Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 2.58 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica হিরো
#21
Khub valo laglo
[+] 1 user Likes w3rajib's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#22
Update koi
[+] 1 user Likes Momcuc's post
Like Reply
#23
Update din
Like Reply
#24
(15-08-2025, 03:47 PM)Saj890 Wrote: Update din

nice Story
Like Reply
#25
৮ 



এদিকে ডলি নাইম কে খুজতে খুজতে হয়রান হয়ে উঠছে । যে জায়গায় বসিয়ে রেখে গিয়েছিলো সেখানে নেই । বেশ কিছুক্ষন ডলি সেখানেই বসে অপেক্ষা করে । তারপর খুজতে বের হয় । এদিক সেদিক এর ওর কাছে জিজ্ঞাস করে । কিন্তু নাইম কে তো আর কেউ চেনে না , তাই কেউ বলতেও পারে না । 
 
টাটকা রোদে এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ী করে ডলির ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে । গায়ের পোশাক ঘামে ভিজে শরীরের সাথে সেঁটে বসেছে । মনে নানা রকম টেনশন কাজ করছে , ছেলেটা বোকাসোকা এটা ডলি জানে । আর এই কারনেই ভয় হচ্ছে । কোথায় গিয়ে উল্টো পাল্টা কিছু করে ফেলতে পারে । আর সিনেমা পারার মানুষদের মেজাজ সব সময় থাকে খিটখিটে , এরা একজনের উপরের ঝাল অন্য জনের উপর ওঠায় । দেখা গেলো পরিচালক , নায়ক নাইকাদের কিছু বলতে পারছে না , সেই ঝাল তুলবে এসিস্টেন্ট এর উপর , আর এসিস্টেন্ট সেই ঝাল তুলবে প্রডাকশন ম্যানেজারের উপর । আর প্রডাকশন ম্যানেজার প্রডাকশন বয় দের উপর । আর এই প্রডাকশন বয় রা সেই ঝাল তুলবে আশেপাশে ভিড় করা উৎসুক জনতার উপর ।
 
আর দুঃসংবাদ এই যে , নাইম জানে না ও একজন উৎসুক জনতা ছাড়া কিছুই না । নিজের মাঝে একটা নায়ক ভাব আছে ওর , ও ভাবে এই সিনেমা পারায় ও একদিন বড় মুখ হবে , আর সেটা ওকে দেখে এখানকার মানুষ আগেই বুঝে যাবে । ওর সুন্দর মুখশ্রী দেখে পরিচালক রা ওকে টেনে নিয়ে গিয়ে নায়ক বানিয়ে দেবে । বোকা ছেলেটা বোঝে না যে সুধু সুন্দর মুখ থাকলেই কাজ হয় না । এরকম কত সুন্দর চেহারা সিনেমা পারার আনাচে কানাচে পরে থেকে পচে গেছে তার কোন গুনতি নেই । 
 
অনেক জায়গায় খোঁজ করে ডলি ক্লান্ত হয়ে এক জায়গায় বসে পরে । ওর রাগ চরমে উঠে গেছে , পই পই করে বলে গিয়েছে , এখান থেকে না নড়তে । কিন্তু হিরো সে কথা মানবে কেনো , সিনেমা পারা কে নিজের বাপ দাদার সম্পত্তি মনে করে , নিজের মনেই বিড়বিড় করতে থাকে ডলি ।
 
এমন সময় ডলির এক সহকর্মী এসে ডলির পাশে বসে , এই মেয়ের সাথে অনেক সিনেমায় নাইকার সখির পার্ট করেছে ডলি । তাই তুই তুকারি সম্পর্ক …
 
এই ডলি , তোর সাথে একটা পোলা  আসে না ? ওরে দেখলাম ওস্তাদজির সাথে আট নাম্বার সেটে যাইতে।
 
কি কস ? ওস্তাদ জি ওরে চিনলো কি কইরা? ডলি অবাক হয় ।
 
নাসির ভাইয়ের লগে কি জানি হাঙ্গামা হইসিলো , এর পর ওস্তাদ জি ওরে নিয়া গেছে ।
 
ডলির বুক ধড়াস করে ওঠে , নাসির লোক ভালো না । যাই রে … বলে ডলি উঠে দাড়ায় , তারপর আট নাম্বার সেটের দিকে হাটা দেয় ।
 
বেশ কষ্ট করে আট নাম্বার সেটে ঢুকতে হয় ডলিকে , ভেতর গানের সুটিং হবে । নাইকা জেরিন আর দিলবার খানের বৃষ্টি ভেজা গানের সুটিং । তাই সবাই কে ঢুকতে দেয়া হবে না । যদিও দারোয়ান ডলি কে চেনে তারপর ও ঢুকতে দিতে চায় না , শেষে পঞ্চাশ টাকা খরচ করে ঢুকতে হয়েছে ।
 
ভেতরে গিয়ে দেখে ওস্তাদ জি এক্সট্রা দের ড্রিল বুঝিয়ে দিচ্ছে । আর নাইম বাবু হয়ে একটা চেয়ারে বসে আছে। ডলি নাইমের পাশে এসে দাড়ায় । রাগে ওর গা জলে যাচ্ছে । কিন্তু নাইমের সেদিকে কোন খেয়াল নেই । ডলি নাইমের চোখ অনুসরন করে দেখতে পায় , ও কোথায় তাকিয়ে আছে … গানের বৃষ্টির সিন শুট হবে তাই অলরেডি এক্সট্রাদের শরীর ভেজা , সাদা শাড়ি আর সাদা ব্লাউজের ভেতরে কালো ব্রা , এই হচ্ছে এস্কট্রাদের কস্টিউম । আর নাইক মনোযোগ সহকারে এক্সট্রাদেরে সেই ভেজা শরীর পর্যবেক্ষণ করছে । আরো রাগ বেড়ে গেলো ডলির । কান চেপে ধরলো পেছন থেকে , এই পোলা তুমি এইখানে আর আমি সারা এলাকা তোমারে খুঁজি। বাড়ি জাইবা না নাকি এগুলা দেখবা সারাদিন ।
 
এরি মাঝে ওস্তাদজি চলে আসেন , ডলি কে দেখে বলেন ,  আরে ডলি তুমি এখানে , কেমন আছো?
ডলি সাথে সাথে ওস্তাদজি কে পা ছুয়ে সালাম করে , জি ওস্তাদজি ভালো আছি
ডলি এই ওস্তাদজির হাত ধরেই ফিল্মে এসেছিলো , তাই এখন আর ডলি খুব প্রয়োজন না পরলে ওস্তাদজির সামনে পড়তে চায় না । নিজের বর্তমান অবস্থার জন্য ডলির লজ্জা হয় । একটা কলেজের কালচারাল ফাংশনে ওস্তাদজি প্রধান অতিথি ছিলো , সেখানে ডলি একটা নাচ পরিবেশন করেছিলো । ডলির সৌন্দর্য আর নাচ দেখে ওস্তাদজি খুব ইম্প্রেসড হয়ে ডলি কে সিনেমা করার কথা বলে । ডলির মা রাজি হওয়ায় এই ওস্তাদজি ই ডলিকে প্রথম ছবিতে সুযোগ করে দেয় ।
 
ওস্তাদজি যেদিন ডলি কে প্রথম সাইন করাতে নিয়ে আসে তখন বলেছিলো , ডলি আকজে তুমি এই সিনেমার দ্বিতীয় প্রধান ফিমেল লিড করছো , মনে রেখো ঠিক মত কাজ করলে লিড ফিমেল হতে তোমার সময় লাগবে না , আমি তোমাকে রাস্তা করে দিলাম সেই রাস্তায় হাটার দায়িত্ব তোমার ।
 
কিন্তু ডলি সেই রাস্তায় হাটতে গিয়ে ভুল করে বসেছে , এখন আর ডলি সেই রাজপথে নেই , সিনেমা জগতের কানা গলি হাতরে মরছে ।
 
এই ছেলে কে? ওস্তাদজি নাইম কে দেখিয়ে বলে ।
 
জি আমার সাথে আসছে , ডলি পুরনো দিন থেকে বর্তমানে ফিরে এসে বলে ।
 
খুব সুন্দর ছেলে তো, সুনলাম ও নাকি নায়ক হতে চায় , চেহারা ছবি তো ভালো , কিন্তু বয়স কম । একদম বাচ্চা , এই বয়সে তো লিড রোল পাবে না , মিনিমাম আরো পাঁচ বছর ওয়েট করতে হবে ।
 
নাইম ওস্তাদজির মুখে ওর প্রসংসা শুনে খুব খুশি হয় , আবার লজ্জা ও পায় ।
 
এমন সময় সেটে হুলুস্থুল পরে যায় , নাইকা এসেছে , নাইম জেরিন কে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে , যেমন সিনেমাতে সুন্দর তেমন বাস্তবেও সুন্দর । এর আগেও একবার জেরিন কে দেখছে , কিন্তু এতো কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি । আজকে জেরিন কে এতো কাছ থেকে দেখতে পেয়ে ওস্তাদজির উপরে নাইমের স্রদ্ধা বেড়ে গেলো । এই লোকটার কারনেই জেরিন কে ওর সপ্নের রানী কে এতো কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছে । 
 
এই ছেলে তোমার কি হয় ? এক মাত্র ওস্তাদজি নাইকা আসার প্রভাব পরেনি , উনি ডলির সাথে কথা বলেই যাচ্ছে ।
ডলি কি উত্তর দিবে ভেবে পায় না , কিছুক্ষন ভেবে বলল দূর সম্পর্কের আত্মীয় , বলতে পারেন গ্রামের পরিচিত।
 
ওও , তা তোমার সাথেই  থাকে ? লেখা পড়া কতদুর , ওস্তাদজি আবার জিজ্ঞাস করে ।
 
জি ওসাতাদ জি আমার সাথে থাকে , লেখা পড়া বেশি দূর না । ডলি আন্দাজে উত্তর দেয় , নিশ্চয়ই এই সিনেমা পাগল ছেলে লেখা পড়ায় ভালো হবে না , ভাবে ডলি ।
 
হুম , সুন্দর চেহারা থাকলেই তো নায়ক হওয়া যায় না , লেখা পড়া লাগে , ওস্তাদজি একটু গম্ভির হয়ে বলে ।
 
ডলি নাইমের প্রতি ওস্তাদজির এমন সু নজর দেখে খুব খুশি হয় , মনে মনে ভাবে যেহেতু ওস্তাদজি নাইম কে পছন্দ করেছে ,উনি কিছু না কিছু একটা করবে এই ছেলের জন্য । ওস্তাদজি ফেরিস্তা তুল্য মানুষ , কোনদিন কারো ক্ষতি করেন নাই , আর এই সিনেমা জগতে সবচেয়ে প্রচলিত কু কর্ম , যেটা আছে সেটাও করেছেন বলে কোন প্রমান নেই । ডলি নিজেই একজন সাক্ষি , ওকে সেনেমা লাইনে আনা কাজ দেয়ার জন্য কোনদিন কু নজরেও তাকায় নি , শরীরে টাচ করা তো দুরের কথা ।
 
ওস্তাদজি……… জেরিন পেছন থেকে নাকি স্বরে লম্বা টন দিয়ে ডাকে ওস্তাদজি কে , উনি পেছনে ফিরে তাকালে , দু হাত মলতে মলতে বলে , তারাতারি করুন না, আমার আজকে কক্সবাজার যেতে হবে তোওওওও।
 
আচ্ছা তুমি এক কাজ করো ডলি , এই ছেলেকে নিয়ে আমার অফিসে আসো আগামিকাল , আজকে যাও
 
ডলি অস্তাদজি কে পায়ে ধরে আবার সালাম করে , নাইম কেও করতে বাধ্য করে । তারপর নাইম কে নিয়ে বেড়িয়ে আসে । যদিও নাইমের আরো কিছুক্ষন থাকার ইচ্ছে ছিলো ।  জেরিন এখন বৃষ্টিতে ভিজে নাচবে , শাড়ি ভিজে গিয়ে ওর নাভি দেখা যাবে , নাইম খেয়াল করেছে জেরিনের পরনেও ওই এক্সট্রাদের মতই একটা সাদা শাড়ি পরনে । নিশ্চয়ই ওটা ভিজে গেলো নাভি দেখা যেতো । এতো কাছ থেকে জেরিনের নাভি দেখার সুযোগ মিস করতে চাইছিলো না নাইম । কিন্তু ডলি ওর কোন কথা শুনল না । এক প্রকার টেনেই নিয়ে বেড়িয়ে গেলো  
*****
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 4 users Like gungchill's post
Like Reply
#26
Darun
[+] 1 user Likes Saj890's post
Like Reply
#27
মনে হচ্ছে যেন ছাইচাপা পড়া নিভু অগ্নিকুন্ডে ঢুকে পড়েছি।স্লো বিল্ডাপ এ বেশ দারুন কিছু মূহুর্তের আর রোমাঞ্চকর সফরের সাক্ষী হতে চলেছি।চমৎকার লেখনী।তবে আরেকটু বড় আর তাড়াতাড়ি আপডেট দেওয়ার অনুরোধ করছি মহাশয়কে।
[+] 1 user Likes Alex Sean's post
Like Reply
#28
(19-08-2025, 08:45 PM)Alex Sean Wrote: মনে হচ্ছে যেন ছাইচাপা পড়া নিভু অগ্নিকুন্ডে ঢুকে পড়েছি।স্লো বিল্ডাপ এ বেশ দারুন কিছু মূহুর্তের আর রোমাঞ্চকর সফরের সাক্ষী হতে চলেছি।চমৎকার লেখনী।তবে আরেকটু বড় আর তাড়াতাড়ি আপডেট দেওয়ার অনুরোধ করছি মহাশয়কে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এলেক্স , সফর টা একটু লম্বা হবে,   তাই একটু স্লো এগুচ্ছি ।
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 1 user Likes gungchill's post
Like Reply
#29
Great
[+] 1 user Likes w3rajib's post
Like Reply
#30
(19-08-2025, 10:14 PM)w3rajib Wrote: Great

thanks
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


Like Reply
#31
Update
Like Reply
#32


 
বাড়িতে ফেরার সময় ডলির মন বেশ উৎফুল্ল হয়ে রইলো । নাইম ছেলেটা ওস্তাদজির নজরে পরছে মানে ওর কিছু একটা হবেই । ওস্তাদজি কাউকে সাহায্য করেছে আর তার উন্নতি হয়নি এরকম ঘটনা এই দেশের সিনেমার ইতিহাসে নেই । এক মাত্র ডলি নিজে ছাড়া ।
 
নিজের কথা মনে হতেই ডলির বুক থেকে একটা দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে এলো । কি দিন গুলি না ছিলো । সিনেমা পাড়ায় আনাচে কানাচে  সুধু ওকে নিয়ে মানুষের আলাপ , কানাঘুষা , ফিসফিসানি। যেখানেই যেতো সবাই ওকে নিয়ে মেতে থাকতো ।
 
নিজের প্রথম সিনেমার কাজ শুরু করার মাত্র দের মাস পর ডলি নিজের দ্বিতীয় সিনেমা সাইন করে । ওখানেও সেকেন্ড ফিমেল লিড । কিন্তু তাতে কি , ডলির ডিমান্ড দিন দিন বাড়তে থাকে । সবাই ডলিকে দ্বিতীয় নাইকা হিশেবে চায় । একে একে প্রায় আট দশটা এরকম ছবি করে ফেলে মাত্র দু বছরের মধ্যে ।
 
কিন্তু ডলির ভালো লাগছিলো না আর দ্বিতীয় নাইকার অভিনয় করতে । ফিমেল লিড হওয়ার বাসনা জাগে , মাত্র উনিস বছর বয়স ওর তখন । ওস্তাদজি ওকে অনেক বুঝিয়েছে , বলেছিলো আর একটা বছর অপেক্ষা করো ডলি । কিন্তু ডলির তখন পাখা গজিয়েছে ।
 
আর তখনি একটা অনুস্থানে দেখা হয় , জহির আহমেদের সঙ্গে । বিশাল প্রযোজক , বেশিরভাগ সিনেমায় ওনার টাকা ইনভেস্ট হয় । ষাট ঊর্ধ্ব জহিরের বেশ কুখ্যাতি আছে সিনেমা জগতে । কিন্তু কেউ মুখের উপর কিছু বলে না । ডলি ও কিছুটা জানতো । আর জেনে শুনেই ডলি পা বাড়িয়ে ছিলো আগুনের দিকে , উঁই পোকার মত । ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছিলো , প্রথমে পাখা হারিয়েছিলো ডলি । তারপর সেই আগুনে পুরে খাক হয়েছিলো সম্পূর্ণ শরীর ।
 
চার বছর  গ্যাপ দিয়ে যখন ডলি ফিরলো , তখন আর কেউ নিতে চায় না কাজে । এমন কি দ্বিতীয় নাইকা হিশেবেও ডলি তখন ফিট না । কিন্তু ডলির যাওয়ার আর কোন যায়গা ছিলো না । তাই কোন রকমে সিনেমা  পাড়াতেই পরে রয়েছে মাটি কামড়ে ।
 
ডলি নিজের অতিতের দুঃস্বপ্ন থেকে ফিরে আসে বাস্তবে । পাশে বসা নাইমের দিকে তাকায় । মন খারাপ করে বাইরের দিকে চেয়ে আছে ছেলেটা । বাতাসে চুল গুলো উরছে । কি সুন্দর নিষ্পাপ চেহারা , দেখলেই ডলির বুকটা সিক্ত হয়ে ওঠে মমতায় । আদর করতে ইচ্ছে হয় , এক দম ছেলে মানুষ । এই যে একন মুখ ভার করে আছে , ডলি জানে কেনো মুখ ভার করে আছে । আপনা আপনি ডলির মুখে একটা হাসি চলে আসে । জেরিনের শুটিং দেখতে পারেনি বলে যে বাবু মন খারাপ করে আছে সেটা ডলি জানে ।
 
আকারে ইঙ্গিতে ওকে বহুবার বলেছে জেরিনের সাথে দেখা করিয়ে দিতে , কিন্তু ডলির কি আজ সেই সাধ্য আছে। হ্যা চাইলে অবশ্য পারে , কিন্তু এর জন্য ডলিকে সেদিনের পুচকে নাইকার সামনে নত মস্তক হতে হবে। আজকাল জেরিন কে দেখে খুব হিংসা হয় ডলির । বছর তিনেক  হবে এসেছে । যখন প্রথম এসেছিলো,  না ছিলো চেহারার ছিরি না ছিলো শরীর । অথচ এখন দেখলে চেনা যায় না । অথচ ডলি যখন প্রথম এসেছিলো ওই ১৭ বছর বয়সেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো ।
 
আবার তাকায় ডলি নাইমের দিকে , তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিদ্ধান্ত নেয় , নিয়ে যাবে একদিন জেরিনের সামনে ওকে । এর জন্য জেরিন কে কিছুদিন তেল মাখতে হবে ম্যাডাম ম্যাডাম বলে । কিন্তু ডলি এতে রাজি আছে , নাইমের তখন কার হাসি মুখ দেখতে কেমন হবে ভেবে মুচকি হাসে ।
 
*****
ডলি ম্যাডাম , এই ওস্তাদজির আসল নাম কি ? বাসায় ফিরে পেঁয়াজ কাটতে কাটতে জিজ্ঞাস করে নাইম । রাতের খাবার রান্না করছে ডলি আর ও । রাতে খিচুড়ি আর ডিম ভাজি হবে ।
 
এই ছেলে তুই আমারে ম্যাডাম ম্যাডাম করস ক্যান? ডলি একটু রাগ করেই বলে
 
তাইলে কি ডাক্মু? নাইম একটু অবাক হয়ে তাকায় । আসলে এই মমতাময়ই মহিলার সাথে নাইমের যে কি সম্পর্ক হতে পারে নাইম তা ভেবে পায় না । বয়সে নাইমের খালা দের মত হবে । কিন্তু খালা ডাকটা ঠিক যায় না ওনার সাথে । আবার খালা ডাকলে যদি রাগ করে , এই ভেবে নাইম ম্যাডাম বলেই ডাকে ।
 
ডলি কিছুক্ষন ভাবে , তারপর বলে তুই আমারে আপা ডাকবি বুঝছস , সিনেমা লাইনে সবাই সবার আপা আর ভাই । একদম বুড়া বুড়া নায়ক নাইকা গো ও আমরা আপা আর ভাই বইলা ডাকি ।
 
আচ্ছা আপা , বলে নাইম হাসে । ডলি সে হাসি দেখে নিজেও হাসে । তবে নাইমের মুখে আপা ডাক টা সুধু প্রফেসনাল সম্পর্কের লাগলো না । বেশ আপন মনে হলো ডলির কাছে এই আপা ডাক ।
 
ওস্তাদজির আসল নাম হচ্ছে হাসান চৌধুরী , তবে এই নামে ডাকার মতন লোক আর সিনেমা পাড়ায় নাই । সবাই ওনার জুনিওর ।
 
বলেন কি আপা , ওনার বয়স কত ? নাইম বেশ অবাক হয়
 
বয়স আর কত হইবো , ৬৫-৭০ , কিন্তু ওনার চেয়ে বয়সে বড় মানুষ ও ওনারে ওস্তাদজি ডাকে ।
 
ওরে বাবা এতো বয়স , দেখলে বুঝা যায় না কিন্তু ।
 
উহ অনেক নিয়ম কানুন মাইনা চলেন , তোর আর আমার মতন খিচুড়ি আর দিম ভাজি খায় না বুঝলি। ডলি হাসতে হাসতে বলে । সাথে নাইম ও হাসে । ওদের হাসি বাড়তে থাকে , অকারনেই শব্দ উচ্চ থেকে উচ্চতর হতে থাকে । ওরা দুজনেই জানে না কেন এই কথায় ওরা দুজনেই এমন পাগলের মত হাসছে ।
 
হাসির এক  পর্যায়ে ডলি থেমে যায় , ওর চোখ ফেটে পানি পড়তে চায় । কিন্তু রঙ্গিন পর্দার অভিনয়ে ব্যারথ শিল্পী , জীবনের অভিনয়ে উতরে যায় , চোখের পানি রুখে দিয়ে আবার হাসতে শুরু করে । কবে থেকে ডলি আত্মীয় পরিজন ছাড়া একা একা থাকছে তার হিশেবের খাতা ডলি বহু আগেই বন্ধ করে দিয়েছে । যতদিন মা বেঁচে ছিলো ওর সাথেই ছিলো । মা মারা যাওয়ার পর ভাই বোন রা ওকে নিজেদের আপন জন বলে স্বীকার করে না । আজ প্রায় আট নয় বছর হবে । ডলি নিজের দুই  ভাই আর ছোট বোন কে দেখে না । কোন উৎসবে পার্বণে ওরা ওকে ডাকে না । ডলিও কোনদিন যায় না ।
 
একবার গিয়েছিলো ছোট বোনের কাছে, খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো  । বোন প্রথমে ডেকে বসালেও । পরে বোনের স্বামী বোন কে ডেকে নিয়ে কি যেন বলল । তখন বোন এসে কান্নাকাটি করে ইনিয়ে বিনিয়ে বলল , তুই চলে যা , আর আসিস না । ভাই দের কাছে এমনিতেও যায় না । বিয়ের আগে তাও ছোট ভাই  মাঝে মাঝে খোঁজ নিতো , বিয়ের পর তাও নেয়ে না । ডলি মাঝে মাঝে ভাবে একি রক্ত মাংস থেকে তৈরি । একি সাথে হেসে খেলে বড় হওয়া আপনার মানুষ গুলোও কি করে একদিন দূরে ঠেলে দেয় । ছোট বেলায় কোনদিন মনে হয়নি এদের ছেড়ে থাকতে পারবে । অথচ আজ , কে কি করছে , কার জীবন কেমন চলছে কেউ খোঁজ ও রাখে না ।
 
কিন্তু আজকে এই রাস্তায় পাওয়া ছেলেটাকে বড্ড আপন মনে হচ্ছে । অনেক দিন পর মনে হচ্ছে ডলির কেউ আছে । বিধাতা হয়তো ওর সতেরো বছর আগের করা পাপ আজকে মাফ করে দিয়েছে । এমন মনে হচ্ছে ডলির ।
******
আজকে ডলি নাইম কে ওস্তাদজির অফিসে নিয়ে যাচ্ছে । ডলি বেশি দেরি করতে চায়নি । ব্যাস্ত মানুষ যদি ভুলে টুলে যায় । নাইম কে বার বার শিখিয়ে দিয়েছে কি ভাবে আচরন করতে হবে । কিন্তু তাতেও ডলির মন শান্ত হচ্ছে না । তাই বাসে বসে আবার বলল , এই বাইরে মাথা বাইর করোস ক্যান ,শোন আমার কথা মন দিয়া , প্রথমেই ওস্তাদজির পাও ধইরা সালাম করবি , কথা বলবি মাথা নিচু কইরা , বুঝছস? আর প্রশ্ন না করলে কথা বলবি না ।
 
আহ আপা বিরক্ত কইরো না তো , একশো বার এই কথা বলসো , আর কত বলবা , নাইম বিরক্ত হয়
 
একটা থাপ্পড় লাগামু তোরে , আর সুদ্ধ ভাষায় কথা বলবি , “হো” বলবি না , বলবি “জি”  ,  “ করমু” বলবি না , বলবি “ জি করবো” , “ পারমু” বলবি না , বলবি “জি পারবো” ।
 
জি আপা আমি এভাবেই বলবো , ডলি কে নকল করে বলে নাইম , তারপর মুখ ভেংচি কেটে বলে , এইবার তো চুম করবা।
 
ডলি নাইমের চুল  মুঠো করে ধরে একটা ঝাকি দেয় , আমার সাথে ফাইজলামি করবি না , ফাজিল । এইটা কত বড় সুযোগ তুই জানোস? এমন সুযোগ সবার আসে না
 
সেদিন খুচুরি রান্না করতে গিয়ে ডলি নিজের মমতার দুয়ার নাইমের জন্য কিছুটা খুলে দিয়েছিলো , তা আজ পর্যন্ত আসতে আসতে পুরোটা খুলে দিয়েছে । আর নাইম ও বেশ স্বাভাবিক হয়ে গেছে , এখন আর ও কাছে ডলি কে নিজের আশ্রয় দাত্রী নয় , বরং অনেক আপন মনে হয় । দুই স্বজন হারা মানুষ একে অপরের মাঝে নিজেদের আপনজন দের খুজে পেয়েছে যেন?
 
*****
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 3 users Like gungchill's post
Like Reply
#33
Darun
Like Reply
#34
সুন্দর হচ্ছে
[+] 1 user Likes Ari rox's post
Like Reply
#35
ভালো লাগছে। লাইক আর রেপু দিলাম।

clp); clp);





গঠনমূলক মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।

[+] 1 user Likes মাগিখোর's post
Like Reply
#36
লাইক রেপু আর আপনার ভালোলাগার জন্য ধন্যবাদ
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 1 user Likes gungchill's post
Like Reply
#37
ওস্তাদজির অফিসে বেশ ভিড় ছিলো , যা সাধারনত সব সময় থাকে । কিন্তু ডলি আর নাইম কে আলাদা ভাবে ট্রিট করা হলো , অপেক্ষা করতে হলো না ওদের । লাইন উপেক্ষা করে সবার আগে ওদের সাথে দেখা করলো ওস্তাদজি ।

 
ওস্তাদজির পি এস যেন ওদের জন্যই অপেক্ষা করছিলো । ডলি নিজের নাম বলতেই ওদের কে ওস্তাদজির রুমে নিয়ে যাওয়া হলো । নাইম ওস্তাদজির বিশাল অফিস দেখে ভিমরি খেয়ে গেলো । অফিস নয় যেন একটা বিশাল ফুটবল মাঠ । গালিচায় পা রাখতেই পা যেন ডেবে যাচ্ছে নরম তুলোয় । প্রথমবার পা রেখে নাইম তো ভয় ই পেয়ে গিয়েছিলো ।
 
বিশাল অফিস ঘরের পূর্ব পাশে ওস্তাদজির বিশাল টেবিল । নাইম জীবনেও এতো বড় টেবিল দেখনি । ডলির ঘরে যে বিছানা আছে সেটার চেয়ও বড় ওস্তাদজির টেবিল ।          টেবিলের উপর খুব বেশি কিছু নেই । একটা ছোট পিতলের তৈরি মূর্তি , যা অধভুত ভাবে ডান্স করছে (নটরাজ) । টেবিলের পেছনেও এমন একটা মূর্তি আছে , তবে ওটা সাইজে অনেক বড় । একটা ল্যান্ড টেলিফন সেট  , একটা ডাইরি । এছার একটা কলম দানিতে অনেকগুলো কলম। বাকি টেবিল সম্পূর্ণ খালি ।
 
টবিলের পেছনে একটা বড়ো শো কেস । যার মাঝা মাঝি একটা বড় খুপরি তে প্রায় দুই ফুট লম্বা নটরাজ রাখা। বাকি খুপরি গুলোতে নানা ধরনের ট্রফি , আর ছবিতে ভরা । নাইম গুনে শেষ করতে পারে না ট্রফির সংখ্যা , মাত্র ১২ টি গুনার পর ডলি ওকে খোঁচা দেয় , আর ওস্তাদজির পায়ের দিকে ইঙ্গিত করে । ততক্ষণে ডলি নিজের সালাম সেরে ফেলেছে , কুশল বিনিময় ও প্রায় হয়ে গেছে ।
 
নাইম ডলির খোঁচা খেয়ে সম্বিৎ ফিরে পায় । দ্রুত নিচু হয়ে ওস্তাদজির পা ধরে সালাম করে । আরে আরে হয়েছে , এই বলে ওস্তাদজি নাইম কে ওর দু বাহুতে ধরে তুলে ফেলে । নিজের বাহুতে ওস্তাদজির হাতের গ্রিপ দেখে নাইম বেশ চমকে যায় । মনে মনে ভাবে বাবারে বুড়ার শইল্লে কি শক্তি !!
 
ওস্তাদজি নাইম আর ডলি কে বসতে বলে । নাইম আবারো ট্রফি গুন্তে শুরু করে । প্রায় ৩৬ টা গুনা শেষ হতেই ওস্তাদজি ওকে জিজ্ঞাস করে , তোমার বাড়ি কোথায় নাইম?
জি , আমার বাড়ি মধুপুর গ্রামে , নাইম ডলির শিখিয়ে দেখা ভাষায় উত্তর দেয় ।
 
বাবা মা কি করে ? ওস্তাদজি আবার জিজ্ঞাস করে । উত্তরে নাইম নির্লিপ্ত ভাবে বলে , নাই।
 
নাই মানে? ওস্তাদজি  অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করে । মইরা গেসে , নাইম আবারো নির্লিপ্ত ভাবে বলে,  তবে এবার আর ডলির শেখানো ভাষায় থাকতে পারে না ।
নাইমের উত্তর শুনে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ওস্তাদজি একটু চুপ হয়ে জান । ওনার চোখে মুখে হালকা বেদনার ছায়া দেখা দেয় । তারপর আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে, জিজ্ঞাস করে , নাইম তুমি নায়ক হতে চাও?
 
হু বলে মাথা নাড়ায় নাইম । ওস্তাদজি মুচকি হাসে । তারপর জিজ্ঞাস করে কেনো নায়ক হতে চাও? এবার নাইম নড়েচড়ে বসে , নায়ক গো সবাই পছন্দ করে , আর কত শক্তিশালী ওরা , একলাই সব গুন্ডা মাইরা ফেলে । নাইম আরো কিছু বলতে চাইছিলো , কিন্তু বলে না । পাশে ডলি আছে আর ওস্তাদজি ও গুরুজন ব্যাক্তি । ওদের সামনে এসব বলা যাবে না । তবে নাইম মনে মনে ভাবে , নায়ক হলে কত সুন্দরী মেয়েদের সাথে প্রেম করা যায় , বৃষ্টিতে ভিজে ডান্স করা যায় , বাশর ঘরের সিন করা যায় , কিস করা যায় । আরো কত কি ।
 
নাইমের উত্তর  শুনে ওস্তাদজি আরো একবার মুচকি হাসি দেয় । ডলিও হাসে পাশে বসে । তারপর ওস্তাদজি আবারো জিজ্ঞাস করে , কোন নায়ক তোমার পছন্দ ?
নাইম বলে , আগে তো দিলবার খান পরছন্দ ছিলো , কিন্তু উনি তো বুড়া মানুষ , তাই অহন আর কেউ পছন্দের নাই । নাইম ঠোঁট দুটো তাচ্ছিলের সাথে বাঁকা করে উত্তর দেয় ।
 
ওর উত্তরের ধরন দেখে ওস্তাদজি নিজের অবস্থান আর বয়সের মর্যাদার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন । উচ্চস্বরে অট্টহাসি হেসে ওঠেন । বেশ কিছুক্ষন হেসে উনি ডলির দিকে তাকায় । বলে , ডলি এই ছেলে তো খুব সহজ সরল , যাক ভালই হলো , এমন সহজ সরল মানুষের দরকার আছে এই জগতে । এই দেখো না এইভাবে মন খুলে কবে হেসেছি আমার মনে পরে না,  হা হা হা ।
 
নাইমের এমন গ্রাম্য ভাষায় , কোন রাখ ঢাক না রেখে উত্তর দেয়া দেখে ডলি মনে মনে খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলো । সেই সাথে রাগ ও হচ্ছিলো , মনে মনে বলছিলো , ফাজিলটারে শিখাইয়া নিয়া আসলাম কি , আর এখন বলতেসে কি , দাড়া , বাসায় নিয়া নেই তোর পিঠের ছাল তুইলা ফেলবো আমি , তখন তো বলছিলি , সব বুঝছো । কিন্তু ওস্তাদজির এমন মন  খোলা হাসি দেখে ডলির দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে ।
 
তা নাইম তুমি লেখাপড়া কতদুর করেছো? ওস্তাদজির এই প্রস্নে নাইম একটু মিইয়ে যায় । এতক্ষণ যে চটাং চটাং উত্তর দিচ্ছিলো , সে এখন আমতা আমতা করতে লাগলো । তারপর খুব ধিরে ধিরে বলল , মেট্রিক পাশ , যা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা । পরিক্ষা দিয়েছিলো নাইম , কিন্তু পাশ করেনি ।
 
উহু , তাহলে তো হবে না , পড়ালেখা জানা থাকতে হবে । না হয় ওই দিলবার খানের মত হবে , হাসতে হাসতে বলল ওস্তাদজি । আরো দুই একটি প্রশ্ন করলো নাইমকে , তারপর বাইরে গিয়ে বসতে বলল , আর পিওন ডেকে নাইমের জন্য  কোক আর প্যাটিস এনে দেয়ার কথা বলল ।
 
নাইম বাইরে যেতেই , ওস্তাদজি ডলিকে বলল , দেখো ডলি আমার বয়স হয়েছে । আর কবছর ই বাঁচবো , আমি চাই বিদায়ের আগে এই  ইন্ড্রাস্ট্রি কে এমন একটা মুখ দিয়ে যাই যে আমি মারা যাওয়ার ৫০ বছর পরো যেন আমার নাম জীবিত থাকে ।
 
ডলি নড়েচড়ে বসে ,
 
কিন্তু আজকাল আর এমন কাউকে দেখি না । বাংলা সিনেমার যা অবস্থা অশ্লীলতা দিয়ে ভরে গেছে । ভালো অভিনেতা অভিনেত্রী যেমন নেই , তেমন ভালো গল্প ও নেই । তাই কেউ আর আসতে চায়না এই লাইনে । থিয়েটার , ফিয়েটার যারা করে , তাঁরা ওই টিভি নাটকে কাজ করে । এখানে টাকা বেশি তবুও আসতে চায় না পরিবেশের কারনে । দুই একজন যাও আসে , টাকার লোভে আসে । তাও টিভিতে ওদের যা পারফর্মেন্স , এখানে তার সিকি ভাগ ও দেখা যায় না । ওদের দোষ নেই , দোষ আমাদের ই । আমরা পরিবেশ ধরে রাখতে পারিনি ।
 
এক সময় কত শক্তিমান অভিনেতা অভিনেত্রী এই সিনেমা পাড়া দাপিয়ে বেড়িয়েছে । আজ তাঁরাও এখানে আসতে চায় না , মান সম্মানের ভয়ে । আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থা হয়েছে , যেই এর সাথে সম্পৃক্ত হবে তার দিকেই মানুষ ট্যাড়া চোখে তাকাবে ।
 
ভালো কাজ করার লোক যে নাই এমন  নয় । আছে , কিন্তু আম ছালা দুই হারানোর ভয়ে তাঁরা দূরে থাকে । পুরো ইন্ডাস্ট্রি ভরে গেছে কম পয়সায় ছবি বানিয়ে কিছু কামিয়ে নেয়ার ধান্দায় থাকা লোকে । আমাদের এখন দরকার এমন একজনের যে আমাদের দর্শকদের আবার ফিরিয়ে আনতে পারবে । সুশীল দর্শক যেমন টেনে আনবে তেমনি বর্তমান যারা দর্শক তাদের ধরে রাখবে । আর এটা করতে পারবে সত্যিকার একজন হিরো ।
 
সাউথ সিনেমার কথাই ধরো না , গোলাপকান্ত , এই একটা লোক ই যথেষ্ট একটা ইন্ডাস্ট্রি টেনে নেয়ার জন্য । কলেজ কলেজের ছাত্ররা যেমন এর ভক্ত , দিনমজুরা ও এর ভক্ত । এই নাইম ছেলেটার মাঝে আমি তেমন কিছু দেখতে পারছি । ওকে আমি প্রথম দেখি , নাসির নামে একটা ছেলে আছে না ভিলেনের পার্ট করে । ওর সাথে একটা কলহে জড়িয়ে পরেছিলো । তখন আমি ওর মাঝে সেই স্পার্ক দেখতে পেয়েছি ।
 
আমাদের ইন্ড্রাস্টির এখন এমনি একজন হিরো দরকার । যে বর্তমান জেনারেশন কে হলে টানতে পারবে । কিন্তু এখনি ওকে নামানো যাবে না । তোমার ব্যাপারে আমি যে ভুল করেছিলাম এর ক্ষেত্রে একি ভুল করতে চাই না। তুমি একে একটা কলেজে ভর্তি করিয়ে দাও । না পারলে আমাকে বলো আমি ব্যাবস্থা করে দেবো ।
 
খুশিতে ডলির দু চোখে পানি চলে আসে । অচেনা অজানা একটি ছেলের জন্য ডলি নিজের চোখে পানি দেখে একটু অবাক ই হয় । তারপর ওস্তাদজি কে আবার পা ধরে সালাম করে , বেড়িয়ে যায় ।
*****
কিছু প্রশ্নের উত্তর নেই,
তবু প্রশ্নগুলো বেঁচে থাকে,
ঠিক আমার মতো —
অর্ধেক জেগে, অর্ধেক নিঃশব্দ।


[+] 5 users Like gungchill's post
Like Reply
#38
Sundor
[+] 1 user Likes Nisat's post
Like Reply
#39
Very nice
[+] 1 user Likes Saj890's post
Like Reply
#40
Update please
[+] 1 user Likes White Walker's post
Like Reply




Users browsing this thread: