21-07-2025, 12:14 AM
গল্পে ইন্টারেস্টিং টার্ন আসছে। পরের আপডেটের অপেক্ষায় থাকলাম।
|
Adultery গুডমর্নিং
|
|
21-07-2025, 12:14 AM
গল্পে ইন্টারেস্টিং টার্ন আসছে। পরের আপডেটের অপেক্ষায় থাকলাম।
24-07-2025, 11:46 PM
24-07-2025, 11:53 PM
(21-07-2025, 12:14 AM)কাদের Wrote: গল্পে ইন্টারেস্টিং টার্ন আসছে। পরের আপডেটের অপেক্ষায় থাকলাম।আপনার ভালো লাগছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। আপনার মতো উচ্চমানের লেখকের কাছ থেকে এরকম উৎসাহ বাঞ্চক কম্পলিমেন্ট পেলে নিজের উপর ভরসা বেড়ে যায়। আপনার অঘটন ঘটন পটিয়সীর আপডেটের জন্য কিন্তু আমি অনেক মাস ধরে অপেক্ষায় আছি। আর কত কাল অপেক্ষায় রাখবেন আমাদের সবাইকে! এবার তো লিখুন!
25-07-2025, 10:01 AM
(24-07-2025, 11:53 PM)Rubya Wrote: আপনার ভালো লাগছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। আপনার মতো উচ্চমানের লেখকের কাছ থেকে এরকম উৎসাহ বাঞ্চক কম্পলিমেন্ট পেলে নিজের উপর ভরসা বেড়ে যায়। আপনার অঘটন ঘটন পটিয়সীর আপডেটের জন্য কিন্তু আমি অনেক মাস ধরে অপেক্ষায় আছি। আর কত কাল অপেক্ষায় রাখবেন আমাদের সবাইকে! এবার তো লিখুন! অঘটনঘটন পটীয়সীর পর্দায় চোখ রাখুন আজ রাতে।
26-07-2025, 02:02 PM
02-08-2025, 11:02 AM
05-08-2025, 10:54 PM
(This post was last modified: 05-08-2025, 10:57 PM by Rubya. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পর্ব- ১০
মহিমা সারারাত ঘুমায় না। চোখের পাতা যখনই বন্ধ হয়, ভেসে ওঠে সহপাঠীদের মুখ—তীব্র উপহাস, চাপা হাসি, মুখ ফিরিয়ে নেওয়া সেই নীরব ঘৃণা। বার বার কান বেজে ওঠে— “তোমার মা কি সত্যিই ভিডিওতে ওই কাজগুলো করছিল?” “তোমাদের রক্তই নোংরা…” ঘরের এক কোণে বসে, সাদা কাগজে সে কিছু লিখতে থাকে। অক্ষরগুলো কাঁপা হাতে আঁকা, কিন্তু স্পষ্ট— “আমি কারও ক্ষতি করিনি। আমি শুধু মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আমরা যদি অন্যায় না করেও অপরাধী হই, তাহলে সত্য বলে কিছু নেই। তোমরা যারা হাসছো, জানো না, একা দাঁড়িয়ে থাকা কতটা কষ্টের… আমি আর পারছি না।” কালো পেনের কালিতে লেখা সেই চিঠিটা যখন শেষ করে, তখন রাত তিনটে। মহিমা নিঃশব্দে উঠে যায় বারান্দায়। বারান্দার কিনারায় দাঁড়িয়ে সে নিচে তাকায়। নিচে আঁধার, বাতাস নিঃশব্দ। ঠিক সেই মুহূর্তে ফোনটা কাঁপে। রিং বাজে না, শুধু একটা মেসেজ—"দরজাটা খোলো, দরকারি কিছু আছে। - রোমেল" মহিমা থমকে যায়। এমন মুহূর্তে? এই রাতে? সে দরজা খুলতেই সামনে রোমেল দাঁড়িয়ে। চোখে গভীর উদ্বেগ, হাতে একটা পেনড্রাইভ। — “তোমাকে আমি শেষ হতে দেব না,” বলে রোমেল, — “তুমি ভাবছো, সব শেষ। কিন্তু আজ রাতেই যুদ্ধ শুরু।” মহিমা ধীরে ধীরে মেঝেতে বসে পড়ে। কাঁদে না, শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে রোমেলের দিকে। রোমেল পাশে বসে, তার কাঁধে হাত রাখে। — “এই পেনড্রাইভে সুমনের আরেকটা অডিও আছে। সে একজন স্থানীয় নেত্রীকে হুমকি দিচ্ছিল। আমি ফোন রেকর্ড করেছিলাম। আরও প্রমাণ আছে, যেগুলো তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে।” মহিমা ফিসফিস করে বলে— — “তুমি… এত কিছু করছো কেন? আমি তো তোমার কেউ না…” রোমেল উত্তর দেয় না, শুধু বলে— — “তুমি আমার রক্তে আগুন লাগিয়ে দিয়েছো। তোমার ভাঙা চোখে আমি নিজেকে দেখেছি। মিথিলার চোখে আমি অন্যায় দেখেছি। এখন লড়াই শুধু তোমাদের জন্য না… এটা আমার নিজেরও।” মহিমা আর মিথিলা দুজনেই দাঁড়ায় এক সাংবাদিক বন্ধুর ক্যামেরার সামনে। কোনো সাজানো বক্তব্য নয়, কোনো নাটক নয়। কেবল চোখের জল, আর সরল সত্য। মহিমা চুপচাপ বলে— — “যদি আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে আমি নিজের মুখে উত্তর দিতে চাই। আমি একজন ছাত্র, একজন মেয়ে, একজন সাহসী মায়ের মেয়ে। আর কোনো ভয় পাই না।” সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ দেখছে, শোনছে। কিছু চোখে জল, কিছু রাগে ফেটে পড়ছে। অন্যদিকে, রোমেল গোপনে ভিডিও, অডিও, এবং কিছু নথি পাঠিয়ে দেয় একটি বড়ো সংবাদ চ্যানেলে। “রাজনৈতিক নেতা সুমনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল, নারী হেনস্তা ও হুমকির অভিযোগ—অডিও ফাঁস।” সুমন তখন এক পরিত্যক্ত ফার্মহাউজে, সুরক্ষা বাহিনীর আগমনের আগে আত্মগোপনে। টিভিতে নিজের মুখ দেখে সে চিৎকার করে ওঠে— — “ওরা মেয়ে দুটো মিলে আমার সর্বনাশ করল! আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি!” কিন্তু কেউ আর শোনে না। মিথিলা, নিঃশব্দে, নিজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলে— — “আমরা জিতিনি, কিন্তু এবার অন্তত দানবটাকে ভয় পেতে হচ্ছে।” রাতে যখন মিথিলা-মহিমা মিডিয়ায় মুখ খুলেছে, সারা দেশের নজর তখন সুমনের দিকে। তবে সেই মুহূর্তে, রাজধানীর এক দামি হোটেলের স্যুটে বসে সুমন ফোনে কথা বলছে। তার পাশে বসে একজন মিডিয়া কনসালট্যান্ট, সামনে ল্যাপটপ খুলে। সুমনের কণ্ঠ স্বাভাবিক, শান্ত, কিন্তু ভিতরে বিষাক্ত আগুন। “একটা ভিডিও আর অডিও দিয়ে আমাকে থামাবে? আমি যদি চাই, পুরো মিডিয়া ২৪ ঘণ্টায় অন্য প্রসঙ্গে চলে যাবে।” ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে উত্তর আসে, “স্যার, আমরা কিছু ভুয়া নিউজ প্রস্তুত রেখেছি। সন্ত্রাসী হামলার গুজব, সীমান্ত উত্তেজনা, বলিউড স্ক্যান্ডাল—এই তিনটায় যে কোনো একটা ছড়িয়ে দিতে পারি। নিউজ চ্যানেলগুলো আমাদের সাথে আছে।” সুমন হাসে। “ভালো। মানুষ চিল্লা-চিল্লি পছন্দ করে, বিচার নয়। তবে, মিথিলা-মহিমাকে শুধু মিডিয়ায় ডুবিয়ে লাভ হবে না। ভাঙতে হবে ভিতর থেকে।” এক সপ্তাহ পর খেলা আরও ভয়ানক হয় ১. মিথিলার পুরনো কর্মস্থলে হঠাৎ ‘অডিট’ নামে একটি তদন্ত আসে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—"অনৈতিক সম্পর্কের কারণে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে"। ২. এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যেখানে মহিমা স্বেচ্ছাশ্রম করত, তাদের ফান্ড বন্ধ হয়ে যায়। সংগঠন চাপ দিয়ে বলে—“তুমি আমাদের জন্য নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করছো।” ৩. মিথিলার নামে একজন বয়স্ক পুরুষ আদালতে মামলা করে—“সে আমাকে ফাঁদে ফেলে অর্থ দাবি করেছিল।” এই তিনটি ঘটনার পেছনে একটাই নাম: সুমন। কিন্তু কোনো কাগজে তার নাম নেই, শুধু ছায়া। এক রাতে রোমেল তার এক সাংবাদিক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারে, সুমন শুধু একটি জেলা নেতা নয়—তার পেছনে আছে একটি “স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন সেল”—যা নির্বাচনপূর্ব সময়ে রাজনৈতিক শত্রুদের হেয় করতে গোপনে কাজ করে। এই সেলের কাজ ভুয়া কেস ফাইল করা চরিত্র হনন সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রেন্ড’ তৈরি পুলিশকে ব্যবহার করে হয়রানি গোপনে কাউকে “উধাও” করে দেওয়া রোমেল চুপ করে বসে থাকে কিছুক্ষণ, তারপর বলে— “এই যুদ্ধটা শুধু মিথিলা আর মহিমার না। এটা পুরো দেশের জন্য একটা উদাহরণ। যদি ও বাঁচে, অনেক মেয়েও সাহস পাবে। আর যদি হারি… তাহলে এমন আরও হাজারটা পরিবার শেষ হবে।” রোমেল, মিথিলা এবং একটি নির্ভীক মানবাধিকার আইনজীবী—তারা একত্রিত হয়। প্ল্যান তৈরি হয়। “আমরা এইবার কেবল সুমনকে নয়, তার সিস্টেমটাকেই উল্টে দিতে চাই।” একজন হ্যাকারের সাহায্যে, তারা সুমনের স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন সেলের ল্যাপটপ হ্যাক করে। সেখানে মেলে বিস্ফোরক ডকুমেন্ট: ১১ জন রাজনৈতিক কর্মীর গুমের পরিকল্পনা ৫ জন সাংবাদিককে ব্ল্যাকলিস্ট করা বিপক্ষ নেতাদের কেলেঙ্কারির ভুয়া ভিডিও বানানোর প্রমাণ এই তথ্যগুলো এতটাই ভয়ানক যে, সঠিকভাবে ব্যবহারে সুমনের রাজনৈতিক জীবন ধ্বংস তো হবেই, পুরো দলকেও নাড়িয়ে দেওয়া যাবে। টিভি স্ক্রিনে এক সন্ধ্যায় এক জ্বলন্ত নিউজ: “নেতা সুমনের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা গ্রেপ্তার—ডিভাইস থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক তথ্য।” সুমন তখন নিখোঁজ। মহিমা, ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন — “আমরা লড়ছি, কারণ আমরা জানি সত্য চাপা পড়তে পারে, হার মানতে পারে, কিন্তু হারিয়ে যায় না।” সুমনের ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর, পুরো রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়ে গুঞ্জন। অনেকেই মুখ খুলতে চায় না, কারণ তারা জানে—এটা শুধু একজন নেতার কেলেঙ্কারি নয়, একটি ছায়া-শক্তির মুখোশ খোলার শুরু। একটি ল্যাপটপের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে আন্তর্জাতিক রূপরেখা রোমেল যখন হ্যাকার আর মানবাধিকার আইনজীবীর সঙ্গে বসে তথ্য পর্যালোচনা করছিল, তখন একটি ‘ENCRYPTED FOLDER’ খোলে—নাম: TRIDENT-GRAY. ফোল্ডার খোলার পর পাওয়া যায় কিছু নথি, যার কিছু অংশ অন্য ভাষায়, কিছু কোডে। ডিক্রিপ্ট করার পর তারা দেখতে পায়: মধ্যপ্রাচ্যের একটি অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রুপের সাথে অবৈধ লেনদেনের রেকর্ড একটি ইউরোপীয় এনজিওর নাম, যেটি শিশুদের অধিকার রক্ষার নামে "ডেটা মাইনিং" এবং মানব পাচার ট্র্যাকিং"-এর আড়ালে জড়িত বাংলাদেশের একাধিক নেতার পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রমাণ এবং একটি ভয়ঙ্কর তথ্য: “TARGET: CIVILIAN DISRUPTION THROUGH CHARACTER COLLAPSE STRATEGY” — অর্থাৎ, সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রযুক্তিনির্ভর মানসিক যুদ্ধ চালিয়ে বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন এই গোটা নেটওয়ার্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সুমন। কিন্তু সে ছিল শুধুমাত্র একটি মুখ। আসল পরিচালক ছিল একটি আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংস্থা—GRAY MIND INITIATIVE। মহিমা ও মিথিলা মুখোমুখি হয় আরেক বাস্তবতার মিথিলা স্তব্ধ হয়ে যায়। সে ভাবে, এতদিন তারা ভাবছিল—একটা ‘লোকাল’ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে লড়ছে। এখন বোঝে—তারা আসলে এক গোটা গ্লোবাল অপারেশনের শিকার। মহিমা বলে, — “তাহলে আমাদের লড়াই শুধু সত্য-মিথ্যার না... এটা জাস্টিস আর পলিটিক্যাল সিস্টেমের যুদ্ধ।” রোমেল মাথা নেড়ে বলে, — “আর এই যুদ্ধ, একা কেউ জিততে পারে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু চাই, মিডিয়া চাই, গ্লোবাল সমর্থন চাই।” আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও উইসলব্লোয়ার জোটে রোমেল যোগাযোগ করে একজন জার্মান তদন্ত সাংবাদিকের সঙ্গে—লুকাস বার্গার, যিনি পূর্বে আফ্রিকায় ‘ডেটা চাইল্ড ট্রাফিকিং’-এর স্ক্যান্ডাল ফাঁস করেছিলেন। লুকাস বাংলাদেশে আসেন ছদ্মবেশে। তিনি মিথিলা ও মহিমার সাক্ষাৎকার নেন এবং বলেন, “আপনারা এই সময়ের সাহসী মুখ। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের এমন অনেক মেয়ের মুখ আপনাদের মুখে কথা বলবে।” একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। নাম দেওয়া হয়—“SILENCED IN SHADOWS: THE ASIA FILES”। এইদিকে, একজন উইসলব্লোয়ার জানান সুমন এখন দুবাইয়ের এক গ্লাস টাওয়ারে। সে সেখানে GRAY MIND-এর মুখপাত্রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছে। উদ্দেশ্য—নতুন পরিচয়ে পালিয়ে যাওয়া এবং ভবিষ্যতে এশিয়ার অন্য দেশে রাজনৈতিক পুনর্জন্ম। তবে লুকাস সেই তথ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন—সাংবাদিকদের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কে তা ছড়িয়ে দেন। এক আন্তর্জাতিক চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ: “Bangladeshi Political Leader linked to Global Cyber-Disruption Syndicate. Possible extradition request incoming.” মহিমা, জানালার পাশে দাঁড়িয়ে, চোখ বন্ধ করে। তার ঠোঁটে হালকা একটা হাসি। “এবার মানুষ জানবে—আমরা শুধু ছোট শহরের দুই নারী নই। আমরা একটা মহাদেশের নির্যাতিত কণ্ঠ। দুবাই, ভোর ৫টা সুমন চোখ খুলে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে দুবাইয়ের ইমিগ্রেশন পুলিশ, সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ইউনিটের প্রতিনিধি। চোখে ঘুম আর গলায় গরম চায়ের স্বাদ তখনও মিলিয়ে যায়নি, তবু তাদের মুখের ভাষা পরিষ্কার। “Mr. Sumon, you are under arrest on charges of transnational cybercrime, human rights violations, and unlawful financial transactions across borders.” সুমন প্রথমে হেসে ওঠে। “আমি তো রাজনৈতিক শরণার্থী… আপনারা জানেন আমি কে?” কিন্তু পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মকর্তা শুধু একটি ফোল্ডার এগিয়ে দেয়—তাতে তার ইউরোপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট জালিয়াতি, এবং অস্ত্র কেনাবেচা সংক্রান্ত লেনদেনের প্রমাণ। সে মুহূর্তে সুমনের মুখটা ধসে পড়ে। তার ভিতরকার দানব বুঝতে পারে—এবার আর "ক্ষমতা" নয়, বরং "ন্যায়বিচার" তার মুখোমুখি। ঢাকা, একই সময় মহিমা ঘুম থেকে উঠে দেখে তার ফোনে একটি ইমেইল এসেছে Subject: “Congratulations! You have been selected.” ইমেইলের ভিতরে লেখা "Dear Mahima, We are honored to offer you a full scholarship under our Global Youth Justice Fellowship program at the University of Amsterdam. Your courage, voice, and integrity are exactly what this world needs." See you this September. International Centre for Justice & Voices” মহিমার হাত কাঁপতে থাকে। সে ফাঁকা চোখে তাকিয়ে থাকে স্ক্রিনে। তার পাশে তখন চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে মিথিলা। “মা, আমি কি পারব?” “তুই পারবি না মানে? তুই তো এতদিন যা করেছিস, তা ক'জন পারে? এবার তুই শুধু দেশের মেয়ে না, পুরো পৃথিবীর এক প্রতিনিধি।” মহিমা মাকে জড়িয়ে ধরে। দুইজনের কান্না আসে, কিন্তু সেই কান্না এবার বেদনার নয়—মুক্তির। তিন সপ্তাহ পর, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া শেষে, সুমনকে দেশে আনা হয়। বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা, প্রতিবাদকারী নারীরা, মানবাধিকার সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত। তাকে যখন পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়, এক নারী চিৎকার করে বলে “এই লোকটা আমার ছোট বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল!” কেউ বলে “এই লোককে জেলে না, ইতিহাসে জায়গা দেওয়া উচিত—অপমানের পাতায়।” রোমেল দূরে দাঁড়িয়ে দেখে। মুখে তৃপ্তির ছাপ, কিন্তু চোখে এখন একটাই ভাবনা "এই তো শুরু। এবার প্রতিষ্ঠান বদলাতে হবে। সিস্টেম বদলাতে হবে।” নেদারল্যান্ডস, সেপ্টেম্বর আমস্টারডামের একটি ছোট্ট ঘরে বসে মহিমা জানালার ধারে চা খায়। তার সামনে খোলা বই, পাশেই একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আমন্ত্রণপত্র "Voices Against Shadows: Women Rewriting the Narrative" মহিমার বক্তৃতার বিষয়: “How Political Violence Breaks Homes—and How Young Voices Can Rebuild Them” মহিমা জানে, সে এখন আর শুধু সুমনের শিকার মেয়েটি নয়, সে এখন নিজের গল্পের লেখিকা। জানালার বাইরে পাতা ঝরছে, কিন্তু তার ভেতরে ফুল ফুটছে।
10-08-2025, 11:03 PM
গল্পটা সুন্দর হচ্ছে তবে একটু তাড়াহুড়া করছেন মনে হল। আরেকটু ধীর গতিতে আগাতে পারতেন। গল্পের চরিত্রগুলো নানা ধাপে কি ভাবছে আর বিস্তারিত লিখলে আর ফুটত গল্প।
10-08-2025, 11:46 PM
(10-08-2025, 11:03 PM)কাদের Wrote: গল্পটা সুন্দর হচ্ছে তবে একটু তাড়াহুড়া করছেন মনে হল। আরেকটু ধীর গতিতে আগাতে পারতেন। গল্পের চরিত্রগুলো নানা ধাপে কি ভাবছে আর বিস্তারিত লিখলে আর ফুটত গল্প।একটু দ্রুতই এগিয়ে নিয়ে গেছি। এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সামনে আরো টুইস্ট আসবে। সময় করে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
|
« Next Oldest | Next Newest »
|