত, তাহলে সেই কবির সামনে গিয়ে দাঁড়াতোসেই কবি, যিনি লিখেছিলেন [i][/i]ভালোবাসা মানে শুধু বলা ছোঁয়া বা অধিকার নয়, ভালোবাসা থাকে কাঁপা ঠোঁটে, চোখের আড়াল করা দৃষ্টিতে[i] [/i]জান্নাত আজ বলতে চায়[i][/i]দেখো, তোমার কাঁপা ঠোঁটের ভালোবাসার কী পরিণতি! এমন ভালোবাসা আমি চাই নাআমার চাই বুকে জড়িয়ে ধরার অধিকার, চাই দুঃখ ভাগ করে নেয়ার অধিকার 
 
জান্নাত রাজীবের চোখের দিকে তাকিয়ে ধীরে বলেরাজীব, নিজেকে শক্ত করতুই যদি এভাবে ভেঙে পড়িস, তাহলে রানী কী করবে?”  
 
কিছুটা কাজ হয় , জান্নাত জানতো কাজ হবে । রানীর কথা উঠলেই রাজীব এলারট হয়ে ওঠে , যেন কেউ কোন অদৃশ্য সুইচ টিপে দেয় । যদিও ব্যাপারটা স্বাভাবিক নয় , তবুও জান্নাত রানীকে কিছুটা হিংসা না করে পারে না । নিজেকে রানীর জায়গায় রেখে রাজীবের এমন অখণ্ড মনোযোগ পাওয়ার লোভ হয়   । কিন্তু নিজের এই অনুভূতি সফল ভাবে লুকিয়ে রাখে জান্নাত ,
 
তুই যদি এভাবে কাঁদিস , তাহলে রানী কি করবে ? আর ডাক্তার তো বলে গেলো , এটা মাইল্ড , ছোট আব্বুর কিছুই হবে না , দু দিনে বাড়ি যেতে পারবে”  নিজের গলা যতটা সম্ভব শান্ত রেখে জান্নাত রাজীব কে খুব ধিরে ধিরে নিচু স্বরে কথা গুলো বুঝিয়ে বলে।
বেশ কিছুক্ষন পর , রাজীব কিছুটা ধাতস্ত হয় , নিজেকে সামলে নিতে থাকে , জান্নাত বুঝতে পারে রাজীবের ভেতর এখনো ঝড় চলছে , কিন্তু রাজীব নিজের ডিফেন্স মেকানিজম একটিভ করে দিয়েছে , যা এতক্ষণ ছিলো না । এখন ওকে দেখে মনে হচ্ছে , নিজেকে এভাবে সবার সামনে এক্সপোজ করে বেশ লজ্জিত ও ।
 
একটু পানি খাবি? আমি নিয়ে আসছিএই বলে জান্নাত রাজীবের সামনে থেকে চলে আসে । আসলে রাজীব কে একটু সময় দেয়ার জন্যই ও এই কাজ করেছে । নইলে জান্নাতের ওভার সাইজ সাইড ব্যাগে পানির বোতল একটা থাকে ।  
 
যদিও জান্নাতের মুল ইচ্ছা ছিলো রাজীব কে কিছুটা স্পেস দেয়া । কিন্তু রাজীবের কাছ থেকে একটু দূরে আসার পর মনে হলো । এই স্পেস টুকু ওর নিজের জন্যই দরকার ছিলো । জান্নাতের চোখ দুটো হলকা ভিজে ওঠে । রাজীবের অমন কান্নারত অবস্থা দেখে ও নিজেও খুব স্থিতিশীল অবস্থায় নেই । অনেক কষ্টে নিজেকে রাজীবের সামনে স্থির রেখেছিলো ।
 
মাঝে মাঝে জান্নাতের নিজের উপর বিরক্তি আসে , কেন এই ছেলেটার জন্য ওর মনে এতো মায়া হয় । আর সবার মত কেন ও রাজীব কে ইগ্নোর করে যেতে পারে না । ওর কিসের এতো ঠ্যাকা । কে হয় রাজীব ওর , কিছুই না , সুধুই প্রতিবেশী । বেশ কিছুক্ষন জান্নাত এভাবেই মনের ঝাল মেটায় । কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে লক্ষ্য করে , এতে রাজীবের প্রতি ওর মমতা কমার বদলে আরো বাড়ছে । নিঃসঙ্গ দায়িত্বের ভারে নুয়ে পরা এই বোকা ছেলেটার জন্য ওর হৃদয় নতুন নতুন মায়ার জন্ম দিচ্ছে প্রতিনিয়ত ।  সেই মায়া তরলে রুপান্তর হয়ে চোখ বেয়ে বেড়িয়ে আসতে চায় । কিন্তু জান্নাত সেই সুযোগ দেয় না । বেশ কয়েকটি লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজেকে স্থির করে । তারপর ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে রাজীব যেখানে ছিলো , সেখনে ফিরে আসে ।
 
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 1 user Likes gungchill's post
Like Reply
কিছু সম্পর্কঃ ৯ (ক) এর বাকি অংশ.........



জান্নাত আসার আগেই ওর বাবা আর মা চলে এসেছে । রাজীব ওদের সাথেই কথা বলছে । রাজীব কে দেখে বোঝাই যাচ্ছে না কিছুক্ষন আগেও ওর নিজের উপর কন্ট্রোল ছিলো না । জান্নাতের নিজের ডিসিশনের উপর ডাউট হতে থাকে । রাজীবের চোখ দুটোতে এখনো চাপা কান্না স্পষ্ট । অথচ কথা বলছে নির্লিপ্ত ভাবে ।
 
জান্নাত ভাবে সবাই রাজীবকে  দেখে খুব গোছানো, আত্মবিশ্বাসী ছেলে মনে করেতাই ওকে নিয়ে কেউ বিশেষ ভাবনাচিন্তা করে নাকেউ ভাবতেও পারবে না  কিছুক্ষণ আগে এই রাজীবের অবস্থা ছিল একেবারে ভেঙে পড়ার মতোজান্নাতের  মনে হয়,  ওর উচিৎ হয়নি রাজীবকে থামানো , উচিৎ ছিল রাজীব কে  কাঁদতে দেওয়া    
 
তাহলে সবাই  বুঝতে পারতো  রাজীবও একটা মানুষ , ওকে নিয়েও সবার কছুটা ভাবা দরকার । কিছুটা সান্তনা ওর ও পাওনা , কারো একজনের উচিৎ ওকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দেয়া , বলা ,  চিন্তা করিস না , আমরা  তো আছি । কিন্তু এটা কেউ করবে না, সবাই ভাববে , রাজীব পারবে , ঠিকই সামলে নেবে একা সব । কারন রাজীব সবার লক্ষি ছেলে , কর্মঠ দায়িত্ববান । কিন্তু কারো সময় হয় না ওর ভেতরে উকি দিয়ে একবার দেখার , ভেতরটা যে পাথর হয়ে গেছে ওর , চাপ গুলো বয়ে বেড়াতে বেড়াতে ।
 
এই নে পানিজান্নাত রাজীব কে পানির বোতল এগিয়ে দেয় । জান্নাত কে দেখে জয়নাল জিজ্ঞাস করে রানী কই ওকে বলেছিস?”
 
আছে হয়তো কোথাও, ফোনে পাচ্ছি না”   জান্নাত নিজের অনুভূতি গোপন রাখতে সক্ষম হয় না , আসলে এই বিরক্তিটা রানীর উপড়ে নয় , বরং এটা ওর আব্বুর উপরে । রানীর বেপারে জিজ্ঞাস করার সময় জয়নালের চোখে মুখে যে উদ্ভেগ ফুটে উঠেছিলো সেটা রাজীবের সাথে কথা বলার সময় দেখতে পায় নি ও । সবাই রানী কে নিয়ে চিন্তিত , বাবার অসুস্থতার খবর শুনে রানী কেমন করবে এই ভেবে সবাই উৎকণ্ঠায় আছে । অথচ সামনে দারনো রাজীবের ব্যাপারে চিন্তা নেই কারো । জান্নাত ভেবে পায় না , এটা কি ওরা বোঝে না? রানীর তো রাজীব আছে  । কিন্তু রাজীবের কে আছে ?      
 
জয় আসেনি?” এবার আয়শা জিজ্ঞাস করলো
 
জয়ের কথা উঠে আসতেই জান্নাতের মনে হলো , আচ্ছা রানী তো জয়ের সাথেও থাকতে পারে , জয় কে কল করলেই হতো। মুখে বলে “ নাহ ওকে বলাই হয় নি”  
 
কেন?” আয়শা মেয়ের উপর একটু বিরক্ত হয় ,
 
জয় এসে কি করবে?   কি ডাক্তার? যা আগে করা জরুরি তাই করছি আমরা ”  
 
জান্নাত তোর ছোট আব্বু অসুস্থ আর তুই এমন করছিস কেন , তোর কি জ্ঞান বুদ্ধি কমছে ? কখন কেমন আচরণ করতে হবে , ভুলে যাচ্ছিস ?”   জয়নাল চাপা স্বরে বললেও ওর উত্তেজনা টের পাওয়া যায় । কিন্তু জান্নাত সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে অন্য দিকে চলে যায় । ওর মনে হয় এখন মুখ খুললে ভালো কিছু হওয়ার বদলে খারাপ ই হবে ।  
 
জান্নতের এমন চলে যাওয়া দেখে জয়নাল আরো ক্ষেপে ওঠে , এমনিতেই বন্ধুর অসুস্থতা ওকে বেশ কাতর করে ফেলেছে । তার উপর মেয়ের এমন আচরণ । স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলে দেখেছো অবস্থা
 
আহা বড় আব্বু বাদ দাও তো? তুমি এখানে বস , শান্ত হও , আব্বুর তেমন কিছুই হয়নি , আজকে অবজারভেশনে রেখে , কাল ছেড়ে দেবেরাজীব জয়নাল কে বোঝানোর জন্য মিথ্যা করেই বলে । রাজীব বুঝতে পারে , ছোট বেলার বন্ধুর এমন হঠাত অসুস্থতা জয়নালের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে ।
 
তোর মত আর একটা ছেলে মেয়েও আমাদের হয়নি রে , আফসোসজয়নাল চিবিয়ে চিবিয়ে বলে , “একজন মানুষ এমন অসুস্থ আর কথার কি ছিরি দেখছসি ?”  এই বলে জয়নাল মেয়ে যেদিকে সেদিকে তাকায় ,
 
আহা বাদ দাও না বড় আব্বুরাজীব আবার বলে
 
আমার যদি কোনদিন এমন কিছু হয় , তুই ই আমাকে দেখিস বাবা, আর কারো প্রতি আমার বিশ্বাস নেই , ছেলে তো একটা লাফাঙ্গা হয়েছে , কোন কাজে তাকে পাওয়া যায় না , আর মেয়ে একটা বেয়াদপ”  শেষের দিকে জয়নালের কণ্ঠ একটু কাঁপে।
 
রাজীব শুষ্ক হাসে , ওর বড় আব্বু যে বিচলিত হলে রেগে যায় এটা সবাই জানে । নিজের বাবার প্রতি একটা মানুষের এমন অক্রিত্তিম ভালোবাসা দেখে রাজীবের ভালো লাগে । রাজীব পানির বোতল জয়নালের দিকে বাড়িয়ে দেয় । জয়নাল আনমনে পানি নেয় , বিড়বিড় করে বলতে থাকে কত আর বয়স হয়েছে ? আমার সমান ই তো
 
****
জয় রানীকে যে রেস্তোরাঁয় নিয়ে এসেছে, এরকম জায়গায় আগে কখনো আসা হয়নি ওরঅনেক ছোটবেলায় একবার এসেছিলোযখন বড় আব্বু, জয়নাল, এক বিশেষ উপলক্ষে সবাইকে নিয়ে এসেছিলেনরানীর মনে আছে, সেদিন জয় একটা প্লেট ভেঙে ফেলেছিলো একটা অতি নাটকিও কিছু করতে গিয়ে
তারপর আর কখনো এমন রেস্তোরাঁয় আসা হয়নি সাধারণত ওর আব্বু ওদের কোথাও নিয়ে গেলে সেটা হতো চিড়িয়াখানা, জাদুঘর বা বইমেলার মতো জায়গাআব্বু সবসময় বলত, “ঘুরতে গেলে এমন জায়গায় যেও, যেখান থেকে কিছু শেখা যায়
রানী ভেতরে ভেতরে বিরক্ত হতো, কিন্তু মুখে কিছু বলতো নাকারণ, এমনিতেই আব্বু কোথাও খুব একটা নিয়ে যেত নাআর যদি মুখ খোলে, তবে হয়তো একেবারেই নিয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেবে, এই ভয় কাজ করত
আরও বড় হওয়ার পর, আব্বু নিয়ে যাওয়া বন্ধই করে দিয়েছিলো তখন রাজীব-ই মাঝে মাঝে নিয়ে যেত, চটপটি বা ফুচকা খাওয়াতেএর বেশি কিছু না কলেজে ওঠার পর   জান্নাতের সাথেও কয়েক জায়গায় গেছে, কিন্তু জান্নাতও খুব ফেন্সি জায়গায় যায় নাতাই এই পরিবেশ রানীর কাছে একেবারেই অচেনা
রেস্টুরেন্টে ঢোকার পর থেকেই ওর একটু সংকোচ বোধ হচ্ছেএখানে যারা এসেছে, তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণসব যেন ওর থেকে আলাদা
এতো বড় রেস্টুরেন্টে আসার কি দরকার ছিল?” রানী হালকা সংকোচ নিয়ে জিজ্ঞেস করে
তুই কি বললি!” জয় অবাক হয়ে বলে, তারপর হেসে ওঠে, তোর কাছে হয়তো আজকের ব্যাপারটা হাইজ্যাকিং মনে হচ্ছে, কিন্তু আমার জন্য এটা আমাদের ফার্স্ট ডেট আর আমি আমার ফার্স্ট ডেট স্পেশাল করব না?”
 
ইস, তুলে এনে বলছো ডেট! আগে বললে কি ক্ষতি হতো? তোমার পাগলামি না করলে মনে হয় শান্তি হয় না,” রানী অভিযোগের স্বরে বলে
 
তুলে আনার মজাই আলাদা! তুই বুঝবি না,” জয় দুষ্টুমি ভরে বলেতারপর একটু থেমে যোগ করে, “সেদিন যদি এতো কিছু না করে তোকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলতামআহ!” বলে হা হা হা করে হেসে ওঠে
 
জয়ের এমন উচ্চস্বরে হাসি আশেপাশের গেস্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেঅনেকেই বিরক্ত চোখে তাকায়
 
এই চুপ! সবাই তাকাচ্ছে,” রানী চোরা চোখে চারপাশে দেখে ফিসফিস করে বলে
 
তাকালে আমার বা…”—‘বালশব্দটা মুখে আসতেই জয় থেমে যায় বলার ভঙ্গি বদলে নেয়,বলে  বয়েই গেছে!”

প্লিজ, একটু স্বাভাবিক আচরণ করোআমার ভীষণইয়ে হচ্ছেরানী এতোটাই অপ্রস্তুত হয়ে গেছে যে, কথাগুলোও গুলিয়ে ফেলছে
রানীর দিকে তাকিয়ে জয় বুঝতে পারে, সত্যিই ও লজ্জা পাচ্ছেতাই নিজেকে সংবরণ করে নেয়
 
সত্যি বলতে, জয় ভীষণ খুশি এখন থেকে রানীকে নিয়ে যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেএমন এক বিশ্বাস ওর  ভেতরে জন্মেছে তার ওপর, ফেরার পথে রানীর বলা  কিছু কথা এখনো কানে বাজছেতাই হয়তো একটু বেশি পাগলামি চেপে বসেছে
 
যাহ! তোকে মাফ করে দিলামআর বিব্রত করব না,”  জয় হেসে বলে, তবে তুই কিন্তু আমার ঐ কথাটা ভেবে দেখতে পারিস
 
কোন ব্যাপারটা?” রানী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে
 
ঐ যে বললামতুলে নিয়ে বিয়ে করাআমরা এখনো ঐ রোলপ্লে টা করতে পারি
 
তুমি থামবে?” রানী লজ্জায় মুখ লাল করে ফেলে  আমি তো জানতাম তুমি হিরো, এখন দেখছি তুমি ভিলেন!” রানী মুচকি হেসে বলে
 
আজকাল হিরোরা এমনইআচরণ ভিলেনের মতো, কিন্তু হিরোআর মেয়েরাও এমন ছেলেই পছন্দ করেআগের দিনের মেন্দা মারা হিরোদের দিন শেষ!”জয় জ্যাকেটের কলার তুলে সিনেমার হিরোদের স্টাইলে পোজ দেয়
 
রানী মুখে হাত চাপা দিয়ে হাসেকে বলল সব মেয়ে এমন হিরো পছন্দ করে?”
 
সব মেয়ের কথা বাদ দে, তুই যে করিসসেটা আমি জানি 
 
কচু জানো তুমি,” রানী হাসতে হাসতে বলে তারপর উঠে দাঁড়িয়ে যোগ করে,তুমি অর্ডার করো, আমি একটু রেস্টরুমে যাচ্ছিচুল এলো-মেলো হয়ে গেছে, জামা কাপড়ের ছিরি নেই আর উনি আমাকে নিয়ে এসেছে এখানে!”
 
তুই পাগলনি সেজে এলেও আমার রানীই থাকবি,” জয় বসেই কুর্নিশ করার ভঙ্গি করে
 
রানী কিছু বলে না, শুধু ভ্রুকুটি করে,কিন্তু ঠোঁটের কোণে লেগে থাকে মিষ্টি এক হাসি
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 1 user Likes gungchill's post
Like Reply
কিছু সম্পর্কঃ ৯ (ক) এর শেষ অংশ .........


রানী টয়লেট থেকে বেড়িয়ে আয়নার সামনে দাড়ায়।  তারপর হাত ধুয়ে চুল ঠিক করে । ওয়াস রুমে রানী একাই ছিলো । আয়নার দিকে তাকিয়ে রানী জয়ের কথা নকল করে তুলে এনে বিয়ে করে ফেলা উচিৎ ছিলোতারপর নিজে নিজেই হাসে , আবার আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজে নিজেই লজ্জায় লাল হয় ,  বলে যাহ,  শয়তান একটা , আমাকে জ্বালিয়ে মারবে সারাটা জীবন” বলার পরে রানীর হাসি আর গালের লালিমা দেখে বোঝাই যায় এই জ্বালাতন ওর ভালোই লাগবে ।   

 
রানী নিজের সাইড ব্যাগ থেকে লিপ গ্লস নেয়ার জন্য হাত বাড়ায় , ওর ঠোঁট দুটো শুষ্ক বাতাসে বেশ শুকিয়ে আছে , তখনি মোবাইল টা ওর নজরে আসে । আজকে সকাল থেকে বেশিরভাগ সময় বাইকেই ছিলো , আর জয়ের সাথে এতটা সময় এক সাথে থেকে , মোবাইল এর কথা ভুলেই গিয়েছিলো রানী । হঠাত মোবাইলে চোখ পরায় , একবার দেখে নেয়ার কথা চিন্তা করে । মোবাইল আনলক করতেই রানী জিভ কাটে , রাজীব কল দিয়েছে তিন বার , আর জান্নাত দুবার , জান্নাত একটা টেক্সট ও পাঠিয়েছে , রানী ভাবে কি হলো আবার,  ওরা দুজন ই কল করেছিলো? জরুরি কিছুই হবে ।   
 
রানী কল করে জান্নাত কে , “ হ্যাঁ জান্নাত , একটু বিজি ছিলাম রে
 
কোথায় আছিস , দ্রুত আয় , ছোট আব্বু হসপিটালে …”  বাকি কথা আর রানীর কানে যায় না , রানীর মুখ ফ্যাঁকাসে হয়ে গেছে , মোবাইল থেকে আঙ্গুলের গ্রিপ হালকা হয়ে আসে ।
 
রানী শুনতে পারছিস , আমি ঠিকানা বলছি “  রানী নিজের সম্বিৎ ফিরে পায় , কল কেটে দেয় , ওর মাথা শূন্য হয়ে গেছে , এখন কি করবে সেটা ঠিক করতে পারছে না , রানী কয়েকবার ওয়াশ রুমের দরজার দিকে গিয়েও আবার ফিরে আসে , আয়নার সামনে দাড়ায় , আবার দরজার সামনে যায় , আবার এসে আয়নার সামনে দাড়ায় । যেন ও ভুলে গেছে ও কোথায় আছে , অনেকটা প্যানিক এটাকের মত হয়েছে ওর । এখন কি করবো , আব্বু হসপিটালে , আর আমি এখানে , এখন কি করবো , কি ভাবে যাবোঅনেকটা প্রলাপের মত বলতে থাকে ।  
 
এমন সময় আবার রানীর মোবাইল বেজে ওঠে হ্যালো , রানী , তুই কোথায় ? কল কেটে দিলি যে
 
কিন্তু রানী জান্নাতের কথা শোনে না , প্রলাপের মত বলতে থাকে “ আব্বুর কি হয়েছে , আমার আব্বু কি মরে গেছে”  
 
কি বলছিস তুই , না  না মাথা ঘুরে
 
আমার আব্বু কি মরে গেছেরানী এক কথাই বার বার বলতে থাকে ।
 
আবার কল কেটে দেয়  …  আবার প্রলাপ করতে থাকে , আমার আব্বু কি মরে গেছে , আমি এখন কি করবো ,
 
শেষ পর্যন্ত রানী দরজা খুলে বেরুতে পারে সোজা হাটা দেয় , আশেপাশে ওর নজর নেই , কোথায় আছে এ বেপারেও যেন সচেতন নয় । হাটে আর বিড়বিড় করে বলে কিভাবে যাবো
 
জয় রানীকে বেড়িয়ে আসতে দেখে হাসে ,  কিন্তু রানী সেদিকে ফিরেও তাকায় না , রানী কে দেখে মনে হচ্ছে ও ঠিক জয় কে চিনতে পারেনি । জয় বিষয়টা বুঝতে পারে যখন রানী ওদের টেবিল ক্রস করে যায় । জয় প্রথমে পেছন থেকে ডাকে । এমন সময় জয়ের মোবাইল বেজে ওঠে , কিন্তু জয় সেটা ইগোনোর করে , আরো একবার রানী কে ডাকে , কিন্তু রানী যখন কোন রেসপন্স করে না তখন জয় অবাক হয় , রানীর আচরণ অন্য রকম লাগে । দ্রুত উঠে গিয়ে লম্বা পা ফেলে রানীর হাত ধরে ।
 
প্রথমে রানী ঝটকা মেরে হাত ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে । আশেপাশে লোকজন আবারো ওদের দিকে তাকায় । এবার জয় বিব্রত হয় । কারন রানী এখনো ওর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে । তাই জয় একটু জোরেই রানীর হাত চেপে ধরে , চাপা কণ্ঠে  জিজ্ঞাস করে এমন করছিস কেন ? কি হয়েছে , কেউ কিছু বলেছে , আমাকে বল
 
এবার রানী জয় কে চিনতে পারে , “ ওহ জয়”  
 
মানে কি? কি বলছিস তুই , এমন সিন করছিস কেনো? লোকজন কি ভাববে?” জয় একাধারে বিস্মত আর বিরক্ত  । বিরক্তির কারন আশেপাশের লোকজন এমন ভাবে তাকাচ্ছে যেন জয় কিছু একটা করেছে । আর বিস্মিত হয়েছে রানীর আচরন দেখে , রানী এমন করে ওহ জয় বলল যেন এই মাত্র ওদের দেখা হয়েছে ।
 
আমাকে যেতে হবে , আমাকে ছারো” রানী আবার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে
 
এবার জয় প্রমাদ গোনে । একবার জয়ের মনে হয় , রানী হয়তো মজা করছে , ভাবে যদি তাই হয় , এখন একটু বেশি ই হয়ে যাচ্ছে । জয় চোখের কোন দিয়ে দেখে একজন এগিয়ে আসছে , হটেলের লোক ।
 
রানী এখন কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে ?” জয় রাগত স্বরে বলে , কারন ও জানে সবাই কি ভাবছে , সবার মুখের উপর স্পষ্ট লেখা আছে ওদের ভাবনা । আর উপসর্গ গুলোও ওদের পক্ষে , রানী যেভাবে এসেছে , তাতে বোঝাই যাচ্ছে সাধারন ঘরের মেয়ে। ভীষণ সুন্দরী , এসব কিছু এক দিকেই ইংগিত করে , জয় এই মেয়েকে নিয়ে এসেছে ফুর্তি করার জন্য , আর এখন এই মেয়ে চলে যেতে চাচ্ছে আর জয় যেতে দিচ্ছে না । জয়ের রাগ উঠে যাচ্ছে ।
 
স্যার এনি প্রবলেম?” হোটেলের লোক এসে নম্র ভাবে জিজ্ঞাস করে ,
 
“ সব ঠিক আছে , আপনি নিজের কাজ যান প্লিজ” জয় গম্ভির স্বরে , কিন্তু পোলাইটলি বলে । কিন্তু ও বুঝতে পারে হোটেলের কর্মচারী ওর কোথায় সন্তুষ্ট নয় ।
 
“ ম্যাডাম কোন সমস্যা ? আমি কি আপনাকে কোন ভাবে হেল্প করতে পারি?”  এবার সেই কর্মচারী রানীর দিকে তাকিয়ে বলে
 
“ হ্যাঁ আমার যেতে হবে , কিন্তু কিভাবে যাবো?” রানী ব্ল্যাংক দৃষ্টিতে সেই কর্মচারীর দিকে তাকিয়ে  বলে
 
“ প্লিজ আপনি এই ব্যাপারে নাক গলাবেন না” জয় রাগত দৃষ্টিতে হোটেল কর্মচারীর দিকে তাকায় , কিন্তু হোটেল কর্মচারী ওকে পাত্তা দেয় না , নির্লিপ্ত স্বরে বলে “ স্যার আমাদের একটা রেপূটেশন আছে , এখানে কোন সিন ক্রিয়েট হোক সেটা আমরা চাই না”
 
“ রানী , তুই এমন করছিস কেন ? কি হয়েছে আমাকে বল, এমন পাগলের মত করলে চলবে , লোকে কি বলবে?” জয় রানীর দিকে তাকিয়ে  একটু নরম স্বরে বুঝিয়ে বলার মত করে বলে ।
 
রানী জয়ের হাত আবারো ছাড়ানোর চেষ্টা করে , আর তখনি জয় নিজের উপর কন্ট্রোল হারায় , প্রায় ধমকে ওঠে , “ রানী…… কি করতে চাইছিস তুই , আমাকে এভাবে অপমান কেন করছিস?”
 
“ স্যার প্লিজ উত্তেজিত হবে না”
 
“ ইউ শাট আপ” জয় কর্মচারী কেও ধমকে ওঠে ।
 
তারপর আবার রানীর দিকে তাকায় , কিন্তু রানীর মাঝে কোন পরিবর্তন নেই , দেখে আরো ক্ষেপে ওঠে , হাত ছেড়ে দেয় , বলে “ যা তুই জাহান্নামে যা , আমার কি” এই বলে জয় নিজের টেবিলে ফিরে আসে , দেখে জান্নাত লাগাতার কল করে যাচ্ছে । একবার ভাবে ধরবে না । রানীর আচরনে ভীষণ বিরক্ত ও । সব তো ঠিক ই ছিলো , গেলো ভালো । ওখানে কি হলো যে এমন করছে । জয় ভেবে পায় না । তা ছাড়া কেমন একটা সিন হয়ে গেলো , সবাই এখন ওকেই দেখছে । জয়ের বিশ্বাস আরো একটু বেশি কিছু হলে হোটেলের লোক সিকিউরিটি ডাকতো ।
 
জয় বিল মিটিয়ে দেয় , তারপর জান্নাতের কল ধরে , “ হ্যাঁ বল”
 
“ জয় তুই কি রানীর সাথে?” জয় জান্নাতের কন্ঠে আরজেন্সি টের পায় । কিন্তু এখনো রেগে আছে । তাই একটু ঝাঁজের সাথে বলে “ ছিলো এখন নেই”
 
“ মানে? এখন কই”
 
“ কি জানি ,  ফাইজলামি করছে , আমাকে যেন চিনতেই পারছে না, একটা সিন ক্রিয়েট করেছে”  জয় বিরক্তির সাথে অভিযোগ করে
 
“ জয় রানীকে নিয়ে এখুনি আয় , আমার ই দোষ , এভাবে হঠাত বলা ঠিক হয়েনি আমার”
 
“ কি বলতে চাস , কি বলা ঠিক হয়নি, ঝগড়া করেছিস “ জান্নাতের কণ্ঠ শুনে জয় বুঝতে পারে হয়তো ওদের দুজনের মাঝে কিছু হয়েছে ।
 
“ আরে না , ছোট আব্বু হসপিটালে এটা বলেছি , এটা শোনার পর থেকেই রানী পাগলের মত করছে”
 
জান্নাতের মুখ রাহিমের অসুস্থতার নিউজটা শুনেই , জয় প্রচণ্ড অনুশোচনায় পরে যায় , জয় কল কেটে দেয় , বাকি টাকা ফেরত না নিয়েই , বাইকের চাবি নিয়ে দ্রুত বেড়িয়ে যায় । বেড়িয়ে দারোয়ানের কাছে রানীর বর্বণা দিয়ে জানতে চায় কোন দিকে গিয়েছে। দারোয়ান হোটেলের মেইন গেটের দিকে দেখিয়ে দেয় ।  
 
জয় সেই দিকেই দৌর দেয় , কিছুদুর গিয়েই , দেখে একজন স্টাফের সাথে রানী দাড়িয়ে আছে , স্টাফ কিছু জিজ্ঞাস করছে কিন্তু রানী কিছুই বলছে না , সুধু দাড়িয়ে আছে । জয় আরো দ্রুত রানীর কাছে পৌছায় ।   
 
কাছে এসেই জয় হোটেল স্টাফ কে অগ্রাহ্য করে রানী কে বলে “ রানী , কোন সমস্যা নেই , আমি তোকে নিয়ে যাচ্ছি”
 
কিন্তু রানী জয় কে দেখে আঁতকে ওঠে , একটু পিছিয়ে যেতে চায় ।
 
“ স্যার উনি তো কথাই বলছেন না, আপনি কি ওনাকে চেনেন” এই স্টাফ অন্য একজন , আগের জন নয় ।
 
“ হ্যাঁ , চিনি , আপনাকে চিন্তা করতে হবে না , আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি  “ জয় রানীর দিকে তাকিয়েই বলে , জয়ের কপাল কুঁচকে আছে , কারন ও বুঝতে পারছে , রানী ওকে দেখে ভয় পাচ্ছে।
 
“ স্যার আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে , ওনাকে গাড়িতে তুলে দিতে, কিন্তু উনি কিছুই বলছেন না”
 
“ আমি বললাম তো আপনার কিছু করতে হবে না” জয় একটু ঝাঁজের সাথে বলে , ওর দৃষ্টি এখনো রানীর দিকে , জয় দেখে স্টাফের সাথে খারাপ ভাবে কথা বলায় রানী আরো ভয়ে কুঁচকে গেছে , ওর শরীর ও একটু একটু কাঁপছে ।
 
স্তাফ কিছু একটা ভাবে , তারপর বলে “ স্যার আপনি ওনাকে নিয়ে যান , কোন সমস্যা নেই , তবে দেখবেন আমার যেন কোন সমস্যা না হয় , আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে”
 
জয় দুটো নোট বের করে স্টাফের হাতে ধরিয়ে দেয় , আর বলে “ এখানে গাড়ি পাওয়া যাবে?”
 
স্টাফ খুশি হয়ে বলে “ জি স্যার , এখানে সব সময় রেন্ট কারের বেবস্থা থাকে , আপনি ঠিকানা বলুন আমি ঠিক করে দিচ্ছি , দু মিনিটে”
 
জয় জান্নাতের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে স্টাফ কে বলে ।
 
*****  
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 1 user Likes gungchill's post
Like Reply
কেউ তো প্রশ্ন করে না , তাই নিজে থেকেই বলছি । অনেকের রানীর যে সমস্যা টা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে । আমিও গল্পে প্যানিক এটাক বলেছি , কিন্তু এটা প্যানিক এটাক নয় । এটা হচ্ছে ,  দুটি বেপারের মিশ্রণ এই দুটি ব্যাপার হচ্ছে 

১ Panic Attack

২ Acute Stress Reaction
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
দুটো সম্পর্কই সম্পূর্ণ আলাদা আবার দারুণ ইন্টারেস্টিং। আর সত্যিই জয়কে সবাই খুব একটা পাত্তা দেয় না, যেটা কি না আমি মনে করি ওর প্রতি অবিচার। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জয় বেশ রেসপন্সিবল দ্যা ওয়ে হি শোউস কেয়ার ফর রানি, ইজ ভেরি গুড।
আজকের আপডেট টা এখন পর্যন্ত বেস্ট ছিলো। সব দিক দিয়েই।
Blush
[+] 1 user Likes ধূমকেতু's post
Like Reply
(02-11-2025, 08:24 PM)gungchill Wrote: কেউ তো প্রশ্ন করে না , তাই নিজে থেকেই বলছি । অনেকের রানীর যে সমস্যা টা হয়েছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে । আমিও গল্পে প্যানিক এটাক বলেছি , কিন্তু এটা প্যানিক এটাক নয় । এটা হচ্ছে ,  দুটি বেপারের মিশ্রণ এই দুটি ব্যাপার হচ্ছে 

১ Panic Attack

২ Acute Stress Reaction

পড়া শেষের পর ভাবছিলাম প্রশ্ন করবো, তখন দেখলাম আপনি অলরেডি কমেন্ট করে ফেলেছেন।
এই ব্যাপারটা নিয়ে নতুন জানলাম।
এখন একটু রিসার্চ করবো।
Blush
[+] 1 user Likes ধূমকেতু's post
Like Reply
Very nice
[+] 1 user Likes Saj890's post
Like Reply
(02-11-2025, 08:59 PM)ধূমকেতু Wrote: দুটো সম্পর্কই সম্পূর্ণ আলাদা আবার দারুণ ইন্টারেস্টিং। আর সত্যিই জয়কে সবাই খুব একটা পাত্তা দেয় না, যেটা কি না আমি মনে করি ওর প্রতি অবিচার। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে জয় বেশ রেসপন্সিবল দ্যা ওয়ে হি শোউস কেয়ার ফর রানি, ইজ ভেরি গুড।
আজকের আপডেট টা এখন পর্যন্ত বেস্ট ছিলো। সব দিক দিয়েই।

প্রতিটা সম্পর্কই আলাদা  , প্রতিটা সম্পর্কের দাবিও আলাদা থাকে । দেখা যাক আমাদের কুশীলবেরা কতটা এই সম্পর্ক  গুলোর দাবি মেটাতে সক্ষম হয় ।

জয় নিজেও এই নিয়ে একবার আক্ষেপ করেছিলো । সবাই ওর বাইরেরটা সুধু দেখে ভেতর টা কেউ দেখতে চায় না । আসলে এখানে "সবার" তেমন  দোষ দেয়া যায় না । জয় তেমন কারো  পাত্তা চায় ও না যদি চাইতো তাহলে অন্যদের ও পাত্তা দিতো ।

গেলো বারের আপডেট কে  যখন  প্রায় নিখুঁত বললেন , আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো আর ভালো লাগবে না । আবার আজকে এইআপডেট কে বেস্ট বলছেন । আমি কি ভেবে নেবো কিছুটা উন্নতি হয়েছে ? 

যদি উন্নতি হয়েই থাকে , সেটার  কৃতিত্ব আপনার পাওনা । অনেক ধন্যবাদ ।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)